hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

যেসব কারণে ইবাদাত বরবাদ হয়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩৩
সমাজে প্রচলিত কতিপয় কুসংস্কার
আমাদের মুসলিম সমাজে এমন অনেক কাজকর্ম হতে দেখা যায়, যা মূলত ইসলাম সমর্থিত নয়। এসব কাজ ও ধ্যান-ধারনা হয়তোবা কল্পনা প্রসুত অথবা অন্য কোন ধর্ম থেকে আমদানীকৃত। আমাদের মুসলিম সমাজে এমন অনেক কুসংস্কার প্রচলিত আছে, যা অনেকটাই হিন্দুদের কাজকর্মের সাথে মিলে যায়। এসব কুসংস্কারমূলক কথা ও কাজ থেকে অবশ্যই আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে। নিচে কিছু কুসংস্কার সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো :

১. সন্ধ্যায় ঘরে আলো না জ্বালালে অমঙ্গল হয় বলে মনে করা।

২. কুকুর কাঁদলে বিপদ আসবে বলে মনে করা।

৩. কাক ডাকলে কেউ মারা যাবে বলে বিশ্বাস করা।

৪. ভাঙ্গা আয়নায় চেহারা দেখলে অমঙ্গল হয় বলে বিশ্বাস করা।

৫. বাম চোখ ফরকালে বিপদ, ডান চোখ ফরকালে সৌভাগ্য বলে মনে করা।

৬. ডান হাতের তালু চুলকালে পয়সা আসে বলে মনে করা।

৭. বাম হাতের তালু চুলকালে পয়সা যাবে বলে বিশ্বাস করা।

৮. নাক ও কপালে ফোঁড়া হলে ধন আসবে বলে মনে করা।

৯. ঘরের দরজায় হেলান দিয়ে/গালে হাত দিয়ে বসাকে কুলক্ষণ মনে করা।

১০. জন্মগ্রহণের মাসে বিয়ে করলে অমঙ্গল হয় বলে মনে করা।

১১. জোড় কলা খেলে জোড়া বাচ্চা হবে বলে ধারণা করা।

১২. ফাঁটা বা ভাঙ্গা প্লেটে খেলে অলক্ষ্মি ঘরে আসে বলে মনে করা।

১৩. পরীক্ষায় শূন্য পাওয়ার ভয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পূর্বে ডিম না খাওয়া।

১৪. পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষের দিন ভালো খাবার খেলে সারা বছরই ভালো খাবার জুটবে বলে মনে করা।

১৫. যাত্রার সময় কেউ হাঁচি দিলে/পেছন থেকে ডাকলে কুলক্ষণ মনে করা।

১৬. যাত্রাকালে কিছুতে হোচট খেলে অমঙ্গল হয় মনে করে একটু বসে পুনরায় যাত্রা করা।

১৭. শুরুতে বাধাগ্রস্ত হলে যাত্রা অশুভ ভাবা।

১৮. শনি, মঙ্গল ও আমাবশ্যার দিনকে অশুভ মনে করে শুভ কাজ না করা।

১৯. সকাল বেলা দোকান খোলার পর বাকিতে বিক্রি করলে- সারাদিন বাকি বা ফাঁকি যাবে বলে মনে করা।

২০. ১ম বিক্রির বা ১ম ভাড়ার টাকা পেলে বরকতের আশায় চুমু খাওয়া, কপালে লাগানো।

২১. জামাকাপড় গায়ে থাকা অবস্থায় সেলাই করা কুলক্ষণ মনে করা।

২২. বন্ধ্যা মহিলা ধরলে বা তাকালে অশুভ বা অমঙ্গল হবে বলে মনে করা।

২৩. পরপর সন্তান মারা যাওয়ার পর পরবর্তী সন্তান জন্মিলে কান ছিদ্র করে দেয়া বা বাজে নাম রাখা। যেমন- হেঁজা, মরা, মরণ ইত্যাদি। তাদের ধারণা এসব করলে সন্তান আর মরবে না।

২৪. চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণের সময় যদি কোন গর্ভবতী স্ত্রীলোক কিছু কাটাকাটি করে তাহলে তার সন্তানের অঙ্গহানি ঘটবে বলে মনে করা।

২৫. কোন লোকের আলোচনা চলছে, ইতোমধ্যে সে এসে পড়লে বা ফোন করলে- তার দীর্ঘজীবী হওয়ার আলামত বলে মনে করা।

২৬. নাচ-গান, বাদ্য-বাজনা, মডেলিং, ফ্যাশন, নাটক, বর্ষবরণ, বসন্তবরণ, রাখিবন্ধন, মঙ্গল প্রদীপ জ্বালানো ইত্যাদি প্রয়োজন মনে করা।

২৭. শনিবার দিন কোথাও যাওয়া ঠিক নয়, তাতে অকল্যাণ হবে মনে করা।

২৮. মৃত ব্যক্তির জন্য কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা।

২৯. পেঁচা ডাকলে বিপদ আসন্ন মনে করা।

৩০. পায়ে তিল থাকলে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ হয় না মনে করা।

৩১. ঠোঁটের নিচে তিল, কানের নিচে তিল থাকলে অকল্যাণ হয় মনে করা।

৩২. চোখ টেরা থাকলে ভাগ্যবান হওয়া মনে করা।

৩৩. নাক বোঁচা থাকলে বেশি করে বিয়ের প্রস্তাব আসে মনে করা।

৩৪. বাজী ধরা।

৩৫. নজর লাগবে বলে সমান খাবার ফেলে দিয়ে খাবার শুরু করা।

৩৬. খাবার সময় সালাম না দেয়া।

৩৭. প্লেটের সম্পূর্ণ খাবার শেষ না করে কিছু রেখে দেয়া।

৩৮. সন্ধ্যার পর বাড়িতে বাজার থেকে মাছ আনলে মাছের সাথে দুষ্ট জিন আসে মনে করা।

৩৯. খাবার সময় জিহবায় কামড় লাগলে কেউ তাকে গালি দিয়েছে ও কাশি দিলে কেউ তাকে স্মরণ করেছে বলে মনে করা।

৪০. কপালে টিপ লাগানো ও পায়ে আলতা ব্যবহার করা।

৪১. প্রথম যৌবনে মেয়েদের পর্দা করা জরুরি নয় মনে করা।

৪২. প্রথম সন্তান মেয়ে হলে মন খারাপ করা।

৪৩. অভাবী মেয়েদের অলক্ষ্মী ও পোড়া কপালী বলা।

৪৪. প্রথম সন্তান গর্ভধারণের সপ্তম মাসে সাতাশা করা, কোন কোন এলাকায় বাধ্যতামূলকভাবে গর্ভধারণের পর মেয়েদের বাড়ি থেকে ছেলেদের বাড়িতে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী পাঠানো।

৪৫. গর্ভাবস্থায় সুন্দর বাচ্চার ছবি দেখলে বাচ্চা সুন্দর হবে বলে ধারণা করা।

৪৬. গর্ভাবস্থায় কোন কিছু খেতে ইচ্ছা হলে তা না খেলে বাচ্চার লালা পড়বে বলে ধারণা করা।

৪৭. গর্ভাবস্থায় সূর্য-চন্দ্র গ্রহণ লাগা দেখলে সন্তান পঙ্গু হবে বলে মনে করা।

৪৮. কোন মাসে বা দিনে বিয়ে অনুষ্ঠান করাকে অমঙ্গল মনে করা।

৪৯. বিয়ের লগন অনুষ্ঠানে কুলাতে প্রদ্বীপ জ্বালিয়ে কনের চেহারার সামনে দিয়ে ঘুরানো।

৫০. সবার সামনে বর কনেকে সালাত আদায় করানো।

৫১. কনিষ্ঠা অঙ্গুলি দ্বারা বর-কনে পরস্পর পরস্পরকে ভাতের দানা খাওয়ানো, জামাইয়ের ঝুঠা ভাত নিয়ে কনেকে খাওয়ানো।

৫২. গেট ধরে বর পক্ষ থেকে টাকা-পয়সা নেয়া।

৫৩. গায়ে হলুদের দিন নারী-পুরুষ একসঙ্গে গায়ে হলুদ মাখানো।

৫৪. বরকে ভাবীদের দ্বারা হলুদ মাখানো ও গোসল দেয়া।

৫৫. গায়ে হলুদের নামে অনুষ্ঠান করে বরের কপালে নারীরা, কনের কপালে পুরুষরা হলুদ লাগানো ও মিষ্টি খাওয়ানো।

৫৬. জন্ম দিবস, মৃত্যু দিবস, ম্যারিজ ডে (বিয়ে দিবস), ভালোবাসা দিবস, পহেলা বৈশাখ, বসন্ত দিবস, এপ্রিল ফুল দিবস উদযাপন করা।

৫৭. বিভিন্ন দিবসে কবরে ও স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দেয়া, খালি পায়ে হেঁটে সেখানে গিয়ে নীরবতা পালন করা ও শপথ নেয়া।

৫৮. নতুন বর্ষ শুরু উপলক্ষে বোমা ফাটানো ও আতশবাজি করা।

৫৯. বছরের প্রথম দিন ক্রেতাকে বাকি না দেয়া।

৬০. সকাল-সন্ধ্যায় নিয়মিতভাবে দোকানে আগরবাতি জ্বালানো ও পানি ছিটানো।

৬১. সবসময় ক্যাশ খালি না রেখে কিছু না কিছু টাকা পয়সা রাখা।

৬২. ছেলেদের কান ছিদ্র করা ও তাতে দুল পরিধান করা।

৬৩. ছেলেদের গলায় চেইন পরিধান করা।

৬৪. শিখা অনির্বাণ ও শিখা চিরন্তনের নামে প্রজ্বলিত আগুনে সালাম দেয়া ও ফুল দেয়া।

৬৫. ছোট বাচ্চারা নতুন হাঁটা শুরু করলে তার উপর দিয়ে বিভিন্ন ফল, পিঠা ছোট ছোট টুকরো করে ঘরে বা বারান্দায় ফেলা। এরূপ করলে বাচ্চারা তাড়াতাড়ি হাঁটতে পারবে বলে মনে করা।

৬৬. ছোট বাচ্চার নজর লাগবে বলে কপালে কাজলের ফোঁটা দেয়া।

৬৭. ছোট বাচ্চাদের নতুন দাঁত উঠলে যে প্রথমে দেখবে তার সবাইকে পায়েস বা মিষ্টি খাওয়াতে হবে মনে করা।

৬৮. বাচ্চাদের লাঠি বা ঝাড়ুর ছোঁয়া লাগলে জ্বর আসবে বলে মনে করা এবং পানি ছিটিয়ে দেয়া।

৬৯. বাচ্চাদের উপর দিয়ে টপকিয়ে গেলে আর বড় হবে না মনে করা।

৭০. বাচ্চাদের মন ভোলানোর জন্য মিথ্যা বলা বা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়া।

৭১. নারী-পুরুষ দুজন মিলে জবাই করা যাবে না বলে মনে করা।

৭২. বাচ্চাদের আজেবাজে নাম রাখা : অনেকে অর্থের দিকে খেয়াল না করে নায়ক-নায়িকা বা সমাজে প্রচলিত নাম অনুসারে সন্তানদের আজেবাজে নাম রেখে থাকে। যেমন, সান্টু, মন্টু, মিন্টু, হ্যাপি, বাপ্পি, প্রিন্স, জেমস ইত্যাদি। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে চম্পা, ডেজী, মিমি, মায়া, দিয়া, আখি, শিল্পী, পপি, পুতুল, ডলি, বেবী, ডায়না, প্রিয়াঙ্কা, বন্যা, বাসন্তী ইত্যাদি।

৭৩. কদমবুসী করা : অর্থাৎ সালাম দেয়ার সময় ভক্তি-শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ পা স্পর্শ করে সালাম করা তা মা-বাপ, উস্তাদ, কিংবা শ্বশুর-শাশুড়ি যে কেউ হোক না কেন।

তাছাড়া কদমবুসী করার সময় অন্যের সামনে মাথা নত হয়। অথচ আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো সামনে সম্মান প্রদর্শনের জন্য মাথা নত করা ইসলামে জায়েয নেই। যারা বলেন, মা-বাবা, উস্তাদ ও শ্বশুর-শাশুড়িকে কদমবুসী বা পা ধরে সালাম করা যায়, তাদের এ কথার কোন শরয়ী ভিত্তি নেই।

প্রকৃতপক্ষে সম্মান করার সুন্নাত নিয়ম হলো- সালাম দেয়া এবং সালামের পর মুসাফাহা করা এবং দূরাগত ব্যক্তি হলে তার সাথে মুয়ানাকা (আলিঙ্গন) করা। এক মুসলিম অপর মুসলিমের সাথে সাক্ষাৎ করলে কী করতে হবে এ ব্যাপারে নবী ﷺ এর স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে,

এক মুসলিমের উপর অপর মুসলিমের কয়েকটি হক রয়েছে :

عَنْ عَلِيٍّ ، قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ  : لِلْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ سِتَّةٌ بِالْمَعْرُوْفِ : يُسَلِّمُ عَلَيْهِ اِذَا لَقِيَهٗ ، وَيُجِيْبُهٗ اِذَا دَعَاهُ ، وَيُشَمِّتُهٗ اِذَا عَطَسَ ، وَيَعُوْدُهٗ اِذَا مَرِضَ ، وَيَتْبَعُ جِنَازَتَهٗ اِذَا مَاتَ ، وَيُحِبُّ لَهٗ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهٖ

আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, এক মুসলিমের উপর অপর মুসলিমের ৬টি হক রয়েছে। তা হলো :

১. সাক্ষাৎ হলে সালাম দেবে। (এখানে পা ধরে সালাম দিতে বলা হয়নি)

২. দাওয়াত দিলে কবুল করবে।

৩. হাঁচিদাতা হাঁচি দিয়ে ‘আল্লহামদুলিল্লাহ’ বলার পর উত্তরে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলবে।

৪. অসুস্থ হলে সেবা করবে।

৫. মৃত্যুবরণ করলে জানাযায় অংশগ্রহণ করবে এবং

৬. সে নিজের জন্য যা পছন্দ করে, তার ভাইয়ের জন্যও তা পছন্দ করবে। [তিরমিযী, হা/২৭৩৬; ইবনে মাজাহ, হা/১৪৩৩। সমাপ্ত]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন