hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামে সার্বভৌমত্বের স্বরূপ

লেখকঃ ড. মোঃ আব্দুল কাদের

২৮
ত. আল্লাহর সার্বভৌমত্ব অমুখাপেক্ষী
যদি আকাশমণ্ডলী এবং পৃথিবীর বহু ইলাহ থাকত তাহলে ক্ষমতার দ্বন্দে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতো, তাই আল্লাহর সার্বভৌমত্ব অমুখাপেক্ষী। কারণ যাকে এ পৃথিবীতে সার্বভৌমত্বের মালিক বলে মনে করা হয়, পরীক্ষা করলে দেখা যায়, তার বাহ্যিক নিরংকুশ কর্তৃত্বের অন্তরালে প্রচ্ছন্নভাবে আরো কতকগুলো শক্তি বিদ্যমান আছে যাদের হাতে তার কর্তৃত্বের চাবিকাঠি নিহিত। এমনকি তার ক্ষমতা ও এখতিয়ার মূল্যায়ণ করলে পরিস্কার বুঝা যায় যে, কতো দিক দিয়েই না সে বাধাগ্রস্ত এবং কতোভাবেই না অসংখ্য বহিঃশক্তি তার ইচ্ছা ও মর্জির বিরুদ্ধে তাকে সীমাবদ্ধ করে রাখছে, তাকে অক্ষম করে দিচ্ছে।

একটু গভীরে আমরা চিন্তা করলে দেখতে পাই, আল্লাহ তা‘আলা যে অমুখাপেক্ষী তার প্রমাণ বিভিন্ন দেশে আছে। আল্লাহ তার প্রাকৃতিক সম্পদ ছড়িয়ে রেখেছেন পৃথিবীর সর্বত্র একটা নিদিষ্ট পরিমাণ মতো। যেমন বাংলাদেশকে আল্লাহ দিয়েছেন কৃষি সম্পদ, খনিজ ও গ্যাস সম্পদ। তেমনি আরব দেশকে কৃষি সম্পদ দেননি বলেই তাদের কে তেল সম্পদে সমৃদ্ধশীল করে গড়ে তুলেছেন। তাছাড়া চীন, জাপান, ভারত, সাইবেরিয়া ও কোরিয়াকে আল্লাহ দিয়েছেন লৌহ ও কয়লা সম্পদ, কুয়েত, সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, সাইবেরিয়া, বার্মা, ইন্দোনেশিয়া, ভারত ও পাকিস্থানকে আল্লাহ দিয়েছেন কিছু কম-বেশী করে খনিজ তেল সম্পদ। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, র্বামা ও ইন্দোচীনকে আল্লাহ দিয়েছেন টিন সম্পদ। সাইবেরিয়া, কোরিয়া ও ফিলিপাইনের আল্লাহ দিয়েছেন স্বর্ণ সম্পদ। তেমনি জাপান, র্বামা ও ইন্দোনেশিয়াকে আল্লাহ কিছু রৌপ্য সম্পদ দিয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন দেশকে বিভিন্ন সম্পদ দিয়ে আল্লাহ সম্পদের একটা ভারসাম্য রক্ষা করেছেন। অথচ তিনি কারো কাছে মুখাপেক্ষী নয়। এমনিভাবে দেখা যায় ঋতুর পরিবর্তনের আলোকে বিভিন্ন দেশের নানানজাতের ফল-মুলের ব্যবস্থা তিনি করেছেন। মানুষ যারা সর্বভৌমত্বের দাবিদার তাদের ক্ষমতা ভাগ ভাগ করে কাউকে কাউকে কিছু দেওয়া হয়, যেমন, মন্ত্রীপরিষদ মন্ত্রীপরিষদের, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় আছে, এক একজন একেক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, এ সকল মন্ত্রীগণ তাদের কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য অত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবের উপর অনেকাংশ নির্ভরশীল। আর সচিব অত্র মন্ত্রণালয়ের উধর্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে নিম্ন কর্মচারীর উপর নির্ভরশীল। তেমনিভাবে বিভিন্ন রাষ্ট্রে, বিভিন্ন ধরনের সরকার প্রতিষ্ঠিত, যেমন রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার। যা আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগের ক্ষমতা পৃথকীকরণের উপর প্রতিষ্ঠিত। মন্ত্রী পরিষদ শাসিত সরকার। যা আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগের ক্ষমতার মিলনের উপর প্রতিষ্ঠিত। রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের মন্ত্রীপরিষদ শাসিত সরকারের, তাদের কার্যাবলীর জন্য ভিন্নরূপে তাদের কার্যের জন্য জবাবদিহি করতে হয়। মন্ত্রীপরিষদ সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী ও বিভিন্ন বিভাগের উপর কিছু ক্ষমতা থাকে তাদের তরফ থেকে কোনো সুপারিশ আসলে তা ন্যায় হোক বা অন্যায় হোক একেবারে উপেক্ষা করা যায় না এবং দেশের প্রেসিডেন্ট কোনো কিছু করতে গেলেও মন্ত্রী পরিষদের সমর্থন ছাড়া কিছু করতে পারে না। কারণ তাদেরও কিছু ক্ষমতা থেকে যায়। তাই বুঝা যায় প্রত্যেকটি বিভাগ একে অপরের মুখাপেক্ষী। যারা দুনিয়ার রাজা-বাদশাহ হয়ে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিকানা দাবি করে, তারাতো ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য রাষ্ট্রের মধ্যে কোথাও তার বিরুদ্বে কোনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে কিনা তা দেখার ও খোঁজ-খবর নেয়ার উদ্দেশ্যে একটা গোয়েন্দা বিভাগ রাখেন। তাদের যথাসময়ে খবরাখবর পৌঁছানোর উপর রাষ্ট্রের ও রাষ্ট্রপতির স্থায়িত্বের উপর নির্ভর করে। এ ব্যাপারে মানুষ রাষ্ট্রপতিগণ (যারা সার্বভৌম ক্ষমতা দাবিদার) কোনো প্রকারেই পরনির্ভরশীল না হয়ে পারেন না। মানুষ রাষ্ট্রের সম্পূর্ণ খবর রাখবেন এটা মানুষের জন্য একচুল পরিমাণও সম্ভব নয়। কিন্তু আল্লাহ তো সবকিছুই জানেন। এ ব্যাপারে মানুষ সম্পূর্ণই অযোগ্য। সুতরাং কি করে মানুষ সর্বভৌমত্বের মালিক হতে পারে? তাই আল্লাহর সার্বভৌমত্ব অমুখাপেক্ষী, মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন :

