hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

যেসব কারণে ইবাদাত বরবাদ হয়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

ইবাদাতের উপকারিতা
ইবাদাতের ফলাফল বা উপকারিতা অপরিসীম। বান্দা যতবেশি আন্তরিকতা নিয়ে আল্লাহর ইবাদাতে মনোনিবেশ করে আল্লাহ তা‘আলা তাকে ততবেশি পছন্দ করেন এবং দুনিয়া ও আখেরাতে তার পুরস্কার অনেক গুণ বাড়িয়ে দেন।

আল্লাহর ইবাদাতের মাধ্যমে রিযিক বৃদ্ধি পায় :

﴿وَلَوْ اَنَّ اَهْلَ الْقُرٰۤى اٰمَنُوْا وَاتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَيْهِمْ بَرَكَاتٍ مِّنَ السَّمَآءِ وَالْاَرْضِ﴾

যদি সকল জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত ও তাক্বওয়া অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের জন্য আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর কল্যাণের দ্বার উন্মুক্ত করে দিতাম। (সূরা আ‘রাফ- ৯৬)

﴿وَمَنْ يَّتَّقِ اللهَ يَجْعَلْ لَّهٗ مَخْرَجًا وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ﴾

যে আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ তার উপায় বের করে দেন এবং তিনি ঐ ব্যক্তিকে এমন দিক হতে রিযিক দান করেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না। (সূরা তালাক্ব- ২, ৩)

ইবাদাতের মাধ্যমে আল্লাহ বান্দার সকল কাজ সমাধা করে দেন :

﴿وَمَنْ يَّتَّقِ اللهَ يَجْعَلْ لَّهٗ مِنْ اَمْرِهٖ يُسْرًا﴾

যে আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ তার কাজকর্ম সহজ করে দেন। (সূরা তালাক্ব- ৪)

﴿وَمَنْ يَّتَّقِ اللهَ يَجْعَلْ لَّهٗ مَخْرَجًا﴾

যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার (সংকট থেকে বের হওয়ার) পথ বের করে দেন। (সূরা তালাক্ব- ২)

আল্লাহ ইবাদাতকারীদেরকে বিপদাপদ থেকে রক্ষা করেন :

﴿وَاَنْجَيْنَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَكَانُوْا يَتَّقُوْنَ﴾

অতঃপর যারা মুমিন ও মুত্তাক্বী ছিল, তাদেরকে আমি উদ্ধার করেছি। (সূরা নামল- ৫৩)

যারা সৎকর্ম করে সৃষ্টির মধ্যে তারাই উত্তম :

﴿اِنَّ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ اُولٰٓئِكَ هُمْ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ﴾

যারা ঈমান আনয়ন করে ও সৎকর্ম করে, তারাই সৃষ্টির সেরা। (সূরা বায়্যিনাহ- ৭)

ইবাদাতকারীরা সফলতা লাভ করবে :

﴿فَاَمَّا مَنْ تَابَ وَ اٰمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَعَسٰۤى اَنْ يَّكُوْنَ مِنَ الْمُفْلِحِيْنَ﴾

তবে যে ব্যক্তি তাওবা করবে, ঈমান আনবে ও সৎকর্ম করবে অতিশীঘ্রই সে সাফল্য অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সূরা ক্বাসাস- ৬৭)

সৎকর্মই প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদা লাভের ভিত্তি :

﴿مَنْ كَانَ يُرِيْدُ الْعِزَّةَ فَلِلّٰهِ الْعِزَّةُ جَمِيْعًاؕ اِلَيْهِ يَصْعَدُ الْكَلِمُ الطَّيِّبُ وَالْعَمَلُ الصَّالِحُ يَرْفَعُهٗ﴾

যে ব্যক্তি সম্মান লাভ করতে চায় (সে জেনে রাখুক), সকল সম্মান আল্লাহর জন্যই। উত্তম বাক্যসমূহ তাঁরই দিকে পৌঁছে, আর সৎকাজ তাকে তাঁরই কাছে পৌঁছে দেয়। (সূরা ফাতির- ১০)

কুরাইশ সরদাররা নবী ﷺ এর মুকাবিলায় যা কিছু করেছিল সবই ছিল তাদের নিজেদের ইজ্জত ও মর্যাদার খাতিরে। তাদের ধারণা ছিল, যদি মুহাম্মাদ ﷺ এর কথা মেনে নেয়া হয় তাহলে আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব খতম হয়ে যাবে। এরই প্রেক্ষিতে বলা হচ্ছে, আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও কুফরী করে তোমরা নিজেদের যে মর্যাদা তৈরি করে রেখেছ, তা মিথ্যা মর্যাদা ছাড়া আর কিছুই নয়। তোমাদের মৃত্যুর সাথে সাথেই তা নিঃশেষ হয়ে যাবে। দুনিয়া ও আখিরাতের প্রকৃত ও চিরস্থায়ী মর্যাদা কেবলমাত্র আল্লাহর ইবাদাতের মধ্যেই নিহিত। সুতরাং তুমি যদি তাঁর ইবাদাতের মাধ্যমে সে মর্যাদার অনুসন্ধান কর, তবে তা পেয়ে যাবে। কিন্তু যদি তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও, তাহলে অপমানিত ও লাঞ্ছিত হবে।

সৎকর্মের পুরস্কারের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সমান :

﴿وَمَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّنْ ذَكَرٍ اَوْ اُنْثٰى وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَاُولٰٓئِكَ يَدْخُلُوْنَ الْجَنَّةَ يُرْزَقُوْنَ فِيْهَا بِغَيْرِ حِسَابٍ﴾

পুরুষ কিংবা নারীর মধ্যে যারা মুমিন হয়ে সৎ আমল করে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। সেখানে তারা অসংখ্য রিযিক পাবে। (সূরা মু’মিন- ৪০)

﴿مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّنْ ذَكَرٍ اَوْ اُنْثٰى وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهٗ حَيَاةً طَيِّبَةً وَّلَنَجْزِيَنَّهُمْ اَجْرَهُمْ بِاَحْسَنِ مَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ ﴾

মুমিন থাকাবস্থায় পুরুষ ও নারীদের মধ্যে যে কেউ সৎকর্ম করবে, নিশ্চয় আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং তাদেরকে তাদের কর্মের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দান করব। (সূরা নাহল- ৯৭)

আল্লাহ সৎকর্মশীলদের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি করে দেবেন :

﴿اِنَّ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ سَيَجْعَلُ لَهُمُ الرَّحْمٰنُ وُدًّا﴾

যারা ঈমান আনয়ন করে ও সৎকর্ম করে, দয়াময় (আল্লাহ) অবশ্যই তাদের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি করে দেবেন। (সূরা মারইয়াম- ৯৬)

আল্লাহ সৎকর্মশীলদের তাওবা কবুল করেন :

﴿ اِنْ تَكُوْنُوْا صَالِحِيْنَ فَاِنَّهٗ كَانَ لِلْاَوَّابِيْنَ غَفُوْرًا﴾

যদি তোমরা সৎকর্মপরায়ণ হও, তবে (জেনে রেখো) নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তনকারীদের জন্য অতিশয় ক্ষমাশীল। (সূরা বনী ইসরাইল- ২৫)

﴿وَاِنِّيْ لَغَفَّارٌ لِّمَنْ تَابَ وَاٰمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا ثُمَّ اهْتَدٰى﴾

আমি অবশ্যই তার প্রতি ক্ষমাশীল যে তাওবা করে, ঈমান আনয়ন করে, সৎকর্ম করে ও সৎপথে অবিচল থাকে। (সূরা ত্বা-হা- ৮২)

আল্লাহ ইবাদাতকারীদের দু‘আ কবুল করেন :

﴿وَيَسْتَجِيْبُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَيَزِيْدُهُمْ مِّنْ فَضْلِهٖ﴾

তিনি মুমিন ও সৎ আমলকারীদের আহবানে সাড়া দেন এবং তাদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহ বর্ধিত করেন। (সূরা শূরা- ২৬)

আল্লাহ সৎকর্মীদের গোনাহ ক্ষমা করেন :

﴿وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُمْ مَّغْفِرَةٌ وَّاَجْرٌ كَبِيْرٌ﴾

আর যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার। (সূরা ফাতির- ৭)

﴿فَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُمْ مَّغْفِرَةٌ وَّرِزْقٌ كَرِيْمٌ﴾

যারা ঈমান আনয়ন করে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা। (সূরা হজ্জ- ৫০)

সৎকর্মের দ্বারা গোনাহ ক্ষমা হয় :

﴿وَاَقِمِ الصَّلَاةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِّنَ اللَّيْلِؕ اِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِؕ ذٰلِكَ ذِكْرٰى لِلذَّاكِرِيْنَ ﴾

তুমি সালাত কায়েম করো- দিবসের দুপ্রামত্মভাগে ও রজনীর প্রথমাংশে। নিশ্চয় সৎকর্ম অসৎকর্মকে মিটিয়ে দেয়। যারা উপদেশ গ্রহণ করে এটা তাদের জন্য এক উপদেশ। (সূরা হুদ- ১১৪)

আল্লাহ সৎকর্মশীলদেরকে জান্নাত দেবেন :

﴿اِنَّ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ كَانَتْ لَهُمْ جَنَّاتُ الْفِرْدَوْسِ نُزُلًا﴾

যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের আপ্যায়নের জন্য আছে জান্নাতুল ফিরদাউস। (সূরা কাহফ- ১০৭)

﴿وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ سَنُدْخِلُهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهَارُ خَالِدِيْنَ فِيْهَاۤ اَبَدًاؕ وَعْدَ اللهِ حَقًّاؕ وَمَنْ اَصْدَقُ مِنَ اللهِ قِيْلًا﴾

যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে অচিরেই তাদেরকে আমি জান্নাতে প্রবেশ করাব, যার পাদদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত হতে থাকবে, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে। আর আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য; কথায় আল্লাহর চেয়ে অধিক সত্যবাদী আর কে আছে? (সূরা নিসা- ১২২)

ব্যক্তির আমল যত ভালো হবে মর্যাদা তত বাড়বে :

﴿وَمَنْ يَّاْتِهٖ مُؤْمِنًا قَدْ عَمِلَ الصَّالِحَاتِ فَاُولٰٓئِكَ لَهُمُ الدَّرَجَاتُ الْعُلَا جَنَّاتُ عَدْنٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهَارُ خَالِدِيْنَ فِيْهَا وَذٰلِكَ جَزَآءُ مَنْ تَزَكّٰى﴾

যারা মুমিন অবস্থায় সৎকর্ম করে তাঁর নিকট উপস্থিত হবে, তাদের জন্য রয়েছে সমুচ্চ মর্যাদা ও চিরস্থায়ী জান্নাত, যার পাদদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত হতে থাকবে, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে। আর এ পুরস্কার তাদের জন্যই, যারা পবিত্র। (সূরা ত্বা-হা- ৭৫, ৭৬)

আল্লাহ মুমিন বান্দার নেক আমল নষ্ট করেন না :

﴿اِنَّ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ اِنَّا لَا نُضِيْعُ اَجْرَ مَنْ اَحْسَنَ عَمَلًا﴾

যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, এমন সৎকর্মশীলদের প্রতিদান আমি নষ্ট করব না। (সূরা কাহফ- ৩০)

﴿وَاَنَّ اللهَ لَا يُضِيْعُ اَجْرَ الْمُؤْمِنِيْنَ﴾

নিশ্চয় আল্লাহ বিশ্বাসীদের প্রতিদান বিনষ্ট করেন না। (সূরা আলে ইমরান- ১৭১)

প্রতিদান দেয়ার ক্ষেত্রে আল্লাহ কাউকে ঠকাবেন না :

﴿وَمَا تُنْفِقُوْا مِنْ خَيْرٍ يُّوَفَّ اِلَيْكُمْ وَاَنْتُمْ لَا تُظْلَمُوْنَ﴾

তোমরা উত্তম যা কিছুই দান করবে তার পুরোপুরি প্রতিদান তোমরা পাবে এবং তোমাদের উপর কোন অন্যায় করা হবে না। (সূরা বাক্বারা- ২৭২)

﴿وَمَنْ يَّعْمَلْ مِنَ الصَّالِحَاتِ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَا يَخَافُ ظُلْمًا وَّلَا هَضْمًا﴾

যে ব্যক্তি মুমিন অবস্থায় সৎকর্ম করে, তার জন্য অবিচার এবং অন্য কোন ক্ষতির আশঙ্কা নেই। (সূরা ত্বা-হা- ১১২)

আল্লাহ সৎকর্মের পুরস্কার বহুগুণে বাড়িয়ে দেন :

﴿وَمَنْ يَّقْتَرِفْ حَسَنَةً نَّزِدْ لَهٗ فِيْهَا حُسْنًاؕ اِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ شَكُوْرٌ﴾

যে উত্তম কাজ করে আমি তার জন্য এতে কল্যাণ বর্ধিত করে দেই। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল ও বড়ই কৃতজ্ঞ। (সূরা শূরা- ২৩)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন