hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

যেসব কারণে ইবাদাত বরবাদ হয়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২২
মাস ও দিন কেন্দ্রিক বিদআত
আশুরা কেন্দ্রিক বিদআত :

মহররম মাসের ১০ তারিখ আশুরার দিনকে কেন্দ্র করে খিচুড়ি বা বিরানী খাওয়া এবং মাতমের অনুষ্ঠান করা, তাজিয়া মিছিল করা ইত্যাদি বিদআত।

প্রকৃতপক্ষে আশুরার দিন ও তার পূর্ববর্তী অথবা পরবর্তী দিন- এ দুদিন একমাত্র নফল রোযা রাখাই সুন্নাত। এছাড়া অন্য কোন আমলের শরয়ী ভিত্তি নেই। নবী ﷺ বলেন,

صِيَامُ يَوْمِ عَاشُرَاءَ اَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ اَنْ يَّكَفِّرَ السَّنَةَ اللَّتِىْ قَبْلَه ̒

আমি আল্লাহর নিকট আশা রাখি যে, আশুরার রোযা বিগত এক বছরের গোনাহের কাফফারা হয়ে যাবে। [সহীহ মুসলিম, হা/২৮০৩; আবু দাউদ, হা/২৪২৭; তিরমিযী, হা/৭৫২; ইবনে মাজাহ, হা/১৭৩৮; ইবনে খুযাইমা, হা/২০৮৭; ইবনে হিববান, হা/৩৬৩২; মিশকাত, হা/২০৪৪; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১০১৭।]

সফর মাসের শেষ বুধবার ‘আখেরী চাহার শোম্বা’ পালন করা :

সফর মাসের শেষ বুধবারকে ফার্সীতে বলা হয় ‘আখেরী চাহার শোম্বা’। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর জীবনের শেষ পর্যায়ে সফর মাসের শেষ বুধবারে অসুস্থতা থেকে সুস্থতা অনুভব করেছিলেন। তাই ঐ দিনকে কেন্দ্র করে তা পালন করা এবং ঐ দিন কলাপাতা কিংবা কাগজে কোন দু‘আ লিখে তা ভিজিয়ে ঐ পানি দিয়ে গোসল করা হলে এবং ঐ পানি পান করা হলে সারা বছর রোগমুক্ত থাকা যাবে- এসব আক্বীদা-বিশ্বাস সম্পূর্ণ নব উদ্ভাবিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ যেমন ঐ দিনের কোন ফযীলত বর্ণনা করেননি কিংবা ঐ দিনে কাউকে কোন আমল করতে বলেননি, তেমনি কোন সাহাবায়ে কেরামও ঐ দিবস পালন করেছেন কিংবা ঐ দিনকে কেন্দ্র করে কোন আমল করছেন বলে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। সুতরাং ঐ দিনকে কেন্দ্র করে কোন দিবস পালন করা বা কোন ধরনের আমল করা সম্পূর্ণ বিদআত।

১২ই রবিউল সম্পর্কিত বিদআত :

১২ই রবিউল আওয়াল রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্ম ও মৃত্যু দিবসকে ‘ঈদে মিলাদুন্নাবী’ কিংবা ‘ঈদে আজম’ বলে আখ্যায়িত করা, ঐ দিনকে উদযাপন করা, ঐ দিন কিংবা ঐ মাসকে কেন্দ্র করে গরু-ছাগল যবেহ করা, খানাপিনার আয়োজন করা, ঐ দিন বা ঐ মাসকে কেন্দ্র করে ঈদে মিলাদুন্নাবী মাহফিল করা, জশনে-জুলুছ করা এসব কাজকর্ম সম্পূর্ণ বিদআত।

রবিউল আওয়াল মাসেই সীরাতুন্নাবী মাহফিল করা কিংবা ঐ মাসেই বার্ষিক সীরাতুন্নাবী মাহফিল করা বাধ্যতামূলক নয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সীরাত উম্মতের জন্য পথ ও পাথেয় হিসেবে তাঁর সীরাতের উপর মাহফিল বা আলোচনা বৎসরের যেকোন মাস বা যেকোন দিন করা যেতে পারে। তার জন্য রবিউল আওয়াল মাস নির্দিষ্ট করার কোন শরয়ী ভিত্তি নেই।

শবে মেরাজের বিশেষ আমল :

রজব মাসের ২৭ তারিখ শবে মিরাজকে কেন্দ্র করে মেরাজের নামায পড়া ও মেরাজের রোযা রাখা বিদআত। কারণ ঐ তারিখের দিনে বা রাতে কোন আমলের কথা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে বর্ণিত হয়নি। আর যে ব্যাপারে আল্লাহর রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে কোন আমল বর্ণিত হয়নি কিংবা তিনি করতে বলেননি, সে ব্যাপারে কেউ কোন আমল করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

শবে বরাতের বিশেষ অনুষ্ঠান :

শা‘বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে ‘নিসফু শা‘বানের’ পরিবর্তে ‘শবে বরাত’ আখ্যায়িত করা, ঐ রাতকে কেন্দ্র করে মসজিদ আলোকসজ্জা করা, শবে বরাতের নিয়তে ১২ রাক‘আত বা ১০০ রাক‘আত নামায পড়া, মাহফিল করা, বিশেষ মুনাজাতের অনুষ্ঠান করা, ফজরের জামাআতের সময় এগিয়ে আনা, ঐ দিন গরু-ছাগল, মুরগী জবেহ করা ইত্যাদি সবধরনের আনুষ্ঠানিকতা বিদআত।

প্রকৃতপক্ষে শা‘বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতের নাম হলো ‘নিসফু শা‘বান’। এ নিসফু শা‘বানকে ‘শবে বরাত’ হিসেবে নামকরণ করা কোন শরয়ী পরিভাষা নয়। বরং শবে বরাত হলো ফার্সী পরিভাষা। যার অর্থ ভাগ্য রজনী। নিসফু শা‘বান বা শা‘বানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত কোন ভাগ্য রজনী নয়। মূলত ভাগ্য রজনী হলো ক্বদরের রাতসমূহ।

অনেক মানুষ ধর্মীয় জ্ঞানে অজ্ঞ থাকার কারণে তাদের অবস্থা হীতে বিপরীত হয়ে যায়। অর্থাৎ তারা অনেক কাজকে সওয়াব মনে করে থাকে; কিন্তু এর দ্বারা সওয়াব না হয়ে বরং গোনাহ হয়ে যায়। যেমন শবে বরাতে খানার বিশেষ ব্যবস্থা করা, গরু, ছাগল, মোরগ ইত্যাদির গোস্ত সংগ্রহ করাকে আবশ্যক মনে করা এবং হালুয়া-রুটি পাকানো ইত্যাদি। ঐ রাতগুলোতে বেশি করে বাতি জ্বালানো, চাই মসজিদে হোক অথবা ঘরে হোক, এগুলো হিন্দুদের বৈশিষ্ট্য। তারা তাদের পূজার মধ্যে এগুলো করে থাকে। মুসলমানদের এগুলো করা মানে হিন্দুদের সাথে সামঞ্জস্যতা অবলম্বন করা।

এ রাতে আতশবাজীর মধ্যে টাকা-পয়সা ব্যয় করা, নিজে করুক বা ছেলেমেয়েদের মাধ্যমে করানো হোক, অপব্যয়কারীদের মধ্যে শামিল হয়ে বড় গোনাহগার হবে। এর জন্য তাওবা করা জরুরি।

এ রাতে হালুয়া-রুটি পাকানোর প্রচলন শিয়া সম্প্রদায় থেকেই প্রবেশ করেছে। আর এ প্রথাকে এত গুরুত্ব দেয়া হয় যে, যদি হালুয়া পাকানো না হয়, তাহলে শবে বরাতই আর হবে না। এটাকে ফরয-ওয়াজিবের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়।

নিসফু শা‘বান বা শা‘বানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতের ব্যাপারে আমাদের উপমহাদেশে প্রচলিত আমলগুলো যেমন সহীহ হাদীস সম্মত নয়, তেমনি একে কেন্দ্র করে প্রচলিত যেসব প্রাসঙ্গিক আমল সৃষ্টি হয়েছে তা সবই বিদআত।

বস্তুত কেউ প্রতি রাত যেসব ইবাদাত করে এ রাতেও তা-ই করবে। যেমন তাহাজ্জুদের নামায পড়বে ও দু‘আ, যিকির, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি করতে পারবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন