hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

যেসব কারণে ইবাদাত বরবাদ হয়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২১
ফরয নামাযের পর করণীয়
প্রকৃতপক্ষে জামা‘আত শেষে সুন্নাত হলো- নিজে নিজে ঐসব দু‘আ পড়া, যা রাসূলুল্লাহ ﷺ নামাযের সালাম ফেরানোর পর পড়ার জন্য শিক্ষা দিয়েছেন। ফরয নামাযসমূহের পর নবী ﷺ যেসব তাসবীহ, হামদ, তাকবীর, তাহলীল, ইস্তেগফার, সূরা ও প্রাণ জুড়ানো যেসব অনুপম কালেমা ও দু‘আ পাঠ করেছেন তা-ই হচ্ছে উম্মতের জন্য অনুসরণীয় সুন্নাত ও আদর্শ। নবী ﷺ বলেছেন-

وَمَنْ اَحْيَا سُنَّتِىْ فَقَدْ اَحَبَّنِىْ . وَمَنْ اَحَبَّنِىْ كَانَ مَعِىْ فِى الْجَنَّةِ

অর্থাৎ যে ব্যক্তি আমার সুন্নাতকে ভালোবাসল সে তো আমাকেই ভালোবাসল। আর যে ব্যক্তি আমাকে ভালোবাসল সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে। [তিরমিযী, হা/২৮৯৪; মিশকাত, হা/১৭৫।]

ফরয সালাতের সালাম ফিরানোর পর নবী ﷺ নিজে যেসব দু‘আ পাঠ করতেন তা হাদীসের সকল কিতাবে উল্লেখ রয়েছে। সেই দু‘আগুলো বাদ দিয়ে প্রচলিত মুনাজাত করার কারণে অনেকেই ঐ দু‘আগুলো শিখেন না বা আমল করেন না। এজন্য উচিত হলো হাদীসে বর্ণিত ঐ দু‘আগুলো সালাম ফিরানোর পর এককভাবে পাঠ করা। দু‘আগুলো নিম্নরূপ :

(১) একবার اَللهُ اَكْبَرُ (আল্লাহু আকবার) বলা :

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا ، قَالَ : : كُنْتُ اَعْرِفُ انْقِضَاءَ صَلَاةِ النَّبِيِّ بِالتَّكْبِيْرِ

ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, আমি তাকবীর শুনে বুঝতাম যে, নবী ﷺ এর নামায শেষ হয়েছে। [সহীহ বুখারী, হা/৮৪২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৩৩; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৭০৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২২৩২।]

(২) তিনবার এ দু‘আ পাঠ করা :

اَسْتَغْفِرُ اللهَ ، اَسْتَغْفِرُ اللهَ ، اَسْتَغْفِرُ اللهَ

উচ্চারণ : আসতাগ্ফিরুল্লা-হ, আসতাগ্ফিরুল্লা-হ, আসতাগ্ফিরুল্লা-হ।

অর্থ : আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।

(৩) একবার এ দু‘আটি পাঠ করা :

اَللّٰهُمَّ اَنْتَ السَّلَامُ - وَمِنْكَ السَّلَامُ - تَبَارَكْتَ يَاذَا الْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আনতাস্ সালা-ম, ওয়ামিনকাস্ সালা-ম, তাবা-রাকতা ইয়া-যাল্যালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি শান্তি, আপনার থেকেই শান্তি আসে। হে সম্মান ও মহত্ত্বের অধিকারী! আপনি বরকতময়।

এ সংক্রান্ত হাদীসটি হলো :

عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ - - اِذَا انْصَرَفَ مِنْ صَلَاتِهِ اسْتَغْفَرَ ثَلَاثًا وَقَالَ : اَللّٰهُمَّ اَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ تَبَارَكْتَ ذَا الْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ . قَالَ الْوَلِيْدُ فَقُلْتُ لِلْاَوْزَاعِىِّ كَيْفَ الْاِسْتِغْفَارُ قَالَ تَقُوْلُ اَسْتَغْفِرُ اللهَ اَسْتَغْفِرُ اللهَ

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সলাত শেষ করে তিনবার ইসতিগ্ফার করতেন এবং আল্লা-হুম্মা আনতাস সালাম.... এ দু‘আ পাঠ করতেন। বর্ণনাকারী ওয়ালীদ বলেন- আমি আওযা‘ঈকে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কীভাবে ইস্তিগফার করতেন? তিনি বললেন, তিনি বলতেন- ‘আস্তাগ্ফিরুল্লা-হ, আস্তাগ্ফিরুল্লা-হ’। [সহীহ মুসলিম, হা/১৩৬২; নাসাঈ, হা/১৩৩৭।]

(৪) একবার নিচের দু‘আ পাঠ করা :

لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ ، وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ ، لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ ، وَ لَا نَعْبُدُ اِلَّا اِيَّاهُ ، لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ ، لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُوْنَ

উচ্চারণ : লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহূ লা- শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া ‘আলা- কুল্লি শায়ইন্ ক্বাদীর, লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ। লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ্, ওয়ালা না‘বুদু ইল্লা ইয়্যা-হ, লাহুন্নি‘মাতু ওয়ালাহুল ফায্লু ওয়ালাহুস্ সানা-উলহাসান, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুখলিসীনা লাহুদ্দীন, ওয়ালাও কারিহাল কা-ফিরূন।

অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁর জন্য, প্রশংসাও তাঁর জন্য। তিনি সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ প্রদত্ত শক্তি ব্যতীত কোন শক্তি নেই। আল্লাহ ব্যতীত আর কোন মাবুদ নেই। আমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারো ইবাদাত করি না। সকল নিয়ামত ও অনুগ্রহ তাঁরই। সকল সুন্দর প্রশংসা তাঁর জন্যই। তিনি ব্যতীত আর কোন মাবুদ নেই। আমরা একমাত্র তাঁরই জন্য দ্বীনকে নির্ধারিত করেছি, যদিও কাফিররা তা অপছন্দ করে।

এ সংক্রান্ত হাদীসটি হলো :

عَنْ اَبِىْ الزُّبَيْرِ قَالَ كَانَ ابْنُ الزُّبَيْرِ يَقُوْلُ فِىْ دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ حِيْنَ يُسَلِّمُ : لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ .... وَقَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ يُهَلِّلُ بِهِنَّ دُبُرَ كُلِّ صَلَاةٍ

আবু যুবায়ের (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের (রাঃ) প্রত্যেক ওয়াক্তের সালাতে সালাম ফিরানোর পর বলতেন, ‘‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ ......। তিনি (ইবনে যুবায়ের) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রত্যেক ওয়াক্তের সালাতের পর কথাগুলো বলে আল্লাহর প্রশংসা করতেন। [সহীহ মুসলিম, হা/১৩৭১; আবু দাউদ, হা/১৫০৮; নাসাঈ, হা/১৩৩৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬১৫০।]

(৫) একবার এ দু‘আ পাঠ করা :

لَا اِلٰهَ اِلَا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ اَللّٰهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا اَعْطَيْتَ ، وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ ، وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ

উচ্চারণ : লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা- শারীকা লাহু, লাহুল মুল্কু ওয়ালাহুল হাম্দু ওয়া হুওয়া ‘আলা- কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর। আল্লা-হুম্মা লা মা-নি‘আ লিমা আ‘ত্বাইতা, ওয়ালা মু‘ত্বিয়া লিমা মানা‘তা, ওয়ালা-ইয়ানফা‘উ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু।

অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ (মাবুদ) নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, সার্বভৌমত্ব একমাত্র তাঁরই। সমস্ত প্রশংসা তাঁর জন্য নির্দিষ্ট, তিনি সবকিছুর ব্যাপারেই ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ! তুমি যা দিতে চাও তা বাধা দেয়ার কেউ নেই এবং যা তুমি বাধা দাও তা দেয়ার কেউ নেই। আর তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রচেষ্টাকারীর প্রচেষ্টারও কোন মূল্য নেই।

এ সংক্রান্ত হাদীসটি হলো :

عَنْ وَرَّادٍ كَاتِبِ الْمُغِيْرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ اَمْلٰى عَلَيَّ الْمُغِيْرَةُ بْنُ شُعْبَةَ فِيْ كِتَابٍ اِلٰى مُعَاوِيَةَ اَنَّ النَّبِيَّ كَانَ يَقُوْلُ فِيْ دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ مَكْتُوْبَةٍ لَا اِلٰهَ اِلَا اللهُ .........

মুগীরা ইবনে শু‘বার কাতিব (সেক্রেটারী) ওয়ার্রাদ (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুগীরা ইবনে শু‘বা আমাকে দিয়ে মু‘আবিয়াকে এ ব্যাপারে একটি চিঠি লিখালেন যে, নবী ﷺ প্রত্যেক ফরয নামাযের পর উক্ত দু‘আ পাঠ করতেন। [সহীহ বুখারী, হা/৮৪৪; সহীহ মুসলিম, হা/১৩৬৬; আবু দাউদ, হা/১৫০৭; সুনানে নাসাঈ, হা/১৩৪১।]

(৬) একবার এ দু‘আ পাঠ করা :

اَللّٰهُمَّ اَعِنِّيْ عَلٰى ذِكْرِكَ ، وَشُكْرِكَ، وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আ‘ইন্নী ‘আলা-যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়াহুসনি ‘ইবা-দাতিক।

অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার যিকির করা, শুকরিয়া আদায় করা ও উত্তম ইবাদাত করার ক্ষেত্রে আমাকে সাহায্য করো।

এ সংক্রান্ত হাদীসটি হলো :

عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ اَخَذَ بِيَدِهٖ وَقَالَ : يَا مُعَاذُ وَاللهِ اِنِّىْ لَاُحِبُّكَ وَاللهِ اِنِّىْ لَاُحِبُّكَ . فَقَالَ : اُوْصِيْكَ يَا مُعَاذُ لَا تَدَعَنَّ فِىْ دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ تَقُوْلُ : اَللّٰهُمَّ اَعِنِّىْ عَلٰى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ

মু‘আয (রাঃ) বলেন, নবী ﷺ আমার হাত ধরে বললেন, হে মু‘আয! আমি তোমাকে খুবই ভালোবাসি। তখন মু‘আয (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমিও আপনাকে ভালোবাসি। এরপর নবী ﷺ বললেন, তুমি প্রত্যেক নামাযের পর এ দু‘আটি পাঠ করা ছেড়ে দিও না। [আবু দাঊদ, হা/১৫২৪; নাসাঈ, হা/ ১৩০৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২১৭২; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হা/৭৫১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২০২০; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/১০১০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৫৯৬।]

(৭) ৩৩ বার سُبْحَانَ اللهِ (সুবহানাল্লাহ), ৩৩ বার اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ (আলহামদু লিল্লাহ), ৩৩ বার اَللهُ اَكْبَرُ (আল্লাহু আকবার) এবং একবার-

لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ ، وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

উচ্চারণ : লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহূ লা- শারীকা লাহূ লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা- কুল্লি শায়ইন্ ক্বাদীর।

অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তিনি একক, তার কোন শরীক নেই। সমস্ত রাজত্ব তার জন্য এবং সমস্ত প্রশংসাও তার জন্য। আর তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।

এ সংক্রান্ত হাদীসটি হলো :

عَنْ اَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ مَنْ سَبَّحَ اللهَ فِىْ دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ ثَلَاثًا وَثَلَاثِيْنَ وَحَمِدَ اللهَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِيْنَ وَكَبَّرَ اللهَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِيْنَ فَتِلْكَ تِسْعَةٌ وَتِسْعُوْنَ وَقَالَ تَمَامَ الْمِائَةِ لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيْرٌ غُفِرَتْ خَطَايَاهُ وَاِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ

আবু হুরায়রা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয নামাযের পর ৩৩ বার سُبْحَانَ اللهِ (সুবহানাল্লাহ), ৩৩ বার اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ (আলহামদু লিল্লাহ) ও ৩৩ বার اَللهُ اَكْبَرُ (আল্লাহু আকবার) এবং একবার- লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু........ এ দু‘আটি পড়ে একশ’বার পূর্ণ করবে, তার সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে- যদিও তা সমুদ্রের ফেনার মতো বেশি হয়। [সহীহ মুসলিম, হা/১৩৮০; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৮২০; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২০১৬; সিলসিলাহ সহীহাহ, হা/১০১।]

(৮) একবার আয়াতুল কুরসী পাঠ করা :

﴿اَللهُ لَا اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ لَا تَأْخُذُهٗ سِنَةٌ وَّلَا نَوْمٌؕ لَهٗ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْاَرْضِؕ مَنْ ذَا الَّذِيْ يَشْفَعُ عِنْدَهٗ اِلَّا بِاِذْنِهٖؕ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ اَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيْطُوْنَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖ اِلَّا بِمَا شَاءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضَۚ وَلَا يَئُوْدُهٗ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ﴾

উচ্চারণ : আল্লা-হু লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ূম। লা-তা’খুযুহূ সিনাতুঁ ওয়ালা- নাঊম। লাহূ মা- ফিস্সামা-ওয়াতি ওয়ামা-ফিল আরয্। মান্যাল্লাযী ইয়াশ্ফা‘উ ‘ইন্দাহূ ইল্লা- বিইয্নিহ, ইয়া‘লামু মা- বাইনা আইদীহিম ওয়া মা-খাল্ফাহুম ওয়ালা-ইউহীতূনা বিশায়ইম্ মিন ‘ইলমিহী ইল্লা- বিমা-শা-আ ওয়াসি‘আ কুর্সিইয়ুহুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরয্, ওয়ালা-ইয়াউদুহূ হিফ্যুহুমা- ওয়া হুয়াল ‘আলিইয়ুল ‘আযীম।

অর্থ : আল্লাহ তিনি, যিনি ব্যতীত কোন (প্রকৃত) উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও সবকিছুর ধারক। তন্দ্রা এবং নিদ্রা কিছুই তাঁকে স্পর্শ করে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবকিছু তাঁরই মালিকানাধীন। তাঁর হুকুম ব্যতীত এমন কে আছে, যে তাঁর নিকট সুপারিশ করতে পারে? তাদের সম্মুখে ও পেছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন। তিনি যতটুকু ইচ্ছা করেন ততটুকু ছাড়া তাঁর জ্ঞানসমূদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ব করতে পারে না। তার সিংহাসন আসমান ও জমিনকে বেষ্টন করে আছে। আর সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ তাঁকে মোটেই ক্লান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ ও সর্বাপেক্ষা মহান। (সূরা বাক্বারা- ২৫৫)

এ সংক্রান্ত হাদীসটি হলো :

عَنْ اَبِيْ اُمَامَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ : مَنْ قَرَاَ اٰيَةَ الْكُرْسِيِّ فِيْ دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ مَكْتُوْبَةٍ لَمْ يَمْنَعْهُ مِنْ دُخُوْلِ الْجَنَّةِ اِلَّا اَنْ يَمُوْتَ

আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে মৃত্যু ছাড়া তার জন্য জান্নাতে প্রবেশ করা থেকে বাধা প্রদান করার মতো কোন কিছু থাকবে না। [সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৯৮৪৮; মু‘জামুল কাবীর লিত ত্বাবারানী, হা/৭৪০৮; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৫৯৫।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন