hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কবরের বর্ণনা

লেখকঃ মুহাম্মদ ইকবাল কীলানী

১৭
একটি ভ্রান্তির আপনোদন
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) জীবন দুনিয়ার জীবনের মত বলে প্রমাণ করার জন্য কোন কোন হযরতগণ নিম্নলিখিত হাদীস সমূহ পেশ করেনঃ

১- যখন কোন লোক আমাকে সালাম করে, তখন আল্লাহ্ আমার রুহ আমার শরীরে ফেরত দেন এবং আমি সালামের উত্তর দেই। (আবুদাউদ)

২ - আমার প্রতি বেশি বেশি করে দরূদ পাঠ কর, আল্লাহ আমার কবরে এক জন ফেরেশতা নির্ধারণ করবেন, যখন আমার কোন উম্মত আমার উপর দরূদ পাঠ করবে তখন ফেরেশতা আমাকে বলবে “হে মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ওমকের ছেলে ওমক, ওমক সময় তোমার প্রতি দরূদ পাঠ করেছে।” (দাইলামী)

৩ - জু‘মার দিন বেশি করে আমার প্রতি দরূদ পাঠ কর। যে ব্যক্তি জু‘মার দিন আমার প্রতি দরূদ পাঠ করে, তাকে আমার সামনে পেশ করা হয়। (হাকেম, বাইহাকী)

শেখ নাসেরুদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) প্রথম দুইটি হাদীসকে “হাসান” বলেছেন। আর তৃতীয় হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। এসমস্ত হাদীস থেকে “হায়াতুন্নবী” (নবী জীবিত আছেন। প্রমাণকারী হযরতগণ ঐ ভ্রান্তির শিকার হয়েছেন যার উল্লেখ আমরা ইতি পূর্বে “বারযাখী জীবন কেমন” শিরো নামে আলোচনা করেছি। এ প্রকৃত সত্যকে অস্বীকার করার তো কোন পথ নেই যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বারযাখে সমস্ত নবী, শহীদ, ওলী, থেকে উত্তম ও সর্বোচ্চ মর্যাদায় কালাতিপাত করছেন। কিন্ত বারযাখী জীবন যেহেতু, এ পৃথিবীর জীবন যাপন পদ্ধতি থেকে ভিন্ন, তাই একে এ পৃথিবীর জীবনের সাথে তুলনা করাই ভুল। মানুষকে ঐ বুঝ ও অনুভুতি শক্তি দেয়াই হয় নাই যে, সে দুনিয়ায় থেকে বারযাখী জীবনকে অনুভব করবে। (বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন সূরা বাক্বারা-১৫৪)

চিন্তা করুন! মানুষের সালামের উত্তর দেয়ার জন্য, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) রুহ তার শরীরে ফেরত দেয়ার একাধিক পদ্ধতি থাকতে পারে। যেমনঃ প্রত্যেক ব্যক্তির সালামের উত্তরের জন্য রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) রুহ তার শরীরে ফেরত দেয়া হয়, অথবা দিনে এক বার কোন এক সময় রুহকে তাঁর শরীরে ফেরত দেয়া হয়, অথবা সাপ্তায় এক বার অথবা মাসে এক বার, অথবা বছরে এক বার, সমস্ত মানুষের সালাম এক সাথে তার সামনে পেশ করা হয় এবং তিনি এক সাথে সকলের সালামের উত্তর দেন। রুহকে শরীরে ফেরত দেয়া কি উল্লেখিত কোন এক পদ্ধতিতে হয়, না এর বাহিরে অন্য কোন পদ্ধতিতে হয়, তা এক মাত্র আল্লাহই ভাল জানেন। এ একই অবস্থা দরূদের ব্যাপারেও, যে তা কি প্রত্যেক দিন তাঁর সামনে পেশ করা হয়, না শুধু জু‘মার দিন যেমন পূর্বে উল্লেখিত হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, মূলত এ সমস্ত বিষয় সমূহ এমন, যে এর জ্ঞান আল্লাহ ব্যতীত অন্য কার জানা নেই। তবে আমাদের জন্য এসমস্ত বিষয় সমূহ বিশ্বাস করা জরুরী, কিন্তু এর পদ্ধতি বুঝা আমাদের পক্ষে মোটেও সম্ভব নয় এবং কোন প্রয়োজনও নেই।

কোন কথা বিশ্বাস করা এর পদ্ধতির সাথে সম্পৃক্ত নয়। কত বিষয় এমন আছে যে, এর প্রতি আমাদের ঈমান আছে, কিন্তু এর পদ্ধতি আমরা এ দুনিয়ায় থেকে বুঝতে অপারগ। যেমন রাতের শেষ ভাগে আল্লাহ প্রথম আকাশে নেমে আসার ব্যাপারে আমাদের ঈমান আছে, কিন্তু এর পদ্ধতি আমাদের জানা নেই। কিরামান কাতেবীন আমাদের আমল নামা লেখে, এ বিষয়ে আমাদের ঈমান আছে কিন্তু তার পদ্ধতি আমাদের জানা নেই। কিয়ামতের দিন আমাদের আমল সমূহ ওজন করা হবে এব্যাপারে আমাদের ঈমান আছে, কিন্তু এর পদ্ধতি আমাদের জানা নেই। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) মে’রাজের ব্যাপারে আমাদের ঈমান আছে কিন্তু এর পদ্ধতি আমাদের জানা নেই। এর উদাহরণ এখানেই শেষ নয়, বরং এর বাহিরেও আরো অনেক উদাহরণ আছে যে বিষয় গুলির প্রতি আমাদের ঈমান আছে, কিন্তু তার পদ্ধতি আমাদের জানা নেই। বারযাখী জীবনে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) রুহ তার শরীরে ফেরত দেয়া, লোকদের সালামের উত্তর দেয়া, ফেরেশতা কর্তৃক তার নিকট লোকদের সালাম পৌঁছানো, জু‘মার দিন তাঁর সামনে পেশ করানো ইত্যাদি ও ঐ সমস্ত বিষয়ের ই অন্তর্ভুক্ত, যার পদ্ধতি ও পকৃত অবস্থা বুঝা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

কিন্তু এব্যাপারে ঈমান রাখা ওয়াজিব। অতএব এ সমস্ত হাদীস সমূহ থেকে, না রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) স্বীয় কবরে জীবিত থাকার কথা প্রমাণ হয়, না এ হাদীস সমূহ থেকে এ কথা কিয়াস করা বৈধ হবে যে, যেহেতু তিনি আমাদের সালাম শোনেন এবং এর উত্তর দেন তাহলে আমাদের অন্যান্য দূয়াও তিনি শোনেন এবং এর উত্তর দেন। বা আমাদের উদ্দেশ্য সমূহ পূরণ করেন। বা আমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বা কবর থেকে বাহিরে বের হয়ে এসে ওলীগণের সাথে বৈঠক করেন। এ সবই বাতীল ও ভ্রান্তি মূলক কিয়াস। কিতাব ও সুন্নাতের শিক্ষার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল যে সমস্ত কথা বলেছেন তা নিঃশ্চিন্তে বলতে হবে এবং তার প্রতি ঈমান রাখতে হবে। আর যে কথা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল বলেন নাই, সে ব্যাপারে নিজে কিয়াস করে কোন কথা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের উপর চাপিয়ে দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরশাদ করেনঃ

من کذب علی متعمدا فلیتبوا مقعده من النار

অর্থঃ যে ইচ্ছা করে আমার ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলল, সে যেন নিজে নিজের ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নেয়। (বোখারী ও মুসলিম)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন