hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

যেসব কারণে ইবাদাত বরবাদ হয়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

বিভিন্ন প্রকার ইবাদাত
ইবাদাত বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। কোন ইবাদাত রয়েছে, যা অন্তরের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। যেমন সহীহ আকীদা-বিশ্বাস অবলম্বন করা, ঈমান আনা ইত্যাদি। আবার কোন ইবাদাত রয়েছে, যা শরীর দ্বারা সম্পাদিত হয় যেমন নামায, রোযা। আবার কোনটি অর্থ দ্বারা সম্পাদিত হয় যেমন যাকাত, আবার কোনটি শরীর ও অর্থ উভয়ের সমন্বয়ে সম্পাদিত হয় যেমন হজ্জ। আল্লাহ তা‘আলা বান্দাদের উপর যেসব ইবাদাত নির্ধারণ করেছেন তার কিছু নিম্নে আলোচনা করা হলো :

১. اَلْاِيْمَانُ (আল ঈমান) তথা বিশ্বাস স্থাপন করা :

اَلْاِيْمَانِ ‏‏ اَنْ تُؤْمِنَ بِاللهِ وَمَلَائِكَتِهٖ وَكُتُبِهٖ وَرُسُلِهٖ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهٖ وَشَرِّهٖ

ঈমান হলো, তুমি আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাকুল, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর প্রেরিত নবীগণ ও শেষ দিনের উপর বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং তুমি তাকদীর ও তার ভালো-মন্দের প্রতিও বিশ্বাস স্থাপন করবে। [সহীহ মুসলিম, হা/১০২; আবু দাউদ, হা/৪৬৯৭; তিরমিযী, হা/২৬১০; নাসাঈ, হা/৪৯৯০; ইবনে মাজাহ, হা/৬৩।]

২. اَلْاِحْسَانُ (আল ইহসান) তথা নিষ্ঠার সাথে কাজ করা :

اَلْاِحْسَانِ ‏اَنْ تَعْبُدَ اللهَ كَاَنَّكَ تَرَاهُ فَاِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَاِنَّهٗ يَرَاكَ

ইহসান হলো, তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদাত করবে যেন তুমি তাঁকে দেখতে পাচ্ছো। আর যদি তাকে দেখতে না পাও তাহলে মনে করবে যে, তিনি তোমাকে দেখছেন। [সহীহ বুখারী, হা/৫০; সহীহ মুসলিম, হা/১০২; আবু দাউদ, হা/৪৬৯৭; তিরমিযী, হা/২৬১০; নাসাঈ, হা/৪৯৯০; ইবনে মাজাহ, হা/৬৩।]

৩. اَلْخَوْفُ (আল খাওফ) তথা আল্লাহকে ভয় করা :

﴿اِنَّمَا ذٰلِكُمُ الشَّيْطَانُ يُخَوِّفُ اَوْلِيَآءَه۪ٗ فَلَا تَخَافُوْهُمْ وَخَافُوْنِ اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِيْنَ﴾

নিশ্চয় এ হচ্ছে তোমাদের সে শয়তান, যে তার অনুসারীদেরকে ভয় প্রদর্শন করে। কিন্তু যদি তোমরা বিশ্বাসী হও, তবে তাদেরকে ভয় করো না বরং আমাকেই ভয় করো। (সূরা আলে ইমরান- ১৭৫)

৪. اَلرَّجَاءُ (আর রাজা) তথা আল্লাহর উপর আশা রাখা :

﴿فَمَنْ كَانَ يَرْجُوْا لِقَآءَ رَبِّهٖ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَّلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهٖۤ اَحَدًا﴾

যে তার প্রতিপালকের সাক্ষাতের আশা করে, সে যেন সৎকর্ম করে ও তার প্রতিপালকের ইবাদাতে কাউকে শরীক না করে। (সূরা কাহফ- ১১০)

৫. اَلتَّوَكُّلُ (আত তাওয়াক্কুল) তথা আল্লাহর উপর নির্ভরশীল হওয়া :

﴿وَعَلَى اللهِ فَتَوَكَّلُوْاۤ اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِيْنَ﴾

আল্লাহর উপর নির্ভর করো, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাক। (সূরা মায়েদা- ২৩)

৬. اَلرَّغْبَةُ (আর রাগবাহ) তথা আল্লাহর প্রতি আগ্রহ ও ভয় মিশ্রিত শ্রদ্ধা প্রকাশ করা :

﴿اِنَّهُمْ كَانُوْا يُسَارِعُوْنَ فِى الْخَيْرَاتِ وَيَدْعُوْنَنَا رَغَبًا وَّرَهَبًاؕ وَكَانُوْا لَنَا خَاشِعِيْنَ﴾

তারা (নবীগণ) সৎকর্মে প্রতিযোগিতা করত এবং তারা আমাকে আশা ও ভীতির সাথে ডাকত। আর তারা ছিল আমার নিকট বিনীত। (সূরা আম্বিয়া- ৯০)

৭. اَلْاِنَابَةُ (আল ইনাবাহ) তথা কৃত পাপের জন্য আল্লাহর কাছে অনুশোচনা করা :

﴿وَاَنِيْبُوْاۤ اِلٰى رَبِّكُمْ وَاَسْلِمُوْا لَهٗ مِنْ قَبْلِ اَنْ يَّاْتِيَكُمُ الْعَذَابُ ثُمَّ لَا تُنْصَرُوْنَ﴾

তোমাদের নিকট শাস্তি আসার পূর্বেই তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অভিমুখী হও এবং তাঁর নিকট আত্মসমর্পণ করো, নতুবা তোমাদেরকে সাহায্য করা হবে না। (সূরা যুমার- ৫৪)

৮. اَلْاِسْتِعَانَةُ (আল ইস্তে‘আনাহ) তথা আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করা :

﴿وَاسْتَعِيْنُوْا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِؕ وَاِنَّهَا لَكَبِيْرَةٌ اِلَّا عَلَى الْخَاشِعِيْنَ﴾

আর তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয় এ কাজ খুবই কঠিন, তবে বিনয়ীগণ ব্যতীত। (সূরা বাক্বারা- ৪৫)

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ اَنَّهٗ حَدَّثَهٗ اَنَّهٗ رَكِبَ خَلْفَ رَسُوْلِ اللهِ يَوْمًا فَقَالَ لَهٗ رَسُوْلُ اللهِ يَا غُلَامُ اِنِّيْ مُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ اِحْفَظِ الله يَحْفَظْكَ اِحْفَظِ اللهَ تَجِدْهُ تُجَاهَكَ وَاِذَا سَأَلْتَ فَلْتَسْأَلِ اللهَ وَاِذَا اسْتَعَنْتَ فَاسْتَعِنْ بِاللهِ وَاعْلَمْ اَنَّ الْأُمَّةَ لَوِاجْتَمَعُوْا عَلٰى اَنْ يَنْفَعُوْكَ لَمْ يَنْفَعُوْكَ اِلَّا بِشَيْءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللهُ لَكَ وَلَوِ اجْتَمَعُوْا عَلٰى اَنْ يَضُرُّوْكَ لَمْ يَضُرُّوْكَ اِلَّا بِشَيْءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللهُ عَلَيْكَ رُفِعَتْ الْاَقْلَامُ وَجَفَّتْ الصُّحُفُ

আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর পেছনে বসেছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, হে বালক! আমি তোমাকে কয়েকটি কথা শিক্ষা দেব। (কথাগুলো মনে রাখবে) তুমি আল্লাহর হেফাযত করো তাহলে আল্লাহ তোমার হেফাযত করবেন। যখন তুমি কিছু চাইবে তখন আল্লাহর কাছেই চাইবে। যখন তুমি কোন সাহায্য প্রার্থনা করবে তখন আল্লাহর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করবে। আর জেনে রেখো! যদি গোটা জাতি একত্র হয় কোন বিষয়ে তোমার উপকার করার জন্য, তবে তারা সকলে মিলে ততটুকুই উপকার করতে পারবে যতটুকু আল্লাহ তোমার জন্য লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। পক্ষান্তরে যদি গোটা জাতি একত্র হয় কোন বিষয়ে তোমার ক্ষতি করার জন্য তবে সকলে মিলে তোমার ততটুকুই ক্ষতি করতে পারবে যতটুকু আল্লাহ তোমাদের জন্য লিখে রেখেছেন। কলম তুলে রাখা হয়েছে এবং (তাকদীর লিখিত) কিতাব শুকিয়ে গেছে। [তিরমিযী, হা/২৫১৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬৬৯; মিশকাত, হা/৫৩০২।]

৯. اَلْاِسْتِعَاذَةُ (আল ইস্তে‘আযা) তথা আল্লাহর আশ্রয় কামনা করা

﴿قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ مَلِكِ النَّاسِ اِلٰهِ النَّاسِ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ اَلَّذِيْ يُوَسْوِسُ فِيْ صُدُوْرِ النَّاسِ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ﴾

(হে নবী) বলো, আমি আশ্রয় চাই মানুষের প্রতিপালকের কাছে। (আমি আশ্রয় চাই) মানুষের (আসল) বাদশার কাছে। (আমি আশ্রয় চাই) মানুষের (একমাত্র) মাবুদের কাছে। (আমি আশ্রয় চাই) কুমন্ত্রণাদানকারীর অনিষ্ট থেকে, যে (প্ররোচনা দিয়েই) গা ঢাকা দেয়। যে মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয়। জিনদের মধ্য থেকে হোক বা মানুষদের মধ্য থেকে। (সূরা নাস)

১০. اَلصَّلٰوةُ (আস-সালাত) তথা সালাত কায়েম করা :

﴿وَاَقِيْمُوا الصَّلَاةَ وَلَا تَكُوْنُوْا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ﴾

অতএব তোমরা সালাত কয়েম করো। আর তোমরা মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। (সূরা রূম- ৩০, ৩১)

১১. اَلزَّكَاةُ (আয-যাকাত) তথা যাকাত আদায় করা :

﴿وَاَقِيْمُوا الصَّلَاةَ وَاٰتُوا الزَّكَاةَ وَاَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُوْنَ﴾

তোমরা সালাত কায়েম করো, যাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য করো, যাতে তোমরা অনুগ্রহভাজন হতে পার। (সূরা নূর- ৫৬)

১২. اَلصَّوْمُ (আস-সাওম) তথা রোযা রাখা :

﴿يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَ﴾

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করে দেয়া হয়েছে, যেরকমভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরয করে দেয়া হয়েছিল। আশা করা যায়, এর মাধ্যমে তোমরা তাক্বওয়া অর্জন করতে পারবে। (সূরা বাক্বারা- ১৮৩)

১৩. اَلْحَجُّ (আল-হজ্জ) তথা হজ্জ সম্পাদন করা :

﴿وَلِلّٰهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ اِلَيْهِ سَبِيْلًاؕ وَمَنْ كَفَرَ فَاِنَّ اللّٰهَ غَنِيٌّ عَنِ الْعَالَمِيْنَ﴾

যারা যাতায়াতের সামর্থ্য রাখে সেসব মানুষের উপর আল্লাহর উদ্দেশ্যে কা‘বাঘরে হজ্জ করা ফরয। আর যে কুফরী করবে তার জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ বিশ্ববাসী থেকে অমুখাপেক্ষী। (সূরা আলে ইমরান- ৯৭)

১৪. اَلْقِتَالُ (আল ক্বিতাল) তথা জান ও মাল দিয়ে আল্লাহর পথে সংগ্রাম করা :

﴿كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌ لَّكُمْۚ وَعَسٰۤى اَنْ تَكْرَهُوْا شَيْئًا وَّهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْۚ وَعَسٰۤى اَنْ تُحِبُّوْا شَيْئًا وَّهُوَ شَرٌّ لَّكُمْؕ وَاللهُ يَعْلَمُ وَاَنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ﴾

যুদ্ধ করাকে তোমাদের উপর ফরয করে দেয়া হয়েছে, যা তোমাদের নিকট খুবই অপ্রিয়। হ্যাঁ, তোমরা যা অপছন্দ করছ, হতে পারে তা-ই তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আবার তোমরা যা পছন্দ করছ, হতে পারে তা-ই তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। মূলত আল্লাহই জানেন, কিন্তু তোমরাই জান না। (সূরা বাক্বারা- ২১৬)

১৫. اَلدُّعَاءُ (আদ দু‘আ) তথা আল্লাহর নিকট চাওয়া :

﴿وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُوْنِۤيْ اَسْتَجِبْ لَكُمْؕ اِنَّ الَّذِيْنَ يَسْتَكْبِرُوْنَ عَنْ عِبَادَتِيْ سَيَدْخُلُوْنَ جَهَنَّمَ دَاخِرِيْنَ﴾

তোমাদের প্রতিপালক বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। যারা অহংকারবশত আমার ইবাদাত থেকে বিমুখ থাকে, অবশ্যই তারা লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (সূরা মু’মিন- ৬০)

اَلدَّعْوَةُ (আদ দা‘ওয়াতু) অর্থ নিজের অভাব পূরণের উদ্দেশ্যে সাহায্যের জন্য ডাকা। এর তাৎপর্য হচ্ছে, অভাব ও প্রয়োজন পূর্ণ করে সংকটমুক্ত করার সব ক্ষমতা একমাত্র তাঁর হাতেই কেন্দ্রীভূত। তাই একমাত্র তাঁর কাছে প্রার্থনা করতে হবে।

১৬. اَلنَّذْرُ (আন নযর) তথা মান্নত করা :

﴿يُوْفُوْنَ بِالنَّذْرِ وَيَخَافُوْنَ يَوْمًا كَانَ شَرُّهٗ مُسْتَطِيْرًا﴾

তারা মান্নত পূর্ণ করে এবং সেদিনের ব্যাপারে ভয় করে, যেদিনের অনিষ্টতা হবে ব্যাপক। (সূরা দাহর- ৭)

১৭. اَلذَّبْحُ (আয যাব্হ) তথা কুরবানী করা :

﴿قُلْ اِنَّ صَلَاتِيْ وَنُسُكِيْ وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِيْ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ لَا شَرِيْكَ لَهٗۚ وَبِذٰلِكَ اُمِرْتُ وَاَنَا اَوَّلُ الْمُسْلِمِيْنَ﴾

বলো, আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ সবই জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই উদ্দেশ্যে (নিবেদিত)। তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি এজন্যই আদিষ্ট হয়েছি; আর আমিই প্রথম মুসলিম। (সূরা আন‘আম- ১৬২, ১৬৩)

মানুষ যেসব পদ্ধতিতে আল্লাহ ছাড়া অন্যের দাসত্ব করে সেগুলোকে একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করে দেয়াই হচ্ছে ইবাদাতের ক্ষেত্রে একত্ববাদের অন্যতম মৌলিক দাবী। যেমন, রুকূ করা, সিজদা করা, আর্থিক নযরানা পেশ করা, রোযা রাখা, কুরবানী করা, কেবল তাঁকেই ভয় করা, তাঁরই আনুগত্য করা, নির্দ্বিধায় তাঁর আইন ও বিধান মেনে চলা ইত্যাদি কাজকর্মসমূহকে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট করা। অতঃপর তাঁর সাথে এসব বিষয়ে অন্য কাউকে শরীক না করা। কেননা এগুলো একমাত্র আল্লাহর জন্যই নির্দিষ্ট; এতে অন্য কেউ অংশীদার হতে পারে না। তাছাড়া সকল নবী ও রাসূল মানবজাতিকে এ পথেই আহবান করে গেছেন। যদিও তাদের মধ্যে আমলের পদ্ধতিগত পার্থক্য ছিল, কিন্তু সকলের মূল উদ্দেশ্য ছিল একই।

নিচের কাজগুলোও ইবাদাত -

কুরআন পাঠ করা ও গবেষণা করা, আল্লাহর পথে দান করা, করজে হাসানা দেয়া, অভাবগ্রস্তদের সাহায্য করা, চাকর/কর্মচারীর প্রতি সহানুভূতি দেখানো, কন্যাসন্তান লালনপালন করা, এতীম লালনপালন করা, মেহমানদারী করা, ক্ষুধার্তকে আহার দেয়া, রোগীর সেবা করা, রোগী দেখতে যাওয়া, জানাযার নামাযে শরীক হওয়া, মসজিদ নির্মাণ করা, রাস্তা হতে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা, পরিবারের জন্য খরচ করা, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বন্ধুদের সাথে সাক্ষাৎ করা, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা, মাতাপিতার সাথে সদাচরণ করা, মানুষের মধ্যে বিবাদ মীমাংসা করা, খুশী মনে অন্যের সাথে সাক্ষাৎ করা, উত্তম চরিত্রের অধিকারী হওয়া, লজ্জা বজায় রাখা, ভালো কাজের দিকে মানুষকে আহবান করা, পশু-পাখির প্রতি দয়া দেখানো, ভালো কাজের সুপারিশ করা, মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করা, স্বামীর হক আদায় করা, স্ত্রীর হক আদায় করা, সন্তানকে সুশিক্ষা দেয়া, হালাল উপায়ে উপার্জন করা, ধৈর্যধারণ করা ও তওবা-ইস্তেগফার করা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন