hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

যেসব কারণে ইবাদাত বরবাদ হয়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৪
বিদআত কীভাবে প্রসার পায়
বিদআত চালু হওয়ার মূলে কয়েকটি কারণ লক্ষ্য করা যায়। তা হলো :

১. বিদআতী তা নিজের থেকে উদ্ভাবন করে সমাজে চালিয়ে দেয়। পরে তা সাধারণভাবে সমাজে প্রচলিত হয়ে পড়ে।

২. কোন আলিম ব্যক্তি হয়তো শরীয়াত বিরোধী একটা কাজ করেছেন; কিন্তু তা দেখে জাহেল লোকেরা মনে করতে শুরু করে যে, এ কাজ শরীয়াতসম্মত না হয়ে পারে না। এভাবে এক ব্যক্তির কারণে গোটা সমাজেই বিদআতের প্রচলন হয়ে পড়ে।

৩. মূর্খ লোকেরা শরীয়াত বিরোধী কোন কাজ করতে শুরু করে। তখন সমাজের আলিমগণ সে ব্যাপারে নীরব হয়ে থাকেন। তারা এ কাজের কোন প্রতিবাদ করেন না, নিষেধও করেন না এবং এ কথাও বলেন না যে, এ কাজ শরীয়াত বিরোধী, তোমরা এ কাজ কিছুতেই করতে পারবে না। বিদআত বা শরীয়াত বিরোধী কাজের প্রতিবাদ না করার ফলে সাধারণ লোকদের মনে ধারণা জন্মে যে, নিশ্চয় এ কাজ জায়েয হবে। নতুবা আলিম সাহেবরা তো এর প্রতিবাদ করতেন। এভাবে সমাজে বিদআত বা নাজায়েয কাজ শরীয়াতসম্মত কাজরূপে পরিচিত ও প্রচলিত হয়ে পড়ে।

৪. বিদআত প্রচলিত হওয়ার আরো একটি মনস্তাত্ত্বিক কারণ হলো এই যে, মানুষ স্বভাবতই চিরন্তন সুখ- জান্নাত লাভ করার আকাঙ্ক্ষী। এ কারণে সে বেশি বেশি নেক কাজ করতে উৎসাহি হয়ে থাকে। দ্বীনের হুকুম আহকাম যথাযথ পালন করা কঠিন বোধ হলেও সহজসাধ্য সওয়াবের কাজ করার জন্য লালায়িত হয় খুব বেশি। আর তখনি সে শয়তানের ষড়যন্ত্রে পড়ে যায়। এই লোভ ও শয়তানী ষড়যন্ত্রের কারণে খুব তাড়াহুড়া করে কতক সহজ সওয়াবের কাজ করার সিন্ধান্ত করে ফেলে। তারা নিজ থেকেই মনে করে নেয় যে, এগুলো সব নেক ও সওয়াবের কাজ। তা করলে এত বেশি সওয়াব পাওয়া যাবে যে, জান্নাতের চিরস্থায়ী সুখ লাভ করা কোন কঠিন হবে না। কিন্তু এ সময় যে কাজগুলোকে সওয়াবের কাজ বলে মনে করা হয়, সেগুলো শরীয়াতের ভিত্তিতেও বাস্তবিকই সওয়াবের কাজ কি না, তা পরীক্ষা করে দেখার মতো ইসলামী যোগ্যতা তাদের যেমন থাকে না, তেমনি সেটা জানার জন্যও তারা বিশেষ গুরুত্ব দেয় না।

একটি দ্বীনী সমাজে দ্বীনের নামে বিদআত চালু হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। দ্বীন যখন প্রথম প্রচারিত হয় তখন তার ভিত্তি রচিত হয় ইল্মের উপর। পরবর্তীকালে সেই ইল্ম যখন সমাজের অধিকাংশ বা প্রভাবশালী লোকেরা হারিয়ে ফেলে তখন দ্বীনের প্রতি জনমনে যে ভক্তি-শ্রদ্ধা ও আকর্ষণ থাকে, তার মাধ্যমে দ্বীনের নামে বেদ্বীন ঢুকে পড়ে। মানুষ নির্দ্বিধায় সেই কাজগুলোকে দ্বীনি কাজ মনে করেই করতে থাকে। ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত হিসেবে বলা যায়, আরবরা ইবরাহীম ও ইসমাঈল (আঃ) এর বংশধর ছিল। তাদের মধ্যে তাওহীদ ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়েছিল। পরবর্তী কয়েক শতাব্দীকাল পর্যন্ত তথায় তাওহীদি দ্বীন প্রবল ছিল। কিন্তু পরে সুদীর্ঘকাল অতিবাহিত হওয়ার কারণে তাদের আকীদা ও আমলে হক এর সাথে বাতিল সংম্রিশ্রিত হয়ে পড়ে। ভালো কাজ হিসেবে এক সময় মূর্তিপূজা, পাহাড়-পাথর পূজাও ব্যাপকভাবে চালু হয়ে পড়ে। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আগমনকালে তাদের দ্বীনী ও নৈতিক অবস্থা চরমভাবে অধঃপতিত হয়ে পড়েছিল।

যেখানেই বিদআত আসন গেড়ে বসেছে সেখান থেকেই সুন্নাত বিদায় নিয়েছে। যে কাজ মূলত সুন্নাত; কিন্তু বহুকাল পর্যন্ত সমাজে তার প্রচলন না থাকায় লোকদের ধারণা হয় যে, নিশ্চয় এ কাজ ভালো নয়; এভাবে লোকেরা একটি শরীয়াতসম্মত কাজকে শেষ পর্যন্ত শরীয়াত বিরোধী কাজ বলে মনে করতে থাকে। তখন আর সুন্নাতের কোন গুরুত্ব থাকে না। এমনকি কেউ যদি সেই সুন্নাতের উপর আমল করে তাহলে লোকেরা তাকে ঘৃণা করতে শুরু করে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন