মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
মাসআলা-১৫৪ ওসমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) কবরের আযাবের ভয়ে এত কাপঁতেন যে তার দাড়ি ভিজে যেত।
عن هانی مولی عثمان بنه قال : كان عثمان إذا وقف على قبر کی حتى يبل إيثة ، فقيل له : ذكر الجنة والنار ، فلا تبكى وتى من هذا ؟ فقال : ان رؤل الله ، قال : (( اين القبر أول منزل من منازل الأخرة، إن نجا منه فما بعده أيسر منه وان لم ينج منه فما بعده أ نه ، قال : وقال وشؤل الله صلى الله عليه وسلم (( مارأيت منظرا قط إلا و القبر أفظع منه )). رواه الترمذی ( حسن )
অর্থঃ হানী মাওলা ওসমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেনঃ ওসমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) যখন কোন কবরের পার্শ্বে দাড়াতেন তখন কাঁদতে কাঁদতে তার দাড়ি ভিজে যেত, তাকে জিজ্ঞেস করা হল যে, আপনি জান্নাত জাহান্নামের কথা স্মরণ করেন তখন এত কাদেন না অথচ কবরের কথা স্মরণ করে এত কাদেন? তিনি বললেনঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কবর পরকালের স্তর সমূহের মধ্যে প্রথম স্তর, যদি এখান থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তাহলে পরবর্তী স্তর সমূহ সহজ হবে। আর যদি এখান থেকে মুক্তি না পাওয়া যায়, তাহলে পরবর্তী স্তর সমূহ আরো কঠিন হয়ে যাবে। বর্ণনা কারী বলেনঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেছেনঃ কবরের চেয়ে চিন্তনীয় আর কোন স্থান আমি আর কখনো দেখি নাই। (তিরমিযী)[1]
মাসআলা-১৫৫ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কবরের কথা বর্ণনা করলে সাহাবাগণ ভয়ে উচ্চ কণ্ঠে কাঁদতে শুরু করতেন।
فكر الفتنة التى يفتن بها عن أسماء بنت ابی بر رضي الله عنها قالت : قام شول الله الم في قبره فلما ذكر ذلک، ضج المسلمون ضجة ” خال بيني وبين أن أفهم كلام رسول فلما گئث ضجتهم ، ل لرجل قريب من : أي بارك الله لك ، ماذا قال ترشول الله في آخر قوله ؟ قال : (( قد أوحى إلى انكم تفنون في القبور ، قريبا من فتنة الدجال )). الله رواه النسائي
অর্থঃ আসমা বিনতে আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাড়িয়ে ঐ ফিতনার কথা বর্ণনা করতে লাগলেন প্রত্যেক মানুষ কবরে যে ফেতনার সম্মুক্ষীন হবে। যখন তিনি কবরের ফেতনার কথা বর্ণনা করতে শুরু করলেন তখন মোসলমানরা অত্যান্ত করুন ভাবে কাঁদতে শুরু করল, এতে আমি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কথা কিছুই বুঝতে পারলাম না। যখন তাদের কান্না থামল, তখন আমি আমার পাশ্ববর্তী লোকটিকে জিজ্ঞেস করলাম যে, আল্লাহ তোমাকে বরকত দিন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সবশেষে কি বললেন? সে বললঃ আমার নিকট ওহী করা হয়েছে যে, তোমরা কবরে ফেতনার সম্মুক্ষীন হবে। যা দাজ্জালের ফেতনার কাছাকাছি হবে। (নাসায়ী)[2]
خطيبا فكر فتنة القبر التى عن أسماء بنت ابی بکر رضى الله عنها تقول : قام شول الله يتبين فيها المتر فلما كر ذلك ضج الليمون ضجة . رواه البخاری
অর্থঃ আসমা বিনতে আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন? রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাড়িয়ে ঐ ফিতনার কথা বর্ণনা করতে লাগলেন, প্রত্যেক মানুষ কবরে যে ফেতনার সম্মুক্ষীন হবে। যখন তিনি কবরের ফেতনার কথা বর্ণনা করতে শুরু করলেন তখন মোসলমানরা অত্যান্ত করুন ভাবে কাঁদতে শুরু করল। (বোখারী)[3]
মাসআলা-১৫৬ আমর বিন আস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) মৃত্যুর সময় শেষ পরিনতির কথা স্মরণ করে দীর্ঘক্ষন কাপঁতে ছিলেন।
মাসআলা-১৫৭ আমর বিন আস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) কবরের প্রশ্ন উত্তরের ভয়ে স্বীয় সন্তানদেরকে ওসীয়ত করেছিলেন যে, আমাকে দাফনের পর দীর্ঘক্ষন আমার কবরের পার্শ্বে দাড়িয়ে দূয়া করবে।
ال۔ عن ابن شماسة المهري قال : حضرنا عمرو بن العاص نه و هو فى سياقة الموت يكى طويلا و خؤل وجهه إلى الجدار ، فجعل ابنه يقول : يا أبتاه ! أما بشرک زشؤل الله بگذا؟ أما بشرك و الله بگذا؟ قال : قال بوجهه وقال : اين أفضل ما تعد شهادة أن لا إله الا الله وأن محمدا رول الله اني قد غلى اطباق ثلا لقد رأی و ما أحد أشد بغضا لشؤل الله مني، ولا أحب إلى أن أكون قد اشتمكن من قتلته منه ، قوم على تلك الحال لكن من أهل النار، فلما جعل الله الإسلام في قلب ات النبي فقلت : أينشط يمينگ فايفك بسط يمينه ، قال : فقبضت يدي، قال (( ما لك يا عمرو؟ )) قال قلت : أردت أن أشترط ، قال (( تشترط بماذا؟ )) قلت : أن يغفرلى ، قال (( أما علمت يا عمرو ؟ أين الإسلام يهدم ما كان قبله ؟ و أن الهجرة تهدم ما كان قبلها ؟ و أين الحج يهدم ما كان قبله؟ )) و ما كان أحد أب إلى من ترشول الله ولا جل في غنى منه ، وما أطيق آن ام عينى منه إجلالا له ، ولو ث أن أصقه ما اطق لاني لم اكن آمأعين منه ، و لو مضى على تلك الحال جو ان اكون من أهل الجنة ، ثم ولينا اشياء ما أدري ما خالتي فيها ، فادا انا م فلا تضحی ناخة ولا ناز فاذا دقتمونى و على الراب ا . ثم أقيموا حول قبر قدر ما تنحر جزوز و بنفسم تخمها حتی آسانس بكم ، و انظر ماذا راجع به ژل ربی . رواه مسلم
অর্থঃ সমাসা বিন মেহরী বলেনঃ আমরা আমর বিন আস (রাযিয়াল্লাহু আনহুর) মৃত্যুর সময় তার নিকট উপস্থিত ছিলাম, তিনি দীর্ঘক্ষন যাবত কাঁদতে কাঁদতে দেয়ালের দিকে মোখ ফিরালেন, তার ছেলেরা বললঃ হে আব্বা! রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি আপনাকে এই এই সুসংবাদ দেয় নাই? তখন আমর বিন আস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তার চেহারা সামনের দিকে আনলেন এবং বললেনঃ আমরা কালেমায়ে শাহাদাত “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” এ স্বীকৃতিকে সর্বোত্তম কথা বলে মনে করতাম, আমার তিনটি অবস্থা অতিক্রম হয়েছে, প্রথমতঃ তখন আমি কাওকে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর চেয়ে অধিক খারাপ মনে করতাম না। আর আমি খুবই আশান্বিত ছিলাম যে, আমি তাকে হাতের কাছে পেলে কতল করব। ঐ অবস্থায় যদি আমি মৃত্যু বরণ করতাম তাহলে আমি জাহান্নামী হতাম। দ্বিতীয়তঃ যখন আল্লাহ আমার অন্তরে ইসলামের মোহাব্বত জাগ্রত করলেন, আর আমি তখন তার নিকট উপস্থিত হলাম এবং বললাম যে আপনার হাত প্রসারিত করুন, তিনি তার হাত প্রসারিত করলেন, তিনি তার ডান হাত প্রসারিত করলেন তখন আমি আমার হাত টেনে নিলাম, তিনি বললেন হে আমর কি হয়েছে? আমি বললাম যে আমি একটি শর্ত করতে চাই।
তিনি বললেনঃ কি শর্ত? আমি বললাম আমার গোনাহ সমূহ ক্ষমার শর্ত! তিনি বললেনঃ হে আমর তুমি কি জাননা যে, ইসলাম গ্রহণ করলে পূর্ববর্তী সমস্ত গোনাহ মাফ হয়ে যায়। হিযরত করলে পূর্ববর্তী সমস্ত গোনাহ মাফ হয়ে যায়। হজ্ব করলে পূর্ববর্তী সমস্ত গোনাহ মাফ হয়ে যায়। তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রতি আমার এত বেশি মোহাব্বত জাগল যে, এত বেশি মোহাব্বত আর কারো প্রতি আমার ছিল না। আর তিনি আমার নিকট এমন এক গুরুত্ব পূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন, যে এর চেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ আর কেউ ছিল না। আমি তাঁর মর্যাদা ও ভয়ে তার দিকে নয়ন ভরে কখনো তাকাই নাই। ঐ অবস্থায় যদি আমি মৃত্যু বরণ করতাম তাহলে আমি আশান্বিত ছিলাম যে, আমি জান্নাতী হব। কিন্ত এর পর আমি কিছু পার্থিব কাজে নিমগ্ন হয়ে গেছি, তাই আমি বুঝতেছিনা যে এ তৃতীয় স্তরে এসে আমার পরিনতি কি হবে? তাই আমি যখন মৃত্যুবরণ করব তখন যেন আমার জন্য কোন মহিলা কান্নাকাটি না করে, আর আমার লাশের সামনে যেন কেউ আগুণ জ্বেলে বসে না থাকে।
আর যখন তোমরা আমাকে দাফন করবে তখন ভাল করে কবরে মাটি দিবে, এবং আমার কবরের পার্শ্বে এত দীর্ঘক্ষন দাড়িয়ে দূয়া করবে, যতক্ষন কোন উট কোরবানী করে তার গোশত বন্টন করা যায়। যাতে আমি আত্ব তৃপ্তি লাভ করতে পারি এবং বুঝতে পারি যে আমার প্রভূর পক্ষ থেকে প্রেরিত ফেরেশতার প্রশ্নের কি উত্তর দিব? (মুসলিম)[4]
নোটঃ উল্লেখ্য যে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বহু স্থানে আমর বিন আস (রাযিয়াল্লাহু আনহুর) প্রশংসা করেছেন, একদা বলেছেন যে, আমর সত্য মোমেন, একদা বলেছেন আমর বিন আস কোরাইশদের সৎ লোকদের অন্তর্ভুক্ত। একদা তার জন্য এ দুয়া করলেন যে, হে আল্লাহ্ আমর বিন আসকে ক্ষমা কর। অন্য এক সময় তার জন্য এ দূয়া করলেন হে আল্লাহ্ আমরের প্রতি রহম কর। (আল্লাহ্ ই এব্যাপারে ভাল জানেন।)
মাসআলা-১৫৮ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর খচ্চর কবরের আযাব শোনে ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে গিয়ে ছিল। তখন তিনি তাঁর সাহাবাগণকে কবরের আযাব থেকে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য নির্দেশ দিলেন।
عین الخدرى عن زيد بن ثابت رضی الله عنهما قال أبو سعيد بينه و لم اشهدة عن ابی فى حائط لبني النجار على تعلة له من النبى ا ولكن حده زيد بن ثابت عنه قال بينما النبى ونحن معه إثر حادث به فكادت تقيه وادا ازية أو خمسة أو أربعة قال كذا كان يقول الجبير فقال : (( من يعرف أصحاب هذه الاقبر؟ )) قال رجل : أنا ، قال : (( قمتی مات هؤلاء؟ )) قال : ماتوا في الإشتراك فقال (( إن هذه الأمة بتلى في بورها لولا أن لا تدافا تدعو الله أن من عذاب القبر الذي اسمع منه )) مممم اقبل علينا بوجهه فقال : (( تعودوا بالله من عذاب النار )) فقالوا : تعود بالله من عذاب النار فقال : (( تعوا بالله من عذاب القبر )) قالوا تعود بالله من عذاب القبر قال : (( تعوا بالله من الفتن ما ظهر منها وما بطن، قالوا نعود بالله من الفتن ما ظهر منها وما بطن قال : (( تعوا بالله من فتنة الدجال )) قالوا نعود بالله من فتنة الدجال . رواه مسلم
অর্থঃ আবু সাঈদ খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে আমি এ হাদীস সরাসরি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে শুনি নাই। বরং যায়েদ বিন সাবেত (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে শুনেছি আর তিনি বর্ণনা করেনঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা বানী নাজ্জারের একটি বাগানে একটি খচ্চরের উপর আরোহন করে যাচ্ছিলেন, আমিও তাঁর সাথে ছিলাম, হটাৎ তাঁর খচ্চরটি তাঁকে পিঠ থেকে ফেলে দিতে চাচ্ছিল। ওখানে ৬টি বা ৫টি বা ৪টি কবর ছিল, তিনি জিজ্ঞেস করলেন, যে এ কবর বাসীদের সম্পর্কে কি কেউ জানে? যে তারা কারা? এক ব্যক্তি বলল আমি জানি! তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তারা কখন মৃত্যু বরণ করেছে। সে বলল শিরকরত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছে।
তখন তিনি বললেনঃ তারা কবরে পরিক্ষিত হচ্ছে, যদি আমার এ আশঙ্কা না থাকত যে, তোমরা তোমাদের মৃত ব্যক্তিদের দাফন করা ছেড়ে দিবে না, তাহলে আমি আল্লাহর নিকট দূয়া করতাম যে তিনি যেন তোমাদের কেও কবরের আযাব শোনায় যেমন আমি শুনি। অতঃপর তিনি আমাদের দিকে ফিরে বললেনঃ জাহান্নামের আগুণ থেকে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। লোকেরা বললঃ আমরা জাহান্নামের আগুণ থেকে আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। অতঃপর তিনি বললেনঃ কবরের ফেতনা থেকে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। লোকেরা বললঃ আমরা কবরের ফেতনা থেকে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। অতঃপর তিনি বললেনঃ প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য ফেতনা থেকে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। লোকেরা বললঃ আমরা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য ফেতনা থেকে আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। অতঃপর তিনি বললেনঃ দাজ্জালের ফেতনা থেকে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। লোকেরা বললঃ আমরা দাজ্জালের ফেতনা থেকে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। (মুসলিম)[5]
মাসআলা-১৫৯ আবু যার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) কবর ও আখেরাত সম্পর্কে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর খোৎবা শোনে এ আকাঙ্খা প্রকাশ করলেন যে, হায়! যদি আমি কোন বৃক্ষ হতাম আর মানুষ আমাকে কেটে ফেলত তাহলে কতইনা ভাল হত।
নোটঃ হাদীস মাসলা নং- ৭০ দ্রঃ।
মাসআলা-১৬০ কবরের ভীতি থেকে বাঁচার ব্যাপারে আবু যার (রাযিয়াল্লাহু আনহুর) উপদেশঃ
اين بار برندگان قول یا ایها الناس إنى لكم ناصح اى عليكم شفيق ، صلوا في ظلمة الليل يؤشة القبور . ذكره أبو نعيم
অর্থঃ আবু যার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলতেন হে লোক সকল আমি তোমাদের কল্যাণ কামী এবং তোমাদের প্রতি সদয়, কবরের একাকীত্ব থেকে বাঁচার জন্য রাতের অন্ধকারে নামায পড়। (তাহাজ্জদ নামায)
মাসআলা-১৬১ আবু হুরাইরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) মৃত্যুর সময় এ দীর্ঘ সফরে পাথেয়র অভাবে কাঁদতে ছিল।
أن أبا هريرة عنه بگی في مرضه فقيل ما يبكيك؟ فقال أما إني لا ابكي على دنیام هډه و لكن انك على بعد قرى و قلة ادبی و انى امسيت ف صعود مهبطة على جنة ونار لا أدري على أيهما يوخنی
অর্থঃ আবু হুরাইরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) মৃত্যু সয্যায় সায়িত অবস্থায় খুব কাঁদতে ছিলেন। লোকেরা জিজ্ঞেস করল যে, আপনি কাদঁছেন কেন? তিনি বললেনঃ আমি দুনিয়া ছেড়ে চলে যাচ্ছি এজন্য কাঁদছি না, বরং আমি কাঁদতেছি এজন্য যে এ দীর্ঘ সফরে আমার পাথেয় সল্প। আমি এমন এক অবস্থায় এসে উপনিত হয়েছি, যে আমার সামনে জান্নাত ও জাহান্নাম অথচ আমি জানিনা যে এ উভয়ের মধ্যে আমার ঠিকানা কোথায়?
মাসআলা-১৬২ কবরের কথা স্মরণ করে মালেক বিন দীনার কাঁদতে কাঁদতে বেহুশ হয়ে গিয়ে ছিলেন।
قال مالك بن دينار عجبا لمن يعلم أن الموت مصيرة ، و القبر مؤرده ، كيف تق بالدنيا حتى يسقط مغشيا عليه عينه و كيف يطيب فيها عيشة ؟ قال ثم يبكى مالك
অর্থঃ মালেক বিন দীনার বলেনঃ আশ্চার্য লাগে ঐ ব্যক্তিকে দেখে যে জানে যে, মৃত্যু তার শেষ পরিনতি, আর কবর তার ঠিকানা, কি করে সে পৃথিবীতে আত্মা তৃপ্তী লাভ করে, বর্ণনা কারী বলেনঃ মালেক বিন দীনার একথা বলে কাঁদতে কাঁদতে বেহুশ হয়ে গিয়ে ছিলেন (সাফওয়া তৃতীয় খন্ড পৃঃ৩৪)
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।