মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
অর্থঃ যাদের মৃত্যু ঘটায় ফেরেশতাগণ তারা নিজেদের প্রতি যুলুম করতে থাকা অবস্থায়, অতঃপর তারা আত্মসমর্পন করে বলবেঃ আমরা কোন মন্দ কর্ম করতাম না, হাঁ তোমরা যা করতে সে বিষয়ে আল্লাহ্ সবিশেষ অবহিত। সুতরাং তোমরা দ্বার সমূহের মাধ্যমে জাহান্নামে প্রবেশ কর, সেথায় স্থায়ী হওয়ার জন্য, দেখ অহংকার কারীদের আবাসস্থল কত নিকৃষ্ট! (সূরা নাহাল ২৮-২৯)
মাসআলা-৩৩ কাফেরের রুহ কবজ করার সময় ফেরেশতা তার চেহারা ও পিঠে থাপ্পর দেয় এবং সাথে সাথে তাকে জাহান্নামের সুসংবাদও দেয়ঃ
অর্থঃ হে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তুমি যদি ঐ অবস্থা দেখতে যখন ফেরেশতাগণ কাফেরদের মুখমন্ডল ও পৃষ্ঠদেশে আঘাতহেনে তাদের মৃত্যু ঘটিয়েছে, (আর বলছে) তোমরা যন্ত্রনা দায়ক শাস্তির স্বাদ গ্রহণ কর। (সূরা আনফাল-৫০)
অর্থঃ আর তুমি যদি দেখতে পেতে যখন যালিমরা সম্মুখীন হবে মৃত্যু সংকটে, আর ফেরেশতারা হাত বাড়িয়ে বলবে, নিজেদের প্রাণ গুলি বের কর, আজ তোমাদেরকে সে সব অপরাধের শাস্তি হিসেবে লাঞ্ছনাময় শাস্তি দেয়া হবে যে, তোমরা আল্লাহর উপর মিথ্যা দোষারোপ করে অকারণ প্রলাপ বকছিলে এবং তার আয়াত সমূহ কবুল করতে অহংকার করছিলে। (সূরা আনআ’ম -৯৩)
মাসআলা-৩৫ কাফেরের রুহ কবজ করার জন্য কাল চেহারা বিশিষ্ট আযাবের ফেরেশতা আসবেঃ
মাসআলা-৩৬ কাফেরের রুহ পেচানোর জন্য ফেরেশতা সাথে করে চটের কাফন নিয়ে আসেঃ
মাসআলা-৩৭ কাফেরের রুহ তার শরীর থেকে এত কষ্টের সাথে বের হয়, যেমন কোন লোহার শিখ কোন খুটি থেকে বের করা কষ্ট কর।
মাসআলা-৩৮ কাফেরের রুহ থেকে পৃথিবীতে বিদ্ধমান নিকৃষ্ট তম দূর্গন্ধের ন্যায় দূগন্ধ আসে।
মাসআলা-৩৯ আকাশে নেয়ার পথে যে সমস্ত ফেরেশতাদের পাশ দিয়ে তাকে অতিক্রম করতে হয় সে সমস্ত ফেরেশতা গণই তাকে লা’নত করে।
মাসআলা-৪০ কাফেরের রুহ আল্লাহর নিকট নেয়ার জন্য প্রথম আকাশের দারওয়ান ফেরেশতার নিকট দরজা খোলার জন্য দরখাস্ত করলে সে দরজা খোলতে অসম্মতি জানাবে।
মাসআলা-৪১ আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশ আসে যে এ কাফেরের নাম সপ্তম যমিনের নিচে সিজ্জিনে রের্কড কর।
মাসআলা-৪২ সিজ্জিনে রের্কড করার পর কাফেরের রুহ অত্যন্ত লাঞ্ছনার সাথে প্রথম আকাশ থেকে পৃথিবীতে নিক্ষেপ করা হয়।
عن البراء بن عازب ، قال : خرجنا مع رشول الله تجز في جنازة رجل من الأنصار فانتهينا إلى القبر وما يلحد بعد، فجلس رسول الله وجلسنا حوله كانما على زر ويا الطير فى يده غؤد ينگ به في الأرض فرفع رأسه فقال : (( استعينوا بالله من عذاب القبر )) مرتين أو ثلاثا ثم قال (( و إن العبد الكافر إذا كان في انقطاع من الدنيا و اقبال من الآخرة نزل اليه من الماء ملائكة ود الؤ جو معهم المشوح فيجلسون منه مد البصر ، ثم يجى ملك الموت حتى يجلس عند رأسه فيقول : ايتها التفت الخبيثة ؛ أخرجي إلى خط من الله وغضب قال فتفرق في جسده فينتزعها كما ينتزع الشفوذ من الزي المؤل، فيأخدها ، فإذا اخدها لم يدعوها فى يده طرفة عين حتى يجعلوها في تلك المشوح، ويخرج منها كانت ريح جيفة وجدت على وجه الارض فيضعذون بها فلا يميزون بها على ملاء من الملائكة الأ قالوا : ماهذه الريح الخبيثة ؛ فيقولون : فلان ابن فلان ، باقبح أسمائه التى كان يسمى بها في الدنيا ، حتى ينتهي بها الى السماء الدنيا - أشتقت له فلا يفتح له ، ثم قرأ رسول الله بن لا تفتح لهم ابواب السماء، ولا يدخلون الجنة حتى يلج الجمل في سم الخياط ب ( الاعراف : 40 ، فيقول الله عز وجل : اكتبوا كتاب فى سجين في الارض الشفلى ، فتطرح روح طحا، ثم قرأ : ومن يشرك بالله فكانما تمر من الماء فتخطفة الطير او تفوی به اليخ في مكان سحيق ( الحج : 31) رواه أحمد
অর্থঃ বারা বিন আযেব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ একদা আমরা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে এক আনসারী সাহাবীর জানাযায় অংশ গ্রহণ করার জন্য বের হই, আমরা যখন কবরের কাছে গিয়ে পৌঁছলাম তখনও কবর খনন পরিপূর্ণ হয় নাই। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসলেন আমরাও তার সাথে বসে গেলাম, আমরা নিশ্চুপ হয়ে বসে ছিলাম, তাঁর হাতে একটি লাঠি ছিল তা দিয়ে তিনি মাটিতে দাগ কাটতে ছিলেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হটাৎ তাঁর মাথা উঠিয়ে বললঃ কবরের আযাব থেকে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। এ কথা তিনি দুই বা তিন বার বললেনঃ অতঃপর বললেনঃ কাফের ব্যক্তি যখন পৃথিবী ত্যাগ করে পরকাল মুখী হয় তখন তার নিকট কাল চেহারা বিশিষ্ট ফেরেশতা চটের কাফন নিয়ে এসে তার দৃষ্টি শক্তির নাগালে বসে অতঃপর মালাকুল মাওত এসে তার মাথার নিকট বসে এবং বলে হে খবীস রুহ! আল্লাহর রাগ ও অসন্তুষ্টির প্রতি বের হও। তখন রুহ শরীর থেকে বের হতে চায় না আর ফেরেশতা তাকে এমন ভাবে বের করে যে ভাবে লোহার শিখ কাঠের খুটি থেকে বের করা হয়।
ফেরেশতা ঐ রুহকে ক্ষনিকের জন্যও ঐ ফেরেশতার হাতে থাকতে দেয় না বরং সাথে সাথে চটের কাফনে পেচিয়ে নেয়। পৃথিবীতে বিদ্ধমান নিকৃষ্ট তম মৃত দেহের দূর্গন্ধের ন্যায় দূর্গন্ধ ঐ রুহ থেকে বের হয়। তখন ফেরেশতা তাকে নিয়ে উপরের আকাশের দিকে যায়, পথিমধ্যে যখনই সে কোন ফেরেশতার পাশ দিয়ে অতিক্রম করে তখনই তারা বলে যে, এ কোন খবীস রুহের দূগন্ধ। উত্তরে ফেরেশতা বলে যে, এটা ওমকের ছেলে ওমকের রুহ, তার নিকৃষ্ট কোন নামের কথা উল্লেখ করা হয় যে নিকৃষ্ট নামে পৃথিবীতে তাকে ডাকা হত। এভাবে ফেরেশতা তাকে নিয়ে পৃথিবীর নিকটবর্তী আকাশের নিকট পৌঁছে গিয়ে আকাশের দরজা খোলার জন্য আবেদন করে, কিন্তু দরজা খোলা হয় না। অতঃপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ আয়াত পাঠ করলেন। তাদের জন্য আকাশের দরজা খোলা হবে না এবং তারা জান্নাতেও প্রবেশ করবে না। যতক্ষন না সূচের ছিদ্র দিয়ে উট প্রবেশ করে। (সূরা আ’রাফ-৪০) অতঃপর আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশ আসে যে, পৃথিবীর নিন্য স্তরে অবস্থিত সিজ্জিনে তাকে রাখ এবং তখন কাফেরের রুহ অত্যন্ত নিকৃষ্ট ভাবে পৃথিবীতে নিক্ষেপ করা হয়।
অতঃপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ আয়াত পাঠ করলেন। আর যে আল্লাহর সাথে শিরক করল সে যেন আকাশ থেকে পড়ল, অতঃপর পাখী তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল। কিংবা বাতাস তাকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে এক দূরবর্তী স্থানে নিক্ষেপ করল। (সূরা হজ্জ -৩১)
মাসআলা-৪৩ কাফেরের রুহ কবজ করার পূর্বে ফেরেশতা কাফেরকে আল্লাহর আযাবের আওয়াজ শোনায় যার ফলে কাফের আল্লাহর নিকট যাওয়া অপছন্দ করে।
নোটঃ প্রমাণ ১৬নং মাসআলার হাদীস।
মাসআলা-৪৪ কাফেরের রুহ কবজ করার সময় ফেরেশতা তাকে সম্ভোধন করে বলে যে, হে খুবীস রুহ! তুমি এক খবীস শরীরে ছিলা এখন লাঞ্ছিত হয়ে বের হও। আর আজ তোমার জন্য সুসংবাদ জাহান্নামের গরম পানি ও পুঁজের ও অন্যন্য আযাবের।
নোটঃ প্রমাণ ২৯ নং মাসআলার হাদীস।
মাসআলা-৪৫ কাফেরের রুহের দূর্গন্ধ অনুভব করে ফেরেশতা তাকে লা’নত করে।
নোটঃ প্রমাণ ৩০ নং মাসআলার হাদীস।
মাসআলা-৪৬ কাফেরের রুহ সিজ্জিনের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় যমিনের দরজার পাহারাদার ফেরেশতা ঐ রুহের দূর্গন্ধ অনুভব করে বর্ণনাতীথ ঘৃনা প্রকাশ করে।
নোটঃ প্রমাণ ২৭ নং মাসআলার হাদীস।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/298/24
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।