মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মুমিনদের পথ ব্যতীত অন্য পথ অনুসরণ করে, তবে যেদিকে সে ফিরে যায় সেদিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব; অবশেষে তাকে জাহান্নামে দগ্ধ করব। আর তা কতই না মন্দ আবাস! (সূরা নিসা- ১১৫)
যে হেদায়াত সুস্পষ্ট মূলত তা-ই সুন্নাত। এ সুন্নাতই হেদায়াতের একমাত্র রাজপথ। যারা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আদর্শ অনুসরণ করে চলতে প্রস্তুত হয় না এবং মুমিনদের অনুসৃত আদর্শকে বাদ দিয়ে অপর কোন আদর্শ অনুসরণ করে চলে, তারাই বিদআতী। এদের পরিণাম জাহান্নাম ছাড়া আর কিছু নয়। অতএব রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সুন্নাতকে অনুসরণ করে চলাই কল্যাণ ও মুক্তি লাভের একমাত্র উপায়।
তাদেরকে বলে দাও, আমি কি তোমাদেরকে আমলের দিক থেকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রসত্মদের সম্পর্কে সংবাদ দেব? তারা তো ঐসব লোক, পার্থিব জীবনে যাদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে; অথচ তারা মনে করে যে, তারা সৎকর্মই করছে। (সূরা কাহফ- ১০৩, ১০৪)
অত্র আয়াতে বিদআতের দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। অর্থাৎ মূলত যাবতীয় কাজকর্ম ভুল ভিত্তিতে সম্পাদিত হওয়া সত্ত্বেও যারা নিজেদের কাজকে খুবই ভালো ও খুবই ন্যায়সঙ্গত বা সওয়াবের কাজ বলে মনে করে, অথচ তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত লোক। বিদআতপন্থীরাও ঠিক তেমনি। তারা যেসব কাজ করে, আসলে তা আল্লাহর দেয়া নীতির ভিত্তিতে নয়। তা সত্ত্বেও তারা এসব সওয়াবের কাজ বলে মনে করে। উপরোক্ত আয়াতের তাফসীরে আল্লামা ইবনে কাসীর (রহ.) লিখেছেন,
এ আয়াত সাধারণভাবে এমন সব লোকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, যারা আল্লাহর ইবাদাত করে আল্লাহর পছন্দনীয় পন্থার বিপরীত পন্থায়। তারা যদিও মনে করছে যে, তারা ঠিক কাজই করছে এবং আশা করছে যে, তাদের আমল আল্লাহর নিকট স্বীকৃত ও গৃহীত হবে। অথচ প্রকৃতপক্ষে তারা ভুল নীতির অনুসারী এবং তাদের আমল আল্লাহর নিকট প্রত্যাখ্যাত।
আয়েশা ﷺ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীনে নতুন কিছু সংযোজন করবে, যা মূলত তাতে নেই, সেটি পরিত্যাজ্য। [সহীহ বুখারী, হা/২৬৯৭; সহীহ মুসলিম, হা/৪৫৮৯; আবু দাউদ, হা/৪৬০৬; ইবনে মাজাহ, হা/১৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬০৩৩।]
উপরোক্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ اَمْرِنَا هٰذَا দ্বারা আমর বলতে ইসলামকেই বুঝিয়েছেন। এ দ্বীন এক পরিপূর্ণ দ্বীন। এ দ্বীন বা দ্বীনের কোন মৌলিক খুঁটিনাটি দিকও লুকায়িত নেই। এখন যদি কেউ এতে দ্বীন-বহির্ভূত কোন জিনিস বৃদ্ধি করতে চায় অথবা কোন দ্বীন বহির্ভূত বিষয়কে দ্বীনী বিষয় হিসেবে চালিয়ে দিতে চায় তাহলে সে গোটা দ্বীনকেই বিনষ্ট করে দেবে।
বিদআত থেকে দূরে থাকার জন্য নবী ﷺ কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন :
তোমাদের উপর আবশ্যক হলো আমার সুন্নাত ও আমার খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত ধারণ করা। তোমরা একে শক্তভাবে ধারণ করো এবং তোমাদের মাড়ির দাঁত দিয়ে অাঁকড়ে ধরো। সাবধান! ইবাদাতের নামে সওয়াবের উদ্দেশ্যে তৈরি করা সকল নব উদ্ভাবিত কাজ থেকে বিরত থাকো। [আবু দাউদ, হা/৪৬০৭; সুনানে বায়হাকী আল কুবরা, হা/২০১২৫; দারেমী, হা/৯৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৩২৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭১৪৫।]
ইবরায বিন সারিয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের উপর আবশ্যক হচ্ছে, তোমরা প্রত্যেক নব আবিষ্কৃত বিষয় থেকে দূরে থাকবে। কেননা প্রত্যেক নব আবিষ্কৃত বিষয়ই বিদআত এবং প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহী। [আবু দাউদ, হা/৪৬০৭; দারেমী, হা/৯৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৩৩২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭১৪৪।]
এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহী। এটি দ্বীনের একটি বিশেষ মূলনীতি। সুতরাং যে কেউ নতুন কিছু উদ্ভাবন ও প্রবর্তন করবে এবং তাকে দ্বীনের দিকে সম্বন্ধযুক্ত করবে, সেটিই গোমরাহী ও ভ্রষ্টতা। দ্বীন এ সকল বস্তু থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।
অনেকে বিদআতকে হাসানাহ ও সাইয়্যেআহ- এভাবে ভাগ করে থাকেন। কিন্তু এভাবে ভাগ করার কোন প্রয়োজন নেই। হাদীসে সকল বিদআতকেই গোমরাহী বলা হয়েছে। সুতরাং বিদআতকে ভাগ করা হাদীসের সাথে সামঞ্জস্যশীল নয়। বিদআতে হাসানাহ বলতে যা বুঝানো হয়েছে তা মূলত বিদআতের সংজ্ঞায় পড়ে না।
আমর ইবনে ইয়াহইয়া (রহ.) বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, একদা আমরা ফজরের সালাতের পূর্বে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) এর দরজায় বসা ছিলাম। অতঃপর তিনি মসজিদের দিকে হেটে বের হলেন। এমন সময় আবু মুসা আশআরী (রাঃ)ও আমাদের কাছে আসলেন এবং বললেন, আবু আবদুর রহমান কি তোমাদের নিকট এসেছে? আমরা বললাম, না- আসেনি। অতঃপর তিনি আবু আবদুর রহমান না আসা পর্যন্ত আমাদের সাথে বসলেন। পরে যখন তিনি আসলেন তখন আমরা সকলে তার দিকে অগ্রসর হলাম। অতঃপর আবু মুসা (রাঃ) বললেন, হে আবু আবদুর রহমান! আমি এখনি মসজিদের মধ্যে এমন কিছু দেখতে পেলাম, যা আমি পছন্দ করিনি এবং ইতোপূর্বে আমি তা কখনো দেখিনি। তবে আমি এর মধ্যে ভালো ছাড়া আর কিছু দেখতে পাচ্ছি না। তিনি বললেন, সেটা কি? আবু মুসা (রাঃ) বললেন, তুমি বেঁচে থাকলে দেখতে পাবে। এরপর বললেন, আমি মসজিদে দেখলাম যে, কিছু লোক একসাথে বসে আছে। তারা সালাতের অপেক্ষা করছে আর তাদের প্রত্যেকের হাতে পাথরকণা রয়েছে এবং প্রত্যেক হালকাতে একজন লোক রয়েছে যে বলছে, তোমরা একশ’ বার সুবহানাল্লাহ, একশ’ বার আল্লাহু আকবার এবং একশ’ বার লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ পড়। তাই তারা এ পাথর দ্বারা তাসবীহ পাঠ করছিল।
এটা শুনে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি তাদেরকে কী বলেছ? আবু মুসা (রাঃ) বললেন, আপনার মতামত জানার আগে আমি কিছুই বলিনি। তিনি বললেন, তুমি কি তাদেরকে এটা বলতে পারলে না যে, তারা যেন তাদের পাপসমূহ গণনা করে। আর তাদের নেক আমলসমূহ নষ্ট না হওয়ার জন্য তুমি জামিন হতে পারলে না?
এরপর আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) তাদের সামনে আসলেন এবং আমরাও তার সাথে গেলাম। তিনি বললেন, আমি তোমাদের মধ্যে এটা কী দেখতে পেলাম। তারা বলল, হে আবু আবদুর রহমান! এগুলো হলো পাথরকণা, যা দ্বারা আমরা তাসবীহ গণনা করি। অতঃপর তিনি বললেন, তোমরা কি এভাবে তোমাদের নেক আমলগুলো নষ্ট করতে শুরু করেছ। আমি জামিন হচ্ছি যে, তোমাদের কোন নেক আমল নষ্ট হবে না। শুন, হে মুহাম্মাদ ﷺ এর উম্মত! তোমরা এত দ্রুত কীভাবে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছ। অথচ নবীর সাহাবীরা এখনো জীবিত, তার পোষাকগুলো এখনো নষ্ট হয়ে যায়নি, তার বাসনগুলো এখনো ভেঙ্গে যায়নি। আল্লাহর কসম! তোমরা মুহাম্মাদের আদর্শের চেয়ে উত্তম কোন আদর্শ পেয়ে বসেছ? নাকি তোমরা কোন গোমরাহীর দরজা খুলে দিচ্ছ? তখন তারা বলল, হে আবু আবদুর রহমান! আমরা তো এর দ্বারা ভালো ছাড়া অন্য কিছু চাইনি। তিনি বললেন, শুন! অনেক কল্যাণকামী আছে কল্যাণের আকাংখা করে কিন্তু সে মূলত কল্যাণ পায় না। নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে, নিশ্চয় এমন একটি সম্প্রদায় আসবে, যারা কুরআন পাঠ করবে কিন্তু কুরআন তাদের কণ্ঠনালীর নিচে পৌঁছবে না। আল্লাহর কসম! আমি জানি না যে, তাদের মধ্যে কি তোমাদের সংখ্যা বেশি হবে? এরপর তিনি তাদের থেকে সরে গেলেন। [মুসনাদুদ দারেমী, হা/২১০।]
যেখানেই কোন বিদআত শুরু হয় সেখান থেকে সমপরিমাণ সুন্নাত উঠে যায় :
আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সুন্নাতের উপর আমল করে প্রতিষ্ঠিত থাকা বিদআতের উপর প্রচেষ্টা করার চেয়ে অনেক উত্তম। [মুসনাদুদ দারেমী, হা/২২৩।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/274/12
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।