মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর উপর সালাত ও সালাম পেশ করা বিদআত নয়। কিন্তু সালাত ও সালাম পেশ করার সময় দাঁড়ানো এবং ব্যক্তি বিশেষের রচিত সালাত ও সালাম পেশ করা বিদআত। এর মধ্যে দাঁড়ানোর কারণ যদি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে আল্লাহ তা‘আলার মতো উপস্থিত বা হাযির-নাযির মনে করা হয়, তাহলে দাঁড়ানো শুধু বিদআত নয়; বরং তা সুস্পষ্ট শিরক। আর যদি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে হাযির-নাযির মনে না করে দাঁড়ানো হয়, তাহলে তা হবে সম্পূর্ণ বিদআত। কেননা, এর কোন শরয়ী ভিত্তি নেই।
কিয়ামের প্রচলন :
৭৫১ হিজরী সনে খাজা তকীউদ্দীন সাবকী এর দরবারে একজন কবি রেসালাতের মাহাত্ম্য বর্ণনায় কবিতা পাঠ করে। এ সময় খাজা সাহেব আত্মহারা হওয়ার কারণে প্রভাবান্বিত হয়ে দাঁড়িয়ে যান এবং তার সম্মান রক্ষার্থে উপস্থিত সকলেই তার অনুকরণ করে। জানা আবশ্যক যে, যার থেকে মিলাদের প্রচলন হয়েছে তার থেকে কিয়ামের প্রচলনের প্রমাণ পাওয়া যায় না। সুতরাং এ দুটিই সম্পূর্ণ নতুন আবিষ্কার।
নবী ﷺ তাঁর সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে থাকা পছন্দ করতেন না।
অনেকের ধারণা রাসূলগণ বিভিন্ন জায়গায় হাযির হন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানের স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে থাকেন। এ আকীদা পোষণকারীরা মিলাদ পড়তে যেয়ে হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে যায়, এর দ্বারা তারা রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে সম্মান দেয়া বুঝাতে চায়। অথচ নবী ﷺ এর জীবদ্ধশায় সাহাবীরা তাঁর সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে থাকুক- এটা তিনি পছন্দ করতেন না। হাদীসে এসেছে,
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহাবায়ে কেরামের চেয়ে অধিক ভালোবাসা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্য আর কারো ছিল না। তারপরও যখন তারা নবী ﷺ কে দেখতেন, তখন দাঁড়াতেন না। কারণ তারা জানতেন যে, নবী ﷺ এটা পছন্দ করতেন না। [তিরমিযী, হা/২৭৫৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১২৩৪৫।]
আবু মিজলায (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা মু‘আবিয়া (রাঃ) বের হলেন। তখন আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের এবং আবু সুফইয়ান (রাঃ) দাঁড়িয়ে গেলেন। অতঃপর যখন তিনি তাদেরকে দেখলেন তখন বললেন, তোমরা বসে পড়ো। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি এতে আনন্দ লাভ করে যে, লোকেরা তার জন্য দাঁড়িয়ে থাকুক সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামে তৈরি করে নেয়। [তিরমিযী, হা/২৭৫৫; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/২৬০৯৫; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৮১৯; মিশকাত, হা/৪২৯৯।]
আবু উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। একদা নবী ﷺ রোগের কারণে লাঠিতে ভর করে ঘরের বাইরে বের হলেন। তখন আমরা উপস্থিত সকলেই তাঁর সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে যাই। এটা দেখে তিনি বলেন, তোমরা দাঁড়িয়ো না যেমনিভাবে অনারবি ব্যক্তিগণ একে অপরের সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে যায়। [আবু দাউদ, হা/৫২৩২; মুসন্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/২৬০৯৪।]
তবে সম্মান প্রদর্শন ছাড়া অন্য কোন প্রয়োজনে বা কাউকে এগিয়ে আনার লক্ষ্যে দাঁড়ানো জায়েয আছে। যেমন সাদ (রাঃ) কে এগিয়ে আনার জন্য সাহাবীরা দাঁড়িয়ে ছিলেন।
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন সাদ ইবনে মু‘আয (রাঃ) এর বিচারের রায়ের প্রেক্ষিতে বনী কুরাইযা গোত্রের লোকরা দুর্গ থেকে বেরিয়ে আসল তখন নবী ﷺ সাদ ইবনে মু‘আয (রাঃ)-কে আনার জন্য লোক পাঠান। তিনি একটি গাধার পিঠে আরোহণ করে আসেন। তিনি মসজিদে নববীর নিকটবর্তী হলে নবী ﷺ আনসারদেরকে বললেন, তোমরা তোমাদের নেতার জন্য দাঁড়িয়ে যাও। [সহীহ বুখারী, হা/৩০৩৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১১৬৮০।]
এ হাদীসে সাদ (রাঃ) কে এগিয়ে আনার জন্য নবী ﷺ সাহাবীদেরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/274/29
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।