মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ভূমিকাঃ বারযাখী জীবন কেমন? এর সংক্ষিপ্ত উত্তর এই যে এ ব্যাপারে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই সর্বাধিক অবগত আছেন, যে জিনিষ মানুষ কোন দিন দেখে নাই, যে ব্যাপারে মানুষের কোন অবিজ্ঞতা নেই, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোন কথা বলা মোটেও সম্ভব নয়। এর পরও কোন কোন হযরতগণ বারযাখী জীবন সম্পর্কে এমন কিছু কথা বলেছেন যা মোটেও কিতাব ও সুন্নাত মোতাবেক নয়। যেমনঃ
১ - আওলিয়ায়ে কেরাম তাদের কবরে তারা স্থায়ীভাবে জীবিত আছেন, তাদের জ্ঞান, পঞ্চইন্দ্রিয় আগের চেয়ে বেশী গুণে সক্রিয় আছে।[1]
২ - শেখ আবদুল কাদের জিলানী (রাহিমাহুল্লাহ) সব সময় দেখেন এবং সকলের ডাক শোনেন।[2]
৩ - সে মৃত কিন্তু সব কিছু শোনেন এবং প্রিয় জনদের মৃত্যুর পর তাদেরকে সহযোগীতা করেন।
৪ - ইয়া আলী, ইয়া গাউস, বলা জায়েজ, কেননা আল্লাহর প্রিয় বান্দারা বারযাখে থেকে তা শোনেন।[3]
৫ - ওলীগণ মৃত্যুর পর জীবিত থাকে, তাদের কার্যক্রম, কেরামাত, এবং তাদের ফয়েজ, রিতিমত চালু আছে, তাদের গোলাম, খাদেম, মাহবুব, এবং তাদের প্রতি সুধারণা পোষণ কারীরা এ থেকে উপকৃত হয়ে থাকে।[4]
৬ - আল্লাহর ওলী মৃত্যুবরণ করে না বরং এক ঘর থেকে অন্য ঘরে স্থানান্তরিত হয়, তাদের রুহ সমূহ শুধু একদিনের জন্য বের হয়, আবার তা তাদের শরীরে পূর্বের ন্যায় স্থাপিত হয়ে যায়।[5]
৭ - মাশায়েখ গণের রুহানিয়্যত থেকে উপকৃত হওয়া এবং তাদের সিনা ও কবর থেকে বাতেনী ফায়েজ লাভ করা জায়েজ।[6]
৮ - হাজী এমদাদুল্লাহ মোহাজেরে মক্কী স্বীয় মোরশেদ মিয়া হাজী নূর মোহাম্মদ সাহেবের মৃত্যুর সময় তার পার্শ্বেই ছিলেন, তিনি বলেনঃ “মৃত্যু রোগে আক্রান্ত হওয়ার সময় যখন আপনি বলেছিলেনঃ যে পরকালের সফরের সময় চলে এসেছে, তখন আমি পালকীর কিনারা ধরে কাঁদতে ছিলাম, হযরত তখন আমাকে সান্তনা দিতে গিয়ে বললেনঃ “ফকীর মৃত্যুবরণ করেনা, বরং এক এক স্থান থেকে অন্যস্থানে স্থানান্তরিত হয়, ফকীরের কবর থেকেও ঐ উপকার হাসীল করা যাবে যা সে জীবিত থাকা কালে তার কাছ থেকে পাওয়া গেছে।”[7]
৯ - মাওলানা আহমদ ইয়ার (রাহিমাহুল্লাহ) দুনিয়া থেকে চলে গেছেন, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। কিন্ত স্মরণ রাখুন! সিলসিলা নখশা বন্দীয়া ওআইসিয়ার প্রতিষ্ঠাতা তিনিই ছিলেন এবং তিনিই থাকবেন। ওআইসিয়ার সম্পর্ক রুহ থেকে রুহের ফয়দা হাসিলের নাম। দুনিয়া হোক আর বারযাখ, রুহ থেকে একই রকমের ফায়দা হাসিল হয়। পার্থক্য শুধু এতটুকু যে দুনিয়াতে সবাই তার খেদমতে উপস্থিত হতে পারত, আর বারযাখে এমন এক ব্যক্তির প্রয়োজন হয় যে তাকে বারযাখ পর্যন্ত পথ দেখাবে এবং ওখান পর্যন্ত লোকদেরকে পৌঁছাবে। আর একাজ ঐ লোকেরাই করতে পারে যারা ঐ হযরতদের খাদেম ছিল, ফয়েজ তারাই হাসিল করবে, তবে এ ফয়েজের বন্টন হয় খলীফাদের মাধ্যমে।[8]
১০ - হযরতজী (রাহিমাহুল্লাহ) (মওলানা ইয়ার খাঁন) মৃত্যুবরণ করেছেন, তার শরীর মোবারক তার রুমে আরাম করছিল, আর রুহ মোবারক উচ্চ ইল্লিয়ীনে আল্লাহর প্রতি মোতাওজ্জেহ ছিল, ফজরের নামায দরুল ইরফানে আদায় করেছেন, আর এখানে আমি তার আত্মাকে দরুল ইরফানের দিকে মোতাওজ্জেহ অবস্থায় দেখতে পেলাম, ভাই কণেল মতিলুব হুসাইন বার বার বলতে লাগলেন যে হযরত জীর কাছ থেকে কেন অনুমতি নিচ্ছেন না, যে তাকে দারুল ইরফানে দাফন করা হোক আমি অনুমতি পাওয়ার জন্য যথেষ্ঠ চেষ্টা করতে গিয়ে বলেছি, যে হযরত আপনার পরিবার বর্গকে এখানে ঘর বানিয়ে দেই, তাহলে তারা ইনশাআল্লাহ পরিপূর্ণ ভাবে আরাম ভোগ করতে পারবে। কিন্ত না তিনি বললেনঃ জীবিত কালে বহু মানুষ আমার উপর নির্ভরশীল ছিল, আর আল্লাহ আমাকে তাদের আশ্রয় স্থল নির্ধারণ করেছেন, তুমি তাদের সবাইকে এখানে আনতে পারবে না, এখন আমার কবর তাদের জন্য ঐ রকম আশ্রয় স্থল হিসেবে কাজ করবে, যেমন আমার জীবিত কালে আমি তাদের প্রয়োজন পুরা করেছিলাম,[9]
১১ - আবুসাঈদ ফাররাজ বলেনঃ আমি মক্কা মোকররামায় ছিলাম সেখানে বানী শাইবা গেটে এক ব্যক্তির লাশ পরে ছিল, আমি যখন তার দিকে তাকালাম তখন সে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাঁশি হাশতে লাগল এবং বললঃ হে আবুসাঈদ তুমি জাননা যে আল্লাহর মাহবুবরা জীবিত থাকে, যদিও বাহ্যিক ভাবে মৃত্যু বরণ করে, কিন্তু হাকীকতে তারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানন্তরিত হয়।[10]
উল্লেখিত আক্বীদা সমূহের মূল কথা হল মৃতরা শোনতে পায়। তাই আমাদেরকে কিতাব ও সুন্নাতের আলোকে দেখতে হবে যে মৃতরা শোনতে পায় এটা কি সঠিক আক্বীদা না ভূল?
ফুটনোট
[1] - আমজাদ আলী লিখিত “বাহারে শরীয়ত পুঃ ৫৮।
[2] - মুফতী আবদুল কাদের লিখিত ইলাতুজ জালালাপূঃ ৭।
[3] - আনোয়ারুল্লাহ কাদেরী লিখিত ফতোয়া রেজবিয়া পৃঃ৫৩৭।
[4] - আহমদ ইয়ার খাঁন বেরলোভী লিখিত ফতোয়া রেজভীয়া, ৪খঃপৃঃ২৩।
[6] - খলীল আহমদ সাহারান পুরী লিখিত আল মোহান্নাদ আলা আল মোনাফফাদ পূঃ ৩৯।
[7] - মাওলানা যাকারিয়া লিখিত তারিখ মাশায়েখে চিশত পৃঃ২৩৪।
[8] - মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম লিখিত এরশাদুস্সালেকীন ১/খঃ পৃঃ ২৫।
[9] - মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম লিখিত ইরশাদুস্সালেকীন পৃঃ২০।
[10] - রিসালা আহকাম কবুরুল মুমেনীন, ২/খঃ পৃঃ২৪৩।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/298/13
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।