মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
কবরের ফেতনা থেকে উদ্দেশ্য মোনকার নাকীরের প্রশ্ন এবং কবরের আযাব উভয়ই। অতএব কবরের ফেতনা থেকে বাঁচার অর্থ হল এই যে কোন ব্যক্তি মোনকার নাকীরের প্রশ্ন এবং কবরের আযাব এ উভয় থেকে রক্ষা পাওয়া।
কবরের ফেতনা থেকে রক্ষা পাওয়ার অর্থ এও হতে পারে যে মোন কার নাকীর প্রশ্ন করবে কিন্ত আল্লাহ তা’লা স্বীয় অনুগ্রহের মাধ্যমে তাকে দৃঢ় পদ রাখবে এবং স্বীয় অনুগ্রহের মাধ্যমে তার শাস্তি যোগ্য গোনাহ সমূহকে ক্ষমা করে দিয়ে তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবেন। আল্লাহই এব্যাপারে ভাল জানেন। কবরের ফেতনা থেকে বাঁচার মত কতিপয় আমল নিম্ন রুপঃ
১-শাহাদাত বরণঃ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহর পথে শাহাদাত বরণ কারী কবরের আযাব থেকে রক্ষা পাবে। (নাসায়ী)
২-পাহারা দানঃ অর্থাৎ ইসলামী রাষ্ট্রের সীমান্ত পাহারা দেয়া বা ইসলামী সৈন্যদেরকে পাহারা দেয়া ও কবরের ফেতনা থেকে বাঁচার মাধ্যম। (তিরমিযী)
উল্লেখ্য রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি দিন সোয়ার পূর্বে সূরা মূলক তেলওয়াত করতেন। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন কবরে যখন আযাবের ফেরেশতা মাথার দিক থেকে আসবে তখন নামায বলবে যে এদিক দিয়ে রাস্তা নেই অন্য কোন দিক দিয়ে আস। তখন ফেরেশতা মৃত ব্যক্তির ডান দিক দিয়ে আসবে, তখন রোজা বলবে যে এদিক দিয়ে রাস্তা নেই অন্য কোন দিক দিয়ে আস, ফেরেশতা তখন বাম দিক থেকে আসবে তখন যাকাত বলবে যে এদিক দিয়ে রাস্তা নেই তুমি অন্য কোন দিক দিয়ে আস, তখন ফেরেশতা পায়ের দিক দিয়ে আসবে তখন অন্য সোয়াব সমূহ যেমন দান খয়রাত, আত্মীয়তার সম্পর্ক এবং মানুষের সাথে সদাচরণ ইত্যাদি বলবে যে এদিক দিয়ে রাস্তা নেই অন্য কোন দিক দিয়ে যাও। (ইবনে হিব্বান)
উল্লেখিত বারটি আমল ব্যাতীত আরো দুইটি পদ্ধতি আছে যা মানুষকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবে, তার মধ্যে একটি হলঃ জুম’আর দিন বা রাতে মৃত্যু বরণ করা অপরটিঃ পেটের কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করা। কিন্তু এদুইটি অবস্থা কোন মানুষের হাতে নেই। কবরের ফেতনা থেকে বাঁচার আমল সমূহের ব্যাপারে প্রিয় পাঠক বর্গকে আমরা এ দৃষ্টি আকর্ষন করছি যে, দ্বীন ইসলামের সমস্ত বিধি-বিধান সমূহ একটি আরেকটির সাথে এমন ভাবে সু-সম্পর্কিত যে একটিকে অপরটি থেকে পৃথক করে কোন রেজাল্ট বের করার চেষ্টা করা মারাত্তক ভুল।
যেমন কোন লোক যদি শুক্রবার রাতে বা দিনে মারা যায়, কিন্ত সে ছিল বে-নামাযী, তাহলে তার বেলায় শুক্রবারে মারা যাওয়া কোন কাজে আসবে না। শুক্র বারে মৃত্যু বরন তার বেলায় ই কাজে আসবে যে ইসলাম অনুযায়ী চলেছে, পিতা-মাতা, স্ত্রি, সন্তান এবং অন্যান্য আত্মীয় স্বজনদের অধিকার সংরক্ষণ করেছে হালাল-হারামের মধ্যে পার্থক্য করেছে এবং অন্যান্য বিষয়ে ও আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের এতায়াত করেছে। এমনি ভাবে যদি কোন ব্যক্তি প্রতি দিন সূরা মুলক তেলওয়াত করে কিন্ত সে কোন ফরজ ত্যাগ কারী, সুদ খোর অন্যান্য কবীরা গোনাগার তাহলে ঐ ব্যক্তিকে সূরা মুলক কি করে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবে? উল্লেখিত আমল সমূহ বিশেষভাবে উল্লেখ করার কারণ হল, কোন ব্যক্তি ইসলামের ফরজ সমূহ পালন করে, কবীরা গোনাহ থেকে বেচে থাকে প্রত্যেক বিষয়ে আল্লাহ এবং তার রাসূলের অনুসরনের চেষ্টা করে অতঃপর উল্লেখিত আমল সমূহের মধ্যে এক বা একাধিক আমলের প্রতি বিশেষভাবে মনযোগী হবে। যেমন নফল নামায বেশি করে আদায় করে বা নফল রোযা বেশি করে রাখে, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজিয়ে রাখে, আল্লাহর পথে বেশি বেশি ব্যায় করে, এমন ব্যক্তির জন্য ঐ আমল গুলির মধ্যে কোন একটি আমল বা একাধিক আমল ইনশাআল্লাহ কবরের ফেতনা থেকে রক্ষা কারী হিসেবে কাজ করবে; সঠিক বিষয়ের ব্যাপারে আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত! দ্বীনের ব্যাপারে মানুষ কিভাবে শয়তানের ধোকায় পরে আছে তা প্রত্যেক ব্যক্তি তার দুনিয়াবী কর্মের সাথে তুলনা করলে তা সহজেই অনুভব করতে পারবে।
চিন্তা করুন পৃথিবীতে যদি কোন মানুষকে প্রথম বার অন্য কোন দেশে সফর করতে হয় তাহলে মানুষ গন্তব্য স্থলে সহীহ সালামতে পৌঁছার জন্য প্রত্যেকটি বিষয়ে কিভাবে জাচাই বাছাই করে। রাস্তার খুটি-নাটি সমস্যা সম্পর্কেও ঐ সমস্ত লোকদেরকে জিজ্ঞেস করা হয় যারা ঐ দেশে কোন সময় গিয়ে ছিল। পাসপোর্ট, ভিসা, টিকেট ইত্যাদি বিষয়ে আপ্রান চেষ্টা করে যেন তার সব কিছু বৈধ হয়, যাতে করে রাস্তায় কোন রকমের সমস্যা না হয়। তার সাথে বহন কৃত মাল পত্রের ব্যাপারে এত সজাগ দৃষ্টি রাখে যেন কোন অবৈধ জিনিস সাথে না থাকে এবং রাস্তায় চেকের সময় অপমান না হতে হয়। প্লেনে আরোহনের পর বিচক্ষন ব্যক্তি যথেষ্ট সতর্কতার সাথে চিন্তা করে যে যাতে কোন অনাকাঙ্খিত অঘটন ঘটে না যায়।
ভ্রমন কালে সব প্রকার সমস্যা যা থেকে ইতিপূর্বে তাকে সর্তক করা হয়েছে তা থেকে বেচেঁ থাকার ব্যাপারে সে সার্বক্ষনিক ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। এত গেল দুনিয়াবী ব্যাপারে, এখন দ্বীনি বিষয়ে দেখুন.....পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে সত্যবাদী, সবচেয়ে আমানত দার, মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি কল্যাণ কামী, মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পৃথিবীর এ জীবনের পর আগত সর্ব প্রকার বিপদাপদ সম্পর্কে একটি একটি করে আমাদেরকে সর্তক করেছেন, অতঃপর ঐ বিপদ থেকে বাঁচার পদ্ধতিও বর্ণনা করেছেন, কিন্তু এর পরও আমাদের মধ্যে কত জন লোক আছে যারা এবিপদাপদ থেকে বাঁচার ব্যাপারে চিন্তিত? অধিকাংশের অবস্থাতে এই যে খালী হাতেই সেখানে পারি জমাচ্ছে। আল্লাহ তা’লা আমাদেরকে শয়তানের চক্রান্ত থেকে রক্ষা করুন, দ্বীনের ব্যাপারে আমাদেরকে সত্য বোঝার এবং সে অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দিন, আমীন!
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/298/8
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।