মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আল্লাহ তো আসমান ও জমিন এবং দু‘য়ের মধ্যে যা কিছু আছে সব কিছুর নিরংকুশ মালিক। এখানে কেউ-ই-অংশ বসাতে পারে না। বিশ্ব জাহানের যিনি শাসক-পরিচালক, মানুষের শাসক পরিচালকও তিনিই। মানুষের কাজ কারবারেও তিনিই সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী এবং তিনি ছাড়া অন্য কোনো মানবীয় ও অ-মানবীয় শক্তির নিজের পক্ষ থেকে নির্দেশ-ফয়সালা দান করার অধিকার নেই।’’
‘‘নভোমণ্ডল, ভূ-মণ্ডল ও এতদুয়ের মধ্যে যা আছে, সবকিছুর উপর আল্লাহ তা‘আলারই আধিপত্য। তিনি যা ইচ্ছা, সৃষ্টি করেন। আল্লাহ সবকিছুর উপর শক্তিমান।’’ [সূরা আল মায়েদা:১৮।]
‘‘তুমি কি জাননা যে, আল্লাহ নিমিত্তেই নভোমণ্ডল ও ভূ-মণ্ডলের আধিপত্য। তিনি যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন এবং যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। আর আল্লাহ সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।’’ [সূরা আল মায়েদা:৪০।]
‘‘তিনিই আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর রাজত্ব ও সার্বভৌমত্বের একমাত্র মালিক। সকল ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ও মীমাংসার জন্য তারই দিকে ফিরতে হবে।’’ [সূরা আল হাদীদ: ৫।]
এ ভূ-মণ্ডল ও নভোমণ্ডলে মহান আল্লাহর সার্বভৌমত্বের স্বরুপ উপলব্ধি করতে হলে ভূ-মণ্ডল ও নভোমণ্ডল সর্ম্পকে সম্যক ধারণা লাভ করতে হবে। এ মহাবিশ্বের প্রতিটি বিষয় ও সৃষ্টির সাথে এবং এর পরিচালনার সাথে আল্লাহর শক্তি ও ক্ষমতা প্রত্যেকটি মুহূর্তে বিরাজমান। মহান রাব্বুল আলামীন এ বিশ্ব সৃষ্টি সম্পর্কে বলেন,
‘‘আমরা কোনো কিছু সৃষ্টি করতে ইচ্ছা করলে তখন তো কেবল সেটার উদ্দেশ্য আমাদের কথা হয়, ‘হয়ে যাও’। আর তখনই তা হয়ে যায়।’’ [সূরা আন নাহল: ৪০।]
আমাদের পৃথিবী সৌরজগতের একটি গ্রহ। আর এ সৌরজগতের কেন্দ্রে রয়েছে সূর্য নামক নক্ষত্র। এ রকম প্রত্যেকটি নক্ষত্রেরই একটি নিজস্ব বলয় ও কক্ষ রয়েছে। আর এ রকম অনেকগুলো নক্ষত্র ও তাদের জগৎ মিলে হয় একটি গ্যালাক্সী। অনেকগুলো গ্যালাক্সীর মধ্যে একটি গ্যালাক্সীর হচ্ছে Milkyway গ্যালাক্সী। আর এ গ্যালাক্সীর মধ্যেই আমাদের সৌরজগত অবস্থিত। এ গ্যালাক্সীকে কেন্দ্র করেই এ সবকিছু আবর্তিত হচ্ছে। মিল্কিওয়ে Galaxy তে প্রায় ১০০ বিলিয়ন নক্ষত্র রয়েছে। আর গ্যালাক্সীসমূহ cluster কে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। একটি cluster এ অনেকগুলো যে গ্যালাক্সী রয়েছে। আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সী যে cluster এর অবস্থিত তার নাম Local group এতে ৩২টি গ্যালাক্সী রয়েছে। মহাবিশ্বের আরেকটি cluster হচ্ছে Hercules cluster এতে দশ হাজার (১০,০০০) গ্যালাক্সী রয়েছে। আর এরকম কতগুলো cluster রয়েছে তা মহাকাশবিদরা এখনো ধারণা করতে পারে নি। তাই আমরা এটুকু অন্তত উপলব্ধি করতে পারি যে, মহাবিশ্বের বিশালত্ব আমাদের ধারনার বাইরে এবং তা পরিমাপ করা হয়ত আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। এ মহাবিশ্বের সবকিছুই পরিভ্রমনশীল, এ সকল সৃষ্টির মধ্যে একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্ব সর্বদা বিরাজমান।
এখানে শেষ নয়। এ মহাবিশ্ব এখনও প্রসারমান এবং গ্যালাক্সীগুলোর দুরত্ব পরস্পর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ মহাবিশ্বের আয়াতন ক্রমেই বাড়ছে। এ বিষয়ে প্রবিত্র কুরআনের বাণী প্রনিধানযোগ্য,
গ্রহ, নক্ষত্র, উপগ্রহের আর্বতনের মাধ্যমে সংগঠিত হচ্ছে দিন রাত। এখানেও আল্লাহর পরিপূর্ণ সার্বভৌমত্ব সর্বদা বিরাজমান। দিন কখনো রাতকে অতিক্রম করতে পারে না এবং গ্রহ-নক্ষত্র কখনো একটি অপরটির সাথে মিলিত হয় না।
‘‘সূর্যের সাধ্য নেই যে চন্দ্রকে নাগাল পাবে এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের।’’ [সূরা ইয়াসিন:৪০।]
নভোমণ্ডলের প্রত্যেকটি গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সী, ক্লাস্টার, তাদের নিজস্ব কক্ষপথে এবং নিজস্ব আকর্ষণ শাক্তিকে কেন্দ্র করে পরিচালনশীল রয়েছে। কোনো নক্ষত্র অন্য কোনো নক্ষত্রের বা গ্রহের উপর নির্ভরশীল হয়।
‘‘আল্লাহ তিনি যিনি আসমানসমূহ স্থাপন করেছেন কোনো খুঁটি ছাড়াই যা তোমরা দেখতে পাও।’’ [সূরা আর রা‘দ:২।]
তবে এ মহাবিশ্বের পরিনতি কি হবে? এটি কি এভাবেই প্রসারমান থাকবে নাকি অন্য কিছু। এ প্রসারমান অবস্থা থেমে যাবে এবং সবকিছুই দ্রুত একত্রিত হতে থাকবে এবং Singularity তে ফিরে যাবে। অর্থাৎ Big Bang এর পূর্বে যেমন ছিল এবং দ্বিতীয়বারও আবার বিস্ফোরন ঘটবে, এটাকে বলা যায় Big crunch। এর পর নতুন মহাবিশ্ব সৃষ্টি হবে যা হবে চির স্থায়ী। এ বিষয়টিকে মহান রাববুল আলামীন এভাবে বলেছেন:
‘‘সে দিন, যে দিন আমি আসমানকে কাগজের পৃষ্টাগুলোর মত ভাঁজ করে রাখব, যেভাবে সর্ব প্রথম সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম অনুরূপভাবে আমরা সেটার পুনরাবৃত্তি ঘটাব।’’ [সূরা আল আম্বিয়া:১০৪।]
আজকের আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণা করে প্রমাণ করেছে যে, বিশ্ব সৃষ্টি এর প্রসার এবং চূড়ান্ত পরিণতি পবিত্র কুরআনে অনেক আগেই বর্ণনা করা হয়েছে। তাই আমরা উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝতে পারি যে, মহাবিশ্বের প্রত্যেকটি অনু-পরমানুতে আল্লাহর ক্ষমতা ও সার্বভৌমত্ব বিদ্যমান।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/746/19
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।