মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
عن أبي هريرة بينه قال : قال رسو الله . واكثروا ذكر هاذم اللذات ) يعني الموت . رواه ابن ماجة
অর্থঃ আবু হুরাইরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সাধসমূহ কতন কারী অর্থাৎ মৃত্যুর কথা বেশি বেশি করে স্মরণ কর। (ইবনে মাযাহ)[1]
মাসআলা-২ মৃত্যুকে বেশি বেশি করে স্মরণ কারীরাই জ্ঞানীঃ
عن ابن عمر رضي الله عنهما أنه قال كنت مع رسول الله : فجاءه رجل من الانصار ثم قال يا رسول الله يا المؤمنين افضل ؛ قال (( احسنهم خلقا ، قال فسلم على النبي ؟ قال (( اكثرهم بنموت ذکر اور اخسهم لما بعده استعدادا، اولئک قصر المؤمنين اكي الايا )) رواه ابن ماجة
আবদুল্লাহ বিন ওমার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমি একদা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছিলাম হটাৎ করে তখন আনসারদের এক লোক তাঁর নিকট আসল এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সালাম দিল, অতঃপর বললঃ হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন মোমেন সর্বোত্তম? তিনি বললেনঃ তাদের মধ্যে যে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী, সে আরো জিজ্ঞেস করল যে মোমেনদের মধ্যে অধিক বুদ্ধিমান কে? তিনি বললেন ও তাদের মধ্যে সর্বাধিক মৃত্যুর কথা স্মরণ কারী এবং মৃত্যুর পরবর্তী স্তর সমূহের জন্য সর্বাধিক প্রস্তুতি গ্রহণ কারী, সেই সবচেয়ে বুদ্ধিমান।[2]
عشر عشرة . فقام رجل من الانصار ، عن ابن عمر رضي الله عنهما ، قال أتيت النبي ، من كيش الناس و اخزم الناس ؟ قال (( اكثرهم ذكرا للموت ، و اكثرهم فقال : يا نبى الله ا عدادا لمؤت، أولبك الاكياس ذهبوا بشرف الدنيا و كرامة الأخرة )) رواه الطبرانی
আবদুল্লাহ্ বিন ওমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর খেদমতে উপস্থিত দশজন ব্যক্তির মধ্যে আমি দশম ছিলাম, আনসারদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি দাড়িয়ে বললঃ যে, হে আল্লাহর নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সবচেয়ে বুদ্ধিমান মানুষ? এবং কে সবচেয়ে হুশিয়ার? তিনি বললেনঃ যে তাদের মধ্যে সর্বাধিক মৃত্যুর কথা স্মরণ করে এবং যে, এর জন্য সর্বাধিক প্রস্তুত থাকে। তারাই সর্বাধিক বুদ্ধিমান, তারাই পৃথিবীতে সম্মান ও পরকালে মর্যাদাবান হয়েছে। (তাবারানী)[3]
মাসআলা-৩ মৃত্যুর কথা স্মরণ করা ইবাদতঃ
كر عند البيت رجل بعبادة و اجنها فقال : (( كيف ذكر صاحبكم بنه قال عن أنس كرة ، قال : (( ليس صاحبكم هناك )) رواه البار للمؤت؟ )) قالوا ما تشمع ( حسن )
অর্থঃ আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এক ব্যক্তির এবাদত ও সাধনার কথা বলা হল, তখন তিনি বললেনঃ তোমাদের সাথী মৃত্যুর কথা কিরকম স্মরণ করে? তারা বললঃ আমরা তাকে তা স্মরণ করতে শুনিনা। তিনি বললেনঃ তাহলে তোমাদের সাথী ইবাদতের সঠিক স্তরে পৌঁছতে পারে নাই।[4]
، فجعل اصحاب عن سهل بن غيرن الساعدی دننه قال مات رجل من أصحاب النبي الله را ساکت ، فلما سكتوا قال شول الله ويثنون عليه ، ويذكرون م عبادته و رش ر ذكر الموت؟ )) قالوا : لا . قال : (( فهل كان يد كثيرا مما رسول الله صلى الله عليه وسلم (( هل كان ي يشتهى؟ )) قالوا : لا . قال : (( ما بلغ صاحبكم كثيرا ما تذهبون اليه )) رواه الطبرانی ( حسن )
অর্থঃ সাহাল বিন সা‘আদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবাগণের মধ্যে কোন এক সাহাবী ইন্তেকাল করল, তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবাগণ তার ইবাদতের কথা স্মরণ করতে লাগল, আর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চুপ করে থাকলেন, যখন তারা চুপ করল তখন তিনি বললেনঃ যে সে কি মৃত্যুর কথা বেশি বেশি করে স্মরন করত? তারা বললঃ না, তিনি বললেনঃ সে কি মনের চাহিদাকে ত্যাগ করেছিল? তারা বললঃ না, তখন তিনি বললেনঃ তোমরা যে মর্যাদা পেয়েছ সে তা পায় নাই। (ত্বাবারানী)[5]
মাসআলা-৪ মৃত্যু ও কবরকে স্মরণ কারী সঠিক অর্থে আল্লাহর ব্যাপারে লজ্জা করেঃ
عن عبدالله بن مسعود ده قال : قال رسول الله : (( استخيوا من الله حق الحياء )) قلنا : إنا نتخي و الحمد لله، قال (( ليس اك و لكن الاستياء من الله حق الحياء یا نبی الله أن تخفظ الأس، وما وعى ، و تحفظ البطن، وما حوى ، و تتذكر الموت و البلى ، ومن اراذ الآخرة ترك زينة الدنيا فمن فعل ذلك فقد اشتخیی )) يعنى من الله حق الحياء . رواه الترمذی
অর্থঃ আবদুল্লাহ্ বিন মাসউদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহর ব্যাপারে লজ্জা করার মত লজ্জা কর, আমরা বললাম হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! অবশ্যই আমরা লজ্জা করি আলহামদুলিল্লাহ্, তিনি বললেনঃ এটা উদ্দেশ্য নয়, বরং আল্লাহর ব্যাপারে লজ্জা করার মত লজ্জা করার অর্থ হল এই যে, তোমার মাথা এবং মাথায় যা কিছু আছে তা সংরক্ষন করবে, (অর্থাৎ চোখ, কান, যবান ইত্যাদি) এবং পেট সংরক্ষন করবে, (যাতে সেখানে হারাম কোন কিছু না যায়) ও পেটের সাথে যা কিছু আছে তাও সংরক্ষন করবে, (অর্থাৎ লজ্জাস্থান ও হাত, পা, ইত্যাদি) এবং স্মরণ কর মৃত্যু ও কবরে হাড্ডি সমূহ চুর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা, আর যে ব্যক্তি পরকালে মুক্তির আশা রাখে সে যেন পৃথিবীর চাকচিক্যতাকে ত্যাগ করে, আর যে তা করবে সে লজ্জা করার মত লজ্জা করল) অর্থাৎঃ আল্লাহর ব্যাপারে লজ্জা করার মত লজ্জা করল।[6]
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।