মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
‘‘আর এ ভাবে আমরা ইব্রাহীমকে আকাশ রাজ্য ও ভুমণ্ডলের উপর প্রতিষ্ঠিত সার্বভৌমত্বের বিস্ময়কর দৃশ্যসহ দেখিয়েছি।’’ [সূরা আল আন‘আম:৭৫।]
এ থেকেই ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থায় সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে সুম্পষ্ট ধারণা মিলে।
Arabic Bengali Functional Dictionary তে [ড. মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, Arabic Bengali Functional Dictionary (ঢাকা: রিয়াদ প্রকাশনী, ১ম প্রকাশ, ১৯৯৮ জুন), পৃ. ৫৭২।] ملكوت এর প্রসঙ্গে যেসব অর্থ পাওয়া যায় তা হলো--কর্তৃত্ব سلطة ,রাজত্ব حكم -,অধিকারী صاحب -,ক্ষমতা قوة وقدرة -, রাজ্য ولاية -।
ইসলাম রাষ্ট্রব্যবস্থায় সার্বভৌমত্বের নিরংকুশ মালিক হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা, এর কারণে কুরআন মাজীদে ‘মালাকূত’ শব্দটি কেবলমাত্র আল্লাহর জন্যই বিশেষভাবে নিদিষ্ট হয়েছে।
খ. السلطان (সুলতান) এর অর্থ হলো: কর্তৃত্ব, ক্ষমতা, শক্তি, [ড. মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, Arabic Bengali Functional Dictionary (ঢাকা: রিয়াদ প্রকাশনী, ১ম প্রকাশ, ১৯৯৮ জুন), পৃ. ৩৫৫।] طاقة -সম্রাট। এ থেকেই ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা মেলে। ইসলামী রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা ‘মালাকুত’ এর পরিবর্তে ‘সুলতান’ শব্দ ব্যবহার করেছেন। কুরআনের পরিভাষায় এর অর্থ হচ্ছে আধিপত্য। আর সঠিক তাৎপর্য সার্বভৌমত্ব। ইমাম রাগিব ইসফাহানী এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, التمكن من القهر ‘‘প্রবল পরাক্রমসহকারে আধিপত্য ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করা।’’
অন্যত্র লিখেছেন, هو التصريف بالامر والنهى فى الجمهور -‘‘জনগণের মধ্যে আদেশ ও নিষেধের বিধান প্রয়োগ করা প্রশাসনিক ক্ষমতা পরিচালনা করা।’’ [ইমাম রাগিব ইস্পাহানী, আল মুফরাদাত ।] ১৬
আল্লামা আলুসীর মতে, সর্বাধিক ক্ষমতাশালী সত্তাই সার্বভৌম। আর ‘মালাকূত’ অর্থ - سلطان قاهر সুলতানুন কাহির অর্থাৎ: স্বীয় পরাক্রমে প্রতিষ্ঠিত শক্তি।
তবে এ প্রসঙ্গে মনে রাখতে হবে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব নবীগণের মাধ্যমে প্রয়োগ হত। বর্তমানে কোনো নবী আসবে না। এর জন্য এ সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকারী হচ্ছেন নবীর ওয়ারিস খলীফাগণ অর্থাৎ খিলাফতের অধিকারী শাসকবর্গ। ইসলামী রাষ্ট্রের শাসন বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইন বিভাগ থাকবে। কিন্তু এ বিভাগগুলো আল্লাহর সার্বভৌমত্ব বহনকারী আল কুরআন ও সুন্নাহ তথা শরীয়াতের বাইরে কোনো কাজ করতে পারবে না।
তাই খলীফা ও শাসকবর্গ যদি ইসলামী শরীয়াতের বিপরীত কোনো আইন প্রণয়ন করে, তার বিপরীত কোনো আইন বা অর্ডিনেন্স জারি করে অথবা জাতির প্রতিনিধিরা তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তাহলে এ উভয় অবস্থায় সে কাজটি শরীয়তের সনদবিহীন বলে গণ্য হবে এবং সার্বভৌমত্বের অধিকারে নির্দিষ্ট সীমালঙ্ঘন করার কারণে তা বাতিল হয়ে যাবে। কেননা জাতির প্রতিনিধিদের বা শাসকের সার্বভৌমত্ব হলো, বাস্তবায়নের সার্বভৌমত্ব (Execution Sovereignty)। তাদের আইন রচনা করে তা জারি করার মূলগতভাবেই কোনো অধিকার নেই। এটিই হচ্ছে ইসলামী রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/746/6
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।