hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামে সার্বভৌমত্বের স্বরূপ

লেখকঃ ড. মোঃ আব্দুল কাদের

৩০
দ.জীবন ও মরণে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব
আল্লাহ তা‘আলা এক চিরঞ্জীব পরাক্রমশালী সত্তা, এ বিশ্ব ভূমণ্ডলের ও নভোমণ্ডলের সব কিছুতে তার কর্তৃত্ব রয়েছে, সব কিছুতে তিনি এক ইলাহ। এমনকি জীবন-মরণের ক্ষেত্রেও তিনি এক ইলাহ (সার্বভৌমত্বের অধিকারী) জীবন ও মরণের ক্ষেত্রে তাঁর সার্বভৌমত্বের কাছে সকল শক্তি মাথা নোয়াতে বাধ্য।

আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে বলেছেন :

﴿ إِنَّ ٱللَّهَ لَهُۥ مُلۡكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۖ يُحۡيِۦ وَيُمِيتُۚ وَمَا لَكُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ مِن وَلِيّٖ وَلَا نَصِيرٖ ١١٦ ﴾ [ التوبة : ١١٦ ]

‘‘নিশ্চয় আল্লাহরই জন্য আসমানসমূহ ও যমীনের সাম্রাজ্য। তিনি জিন্দা করেন ও মৃত্যু ঘটান, আর আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের জন্য কোনো সহায়ও নেই কোনো সাহায্যকারীও নেই।’’ [সূরা আত তাওবাহ:১১৬।]

মৃত্য ঠিক সেভাবে সত্য যেভাবে জীবনের আগমন সত্য। আর এ জীবন, মৃত্যু ঘটানোর মালিক এক আল্লাহ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ وَإِنَّا لَنَحۡنُ نُحۡيِۦ وَنُمِيتُ وَنَحۡنُ ٱلۡوَٰرِثُونَ ٢٣ ﴾ [ الحجر : ٢٣ ]

‘‘নিশ্চয় আমরা জীবন দান করি, মৃত্যু দান করি এবং আমরা চূড়ান্ত মালিকানার অধিকারী।’’ [সূরা হিজর :২৩।]

﴿ أَلَمۡ تَرَ إِلَى ٱلَّذِي حَآجَّ إِبۡرَٰهِ‍ۧمَ فِي رَبِّهِۦٓ أَنۡ ءَاتَىٰهُ ٱللَّهُ ٱلۡمُلۡكَ إِذۡ قَالَ إِبۡرَٰهِ‍ۧمُ رَبِّيَ ٱلَّذِي يُحۡيِۦ وَيُمِيتُ قَالَ أَنَا۠ أُحۡيِۦ وَأُمِيتُۖ قَالَ إِبۡرَٰهِ‍ۧمُ فَإِنَّ ٱللَّهَ يَأۡتِي بِٱلشَّمۡسِ مِنَ ٱلۡمَشۡرِقِ فَأۡتِ بِهَا مِنَ ٱلۡمَغۡرِبِ فَبُهِتَ ٱلَّذِي كَفَرَۗ وَٱللَّهُ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلظَّٰلِمِينَ ٢٥٨ ﴾ [ البقرة : ٢٥٨ ]

‘‘তুমি কি সে ব্যক্তির অবস্থা দেখনি যে ব্যক্তিকে আল্লাহ (দুনিয়ার) রাষ্ট্র ক্ষমতা দেয়ার পর সে তাঁর সাথে স্বয়ং মালিকের ব্যাপারেই বিতর্কে লিপ্ত হলো, (বির্তকের এক পর্যায়ে) ইবরাহীম বললো, আমার মালিক তিনি, যিনি (সৃষ্টিকুলের) জীবন মৃত্যু নির্ধারণ করেন। সে বললো জীবন মৃত্যু তো আমিও দিতে পারি, ইবরাহীম বললো (আমার) আল্লাহ তা‘আলা পূর্ব দিক থেকে (প্রতিদিন সূর্যের উদয়ন ঘটান একবার) তুমি তাকে পশ্চিম দিক থেকে বের করে দেখাও তো! (এতে সত্য) অস্বীকারকারী ব্যক্তিটি হতভম্ব হয়ে গেলো (আসলে) আল্লাহ তা‘আলা যালেম জাতিকে কখনো পথের দিশা দেন না।’’ [সূরা আল বাকারা:২৫৮।]

কোনো কোনো মুফাসসির বলেন, ইবরাহীম আলাইহিস সালামের সাথে বিতর্করত এ বাদশাহ আসলে আল্লাহর অস্তিত্বের অস্বীকারকারী ছিলো না; কিন্তু সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এক আল্লাহকে সব ক্ষমতার মালিক বলে সে মানতে নারায ছিলো। মানুষের প্রতিপালন ও সবকিছুর ওপর একমাত্র তাঁর ক্ষমতা ও ব্যবস্থাপনাই চলছে একথা সে স্বীকার করত। আজও অনেক হঠকারী নাদান আছে যারা আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা বলে মানে সত্য, কিন্তু তাঁর সাথে কিছু অংশীদার বানায়, তাদের সাথে আল্লাহর ক্ষমতা ভাগাভাগি করে। শাসন ক্ষমতায় এবং প্রতিপালনের ব্যাপারে আল্লাহর একচ্ছত্র আধিপত্যকেও মানতে নারাজ। আল্লাহ তাঁকে ক্ষমতা দেওয়ার পরও সে অহংকারবশত তা করেছে। তাই আজকের দিনেও কেউ যদি এমন করে বুঝতে চায় মূলত সে আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন