মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ক্ষমতার দৃষ্টিতে সার্বভৌমত্বের মালিক আল্লাহ। মানুষ যারা সার্বভৌমত্বের দাবীদার তারা তাদের ক্ষমতা কাউকে না কাউকে কিছু বন্টন করে দিতে হয়, না হলে সুষ্ঠুভাবে রাজ্য পরিচালনা করা সম্ভব নয়। কিন্তু আল্লাহর ক্ষমতা কোনো ফেরেশতাকে বা কোনো নবীকে ও কিংবা কোনো পীর-সুফি-দরবেশকে ও ভাগ করে কিছু দেওয়া হয় নি। তাছাড়া সর্বোচ্চ ক্ষমতার মালিক হতে হলে তাকে সর্বোচ্চ জ্ঞানীও হওয়া দরকার যা ব্যতীত সার্বভৌমত্বের মালিক হওয়া যায় না। এ গুণে গুণান্বিত একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। এ সম্পর্কে কুরআনের বাণী হলো,
‘‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য, (এ) আকাশমণ্ডলী ও যমীনে (যেখানে) যা কিছু আছে সবই তাঁর একক মালিকানাধীন এবং পরকালেও সমস্ত প্রশংসা হবে একমাত্র তাঁর জন্যে, তিনি সর্ববিষয়ে প্রজ্ঞাময়, পরিপূর্ণভাবে অবহিত।’’ [সূরা সাবা:১।]
‘‘তিনি জানেন, যা কিছু যমীনের ভেতর প্রবেশ করে (আবার) যা কিছু তা থেকে উদগত হয়, যা কিছু আসমান থেকে বর্ষিত হয় এবং যা কিছু তাতে উত্থিত হয়, তিনি পরম দয়ালু পরম ক্ষমাশীল।’’ [সূরা সাবা:২।]
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর জ্ঞানের সুবিশাল ভাণ্ডারের একটা অংশ শুধু দেখান সমগ্র আকাশ ও পৃথিবীর যা আওতাভুক্ত। পৃথিবীতে যা কিছু ঘটে সবই তার জানা। অল্প কয়েকটা শব্দ প্রকাশ করা এ অংশটা নিয়ে ভাবলেই মানুষ দেখতে পায় বিপুল সংখ্যক বস্তু, কর্ম, আকৃতি, রূপ, চিত্র, তত্ত্ব ও কাঠামোর এক বিশাল সমারোহ, যা কল্পনাও করা যায় না। আয়াতে যেসব জিনিসের দিকে ইংগিত করা হয়েছে, তার মধ্য থেকে যতগুলো জিনিস এক মুহুর্তে সংঘটিত হয়, সারা পৃথিবীর আধিবাসিরা জীবনভর গণনা করেও সেগুলোর সুনিশ্চিত সংখ্যা স্থির করতে পারবে না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় পৃথীবির ভূ-স্তরগুলোতে কতগুলো শস্য বীজ আত্মগোপন করে? কতগুলো কীট পতংগ, পোকা মাকড়, সরীসৃপ পৃথিবীর বিভিন্ন দিক দিয়ে তার ভিতরে প্রবেশ করে? কতো ফোঁটা পানি কতো বিন্দু গ্যাস ও কতো ইউনিট বিদ্যুৎ পৃথিবীর বির্স্তীর্ণ এলাকাগুলোতে প্রবেশ করে? আল্লাহর সদা জাগ্রত চোখ তার সবকিছু দেখতে পায়। কিন্তু যারা জাগতিক সার্বভৌমত্বের দাবীদার তাদের মাঝে এ জ্ঞান অপরিপূর্ণ।
এখানে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব মৌলিক সর্বাত্মক ও অসীম। কারণ রাষ্ট্রের চূড়ান্ত ক্ষমতাই সার্বভৌমত্বের মাপকাঠি বলে বিবেচিত হলে মহান আল্লাহ ব্যতীত অপর কোনো সত্তাই এর অধিকারি হতে পারে না ।
‘‘তিনি আল্লাহ, যিনি ব্যতীত আর কোনো সত্য ইলাহ নেই। তিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী।’’ [সূরা আল বাকারা:২৫৫।]
আল্লাহ প্রত্যেক নবীদেরকে সর্বপ্রথম এ শিক্ষা দিয়েছিল যে, একমাত্র আল্লাহকেই ‘‘রব’’ বা সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক হিসেবে স্বীকার করে নেওয়া। একমাত্র তাকেই ইলাহ তথা তাঁরই ইবাদতের প্রতি আহ্বান জানাবে; কারণ মানুষ যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সর্বোচ্চ ক্ষমতার মালিক বলে মেনে নেয়, তাহলে সে তারই ইচ্ছা মতো চলতে বাধ্য হয়, সে আল্লাহর হুকুম মতো চলতে পারে না। এ কথা আয়াতুল কুরসীতে আল্লাহ ইঙ্গিত করেছেন।
আল্লাহ তাঁর ক্ষমতার বর্ণনা করেছেন, মানুষের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে, তিনি বলেন,
‘‘তিনি কে, যিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের জন্য আসমান হতে পানি বর্ষাণ, যার দ্বারা সুন্দর রং বেরংয়ের বাগিচা তৈরী হয়, যার গাছ পালাগুলো উদ্ভব তোমাদের দ্বারা আদৌ সম্ভব ছিলনা? (এসব তৈরীর ব্যাপারে) আছে কি আল্লাহর সঙ্গে তার কেউ (শরীক) ইলাহ? তা যখন নেই তখন মানুষ কেনো মানুষের উপর প্রভু হয়ে চেপে বসতে চাও? বরং একটা সম্প্রদায় আল্লাহর সঠিক পথ হতে সরে যাচ্ছে।’’ [সূরা আন নামল:৬০।]
‘‘তিনি কে, যিনি স্থলভাগ ও সমুদ্রের মধ্যে অন্ধকারে (পথহারা অবস্থায় তোমাদেরকে তারকার মাধ্যমে) পথ দেখা আর কে জলীয় বাম্প ও আশু বৃষ্টির সুসংবাদ সহ বায়ূ প্রেরণ করেন? আছে কি কেউ (এসব ব্যাপারে) আল্লাহর সঙ্গে (শরীক) ইলাহ? (তা যখন নেই তখন তোমরা কি করে আল্লাহ ব্যতীত অন্যদেরকে ইলাহ (মা‘বুদ) মেনে নিতে পারো? এসব ব্যাপারে মানুষ তার ইবাদতে যে শরীক করে আল্লাহ তা থেকে উর্ধ্বে।’’ [সূরা আন নামল:৬৩।]
এছাড়া তাঁর জ্ঞান সীমাহীন, তাঁর জ্ঞানের সাথে মানুষের জ্ঞানের কোনো তুলনাই চলে না। আর মানুষ তো নিজের ভাল মন্দ সর্ম্পকেও অবগত নয়, তাই কি করে মানুষ সার্বভৌমত্বের দাবী করতে পারে? তার পরেও দেখা যায় কিছু লোক আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে স্বীকার না করে জান্নাত লাভের আশা পোষণ করে। এটা কোনো মুমিনের পক্ষে উচিত নয়, এটা তো তাদের দ্বারা সম্ভব যারা কুফরীতে লিপ্ত। মহান আল্লাহ বলেন,
‘‘আর প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ ছাড়া আর কেউ-ই ইলাহ বা মা‘বুদ নেই, আর নিশ্চয় আল্লাহ, তিনিই প্রবল পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’’ [সূরা আলে ইমরান:৬১-৬৩।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/746/21
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।