মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
হে মানবজাতি! তোমরা তোমাদের রবের ইবাদাত করো, যিনি তোমাদেরকে ও তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে সৃষ্টি করেছেন, যেন তোমরা তাক্বওয়া অর্জন করতে পার। (সূরা বাক্বারা- ২১)
ইবাদাত হচ্ছে মানুষের প্রতি আল্লাহর হক বা অধিকার :
মানুষের প্রতি আল্লাহর হক বা অধিকার হচ্ছে কোন প্রকার শিরক না করে শুধুমাত্র তাঁরই ইবাদাত করা। হাদীসে এসেছে,
মু‘আয ইবনে জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এক সময় নবী ﷺ এর বাহনের পেছনে বসা ছিলাম। আমার ও নবী ﷺ এর মাঝে হাওদার কাঠের টুকরা ব্যতীত অন্য কোন ব্যবধান ছিল না। এমতাবস্থায় নবী ﷺ বললেন, হে মু‘আয ইবনে জাবাল! আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি উপস্থিত আছি। অতঃপর তিনি কিছু দূর অগ্রসর হয়ে পুনরায় বললেন, হে মু‘আয ইবনে জাবাল! আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি উপস্থিত আছি। অতঃপর তিনি কিছু দূর অগ্রসর হয়ে পুনরায় বললেন, হে মু‘আয ইবনে জাবাল! আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি উপস্থিত আছি। তিনি বললেন, তুমি কি জান, বান্দার উপর আল্লাহর কী হক রয়েছে? আমি বললাম, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। নবী ﷺ বললেন, বান্দার উপর আল্লাহর হক হলো তারা তাঁর ইবাদাত করবে এবং তাঁর সঙ্গে কোন কিছুকে শরীক করবে না। অতঃপর কিছু দূর চলার পর আবার বললেন, হে মু‘আয ইবনে জাবাল! আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি উপস্থিত আছি। নবী ﷺ বললেন, তুমি কি জান, এগুলো করলে আল্লাহর কাছে বানদার কী হক আছে? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। নবী ﷺ বললেন, আল্লাহ তা‘আলা তাকে শাস্তি দেবেন না। [সহীহ মুসলিম, হা/১৫৪।]
ইবাদাত করতে হবে মৃত্যু পর্যন্ত :
﴿وَاعْبُدْ رَبَّكَ حَتّٰى يَاْتِيَكَ الْيَقِيْنُ﴾
হে নবী! যতক্ষণ পর্যন্ত তোমার কাছে নিশ্চিত বিষয় (মৃত্যু) না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তুমি তোমার রবের ইবাদাত করতে থাকো। (সূরা হিজর- ৯৯)
তিনি আকাশমন্ডলী, পৃথিবী ও তাদের মধ্যবর্তী সবকিছুর প্রতিপালক। সুতরাং তাঁরই ইবাদাত করো এবং তাঁর ইবাদাতে ধৈর্যশীল হও। তুমি কি তাঁর সমগুণসম্পন্ন কাউকে জান? (সূরা মারইয়াম- ৬৫)
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমরা আমলের ব্যাপারে দ্রুতগামী হও, অন্ধকার রাতের মতো ঘনিয়ে আসা ফিতনা আগমনের পূর্বে। তখন কোন ব্যক্তি সকাল করবে মুমিন অবস্থায় এবং সন্ধ্যা করবে কাফির অবস্থায়। আবার সন্ধ্যা করবে মুমিন অবস্থায় এবং সকাল করবে কাফির অবস্থায়। দুনিয়ার সামান্য স্বার্থের কারণে সে তার দ্বীনকে বিক্রি করে দেবে। [সহীহ মুসলিম, হা/৩২৮।]
সকল নবীই মানুষকে ইবাদাতের দিকে আহবান করেছেন
আল্লাহ তা‘আলা যেসকল নবী পাঠিয়েছেন সকল নবীরই মূল দায়িত্ব ছিল মানুষকে এক আল্লাহর ইবাদাতের দিকে আহবান করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
আমি তো নূহকে তার সম্প্রদায়ের নিকট পাঠিয়েছিলাম। অতঃপর সে বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! আল্লাহর ইবাদাত করো, তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন ইলাহ নেই। (সূরা আ‘রাফ- ৫৯)
আমি আদ জাতির নিকট তাদের ভাই হুদকে পাঠিয়েছিলাম। সে বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর ইবাদাত করো, তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই। তবুও কি তোমরা তাঁকে ভয় করবে না? (সূরা আ‘রাফ- ৬৫)
সামূদ জাতির নিকট তাদের ভাই সালেহকে পাঠিয়েছিলাম। সে বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর ইবাদাত করো। তিনি ব্যতীত তোমাদের জন্য অন্য কোন ইলাহ্ নেই। (সূরা আ‘রাফ- ৭৩)
আমি মাদইয়ানবাসীর নিকট তাদেরই ভাই শুয়াইবকে পাঠিয়েছিলাম। সে বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদাত করো, তিনি ছাড়া তোমাদের জন্য অন্য কোন সত্য মাবুদ নেই। (সূরা আ‘রাফ- ৮৫)
তোমরা কি ঐ সময় উপস্থিত ছিলে, যখন ইয়াকূবের মৃত্যু উপস্থিত হয় এবং তিনি নিজ পুত্রদেরকে বলেছিলেন, আমার (মৃত্যুর) পর তোমরা কোন জিনিসের ইবাদাত করবে? তারা বলেছিল, আমরা আপনার ইলাহ্ এবং আপনার পিতৃপুরুষ ইবরাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের মাবুদের ইবাদাত করব। তিনি একক উপাস্য এবং আমরা তাঁরই অনুগত থাকব। (সূরা বাক্বারা- ১৩৩)
হে কারাসঙ্গীদ্বয়! ভিন্ন ভিন্ন বহু প্রতিপালক শ্রেয়, না পরাক্রমশালী এক আল্লাহ? তাঁকে ছেড়ে তোমরা কেবল কতগুলো নামের ইবাদাত করছ, যে নামগুলো তোমাদের পিতৃপুরুষ ও তোমরাই রেখেছ। এগুলোর কোন প্রমাণ আল্লাহ পাঠাননি। বিধান দেয়ার অধিকার কেবল আল্লাহরই। তিনি আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাঁরই ইবাদাত করবে, আর এটাই শাশ্বত দ্বীন; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না। (সূরা ইউসুফ- ৩৯, ৪০)
বলো, হে আহলে কিতাব! তোমরা এমন একটি কালিমার দিকে এসো, যা তোমাদের এবং আমাদের মধ্যে সমান। আর তা হলো, আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করব না এবং তার সাথে কোনকিছুকে শরীক স্থাপন করব না; আর আমাদের কেউ অপর কাউকে রব হিসেবে গ্রহণ করবে না। এরপরও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে বলে দাও, তোমরা সাক্ষী থাকো যে, আমরা মুসলিম। (সূরা আলে ইমরান- ৬৪)
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/274/4
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।