hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

অধ্যয়ন ও জ্ঞানসাধনা

লেখকঃ আবু বকর সিরাজী

১৩
সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদের উত্তরাধিকার
মানুষ পরবর্তীদের জন্য সম্পদ জমা করে যায়, ওয়ারিস হিসেবে রেখে যায়, পরবর্তীরা পূর্বপুরুষের উত্তরাধিকার লাভ করে ধন্য হয়, গৌরববোধ করে। কেউ বংশীয় সূত্রে জমিদারী পায়, কেউ পায় সিংহাসন, কেউ পায় পদ-পদবী এবং কেউবা অঢেল সম্পদ। কিন্তু মহান আল্লাহ তা‘আলার কাছে এগুলোর কী-ইবা মূল্য আছে! বিশ্বের সব মানুষের কাছে এবং স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলার দৃষ্টিতে মহা নেয়ামত এবং মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে নবুওয়াত। এই নেয়ামত যোগ্যতা বলে কিংবা হাজারও প্রচেষ্টায় হাসিল করা সম্ভব নয়। তা নেহায়তই আল্লাহ তা‘আলার কৃপা ও দান। তিনি লক্ষ-কোটি মানুষের মধ্যে থেকে মাত্র এক লাখ চব্বিশ হাজার মানুষকে এই মহান নেয়ামতের জন্য নির্বাচিত করেছেন এবং সর্বশেষ নবী রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনের মধ্য দিয়ে চির গৌরবের এই নেয়ামত লাভের ধারা বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলার সবিশেষ করুণা এই যে, এই ধারা বন্ধ হয়ে গেলেও এর রহমতের ছায়া সচল রয়েছে। কেয়ামত পর্যন্ত একশ্রেণীর মানুষকে তিনি নবুওয়াতের রহমতের ছায়ায় আশ্রিত করবেন। আশ্রিতরা হবেন ওলামায়ে কেরাম এবং রহমতের ছায়াটি হচ্ছে ইলম। পৃথিবীতে এরচেয়ে শ্রেষ্ঠ উত্তরাধিকার এবং শ্রেষ্ঠ ছায়া দ্বিতীয়টি নেই। যেমন একই হাদীছের শেষাংশে বলা হয়েছে,

وَ إِنَّ الْأَنْبِيَاءَ لَمْ يُوَرِّثُوا دِينَارًا وَلَا دِرْهَمًا، إِنَّمَا وَرَّثُوا الْعِلْمَ، فَمَنْ أَخَذَهُ أَخَذَ بِحَظٍّ وَافِرٍ

‘আলেমগণ হলেন নবীগণের ওয়ারিছ। আর নবীগণ ধনসম্পদের মীরাছ রেখে যান না, বরং পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ ইলমের মীরাছ রেখে যান। সুতরাং যে ব্যক্তি এই মহামূল্যবান মীরাছ গ্রহণ করল সে বিরাট মূল্যবান বস্তু গ্রহণ করল।’ [ইবন মাজাহ: প্রাগুক্ত]

আল্লাহ তা‘আলা মাখলুকের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের আসন দান করেছেন প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে। আর আলেমদের করেছেন সাধারণ আবেদের তুলনায় রাসূলের মতো মহামান্বিত। যেমন:

عَنْ أَبِي أُمَامَةَ البَاهِلِيِّ، قَالَ : ذُكِرَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلَانِ أَحَدُهُمَا عَابِدٌ وَالآخَرُ عَالِمٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : «فَضْلُ العَالِمِ عَلَى العَابِدِ كَفَضْلِي عَلَى أَدْنَاكُمْ . » ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : «إِنَّ اللَّهَ وَمَلاَئِكَتَهُ وَأَهْلَ السَّمَوَاتِ وَالأَرَضِينَ حَتَّى النَّمْلَةَ فِي جُحْرِهَا وَحَتَّى الحُوتَ لَيُصَلُّونَ عَلَى مُعَلِّمِ النَّاسِ الخَيْرَ»

‘রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে দুইজন ব্যক্তির কথা আলোচনা করা হলো। একজন আবেদ আর অপরজন আলেম। জবাবে তিনি বললেন, ওই দুইজনের মধ্যে আলেমের মর্যাদা তেমন সুউচ্চ, যেমন আমার মর্যাদা একজন সাধারণ মানুষের চেয়ে সুউচ্চ। এরপর তিনি বললেন, স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা আলেমের প্রতি রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতা, আসমান ও জমিনবাসী, এমনকি গর্তের পিপিলিকা এবং সমুদ্রের মাছ পর্যন্ত আলেমের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে।’ [তিরমিযী: ২৬৮৫]

রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইলমকে নেতৃত্ব ও মর্যাদার মাপকাঠি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন,

إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : «إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ، وَإِنَّ رِجَالًا يَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرَضِينَ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ، فَإِذَا أَتَوْكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا»

‘রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দুনিয়ার মানুষ তোমাদের অনুসারী। আর তোমাদের কাছে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে লোকেরা আসবে দীন শেখার জন্য। সুতরাং তারা যখন তোমাদের কাছে আসবে তখন তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে।’ [তিরমিযী: ২৬৫০] [. আলবানী যঈফ বলেছেন।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন