মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
বুযুর্গানে দ্বীনের তিরোধানের পর শরীয়াতসম্মত নিয়মের অধীনে থেকে ইসালে সওয়াব করা এবং তাদের জন্য দু‘আ করা শরীয়াতে একটি ভালো কাজ। যদি কেউ কোন বুযুর্গের কবরের নিকটবর্তী হয় তাহলে তথায় উপস্থিত হয়ে সুন্নাত মোতাবেক সালাম বলা জায়েয। তবে দূর-দূরান্ত থেকে যিয়ারতের জন্য উপস্থিত হওয়া নিষেধ। হাদীসে ইরশাদ হয়েছে,
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তিনটি মসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মসজিদে যাওয়ার জন্য সফরের প্রস্তুতি গ্রহণ করা যাবে না। এ তিন মসজিদ হলো- (১) মসজিদে হারাম অর্থাৎ খানায়ে কা‘বা, (২) মসজিদুর রাসূল অর্থাৎ মসজিদে নববী, (৩) মসজিদে আক্সা বা বাইতুল মাক্বদিস (শুধু এ তিন মসজিদের উদ্দেশে বিশেষভাবে সফর করা জায়েয। এ ছাড়া পৃথিবীর সকল মসজিদই সমমর্যাদার অধিকারী)। [সহীহ বুখারী, হা/১১৮৯; সহীহ মুসলিম, হা/৩৪৫০; আবু দাউদ, হা/২০৩৫; তিরমিযী, হা/৩২৬; নাসাঈ, হা/৭০০; ইবনে মাজাহ, হা/১৪০৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭১৯১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৬১৯।]
শাহ ওলীউল্লাহ (রহ.) উক্ত হাদীসের বরাত দিয়ে লিখেন যে, আমার নিকট সত্য হলো এটাই যে, কোন ওলীর মাযারে দূর-দূরান্ত থেকে যিয়ারতের জন্য উপস্থিত হওয়া উক্ত হাদীসের নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত। [হুজ্জাতুল্লাহীল বালেগাহ- ১/১৯২।]
তিনি আরো লিখেন, যে ব্যক্তি খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) এর কবরে এবং এ জাতীয় কোন বুযুর্গের কবরে উপস্থিত হয়ে দু‘আ করে এ বিশ্বাসে যে, উক্ত স্থানে দু‘আ করলে কবুল হয়, তাহলে সে যেন হত্যা এবং জিনাকারীর চেয়েও বেশি গোনাহের কাজ করল। [তাফহীমাতে এলাহিয়া- ২/৪৮।]
এমনিভাবে কবর যিয়ারতের জন্য দিন নির্দিষ্ট করা এবং উক্ত নির্দিষ্ট দিনে বা তারিখে ইজতেমা করা কিছুতেই শরীয়াত কর্তৃক প্রমাণিত নয়। বিশেষ করে বছরান্তে উরসের নামে যে দিন তারিখ নির্দিষ্ট করা হয় শরীয়াতে তার কোন অস্তিত্ব বা ভিত্তি বলতে কিছুই নেই। নবী ﷺ বলেন,
لَا تَجْعَلُوْا قَبْرِىْ عِيْدًا
অর্থাৎ তোমরা আমার কবরকে ঈদ বানিয়ে নিও না। [আবু দাউদ, হা/২০৪৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৭৯০।]
হাদীস বিশারদগণ এ হাদীসকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। যেমন মিশকাত গ্রন্থের ব্যাখ্যা গ্রন্থ মির‘আতুল মাফাতীহ গ্রন্থে বলা হয়েছে,
অর্থাৎ তোমরা ঈদের ন্যায় যিয়ারতের জন্য একত্রিত হয়ো না। [মির‘আতুল মাফঅতীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ ৯৩২ নং হাদীসের ব্যাখ্যা।]
ওরসের গোশত খাওয়া হারাম :
প্রচলিত আছে যে, বিভিন্ন ওলী-আওলিয়াদের মাযারকে কেন্দ্র করে, এমনকি অনেক ভন্ড পীর-ফকীরের কবরকে মাযার নাম দিয়ে তাতে বাৎসরিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে গরু, ছাগল জবাই করে খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়। মূলত এই খাবার মাযারকে কেন্দ্র করেই হয়ে থাকে। আর আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উদ্দেশ্যে জবাই করা জন্তু খাওয়া হারাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
তিনি তোমাদের উপর হারাম করেছেন মৃত জীবজন্তু, রক্ত, শুকরের গোশত এবং সেসব জীবজন্তু, যা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে উৎসর্গ করা হয়। অবশ্যই যেসকল লোক অনন্যোপায় হয়ে পড়ে এবং নাফরমানী ও সীমালঙ্ঘনকারী না হয় তার জন্য কোন পাপ নেই। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা‘আলা মহান ক্ষমাশীল ও অত্যন্ত দয়ালু। (সূরা বাকারা- ১৭৩)
কোন ওলী-আওলিয়ার মাযারে গরু, ছাগল, মুরগী, মোমবাতি, মিষ্টি এ জাতীয় যা কিছু উৎসর্গ করা হয় এসবই হারামের অন্তর্ভুক্ত। তাছাড়া এসব কাজকর্ম হিন্দুদের ধর্মীয় কাজকর্মের সাথে সাদৃশ্য রাখে, যা মুসলিমদের জন্য অনুসরণ করা কোনভাবেই বৈধ নয়।
আল্লাহ ছাড়া অন্যের জন্য জবাই করা বা উৎসর্গ করা জন্তুর দুটি দিক হতে পারে :
প্রথমত : আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন কিছুর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে যা উৎসর্গ করা হয় এবং যবেহ করার সময়ও সে নাম নিয়েই যবেহ করা হয়, এমতাবস্থায় যবেহকৃত জন্তু সকল আলেম ও ফকীহগণের দৃষ্টিতে হারাম এবং নাপাক। এর কোন অংশের দ্বারাই ফায়দা গ্রহণ করা বৈধ নয়। কারণ এ প্রাণী মৃত প্রাণীর হুকুমের অন্তর্ভুক্ত। আর مَا اُهِلَّ بِهٖ لِغَيْرِ اللهِ আয়াতে যে অবস্থার কথা বুঝানো হয়েছে তা সরাসরি এই অবস্থারই নমুনাস্বরূপ। এ ব্যাপারে কারো কোন মতভেদ নেই।
দ্বিতীয়ত : আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন কিছুর সন্তুষ্টি বা নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে যা যবেহ করা হয়, তবে যবেহ করার সময় তা আল্লাহর নাম নিয়েই যবেহ করা হয়। যেমন অনেক অজ্ঞ মুসলিম পীর-বুযুর্গদের সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়তে গরু, ছাগল, মুরগী ইত্যাদি মান্নত করে তা যবেহ করে থাকে। কিন্তু যবেহ করার সময় আল্লাহর নাম নিয়েই যবেহ করে থাকে। এ অবস্থায়ও ফকীহগণের সর্বসম্মতিক্রমে তা হারাম এবং যবেহকৃত জন্তু মৃতের মধ্যে শামিল। ফখরুদ্দীন রাজী (রহ.) বলেন,
আমাদের আলেমগণ বলেন, যদি কোন মুসলিম কোন জন্তু যবেহ করে এবং এর দ্বারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্য করে তাহলে সে মুরতাদ হয়ে যাবে এবং তার যবেহটা মুরতাদের যবেহের ন্যায় হবে। [তাফসীরুল মানার, ৮/২৪।]
মোটকথা, মৃত ব্যক্তির জন্য ইসালে সওয়াব কিংবা সওয়াব পৌঁছানোর নামে উল্লিখিত কাজগুলো সম্পূর্ণ বিদআত এবং নাযায়েজ। তার কারণ হলো এসব কাজের মধ্যে কোনটিই রাসূলুল্লাহ ﷺ এর পক্ষ থেকে অনুমোদিত নয়। শুধু তাই নয়, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর পর তাঁর কোন সাহাবায়ে কেরামও এসব কাজ কোন মৃত ব্যক্তির জন্য করেছেন বলে তার কোন প্রমাণ নেই। সুতরাং দ্বীনি আমলের ক্ষেত্রে মূলত যে কাজ রাসূলুল্লাহ ﷺ এর পক্ষ থেকে অনুমোদিত নয় কিংবা সাহাবায়ে কেরামের কোন আমল থেকেও প্রমাণিত নয় তা হলো বিদআত। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মুসলিম সমাজে এসব কাজ নিয়মিত হচ্ছে। কিছু আলেম-উলামা এতে অংশ গ্রহণ করার কারণে সাধারণ লোকজন এসব কাজকে সওয়াবের কাজ মনে করে নির্দ্বিধায় করে যাচ্ছে। তাই আমাদের কর্তব্য হলো- এসব কুপ্রথা ও বিদআত থেকে বিরত থাকা। যারা এসব অনুষ্ঠানের জন্য দাওয়াত করে তাদেরকে বিষয়টি ভালোভাবে বুঝিয়ে দিলে এবং এ ব্যাপারে জায়েয পদ্ধতিতে ইসালে সওয়াবের পথ বলে দিলে আশা করা যায়, তারা তা মেনে নেবে। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে বিদআত ও কুপ্রথা থেকে হেফাজত করুন এবং সুন্নাতের উপর আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/274/26
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।