﴿ذَٰلِكُمُ ٱللَّهُ رَبُّكُمۡ لَهُ ٱلۡمُلۡكُۚ وَٱلَّذِينَ تَدۡعُونَ مِن دُونِهِۦ مَا يَمۡلِكُونَ مِن قِطۡمِيرٍ ١٣ ﴾ [ فاطر : ١٣ ]

‘‘ইনি আল্লাহ, তোমাদের পালনকর্তা, সাম্রাজ্য তাঁরই। তাঁর পরিবর্তে তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা তুচ্ছ খেজুর আঁটির অধিকারীও নয়।’’ [সূরা ফাতির:১৩।]

আরও বলেন,

﴿ ٱلَّذِي لَهُۥ مُلۡكُ السمٰوَٰتِ والأَرۡضِ وَلَمۡ يَتَّخِذۡ وَلَدٗا وَلَمۡ يَكُن لَّهُۥ شَرِيكٞ فِي ٱلۡمُلۡكِ وَخَلَقَ كُلَّ شَيۡءٖ فَقَدَّرَهُۥ تَقۡدِيرٗا ٢ ﴾ [ الفرقان : ٢ ]

‘‘তিনি হলেন এমন সত্তা, যাঁর রয়েছে নভোমণ্ডল ও ভূ মণ্ডলের রাজত্ব। তিনি কোনো সন্তান গ্রহন করেন নি। রাজত্বে তাঁর কোনো অংশীদার নেই। তিনি প্রত্যেক বস্তু সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তাকে শোধিত করেছেন পরিমিতভাবে।’’ [সূরা ফুরকান:২।]

মহান আল্লাহর সার্বভৌমত্ব যে অমুখাপেক্ষী তা তার গুণবাচক নামগুলোর মাধ্যমেও তা বুঝা যায়, মহান আল্লাহর গুণ সীমাহীন। এখানে আল্লাহর কয়েকটি গুণবাচক নামের অর্থ বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। আর-রাহমান, আর-রাজ্জাক, আল-কাহহার এ কয়েকটি গুণবাচক নামের কথাই ধরা যাক।

এদের সবগুলোই সক্রিয় মূলনীতি হিসেবে ক্রিয়াশীল। আর-রাহমান পূর্বাহ্নেই সমস্ত জীবের চাহিদা জানেন এবং তাদের অস্তিত্বের জন্য আবশ্যকীয় সবকিছু শ্রমনিরপেক্ষ দান হিসেবে যোগাতে থাকেন। দোষ- গুণ নির্বিশেষে এ সব বিনামূল্যের উপহার বিশ্বজনীন। জীবের কাছ থেকে বিনিময়ে কোনো কিছু পাওয়ার আশা না করেই এ অবদান সরবরাহ হয়। সৌরতাপ, পানি, আর বাতাস যে কোনো জীবের জীবনধারনের জন্য অপরিহার্য এবং কোনো রকম বিনিময়ের প্রত্যাশা না করেই বিনা মূল্যের উপহারস্বরূপ এগুলো বিতরণ করেন। পূর্বাহ্নে শিশুর চাহিদা বুঝতে পেরে মায়ের বুকে দুধ সঞ্চিত রাখেন। আর-রাজ্জাক সব জীবের রুযী যোগান। প্রকৃতিতে সব জীবের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও খাদ্যোপকরণ বিদ্যমান। আল-কাহ্হার ও আল-জাববার নতি স্বীকার করতে বাধ্য করে।

পৃথিবীর চিরাচরিত নিয়মে দেখা যায়, মানুষ বিনিময় বা স্বার্থ ছাড়া কোনো কাজ করে না, তাহলে মানুষ কিভাবে সার্বভৌমত্বের মালিক হতে পারে? সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা সার্বভৌমত্বের মালিক। তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ থাকতে পারে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন