hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

যেসব কারণে ইবাদাত বরবাদ হয়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৮
আযান সংক্রান্ত বিদআত
আযান দেয়ার পূর্বে সালাত ও সালাম পেশ করা :

ফরয নামাযের জন্য আযান দেয়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। আযানের উদ্দেশ্য হলো এলাকাবাসী সকলে যেন একই সময়ে মসজিদে সমবেত হতে পারে এবং জামা‘আতের সাথে নামায আদায় করতে পারে তার সুব্যবস্থা করা। আযানের শব্দগুলো যেমনভাবে সালফে সালেহীনদের থেকে নকল হয়ে আসছে সেভাবেই সীমাবদ্ধ থাকবে। বর্তমান সময়ের বিভিন্ন জায়গায় আযানের পূর্বে সালাত ও সালাম ইত্যাদি যা বলা হয় তা সালফে সালেহীনদের কাছ থেকে নকল না থাকার কারণে বিদআত এবং এটা সম্পূর্ণ পরিত্যাজ্য। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَمَنْ يَّتَعَدَّ حُدُوْدَ اللهِ فَقَدْ ظَلَمَ نَفْسَهٗ﴾

আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সীমা অতিক্রম করল, সে নিজের উপর যুলুম করল।

(সূরা তালাক- ১)

আযান দেয়ার সময় শাহাদাত আঙ্গুল চুম্বন করা :

আযান দেয়ার সময় কিংবা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নাম শুনলে শাহাদাত আঙ্গুল বা বৃদ্ধাঙ্গুলি চুম্বন করে দুচোখে লাগানো এটাও একটি বিদআত। কারণ এ সম্পর্কিত প্রচলিত হাদীসগুলোকে সকল হাদীস বিশারদগণই জাল বলেছেন।

আযান দেয়ার পর মাইকে আযানের দু‘আ পাঠ করা :

মাইকের আযান দেয়ার লক্ষ্য হলো মানুষ যাতে নামাযের আহবান শুনতে পায়। কিন্তু দু‘আর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কোনটিই মানুষের শুনার জন্য নয়। বরং দু‘আ করতে হবে আল্লাহর কাছে এবং এর লক্ষ্য হবে তিনি যাতে তা কবুল করেন। আল্লাহ তা‘আলার নিকট দু‘আ করার নিয়ম হলো, চুপে চুপে অনুচ্চৈঃস্বরে এবং কাকুতি-মিনতি সহকারে দু‘আ করা। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿اُدْعُوْا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَّخُفْيَةً اِنَّهٗ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِيْنَ﴾

তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ডাকো- বিনয় ও ভয় সহকারে। নিশ্চয় তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না। (সূরা আরাফ- ৫৫)

আযানের পর হাত তুলে দু‘আ করা :

যে সমস্ত দু‘আয় হাত উঠানোর বর্ণনা নেই, সেসব দু‘আয় হাত উঠানোর প্রয়োজন নেই।

عَنْ حُصَيْنٌ قَالَ : سَمِعْتُ عُمَارَةَ بْنَ رُوَيْبَةَ ، وَبِشْرُ بْنُ مَرْوَانَ يَخْطُبُ ، فَرَفَعَ يَدَيْهِ فِى الدُّعَاءِ ، فَقَالَ عُمَارَةُ : قَبَّحَ اللهُ هَاتَيْنِ الْيُدَيَّتَيْنِ القُصَيَّرَتَيْنِ ، لَقَدْ رَاَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ ، وَمَا يَزِيْدُ عَلٰى اَنْ يَقُوْلَ هٰكَذَا، وَاَشَارَ هُشَيْمٌ بِالسَّبَّابَةِ .

হুসাইন (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উমারাহ ইবনে রুওয়াইবা (রাঃ) থেকে শুনেছি যে, একদা বিশর ইবনে মারওয়ান (রহ.) খুতবা দিচ্ছিলেন এবং দু‘আ করার সময় হাত উত্তোলন করেন। তখন উমারাহ (রাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা ঐ ছোট হাত দুটিকে ধ্বংস করুন। আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে খুতবা দিতে দেখেছি, কিন্তু এ থেকে অতিরিক্ত কিছু করতে দেখিনি। অতঃপর তিনি শাহাদাত আঙ্গুলী দ্বারা ইশারা করেন। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ ﷺ যেভাবে আঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করতেন সেভাবে ইশারা করে তিনি দেখালেন। [তিরমিযী, হা/৫১৫; শারহুস সুন্নাহ, হা/১০৭৯।]

এ ক্ষেত্রে করণীয় :

আযানের পর নির্দিষ্ট দু‘আ পাঠ করা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আছে এবং তা সাহাবায়ে কেরাম এবং সালফে সালেহীনদের সময়কাল থেকে নিঃসন্দেহে ধারাবাহিকভাবে চলে আসছে। কিন্তু দু‘আ পাঠ করার সময় হাত উঠানো কিছুতেই প্রমাণিত নয়। আযান শেষ হলে প্রথমে নবীর উপর দরূদ পড়া সুন্নাত। তারপর নিচের দু‘আটি পড়বে-

اَللّٰهُمَّ رَبَّ هٰذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ اٰتِ مُحَمَّدَنِ الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُوْدَنِ الَّذِيْ وَعَدْتَّهٗ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা রাববা হা-যিহিদ্ দা‘ওয়াতিত্তা-ম্মাহ, ওয়াসসালা-তিল ক্বা-ইমাহ, আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়ালফাযীলাহ, ওয়াব‘আছ্হু মাক্বা-মাম্ মাহমূদানিল্লাযী ওয়া‘আত্তাহ।

অর্থ : হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহবান ও প্রতিষ্ঠিত নামাযের তুমিই প্রভু। মুহাম্মাদ ﷺ কে দান কর ওসীলা নামক স্থান ও মর্যাদা। আর তাঁকে অধিষ্ঠিত কর সেই প্রশংসিত স্থানে, যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাঁকে দিয়েছ।

হাদীসে এসেছে,

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ اَنَّهٗ سَمِعَ النَّبِىَّ يَقُوْلُ : اِذَا سَمِعْتُمُ الْمُؤَذِّنَ فَقُوْلُوْا مِثْلَ مَا يَقُوْلُ ثُمَّ صَلُّوْا عَلَىَّ فَاِنَّهٗ مَنْ صَلّٰى عَلَىَّ صَلَاةً بِهَا عَشْرًا ثُمَّ سَلُوا اللهَ لِىَ الْوَسِيْلَةَ فَاِنَّهَا مَنْزِلَةٌ فِى الْجَنَّةِ لَا تَنْبَغِىْ اِلَّا لِعَبْدٍ مِنْ عِبَادِ اللهِ وَاَرْجُوْ اَنْ اَكُوْنَ اَنَا هُوَ فَمَنْ سَاَلَ لِىَ الْوَسِيْلَةَ حَلَّتْ لَهٗ الشَّفَاعَةُ

আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী ﷺ কে বলতে শুনেছেন, তোমরা যখন মুওয়ায&&যনকে আযান দিতে শুন, তখন সে যা বলে তোমরাও তাই বলো। অতঃপর আমার উপর দরূদ পাঠ করো। কেননা, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করে আল্লাহ তা‘আলা এর বিনিময়ে তার উপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন। অতঃপর আমার জন্য আল্লাহর কাছে ওসীলা প্রার্থনা করো। কেননা, ওসীলা জান্নাতের একটি সম্মানজনক স্থান। এটা আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে একজনকেই দেয়া হবে। আমি আশা করি, আমিই হব সে বান্দা। যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে আমার জন্য ওসীলা প্রার্থনা করবে তার জন্য (আমার) শাফা‘আত ওয়াজিব হয়ে যাবে। [সহীহ মুসলিম, হা/৮৭৫; আবু দাউদ, হা/৫২৩; তিরমিযী, হা/৩৬১৪; নাসাঈ, হা/৬৭৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৬৫৬৮; ইবনে খুযাইমা, হা/৪১৮; ইবনে হিববান, হা/১৬৯০।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন