মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
মাসআলা-৭৮ কবরে নে’মতের প্রকার সমূহঃ মোমেন ব্যক্তি কবরে নিম্ন লিখিত নে’মত সমূহ বা এর মধ্য থেকে কিছু নে’মত ভোগ করবে।
১ - কবরে নির্ভয় এবং প্রশান্তি।
২ - জাহান্নাম থেকে মুক্তির সুসংবাদ।
৩ - জান্নাতের সুসংবাদ, জান্নাতের ভরপুর নে’মত ও আরামের মনোলোভা দৃশ্য।
৪ - জান্নাতের নে’মত সমূহের মাধ্যমে উপকৃত হওয়ার জন্য জান্নাতের দিকে এক দরজা খুলে দেয়া হবে।
৫ - জান্নাতের বিছানা ও লেবাছ।
৬ - কবর ৭০ হাত প্রশস্ত।
৭ - কবরে ১৪ তারিখের রাতের ন্যায় চাঁদের আলো এবং সবুজ বাগানের দৃশ্য।
৮ - কবরে একাকীত্ব দূর করার জন্য নেক আমল সমূহকে সুন্দর আকৃতির মানুষে পরিনত করে সাথী বানানো।
৯ - কিয়ামতের দিন ঈমানের সাথে উঠার সু সংবাদ।
১০ - কিয়ামত পর্যন্ত শান্তি ও আরামের ঘুম।
নোটঃ উল্লেখিত নে’মত সমূহের হাদীস পরবর্তী মাসআলা সমূহে দেখুন।
মাসআলা-৭৯ মোমেন ব্যক্তি কবরে কোন চিন্তা ও পেরেসানী ব্যতীত উঠে বসে।
মাসআলা-৮০ প্রশ্ন উত্তরে কামিয়াব হওয়ার পর মোমেন ব্যক্তিকে জাহান্নাম দেখানো হয় এবং তা থেকে মুক্তির সু সংবাদ দেয়া হয়।
মাসআলা-৮১ জান্নাতের দিকে এক রাস্তা খুলে দিয়ে মোমেন ব্যক্তিকে জান্নাতের নে’মত সমূহ দেখিয়ে জান্নাতে তার অবস্থান স্থল ও তাকে দেখানো হয়।
মাসআলা-৮২ মোমেনকে কিয়ামতের দিন ঈমানের সাথে উঠানোর সুসংবাদও দেয়া হয়।
عن عايشة رضي الله عنها قالت : جاءت يهودية استطعست علی بابى فقالت : اطعمونی اغاكم الله من فتنة الجال و من فتنة عذاب القبر قال : فلم ازل اخبسها حتى جاء رسول الله فقلت : يا رسول الله ما تقول هذه اليهودية ؟ قال (( و ما تقول ؟ )) قلت : تفون اغاكم الله من فتنة الدجال ، و من فتنة عذاب القبر ، قالت عائشة ، فقام رسول الله و رفع يديه ما يتعيذ بالله من فتنة الدجال و من فتنة عذاب القبر ، ثم قال رو اما فتنة الدجال فانة لم يكتب الله قد حر افته و سأحدثكم بحديث لم يحذر نبی أمته انه اغوز ، و ان الله ليس باور ، م وت بين عينيه كافر يقرء كل مؤمن ، فأما فتنة القبر فی تفتنزن و عن تسالون فإذا كان الرجل الالخ أجلي في قبره غير فرع ولا مشغوف ، ثم قال له : فما كنت تقول في الإسلام؛ فيقول : الله ربي ، فقال : ما هذا الرجل الذى كان فيكم ؛ فيفون محمد رسول الله از جاءنا بالبينات من عند الله فصدناه فيفرج له فرجة قبل النار ، فينظر اليها يخطم بعضها بعضا، فيقال له : أنظر إلى ما وقال الله ، ثم يفرج له فرجة إلى الجنة فينظر إلى زهرتها وما فيها ، فيقال له : هذا مقعدك منها ويقال : على اليقين كنت ، و عليه مت ، و عليه تبع إن شاء الله )). رواه أحمد
অর্থঃ আয়শা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেনঃ এক ইহুদী মহিলা আমার নিকট এসে খাবার চাইল এবং বললঃ আল্লাহ তোমাকে দাজ্জাল ও কবরের ফেতনা থেকে মুক্তি দেন, আমাকে খাবার খাওয়াও, আয়শা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেনঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আসা পর্যন্ত আমি তাকে আটকিয়ে রাখলাম, আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ ইহুদী মহিলাকি বলতেছে? তিনি জিজ্ঞেস করলেন যে সে কি বলতেছে? আমি বললাম সে বলছে যে, আল্লাহ তোমাকে দাজ্জাল ও কবরের ফেতনা থেকে মুক্তি দেন, আয়শা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেনঃ তিনি তখন দাড়িয়ে গেলেন এবং স্বীয় উভয় হাত প্রশস্ত করে দাজ্জাল ও কবরের ফেতনা থেকে মুক্তি চাইতে লাগলেন। অতঃপর বললেনঃ এমন কোন নবী আসে নাই যে তার উম্মতকে দাজ্জালের ফেতনা থেকে সর্তক করে নাই। কিন্তু আমি তোমাদেরকে দাজ্জালের ব্যাপারে এমন সংবাদ দিচ্ছি যা ইতি পূর্বে কোন নবী তার উম্মতদেরকে দিতে পারে নাই। আর তাহল এই যে, দাজ্জাল অন্ধ হবে। (অর্থাৎঃ তার এক চোখ থাকবে) তার উভয় চোখের মাঝে লিখা থাকবে কাফের যা প্রত্যেক মোমেন পড়তে পারবে।
আর কবরের ফেতনার ব্যাপার এইযে সেখানে তোমরা পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। কবরে তোমাদেরকে প্রশ্ন করা হবে, যদি সৎ লোক হয় তাহলে তাকে কোন প্রকার চিন্তা ও পেরেসানী ব্যতীত উঠে বসাবে এবং তাকে জিজ্ঞেস করা হবে যে ইসলামের ব্যাপারে তুমি কি বল? সৎ লোক বলবে আমার প্রভু আল্লাহ। অতঃপর তাকে প্রশ্ন করা হবে যে, তোমাদের মাঝে যে ব্যক্তি এসে ছিল সে কে? সৎ লোক বলবে সে মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিনি আল্লাহর স্পষ্ট নিদর্শন সমূহ নিয়ে এসে ছিল আমরা তা বিশ্বাস করেছি, অতঃপর জাহান্নামের দিকে এক রাস্তা খোলা হবে মোমেন ব্যক্তি তখন জাহান্নামের আগুন দেখতে পাবে যে তা অত্যন্ত গরম ও তার এক অংশ অপর অংশকে বিনষ্ট করছে। ফেরেশতা তাকে বলবে যে, দেখ এ ঐ আগুন যেখান থেকে আল্লাহ তোমাকে মুক্তি দিয়েছে। অতঃপর জান্নাতের দিকে তার জন্য এক রাস্তা খোলা হবে এবং মোমেন ব্যক্তি জান্নাতের আলো দেখতে পাবে, তাকে বলা হবে যে জান্নাতে এ স্থানে তোমার বাস স্থান। অতঃপর ফেরেশতা তাকে বলবে যে তুমি ঈমানের উপর জীবন যাপন করেছ, এবং ঈমানের অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছ। কিয়া মতের দিন ইনশাআল্লাহ ঈমান সহ উঠবে। (আহমদ)[1]
মাসআলা-৮৩ মোমেন ব্যক্তিকে জাহান্নাম দেখিয়ে বলা হয় যে আল্লাহ তোমাকে এখান থেকে রক্ষা করেছেন অতঃপর তাকে জান্নাতে তার ঠিকানা দেখানো হয় এবং বলা হয় যে আল্লাহ্ তোমাকে এ স্থান প্রদান করেছেন।
মাসআলা-৮৪ মোমেন ব্যক্তি তার সু পরিনতির কথা তার পরিবার পরি জনদেরকে জানাতে চায় কিন্ত তাকে এ অনুমতি দেয়া হয় না।
، ان رسول الله . قال (( ان المؤمن اذا وضع في قبره اتاه ملك عن أنس بن مالك فيقول له ما كنت تغذ؛ فإن الله تعالى هذاة قال : كنت اعبد الله ، فقال : ما كنت تقول في هذا الرجل ؟ فيقول : هو عبدالله و رسوله ، فما يسال ع شي و غيرها بغذها ، فينطلق به الى بيت كان لك في النار ، ولكن الله عصمک و حمک كان له في النار ، فقال له : هذا بيت فأبدلك به بيتا في الجنة فيراه فيقول : دعون حتى اذهب فأبشر اهلی ، فيقال له : اسكن )). رواه أبو داود
অর্থঃ আনাস বিন মালেক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ যখন মোমেন ব্যক্তিকে কবরে রাখা হয়, তখন তার নিকট এক ফেরেশতা তাকে জিজ্ঞেস করে, যে তুমি কার ইবাদত করতে? আল্লাহ্ তাকে হেদায়েত দিলে সে বলবে আমি আল্লাহর ইবাদত করতাম। অতঃপর ফেরেশতা তাকে বলেঃ এ ব্যক্তি মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সম্পর্কে তোমার ধারনা কি? তখন সে বলে তিনি আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। এর পর তাকে আর কোন প্রশ্ন করা হয় না। অতঃপর তাকে জাহান্নামে একটি ঘর দেখানো হয় এবং বলা হয় এটা তোমার জন্য নির্ধারিত ছিল, কিন্তু আল্লাহ তোমাকে এখান থেকে মুক্তি দিয়েছেন এবং এর পরিবর্তে জান্নাতে তোমাকে এক ঘর তৈরী করে দিয়েছেন। মোমেন ব্যক্তি ঐ ঘর দেখে বলবে যে আমাকে একটু সুযোগ দাও আমি আমার পরিবারের লোকদেরকে এ সুসংবাদ দিয়ে আসি। (যে আল্লাহ আমাকে জান্নাতে ঠাই দিয়েছেন) কিন্তু তাকে বলা হবে যে তুমি এখানেই থাক। (আবুদাউদ)[2]
নোটঃ ১- উল্লেখিত হাদীসে এক ফেরেশতার কথা এসেছে অথচ অন্যান্য হাদীসে দুই ফেরেশতার কথা এসেছে। এর অর্থ হল এই যে, কোন কোন লোকের নিকট এক ফেরেশতা আসবে আবার কোন কোন লোকের নিকট দুই ফেরেশতা আসবে।
২ - নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরশাদ করেন যে, প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য দুইটি স্থান আছে একটি জান্নাতে অপরটি জাহান্নামে, যখন কোন ব্যক্তি মৃত্যুর পর জাহান্নামে চলে যায় তখন জান্নাত বাসীরা তার জায়গার ওয়ারীস হয়ে যায়। (ইবনে মাযাহ)
৩ - নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সম্পর্কে যে প্রশ্ন করা হবে এব্যাপারে বিভিন্ন হাদীসে বিভিন্ন রকমের শব্দ বর্ণিত হয়েছে। কোন কোন হাদীসের শব্দ থেকে মনে হয় যে, তাঁর চেহারা দেখিয়ে প্রশ্ন করা হবে। মূলত তা নয় বরং এটা হবে এমন যেমন কোন অনুপস্থিত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন প্রশ্ন করা হয়। যে ওমক ব্যক্তি কে?
মাসআলা-৮৫ নামাযি ব্যক্তি কবরে সামান্যতম ভয় ভীতি ও পাবে না।
মাসআলা-৮৬ মোমেন ব্যক্তি প্রশ্ন উত্তরে কামিয়াব হওয়ার পর জান্নাতের অন্যান্য নে’মত সহ ও তার বাসস্থান তাকে দেখানো হয়ঃ
মাসআলা-৮৭ কোন কোন ঈমানদারের কবর সত্তর হাত প্রশস্ত করা হবে।
মাসআলা-৮৮ ঈমানদারদের কবর আলোক ময় করা হবে।
মাসআলা-৮৯ ঈমানদারদেরকে সমস্ত নে’মত ও সুসংবাদ দেয়ার পর তাকে তৃপ্তীদায়ক ঘুম দেয়া হয়।
মাসআলা-৯০ কোন কোন ঈমানদারের রুহ পাখীর আকৃতিতে জান্নাতের গাছ- পালার মাঝে উড়ে বেড়াবে।
عن أبي هريرة ، عن النبي قال (( ان السمیت اذا وضع في قبره انه يسمع خفق يعالهم جين يؤلون مدبرين فإن كان مؤمنا يقال له اجلس فيجلس قذ مثلث له الشمس ، وقد أذنيث الغروب ، فيقال له ار ایتک هدا الذي كان قبلكم ما تقول فيه؟ و ما ذا تشهد عليه؛ فيقول : دغونی ی اصلی ، فيقولون : إنك ستفعل ، اخبرنا عما نسألك عنه : أرأيتك هذا الرجل الذي كان قبلكم ماذا تقول فيه ؟ و ما ذا تشهد عليه ؛ قال : فيقول : محمد ، اشهد ائة وسؤل الله خ، و انه جاء بالحق من عند الله ، فيقال له على ذلك خييت ، و علی ذلک مت، و على ذلك تبع إن شاء الله ، ثم يفتح له باب من أبواب الجنة فيقال له : هذا مقعدك منها ، و ما أعد الله لك فيها فيزداد غبطة ومرورا ، ثم يفتح له باب من أبواب النار، فيقال له : هذا مقعد منها وما أعد الله لك فيها لو عصيته ، فيزداد غبطة و شرورا ، ثم يفسح له في قبره بغون ډراغا، و نور له فيه ، و يعاد الجسد لما بدی منه ، فتجعل نسمته في النسيم الطيب ، وهى طير تغلق في شجر الجنة فذلك قوله مبحانة ن يثبت الله الذين آمنوا بالقول الثابت في الحیوۃ الدنيا و في الأخرة ( الاية ... ابراهيم : 27) : رواه الطبرانی و ابن حبان والحاكم ( حسن )
অর্থঃ আবু হুরাইরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ মৃত ব্যক্তিকে কবরে দাফনের পর যখন লোকেরা ফিরে আসতে শুরু করে তখন সে তাদের জুতার আওয়াজ শোনতে পায়। যদি মৃত ব্যক্তি মোমেন হয় তাহলে তাকে বলা হয় “বস” তখন সে বসে অতঃপর তাকে সূর্যডোবার মুহূর্ত দেখানো হয় এবং জিজ্ঞেস করা হয় যে, অনেক আগে তোমাদের মাঝে এ ব্যক্তি প্রেরিত হয়ে ছিল এ ব্যক্তি সম্পর্কে তোমাদের ধারনা কি? এবং তার ব্যাপারে তুমি কি সাক্ষী দেও? মোমেন ব্যক্তি বলে, একটু বস আমাকে আসরের নামায আদায় করতে দাও, (সূর্যডোবার সময় হয়ে গেল) ফেরেশতা তখন বলবেঃ নিশ্চয় দুনিয়াতে তুমি নামায পড়তে, তবে আমরা তোমাকে যা জিজ্ঞেস করতেছি এর উত্তর আগে দাও। বল অনেক আগে তোমাদের মাঝে এ ব্যক্তি প্রেরিত হয়ে ছিল এ ব্যক্তি সম্পর্কে তোমাদের ধারনা কি? এবং তার ব্যাপারে তুমি কি সাক্ষী দেও?
মোমেন ব্যক্তি বলে তিনি মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমি সাক্ষ দিচ্ছি যে তিনি আল্লাহর রাসূল এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে তিনি সত্য সহকারে প্রেরিত হয়েছেন। তখন তাকে বলা হয় যে, এবিশ্বাস নিয়েই তুমি বেচে ছিলা এবং এর উপরই মৃত্যু বরণ করেছ, এবং এর উপরই তুমি পুনরুত্থিত হবে ইনশাআল্লাহ্। অতঃপর জান্নাতের দরজা সমূহের মধ্য থেকে একটি দরজা তার জন্য খুলে দেয়া হবে এবং তাকে বলা হবে যে, এটি জান্নাতে তোমার ঠিকানা এবং তোমার জন্য আল্লাহ জান্নাতে যা কিছু নির্মাণ করে রেখেছে তা দেখে নাও। এত কিছু দেখে জান্নাত পাওয়ার জন্য তার কামনা ও বাসনা আরো বৃদ্ধি পাবে। অতঃপর জাহান্নামের দরজা সমূহের মধ্য থেকে একটি দরজা তার জন্য খুলে দেয়া হবে এবং বলা হবে যে, যদি তুমি আল্লাহর নাফরমানী করতে তাহলে এ জাহান্নাম ছিল তোমার ঠিকানা এবং তোমার জন্য আল্লাহ জাহান্নামে যা কিছু নির্মান করে রেখেছিলেন তাও দেখে নাও। এত কিছু দেখে জান্নাত পাওয়ার জন্য তার কামনা ও বাসনা আরো বৃদ্ধি পাবে। অতঃপর তার কবর সত্তর হাত প্রশস্ত ও তা আলোক ময় করে দেয়া হবে, অতঃপর তার শরীরকে পূর্বের অবস্থায় ফেরত দেয়া হয়, তার রুহকে পবিত্র ও সুগন্ধি ময় করা হয়। আর তা পাখীর আকৃতিতে জান্নাতে উড়ে বেড়ায়। কবরে মোমেনের শু পরিনতি আল্লাহ্ তা’লার এ বাণীর তাফসীরঃ আল্লাহ্ তা’লা ঈমানদার ব্যক্তিদেরকে কালেমা তয়্যেবার বরকতে দুনিয়া ও আখেরাতের জীবনে সুদৃঢ় রাখবেন। (ত্বাবারানী, ইবনে হিব্বান, হাকেম)[3]
মাসআলা-৯১ প্রশ্ন উত্তরে কামিয়াবীর পর মোমেন ব্যক্তির জন্য কবরে জান্নাত থেকে বিছানা এনে বিছিয়ে দেয়া হবে এবং তাকে জান্নাতের পোশাক পড়ানো হবে।
মাসআলা-৯২ জান্নাতের নে’মত সমূহ থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য মোমেন ব্যক্তির কবরের সাথে জান্নাতের দিকে একটি দরজা খুলে দেয়া হয়।
মাসআলা-৯৩ কোন কোন ঈমানদারের কবর যত দূর দৃষ্টি যায় তত দূর পর্যন্ত প্রশস্ত করে দেয়া হয়।
মাসআলা-৯৪ মোমেন ব্যক্তির কবরে তার নেক আমল সমূহ অত্যন্ত সুন্দর চেহারা সম্পন্ন লোকের আকৃতিতে আসে যা দেখে তার আনন্দ আরো বৃদ্ধি পায়।
মাসআলা-৯৫ মোমেন ব্যক্তি স্বীয় নেক আঞ্জাম দেখে এত খুশি হয় যে, কিয়ামত দ্রুত কায়েম হওয়ার জন্য দূয়া করতে থাকে।
মাসআলা-৯৬ মোমেন ব্যক্তি স্বীয় নেক আনজাম দেখে দ্রুত স্বীয় পরিবার - পরিজনের সাথে মিশতে চায়!
قال : قال رسول الله ت ( راين العبد المؤمن ويأتيه ملكان عن البراء بن عازب فيجلسانه فيقولان له : من ربك ؟ فيقول : ربي الله ، فيقولان له : ما دينك ؟ فيقول : ډینی فيقولان : وما الإسلام، فيقولان له ما هذا الرجل الذي بعث فيكم ؟ فيقول کو رسول الله دریک ؟ فيقول : قرأت كتاب الله قامت به و قت ، فينادى مناد من الماء : أن قد صدق عبدى فقير شؤه من الجنة والشؤه من الجنة وافتحوا له بابا الى الجنة )) قال : (( فيأتيه من روحها و طيبها ، ويفتح له فيها قبره مد بصره )) ، قال : (( و يأتيه رجل حسن الوجه، خس الثياب ، طيب الريح، فيقول : ابشر بالذی سڑک، هذا يومك الذی کنت توعد، فيقول : من الوجة التي يجى و بالخير؟ فيقول : أنا عملك الصالح ، فيقول : رب اقم انت ؟ قوجه الشائعة، رب أقم الساعة ، حتى ترجع إلى أهلی و مالی )). رواه أحمد و ابو داؤد ( حسن )
বারা বিন আযেব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ মোমেন বান্দার কবরে দুইজন ফেরেশতা আসে তারা তাকে উঠিয়ে বসিয়ে দেয় এবং বলে তোমার প্রভূ কে? মোমেন ব্যক্তি উত্তরে বলে আমার প্রভূ আল্লাহ। ফেরেশ্তাগণ আবার প্রশ্ন করেন তোমার দ্বীন কি? মোমেন ব্যক্তি উত্তরে বলে আমার দ্বীন ইসলাম। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করে এ ব্যক্তি যে তোমাদের মাঝে প্রেরিত হয়েছিল সে কে? মোমেন ব্যক্তি উত্তরে বলে তিনি আল্লাহর রাসূল ছিলেন। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করে যে তুমি তা কি করে বুঝলে? মোমেন ব্যক্তি উত্তরে বলে যে আমি আল্লাহর কিতাব পড়েছি, তার প্রতি ঈমান এনেছি এবং তা সত্য বলে বিশ্বাস করেছি। তখন আকাশ থেকে এক আহ্বান কারী আহ্বান করে বলেঃ আমার বান্দা সত্য বলেছে, তার জন্য জান্নাতের বিছানা ও পোশাক নিয়ে আস এবং জান্নাতের দিকে একটি দরজা খুলে দাও যেখান থেকে তার প্রতি আলো-বাতাশ আসতে থাকবে আর তার কবরকে যত দূর দৃষ্টি যায় তত দূর পর্যন্ত প্রশস্ত করে দেয়া হয়।
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ অতঃপর তার নিকট সুন্দর চেহারা সম্পন্ন এক ব্যক্তি খুব সুন্দর পোশাক পড়ে সুগন্ধি মেখে আসে এবং বলে তোমাকে আরাম ও শান্তির সু সংবাদ। এ হল ঐ দিন যার ওয়াদা তোমাকে দেয়া হয়ে ছিল, মোমেন ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞেস করে তুমি কে? তোমার চেহারা কত সুন্দর তুমি সুসংবাদ নিয়ে এসেছ? সে বলে আমি তোমার নেক আমল। তখন মোমেন দূয়া করে হে আমার প্রভূ! কিয়ামত কায়েম কর হে আমার প্রভূ! কিয়ামত দ্রুত কায়েম কর, যাতে আমি আমার পরিবার - পরিজনের সাথে মিলতে পারি। (আহমদ- আবুদাউদ)[4]
নোটঃ এ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, চোখের দৃষ্টি যত দূর যায় তত দূর পর্যন্ত কবরকে প্রশস্ত করে দেয়া হয়। অথচ অন্য হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, সত্তর হাত প্রশস্ত করে দেয়া হয়, আবার কোন কোন হাদীসে সুধু সত্তর হাত দীর্ঘের কথা এসেছে, আবার কোন হাদীসে চল্লিশ হাতের কথা বর্ণিত হয়েছে। মূলত এ পার্থক্য হবে ঈমানদারের ঈমান ও নেক আমলের পার্থক্য অনুযায়ী। আল্লাহই এব্যাপারে ভাল জানেন।
মাসআলা-৯৭ কোন কোন ঈমানদারের কবর সত্তর হাত দৈর্ঘ ও সত্তর হাত প্রশস্ত করা হয়।
মাসআলা-৯৮ ঈমানদারের কবর নূর দিয়ে পরিপূর্ণ করে দেয়া হয়।
মাসআলা-৯৯ মোমেন ব্যক্তি তার সুপরিনতি সম্পর্কে তার পরিবার পরিজনকে অবগত করাতে চায় কিন্তু তাকে অনুমতি দেয়া হয় না।
মাসআলা-১০০ মোমেন ব্যক্তিকে অত্যন্ত আদব ও এহতেরামের সাথে আরামদায়ক ভাবে ঘুমানোর জন্য পরামর্শ দেয়া হয়, যেখান থেকে সে কিয়ামতের দিন জাগ্রত হবে।
মাসআলা-১০১ প্রশ্ন-উত্তরে বিফল হওয়ার পর মোনাফেক ব্যক্তিকে তার কবরের দুপার্শ্বের দেয়াল তাকে চেপে ধড়ে।
মাসআলা-১০২ মোনাফেক ব্যক্তি কিয়ামত পর্যন্ত কবরে এ আযাব ভোগ করতে থাকে।
عن أبي هريرة ، قال : قال رسول الله خية رر اذا قبر الميت ............ او قال أحذكم .. اتاه مكان اشوان ازرقان يقال لاحدهما : المنكر و الآخر النكير ، فيقولان : ما كنت تقول في هذا الرجل ؟ فيقول ما كان يقول : هو عبد الله و رسوله، اشهد ان لا اله الا الله ، و أن محمدا عبده و شؤله ، فيقولان : قد كنا نعلم انک تقول هذا . ثم يفسح له في قبره بعون فيراغا في سبعين ، ثم تؤ له فيه ، ثم قال له : نه . فيقول : ارجع الى اهلى فاخبرهم؟ فيقولان : نم كتومة العروس الذي لا يوقظه إلا أحب أهله إليه، حتى يبعثه الله من مضجعه ذلك و إن كان منافقا قال : سمعت الناس يقولون قولا فقلت له لا اذری . فيقولان : فذكنا نعلم انك تقول ذلك . فيقال لارض : التي عليه . فتلتم عليه ، فتختلف اضلاغة ، فلا يزال فيها معذبا حتى يبعثه الله من مضجعه ذلك )) رواه الترمذى
অর্থঃ আবু হুরাইরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ যখন মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা হয় অথবা তিনি বলেনঃ যখন তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তিকে দাফন করা হয়, তখন তার নিকট দুই জন কাল কাপড় পরিহিত নীল চোখ বিশিষ্ট ফেরেশতা আসে, যাদের একজনকে বলা হয় মোনকার আর অপর জনকে বলা হয় নাকীর। তারা উভয়ে মৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করে যে, এ ব্যক্তি মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সম্পর্কে তুমি কি জান? মোমেন ব্যক্তি তখন ঐ উত্তর ই দিবে যা সে দুনিয়াতে মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সম্পর্কে বিশ্বাস করত। যে তিনি আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। এমন কি মোমেন বলবেঃ আমি সাক্ষ দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা’বুদ নেই এবং মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। তখন ফেরেশতাগণ বলবে, আমরা জানতাম যে তুমি এ উত্তরই দিবে। অতঃপর তার কবর সত্তর হাত দৈর্ঘ এবং সত্তর হাত প্রশস্ত করে দেয়া হবে। কবরকে আলোক ময় করে দেয়া হবে, অতঃপর তাকে বলা হবে শুয়ে যাও, মৃত ব্যক্তি বলবে আমি আমার পরিবার - পরিজনের নিকট ফেরত যেতে চাই এবং তাদেরকে আমার এ শুভ পরিনতির কথা জানাতে চাই।
উত্তরে ফেরেশতাগণ বলবে সম্ভব নয় এখন তুমি বরের ন্যায় শুয়ে যাও। আর তাকে তার এ ঘুম থেকে তার পরিবারের মধ্যে তার নিকট সবচেয়ে প্রিয় জন এসে উঠাবে। এভাবে সে ঘুমাতে থাকবে এবং কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার এঘুম ভাঙ্গাবেন। পক্ষান্তরে মৃত ব্যক্তি যদি মোনাফেক হয় তাহলে সে ফেরেশতাগনের প্রশ্নের উত্তরে বলবেঃ দুনিয়াতে আমি মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সম্পর্কে মানুষকে যা বলতে শুনেছি আমিও তাই বলেছি। এর বেশি কিছু আমি জানিনা। ফেরেশতাগণ বলবে যে আমরা জানতাম যে তুমি এ উত্তরই দিবে। অতঃপর আল্লাহর পক্ষ থেকে যমিনকে হুকুম করা হবে যে, তাকে চেপে ধর, কবর তখন তাকে চেপে ধরবে। এর ফলে মোনাফেকের এক পার্শ্বের হাড্ডি অপর পার্শ্বে চলে যাবে এবং কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে তার কবর থেকে উঠানো পর্যন্ত সে এ আযাব ভোগ করতে থাকবে। (তিরমিযি)[5]
মাসআলা-১০৩ কবরে মোমেন ব্যক্তির কোন চিন্তা ভাবনা থাকবে না।
মাসআলা-১০৪ কবরে মোমেন ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাতের সুসংবাদ দেয়া হয়।
মাসআলা-১০৫ আল্লাহ রাসূলের প্রতি ঈমান নিয়ে জীবন যাপন কারীদেরকে কিয়ামতের দিন ঈমানের সাথে পুনরুত্থানের সুসংবাদ দেয়া হয়।
মাসআলা-১০৬ গোনাগার ব্যক্তিরা কবরে অত্যন্ত চিন্তার মধ্যে থাকবে।
মাসআলা-১০৭ প্রশ্নের উত্তরে অপারগ গোনাগার ব্যক্তিদেরকে জাহান্নামে তার বাসস্থান দেখানো হয়।
মাসআলা-১০৮ গোনাগার ব্যক্তিদেরকে ঐ সন্দেহের উপর পুনরুত্থানের সুসংবাদ দেয়া হয় যে সন্দেহ নিয়ে সে জীবন যাপন করেছে।
عن أبي هريرة عنه قال (( إن الميت يصير إلى القبر فيجلس الرجل الصالح في قبره غير فزع ولا مشغوف ثم يقال له فيم كنت ؟ فيقول : كنت في الاسلام . فيقال له : ما هذا الرجل ؟ ، جاء نا بالبينات من عند الله فصد قناة . فيقال له : هل رأیت الله ؟ فيقول : محمد رسول الله فيقول : ما بی خبر ان يرى الله : يفرج له فوجة قبل النار فينظر اليها يخطم بعضها بعضا . فقال له : أنظر إلى ما وقاك الله ، ثم يفرج له فزجة قبل الجنة فينظر إلى زهرتها و ما فيها . يقال له : هذا مقعدك ، و يقال له : على اليقين كنت وعليه ف و عليه تبعث ، إن شاء الله و الرجل الشؤ في قبره فزعا مشغو . فيقال له : فيم كنت ؟ فيقول : لا أدري، فقال له : جل ما هذا الرجل؟ فيقول : سمعت الناس يقولون قولا فقلته . فيفرج له قبل الجنة . فينظر الى فترتها وما فيها يقال له : أنظر إلى ما صرف الله عنك ثم يفر له فرجة قبل النار . فينظر اليها يحطم بعضها بعضا . فيقال له : هذا معقدك . على الشك گنت و عليه م . و عليه تبعث ، ان شاء الله تعالی )). رواه ابن ماجة
অর্থঃ আবু হুরাইরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ যখন মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা হয় তখন সৎ লোক কোন চিন্তা ভাবনা ব্যতীত কবরের মধ্যে উঠে বসে যায়। তাকে জিজ্ঞেস করা হয় যে তুমি কোন দ্বীন মানতে? সে উত্তরে বলে আমি ইসলামের উপর ছিলাম। অতপর তাকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, এ ব্যক্তিকে ছিল যে, তোমাদের মাঝে প্রেরিত হয়েছিল? সে উত্তরে বলে মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিনি আল্লাহর রাসূল ছিলেন। তিনি আল্লাহ্র পক্ষ থেকে আমাদের নিকট মো’জেজা নিয়ে এসে ছিলেন এবং আমরা তাকে বিশ্বাস করেছিলাম। অতঃপর তাকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, তুমি কি আল্লাহকে দেখেছিলা? সে উত্তরে বলে যে, পৃথিবীতে আল্লাহকে দেখা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। অতঃপর তার জন্য জাহান্নামের দিকে একটি ছিদ্র করে দেয়া হয় তখন সে দেখতে পায় যে, কি ভাবে অগ্নি শিখা সমূহ পরস্পর পরস্পরকে গ্রাস করছে। তাকে বলা হয় যে, এ ঐ জাহান্নাম যা থেকে আল্লাহ তোমাকে রক্ষা করেছেন।
অতঃপর জান্নাতের দিকে একটি দরজা খুলে দেয়া হয় এবং মোমেন ব্যক্তি জান্নাতের নে’মত সমূহ দেখতে পায় তখন তাকে বলা হয় যে এটা হবে জান্নাতে তোমার ঠিকানা। তুমি ঈমানের সাথে জীবন যাপন করেছ, ঈমানের উপর মৃত্যু বরণ করেছ এবং এ ঈমানের সাথেই পুনরুত্থিত হবে ইনশাআল্লাহ। পক্ষান্তরে মোনাফেককে যখন কবরে তুলে বসানো হয় তখন সে অত্যন্ত চিন্তিত ও ভিত থাকে। তাকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, তুমি কোন দ্বীনের উপর ছিলে? সে বলে আমি কিছু জানিনা। অতঃপর জিজ্ঞেস করা হয় যে, এ ব্যক্তিকে ছিল? যে, তোমাদের মাঝে প্রেরিত হয়েছিল? সে বলে যে, আমি মানুষকে যা বলতে শুনেছি তাই বলেছি। অতঃপর তার জন্য জান্নাতের দিকে একটি রাস্তা খুলে দেয়া হয় এবং সে জান্নাতের নে’মত সমূহ দেখতে পায় তখন তাকে বলা হয় যে, এ জান্নাত থেকে আল্লাহ তোমাকে বঞ্চিত করেছেন। অতঃপর তার জন্য জাহান্নামের দিকে একটি রাস্তা খুলে দেয়া হয় এবং তাকে বলা হয় যে, এ হল তোমার ঠিকানা। তুমি আল্লাহ ও তার রাসূলের ব্যাপারে সন্দেহের মধ্যে ছিলা এবং এ সন্দেহ নিয়েই মৃত্যু বরণ করেছ এবং এ সন্দেহের উপরই পুনরুত্থিত হবে ইনশাআল্লাহ্। (ইবনে মাযাহ)[6]
মাসআলা- ১০৯ মোমেনের কবর সবুজ থাকে যা ১৪ তারিখের চাঁদের আলোর ন্যায় আলোকময় থাকে।
মাসআলা-১১০ কবরে আযাবের ধরণ। কাফের, মোনাফেক, ও গোনাগার লোকদেরকে কবরে নিম্নলিখিত দশ ধরণের বা তন্মধ্য থেকে কিছু আযাব দেয়া হবে।
১- কবরে ভীষণ ভয় ও চিন্তার মাধ্যমে শাস্তি।
২ - জান্নাত থেকে বঞ্চিত হওয়ার আফসোসের মাধ্যমে শাস্তি।
৩ - জাহান্নামের বিষাক্ত ও গরম হাওয়ার মাধ্যমে শাস্তি।
৪ - জাহান্নামে তার ভয়ানক ঠিকানা দেখানোর শাস্তি।
৫ - আগুণের বিছানার মাধ্যমে শাস্তি।
৬ - আগুণের পোশাকের মাধ্যমে আযাব।
৭ - কবরের দুই পার্শ্ব থেকে চেপে ধরার মাধ্যমে আযাব।
৮ - লোহার হাতুড়ীর আঘাতের মাধ্যমে আযাব।
৯ - সাপ ও বিচ্ছুর ধ্বংশনের মাধ্যমে আযাব।
১০ - বদ আমল সমূহ নিকৃষ্ট মানুষের চেহারা নিয়ে সামনে উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে আযাব।
নোটঃ উল্লেখিত আযাবের ধরন সম্পর্কে হাদীস সমূহ পরবর্তী মাসআলা সমূহে লক্ষ করুন।
মাসআলা-১১১ গোনাহগার ব্যক্তি কবরে অত্যান্ত ভয় ও চিন্তা নিয়ে উঠে বসবেঃ
মাসআলা-১১২ প্রশ্ন উত্তরে বিফল হওয়ার পর গোনাগার ব্যক্তিকে প্রথমে জান্নাত দেখানো হয় এবং তাকে বলা হয় যে আল্লাহ্ তোমাকে এ নে’মত থেকে বঞ্চিত করেছেন।
মাসআলা-১১৩ জান্নাত দেখানোর পর গোনাগার ব্যক্তিকে জাহান্নামে তার ঠিকানা দেখানো হয়।
মাসআলা-১১৪ গোনাগার ব্যক্তি ইসলামের ব্যাপারে যে স্বন্দেহ নিয়ে জীবন যাপন করত কিয়ামতের দিন তাকে ঐ স্বন্দেহের উপর উত্থিত হওয়ার সংবাদ শোনানো হয়।
عن عائشة رضي الله عنها قال : قال رشول الله : (( و اذا كان الرجل الشؤ أجلس في بره زغامشوا ، فقال له قمانت تقول ؟ فيقول : سمعت الناس يقولون قولا فقلت كما قالوا . ففرج له فرجة إلى الجنة ، فينظر إلى زهرتها و ما فيها ، فيقال له : أنظر إلى ما صرف الله نمک . ثم يفرج له فرجة قبل النار فينظر اليها يحطم بعضها بعضا ، و يقال : هذا مقعدك منها ، ان شاء الله . ثم يعذب )). رواه أحمد ، و عليه تبع ت و عليه على الشك ( صحیح )
অর্থঃ আয়শা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ গোনাগার ব্যক্তি যখন কবরে উঠে বসে তখন সে অত্যন্ত ভীত সন্ত্রস্ত থাকে, তাকে জিজ্ঞেস করা হয় যে তুমি পৃথিবীতে আল্লাহ ও তার রাসূল সম্পর্কে কি ধারণা রাখতে? সে উত্তরে বলে আমি মানুষকে যা কিছু বলতে শুনেছি তাই বলতাম। তখন তার জন্য জান্নাতের দিকে একটি রাস্তা খোলা হয় আর সে তখন জান্নাতের আলো ও অন্যান্য নে’মত সমূহ দেখতে পায়। তখন তাকে বলা হয় দেখ এ ঐ জান্নাত যা থেকে আল্লাহ তোমাকে বঞ্চিত করেছেন। অতঃপর তার জন্য জাহান্নামের দিকে একটি রাস্তা খোলা হয়, তখন সে দেখতে পায় যে জাহান্নামের আগুনের শিখা সমূহ একে অপরকে ধ্বংশ করছে। তখন তাকে বলা হয় যে এ হল তোমার অবস্থান স্থল এবং তাকে বলা হয় যে তুমি স্বন্দেহ নিয়ে জীবন যাপন করেছ আর এ সন্দেহের উপরই মৃত্যু বরণ করেছ। ইনশাআল্লাহ্ কিয়ামতের দিন এস্বন্দেহের উপরই পুনরুত্থিত হবে। অতঃপর তাকে আযাব দেয়া শুরু হয়। (আহমদ)[7]
মাসআলা-১১৫ কাফের ও মোনাফেকদেরকে মোনকার ও নাকীর অত্যন্ত রুক্ষ ভাষায় প্রশ্ন করবে।
মাসআলা-১১৬ প্রশ্ন উত্তরের পর ফেরেশতা লোহার হাতুড়ী দিয়ে কাফের ও মোনাফেকের উভয় কাঁধের মাঝে আঘাত করতে থাকবে আর এআঘাতের ফলে সে খুব উচ্চ কণ্ঠে চিল্লাতে থাকবে যা জ্বিন ও ইনসান ব্যতীত সমস্ত সৃষ্টি শোনতে পারবে।
دخل نخلا لبني النجار فسمع صوتا ففزع فقال عن أنس بن مالك عنه أن رسول الله ناس ماتوا في الجاهلية فقال (( تعوذوا در من أصحاب هذه القبور؟ )) قالوا يا شول الله ؟ قال (( وإن بالله من عذاب النار ومن فتنة الدجال )) قالوا وهم ذاک یارسول الله الكافر إذا وضع في قبره أتاه ملك فينته، فيقول له : ما كنت تعب ؟ فيقول : لا أدري . فيقال كه دريت ولا تليت . فيقال له : ما كنت تقول في هذا الرجل ؟ فيقول : كنت اقول ما يقول الا فيضربه بمطراق من حديد بين أذنيه ، فيصيح صيحة يسمعها الخلق غير التقلين )). رواه أبو داود
অর্থঃ আনাস বিন মালেক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একদা বনি নাজ্জারের এক বাগানে ছিলেন হটাৎ একটি আওয়াজ শোনে চমকিয়ে গেলেন এবং বললেনঃ এ কবরের অধিবাসী কারা? সাহাবাগণ বললেনঃ এ কবর বাসীরা জাহেলিয়াতের যুগের লোকছিল, তিনি বললেনঃ জাহান্নামের শাস্তি ও দাজ্জালের ফেতনা থেকে ক্ষমা প্রার্থনা কর। সাহাবাগণ আরয করল হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমরা কেন তা করব? তিনি বললেনঃ কবরে দাফন কৃত ব্যক্তি যদি কাফের বা মোনাফেক হয় তাহলে তার নিকট ফেরেশতা এসে তাকে ধমকের স্বরে জিজ্ঞেস করে যে, তুমি কার এবাদত করতা? কাফের বা মোনাফেক উত্তরে বলে যে, আমি কিছু জানিনা। ফেরেশতাগণ তখন তাকে বলে যে তুমি নিজের জ্ঞান বুদ্ধিকে কাজে লাগাও নাই এবং কোর‘আন ও পাঠ কর নাই। অতঃপর ফেরেশতা জিজ্ঞেস করে যে, এ ব্যক্তি মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সম্পর্কে তোমার কি ধারনা? কাফের বা মোনাফেক উত্তরে বলে এ ব্যক্তি সম্পর্কে অন্যরা যা বলত আমিও তাই বলতাম। এ উত্তর শোনে ফেরেশতাগণ তার উভয় কানের মাঝে লোহার হাতুড়ী দিয়ে আঘাত করতে থাকে। আর সে উচ্চ স্বরে কাঁদতে থাকে। তার এ কান্নার আওয়াজ জ্বিন ও ইনসান ব্যতীত সমস্ত সৃষ্টি জীব শোনতে পায়। (আবুদাউদ)[8]
قال (( العبد إذا وضع في قبره و تولی و ذهب اصحابه حتى الله عين انس و عن النبي مع قرع نعالهم ، أتاه ملكان فاقعداه فيقولان له : ما كنت تقول في هذا الرجل محمد ر فقول : أشهد الله عبدالله و سؤله ، فقال : أنظر إلى مقعدك من النار ابدلك الله به مقعدا من : (( فيراهما جميعا ، و أما الكافر او المنافق فيقول : لا آذری كنت اقول الجنة )) ، قال النبي ما يقول الناس ، فقال : لا دريت ولا تليت ، ثم يضرب بمطرقة من حديد ضربة بين أذنيه فيصيح صيحة يسمعها من يليه الأ الثقلين )) رواه البخارى
আনাস বিন মালেক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত যে, একদা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বানী নাজ্জারের এক বাগানে প্রবেশ করে এক আওয়াজ শোনে চিন্তিত হয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন যে এ কবর কার? উত্তরে সাহাবাগণ বললেনঃ এ কবরের অধিবাসীরা জাহেলিয়্যাতের যুগে ইন্তেকাল করেছে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ জাহান্নামের শাস্তি এবং দাজ্জালের ফেতনা থেকে আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। সাহাবাগণ বললেন হে আল্লাহ্র রাসূল কেন তা করতে হবে? তিনি বললেনঃ যদি মৃত ব্যক্তি কাফের বা মোনাফেক হয় তাহলে তার নিকট এক ফেরেশ্তা এসে ধমক দিয়ে বলে যে, তুমি কার ইবাদত করতে? তখন কাফের বা মোনাফেক বলে আমি জানিনা? ফেরেশতা তখন তাকে এর উত্তরে বলে যে, তুমি তোমার বুদ্ধিকে কাজে লাগাও নাই এবং কোর‘আনও পড় নাই। অতঃপর ফেরেশতা তাকে জিজ্ঞেস করে যে, এ ব্যক্তি মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্পর্কে তোমার কি ধারনা? তখন কাফের বা মোনাফেক বলে লোকেরা যা বলত আমি তাই বলতাম। এ উত্তর শোনে ফেরেশতা তার উভয় কানের মাঝে লোহার হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে থাকে? আর তখন সে খুব করুন ভাবে কাঁদতে থাকে, তার কান্নার আওয়াজ জ্বিন ও ইনসান ব্যতীত সমস্ত সৃষ্টি জীব সোনতে পায়। (আবুদাউদ)[9]
قال (( العبد إذا وضع في قبره و تولی و ذهب اصحابه حتى انه عن أنس عنه عن النبي ليسمع قرع نعالهم ، أتاه ملكان قاعداه فيقولان له : ما كنت تقول في هذا الرجل محمد ون ؟ يقول : أشهد الله عبدالله و مموله ، فقال : أنظر إلى مقعدك من النار أبدلك الله يه مقعدا من : (( فيراهما جميعا ، و أما الكافر او المنافق فيقول : لا ادري كنت اقول الجة )) ، قال البى مايقول الناس ، قال : لا دريت ولا تليت ، ثم يضرب بمطرقة من حديد ضربة بين أذنيه فيمي ممي يممممممها . يليه إلا التقلين )) رواه البخاري
অর্থঃ আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন যে, যখন কোন বান্দাকে কবরে রেখে তার সাথীরা প্রত্যাবর্তন করে তখন সে তাদের জুতার আওয়াজ শোনতে পায়। (এমন সময়) তার নিকট দুই জন ফেরেশতা এসে তাকে উঠিয়ে বসায় অতঃপর তারা তাকে জিজ্ঞেস করে যে, এ ব্যক্তি মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্পর্কে তোমার কি ধারনা ছিল? তখন সে বলে যে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, সে আল্লাহর বান্দা ও তার রাসূল। অতঃপর তাকে বলা হয় যে, জাহান্নামে তোমার বাসস্থানের দিকে তাকাও এর পরিবর্তে আল্লাহ তোমাকে জান্নাতে বাসস্থান দিয়েছেন। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তাকে উভয় ঠিকানাই দেখানো হয়। আর মৃত ব্যক্তি যদি কাফের বা মোনাফেক হয় তাহলে সে বলে লোকেরা যা বলত আমি তাই বলতাম! এ উত্তর শোনে ফেরেশতারা তাকে জিজ্ঞেস করে যে, তুমি কি পড়াশোনা কর নাই? অতঃপর তার উভয় কানের মাঝে লোহার হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে থাকে? আর তখন সে খুব করুন ভাবে কাঁদতে থাকে, তার কান্নার এ আওয়াজ জ্বিন ও ইনসান ব্যতীত সমস্ত সৃষ্টি জীব সোনতে পায়। (বোখারী)[10]
মাসআলা-১১৭ কাফেরের জন্য কবরে আগুণের বিছানা বিছানো হয় এবং তাকে আগুনের পোশাক পরানো হয়।
মাসআলা-১১৮ কাফেরের কবর থেকে জাহান্নামের দিকে একটি রাস্তা খুলে ধারাবাহিক ভাবে তাকে জাহান্নামের আগুন ও বিশাক্ত হাওয়ার মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হয়।
মাসআলা-১১৯ কাফেরকে তার কবরের দুই পার্শ্বের দেয়াল বারংবার কঠিন ভাবে চাপতে থাকে, ফলে তার ডান পার্শ্বের হাড্ডি বাম পার্শ্বে এবং সামনের হাড্ডি পিছনে চলে যায়।
মাসআলা-১২০ কাফেরকে তার কবরে আঘাত করার জন্য অন্ধ ও মূর্ক ফেরেশতা নিয়োগ করা হয়।
قال (( ان الميت إذا وضع في قبره انه يسمع خفق نعالهم عن أبي هريرة عنه عن النبي چين يوو مدبرين و إن الكافر إذا أتى من قبل رأسه فلا يوجد شيء ، ثم أتی عن يمينه فلا يوجد ، ثم أتى عن شماله فلا يوجد شيء ، ثم أتى من قبل رجليه فلا يوجد شين ، فيقال له : الجلي في مرغوبا خائفا ، فقال : أرأيتك هذا الرجل الذي كان فيكم ماذا تقول فيه؟ و ما فيقول : لا ادري ، دا تشهد ليه ؟ فيقول : اى رجل؟ ولا يهتدي لامه، فيقال له : محمد حييت ، و عليه م و كما قال الناس . فيقال له : على ذلك الناس قالوا قولا فقل مع إن شاء الله ثم يفتح له باب من أبواب النار فيقال له : هذا مقعدك من النار و ما اعد عليه تبع الله لك فيها قژداد خرة و بورا ، ثم يفتح له باب من أبواب الجنة فيقال له : هذا معذک منها وما أعد الله لك فيها لو أطعته فيزداد حشرة و بورا ، ثم يضيق عليه قبره حتى تختلف فيه صلاة ، فتلك المشة الضنك التى قال الله فإن له معيشة ضنكا و نخشرة يوم القيمة أغمی ( طه : 124). رواه الطبرانی و ابن حبان و الحاكم
অর্থঃ আবু হুরাইরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মৃত ব্যক্তিকে যখন কবরে রেখে তার সাথীরা প্রত্যাবর্তন করে তখন মৃত ব্যক্তি তাদের জুতার আওয়াজ শোনতে পায়। মৃত ব্যক্তি যদি কাফের হয় তখন আযাবের ফেরেশতা তার মাথার দিক থেকে আসে অথচ কোন বাধার সম্মুক্ষীন হয় না। অতঃপর তার ডান দিক থেকে আসে তখনও কোন বাধার সম্মুক্ষীন হয় না। অতঃপর তার বাম দিক থেকে আসে তখনও কোন বাধার সম্মুক্ষীন হয় না। অতঃপর তার পায়ের দিক থেকে আসে তখনও কোন বাধার সম্মুক্ষীন হয় না। অতঃপর তাকে বলা হয় বস তখন সে ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় উঠে বসে। তখন তারা তাকে প্রশ্ন করে যে, এ ব্যক্তি যে তোমাদের মাঝে ছিল তার সম্পর্কে তোমার কি ধারনা ছিল? তখন সে বলে কোন ব্যক্তি? সে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নামও জানে না।
অতঃপর তাকে বলা হয় মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। কাফের বলে আমি কিছু জানি না, লোকদেরকে তার ব্যাপারে যাকিছু বলতে শুনেছি আমি তাই বলেছি। তখন ফেরেশতা তাকে লক্ষ করে বলে যে তুমি সন্দেহ নিয়ে জীবন যাপন করেছ, আর এ সন্দেহের উপরই মৃত্যু বরণ করেছ। আর এ সন্দেহের উপরই পুনরুত্থিত হবে ইনশাআল্লাহ। অতঃপর জাহান্নামের দরজা সমূহের মধ্যে একটি দরজা খুলে দেয়া হয় এবং তাকে বলা হয় যে এ জাহান্নাম এবং তোমার জন্য আল্লাহ ওখানে যে আযাব প্রস্তুত করে রেখেছে সেখানে তোমার আবাস স্থল। তখন তাকে তার চিন্তা ও লজ্জা আরো বেশী করে গ্রাস করে। অতঃপর জান্নাতের দরজা সমূহের মধ্যে একটি দরজা খুলে দেয়া হয় এবং বলা হয়, যদি তুমি আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী চলতে তাহলে এ জান্নাত এবং এখানে আল্লাহ যাকিছু নির্মান করে রেখেছেন তা ছিল তোমার আবাস স্থল, তখন তাকে তার চিন্তা ও লজ্জা আরো বেশী করে গ্রাস করে। অতঃপর তার কবর তাকে চেপে ধরে, ফলে তার এক পার্শ্বের হাড্ডি অপর পার্শ্বে চলে যায়। আর এই হল সংকুচিত জীবন যে ব্যাপারে আল্লাহ্ তা’লা বলেনঃ তার জীবন যাপন হবে সংকুচিত এবং কিয়ামতের দিন আমি তাকে অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করব। (সূরা ত্ব-হা- ১২৪) তাবারানী, ইবনে হিব্বান, হাকেম।[11]
মাসআলা-১২১ কাফেরের জন্য কবরে আগুনের বিছানা বিছানো হয় এবং তাকে আগুনের পোশাক পরানো হয়।
মাসআলা- ১২২ কাফেরের কবর থেকে জাহান্নামের দিকে একটি রাস্তা খুলে ধারাবাহিক ভাবে তাকে জাহান্নামের আগুন ও বিশাক্ত হাওয়ার মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হয়।
মাসআলা-১২৩ কাফেরকে তার কবরের দুই পার্শ্বের দেয়াল এমন কঠিন ভাবে চাপতে থাকে, ফলে তার এক পার্শ্বের হাড্ডি অপর পার্শ্বের হাড্ডির সাথে মিসে যায়।
মাসআলা-১২৪ কবরে কাফেরের খারাপ আমল সমূহ অত্যন্ত কুৎসিত চেহারা সম্পন্ন মানুষের আকৃতি নিয়ে তার সামনে এসে উপস্থিত হয়, ফলে কাফেরকে চিন্তা ও ভয় আরো বেশি করে গ্রাস করে।
মাসআলা-১২৫ কাফেরকে লোহার হাতুড়ী দিয়ে আঘাত করার জন্য তার কবরে অন্ধ ও মূর্ক ফেরেশতা নিয়োগ করা হয়, যাদের হাতুড়ীর আঘাতে কাফেরের শরীর ছিন্ন-বিন্ন হয়ে যায়। অতপর তাকে পূর্ব আকৃতিতে ফিরিয়ে আনা হয়। এর পর ফেরেশতা তাকে আবার আঘাত করতে করতে ছিন্ন ভিন্ন করে দেয়, কিয়ামত পর্যন্ত কাফের এ আযাবের মধ্যে নিমজ্জিত থাকে।
عن البراء بن عازب بينه قال : قال رول الله : (( و ان العبد الكافر فتعاذ روحه في جسده ، ويايه ملكان فيجلسانه فيقولان له : من ربك؟ فيقول : هاد هاه لا اذر . قال فيقولان له : ما دينك ؟ فيقول : ها هاه لا أدرى . قال فيقولان له : ما هذا الرجل الذي بعت فيكم ؟ فيقول : هاة هاه لا أثر . فينادى منابر من الماء : ا كذب فافرشوا له من النار رو البشؤه من النار ) وافتحوا له بابا إلى النار فيأتيه من خرها و سمومها ، و يضيق عليه قبة حتى تختلف فيه الاعة ، ويتيه رجل قبيح الوجه ، قبيخ الثياب من الريح ، فيقول : ابشر بالذى يسوءك، هذا يؤمک الذی کنت توعد . فيقول : من أنت وجهک الوجه القبيح يجيء بالشر ! فيقول : أنا عملک الخبيث . فيقول : رب لا تقم الشاعة .)) وفي رواية له بمعناه و زاد (( فیانیه آب قبيخ الوجه ، الريح . فيقول : ابشر بهوان من الله و عذاب مقيم . فيقول : بشرک الله قبيخ الثياب ، من بالشر، من أنت ؟ فيقول : و انت انا عملت الخبيث كنت بطينا عن طاعة الله سريعا في معصيته جزاك الله شرا ، ثم يقيض له اغمی اصمم ابكم في يده مرزبة لو ضرب بها جبل كان ترابا ، فيضربه ضربة حتى يصير ترابا ، ثم يعيده الله كما كان ، فيضرب ضربة اخرى فيصيح صيحة شمعه كل شئ إلا الثقلين . قال البراء ثم يفتح له باب من النار و يمهد له من فرش النار )). رواه أخمد ( حسن )
অর্থঃ বারা বিন আযেব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কাফের ব্যক্তির রুহ যখন তার শরীরে ফিরিয়ে দেয়া হয়, তখন তার নিকট দুইজন ফেরেশতা এসে তাকে উঠিয়ে বসায়। অতঃপর তারা তাকে জিজ্ঞেস করে যে, তোমার প্রভূ কে? উত্তরে সে বলে হায় হায় আমি কিছুই জানিনা। তখন ফেরেশতাগণ তাকে জিজ্ঞেস করে যে, তোমার দ্বীন কি ছিল? উত্তরে সে বলে হায় হায় আমি কিছুই জানিনা। তখন ফেরেশতা তাকে জিজ্ঞেস করে, যে ঐ ব্যক্তি যাকে তোমাদের নিকট প্রেরণ করা হয়েছিল সে কে ছিল? উত্তরে সে বলে হায় হায় আমি কিছুই জানিনা। তখন আকাশ থেকে এক আহ্বান কারী আহ্বান করে যে সে মিথ্যুক, তাকে আগুণের বিছানা বিছিয়ে দাও, আগুণের পোশাক পরিধান করে দাও, জাহান্নামের দিকে একটি রাস্তা খুলে দাও।
তখন জাহান্নামের গরম ও বিষাক্ত হাওয়া তার দিকে আসতে থাকে। তার কবরকে সংকীর্ণ করে দেয়া হয়। ফলে তার এক পার্শ্বের হাড্ডি অপর পার্শ্বের হাড্ডির সাথে মিসে যায়। অতঃপর তার নিকট কুৎসিত চেহারা সম্পন্ন, ময়লা যুক্ত কাপড় পরিহিত, দূর্গন্ধময়, ব্যক্তি আসে এবং বলেঃ তুমি অসুভ পরিনতির সুসংবাদ গ্রহণ কর, আজ সে দিন যে দিনের অঙ্গিকার তোমাকে দেয়া হয়ে ছিল, কাফের বলবে তুমি কে?
তোমার চেহারা অত্যন্ত কুৎসিত তুমি আমার জন্য খারাপ সংবাদ নিয়ে এসেছ। সে উত্তরে বলে আমি তোমার খারাপ আমল। তখন কাফের বলে হে আমার প্রভূ! কিয়ামত কায়েম করনা। অন্য এক বর্ণনায় এসেছে যে, কুৎসিত চেহারা সম্পন্ন, ময়লা যুক্ত কাপর পরিহিত, দূর্গন্ধময়, ব্যক্তি আসে এবং বলে? তুমি লাঞ্ছনা ও চিরস্থায়ী আযাবের সুসংবাদ গ্রহণ কর। তখন কাফের বলে আল্লাহ তোমার পরিণতি অসূভ করুক তুমি কে? সে উত্তরে বলে আমি তোমার খারাপ আমল। পৃথিবীতে তুমি আল্লাহর নির্দেশ পালনে ছিলা কুণ্ঠিত আর তার নাফরমানিতে ছিলা সরব। আল্লাহ্ তোমাকে খারাপ প্রতিদান দিক। অতঃপর তার জন্য এক অন্ধ, মূর্ক ফেরেশতা নিয়োগ করে দেয়া হয়, যার হাতে থাকে।
লোহার হাতুড়ী, ঐ হাতুড়ী দিয়ে যদি পাহাড়ের উপর আঘাত করা হয় তাহলে পাহাড় ধুলায় পরিনত হবে। এর মাধ্যমে ফেরেশতা তাকে কঠোরভাবে আঘাত হানবে, এক আঘাতেই সে ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যাবে, আল্লাহ্ তাকে পুনরায় সুস্থ করবেন। আবার ফেরেশতা তাকে আঘাত হানবে আর কাফের করুন ভাবে কাঁদতে থাকবে, যে আওয়াজ জ্বিন ও ইনসান ব্যতীত সমস্ত সৃষ্টি জীব শোনতে পাবে। বর্ণনা কারী বলেনঃ অতঃপর তার জন্য জাহান্নামের দিকে একটি রাস্তা খুলে দেয়া হয় এবং তার জন্য আগুণের বিছানা বিছিয়ে দেয়া হয়। (আহমদ)[12]
মাসআলা-১২৬ কবরে কাফেরকে ধ্বংশন করার জন্য এমন সাপ ও বিচছু নির্ধারণ করা হয় যে এর কোন একটি যদি কখনো পৃথিবীতে নিঃশ্বাস ফেলে তাহলে পৃথিবীতে কখনো কোন কিছু পয়দা হবে না।
عن أبي هريرة منه قال شهدنا جنائية مع نبي الله ، فلما فرغ من دفنها، و انصرف الناس ، قال نبى الله (( إنه الآن يسمع خفق نعالكم ، اتاه منكر و نكيز اينهما مثل قدور الحاس، و ثيابهما ممثل صياصي البقر ، و اصواتهما مثل الغد، فيجلسانه فيا لانه ما كان يعبد و من كان نبيه ، فإن كان من يعبد الله قال : أعبدالله ، و بين محمد ، جاء نا بالبينات و الهدی فآمنا به واتبعناه ، فذلك قول الله يثبت الله الذين آمنوا بالقول الثابت في الحيوة الدنيا و في الأخرة ...... کوه ( ابراهيم : 27) فقال لة : على اليقين ييت ، و عليه م، و عليه تبعث ثم يفتح له باب إلى الجنة ، و يوشع له في خفته و إن كان من اهل الشك، قال : لا اذری، سبغث الناس يقولون شيئا مملثة، فقال له : على الشك خييت ، و عليه م ، و عليه تبعث . ثم يفتح له باب الی النار ، و تسلط عليه عقارب و تتانين لو نفخ احدهم على الدنيا ما انبتت شینا تنهشه ، و تؤمر الأرض فتنضم عليه حتى تختلف اضلاعله )). رواه الطبراني في الأوسط ( حسن )
অর্থঃ আবু হুরাইরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ একটি জানাযায় আমরা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছিলাম, যখন দাফন শেষ করে লোকেরা ফেরত যাচ্ছিল তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এখন সে তোমাদের জুতার আওয়াজ শোনতে পাচ্ছে। তার নিকট মোনকার ও নাকীর এসেছে। তাদের চোখ সমূহ তামার ডেগের ন্যায় বড় বড়, দাত সমূহ গরুর শিং এর ন্যায়, কণ্ঠ সমূহ বিজলীর গর্জনের ন্যায়। এ উভয় ফেরেশতা তাকে উঠিয়ে বসিয়ে জিজ্ঞেস করবে যে, তুমি কার ইবাদত করতে, তোমার নাবী কে ছিল, যদি আল্লাহর ইবাদত কারী হয় তাহলে বলবে? আমি আল্লাহর ইবাদত করতাম, আমার নাবী ছিল মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে আমাদের নিকট স্পষ্ট দলীল ও হেদায়েত নিয়ে এসে ছিল। আমরা তার প্রতি ঈমান এনেছি এবং তার অনুসরণ করেছি। আর আল্লাহ্র এ বাণীর ও এই মর্মার্থঃ যারা শাশ্বত বাণীতে বিশ্বাসী তাদেরকে আল্লাহ ইহ জীবনে এবং পর জীবনে সু প্রতিষ্ঠিত রাখবেন। (সূরা ইবরাহিম-২৭)
অতঃপর তাকে বলা হবে যে, তুমি ইয়াকীনের উপর জীবিত ছিলা এবং ইয়াকীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছ, আর ইয়াকীন অবস্থায়ই পুনরুত্থিত হবে। তার জন্য তখন জান্নাতের দিকে একটি দরজা খুলে দেয়া হবে এবং তার কবরকে প্রশস্ত করে দেয়া হবে। পক্ষান্তরে মৃত ব্যক্তি যদি আল্লাহ ও তার রাসূলের ব্যাপারে স্বন্দিহান হয়, তাহলে সে মোনকার ও নাকীরের প্রশ্নের উত্তরে বলবেঃ আমি কিছুই জানিনা। মানুষকে যা বলতে শুনেছি তাই বলতাম, তখন তাকে বলা হবে যে, তুমি স্বন্দেহের উপর জীবিত ছিলা এবং স্বন্দেহের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছ, আর স্বন্দেহের অবস্থায়ই পুনরুত্থিত হবে। অতঃপর তার জন্য জাহান্নামের দিকে একটি রাস্তা খুলে দেয়া হবে আর তার শাস্তির জন্য এমন বিষাক্ত সাপ নির্ধারণ করা হবে যে, এর কোন একটি যদি কখনো পৃথিবীতে নিঃস্বাস ত্যাগ করে তাহলে পৃথিবীতে আর কখনো কোন কিছু উৎপন্ন হবে না। এমন বিষাক্ত সাপ তাকে ধ্বংশন করতে থাকবে। অতঃপর যমিনকে নির্দেশ দেয়া হবে যে, কাফেরের উপর তুমি সংকীর্ণ হয়ে যাও, তখন যমিন তার জন্য এতটা সংকীর্ণ হয়ে আসবে যে, তার শরীরের এক পার্শ্বের হাড্ডি অপর পার্শ্বের হাড্ডির সাথে গিয়ে মিশবে। (ত্বাবারানী)[13]
নোটঃ উল্লেখ্য জাহান্নামে কাফেরদেরকে সাপ ও বিচ্ছু ধ্বংশন করবে, জাহান্নামের সাপ সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেনঃ সাপ সমূহ উটের সমান হবে, আর তাদের একেক।
বারের ধ্বংশনের ফলে জাহান্নামী চল্লিশ বছর পর্যন্ত তার প্রতিক্রিয়া ভোগ করবে। আর বিচ্ছুর ব্যাপারে বর্ণিত হয়েছে যে, তা খচ্চরের সমান হবে, আর তাদের একেক বারের ধ্বংশনের ফলে জাহান্নামী চল্লিশ বছর পর্যন্ত তার প্রতিক্রিয়া ভোগ করবে। (আহমদ)
মাসআলা-১২৭ কবরে কাফেরের জন্য বিভিন্ন রকমের সাপ নির্ধারন করা হবে। প্রত্যেকটি সাপের সত্তরটি মাথা থাকবে, যা কিয়ামত পর্যন্ত তাকে ধ্বংশন করতে থাকবে।
قال (( إن المؤمن في قبره لفي روضة خضراء في محب له عن رسول الله عن أبي هريرة قبره سبعون ذراعا، ويؤله كالقمر ليلة البدر أتذرون فيما أنزلت هذه الاية فإن له معيشة نگا و خشتره يوم القيمة اغمی به رطه : 124) قال : أتدرون ما المعيشة الضنك؟ )) قالوا : الله ورسوله أعلم . قال : (( عاب الكافر في قبره ، والذي نفسي بيده يسلط عليه يعة و تيممون و ما التنين؟ بعون تحية إكل حنية سبعة رؤوس ينعون و يخشونه إلى يوم القيمة )) نینا، ت رواه أبو يعلى و ابن حبان
অর্থঃ আবু হুরাইরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মোমেন ব্যক্তি কবরে একটি সবুজ বাগানে থাকবে, তার কবরকে সত্তর হাত প্রশস্ত করে দেয়া হবে। তার কবরকে ১৪ তারিখের চাঁদের আলোর ন্যায় আলোক ময় করে দেয়া হবে। তোমরা কি জান যে, এ আয়াত টি কি ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে? “তার জীবন যাপন হবে সংকুচিত এবং কিয়ামতের দিন আমি তাকে অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করব।” (সূরা ত্ব-হা- ১২৪)
তিনি আরো বলেন তোমরা কি জান সংকুচিত জীবন কি? তারা বললঃ আল্লাহ ও তার রাসূল ই ভাল জানেন? তখন তিনি বললেনঃ কবরে কাফেরের আযাব। ঐ সত্ত্বার কসম যার হাতে আমার প্রাণ তার কবরে ৯৯ টি সাপ থাকবে, প্রত্যেকটি সাপের সত্তর টি করে মাথা থাকবে, এগুলো কিয়ামত পর্যন্ত তাকে ধ্বংশন করতে থাকবে। (আবু ইয়া’লা, ইবনে হিব্বান)[14]
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।