hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১ম খন্ড

লেখকঃ আবুল ফিদা হাফিজ ইবন কাসীর আদ-দামেশকী (র)

১৭
ইবন কাসীর (র)-এর অন্যান্য রচনা
(২) তাফসীরুল কুরআনিল কারীম (তাফসীরে ইবন কাসীর)

এটি প্রথমে ছাপা হয় বুলাকে, কানূজীর ‘ফাতহুল বয়ানের’ পার্শ্বটীকা রূপে এটি প্রকাশিত , হয়েছিল ১০ খণ্ডে। পুনরায় ছাপা হয় ১৩০০ হিজরীতে সাইয়িদ আবু তায়্যিব সিদ্দীক ইবন হাসান খান রচিত 'মাজমাউল বয়ান ফী মাকাসিদিল কুরআন’ গ্রন্থের পার্শ্বটীকা স্বরূপ। ১৩৪৩ হিজরীতে এটি নাজদ ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের ইমাম সুলতান আবদুল আযীয ইবন আবদুর রহমান আল ফায়সাল-এর নির্দেশে মিসরের আল মানার ছাপাখানায় মুদ্রিত হয়। এটির পার্শ্বটীকায় ছিল ইমাম বগভী (র) রচিত তাফসীর। পরে সংক্ষিপ্ত আকারে “উমদাতুত্ তাফসীর আনিল হাফিজ ইবন কাছীর” নামে ১৯৫৬ খৃস্টাব্দ/১৩৭৫ হিজরীতে পুনঃপ্রকাশিত হয়। এটি ৫টি খণ্ডে মুদ্রিত হয়। তাফসীর নং ১৬৮ ক্রমিক নম্বরে ৭ খণ্ডে সুন্দর হস্তাক্ষরে লিখিত মাকতাবাতুল আযহারিয়ায় রক্ষিত পান্ডুলিপি থেকে এটি মুদ্রিত হয় ৮২৫ হিজরীতে। মুহাম্মদ আলী সূফী এটির কপি করে দিয়েছিলেন। আমার জানা মতে এটি উৎকৃষ্টতম ছাপা।

ইবন কাসীর (র) কুরআন করীমের তাফসীর কুরআনের আয়াত দ্বারা, অতঃপর হাদীস দ্বারা এই নীতির অনুসরণ করেছেন। ইসরাঈলীদের মনগড়া বর্ণনাগুলোর তিনি সমালোচনা করেছেন। এগুলোর প্রতি তার কোন আস্থা ছিল না। তবে শরীয়ত যেগুলো সমর্থন করে, সেগুলো ব্যতিক্রম। তিনি তাফসীর গ্রন্থের সাথে 'ফাযায়েলুল কুরআন’ও সংযুক্ত করে দিয়েছেন। যা ১৩৪৮ হিজরীতে স্বতন্ত্রভাবে মিসরে ছাপা হয়েছিল। অতঃপর তার তাফসীরের সাথে পুনরায় ছাপা হয়।

(৩) আল ইজতিহাদ ফী তামাবিল জিহাদ

দারুল কুতুব আলমিসুরিয়্যাতে এর একটি অশুদ্ধ কপি সংরক্ষিত আছে। 'আলমাখতূতাত ইন্সটিটিউটে’ এর ফটোকপি মজুদ আছে। এ কিতাবটি অতি সাধারণভাবে কোন প্রকারের পরিশোধন পরিমার্জন ব্যতীত প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে ছিল বহু ভুল ও বিকৃতি। ১৩৪৭ হিজরী সনে ‘আবুল হাওল’ প্রেসে এটি মুদ্রিত হয়। তবে পরিশোধিত ও পরিমার্জিত প্রকাশনা হল ১৪০১ হিজরী মুতাবিক ১৯৮১ খৃস্টাব্দে বৈরুতে প্রকাশিত মুদ্রণটি। আবদুল্লাহ আবদুর রহীম উসায়লীন এই মুদ্রণের তত্ত্বাবধান করেন।

সিরিয়ার নায়েবে সুলতান আমীর মুনজাক ইবন আবদুল্লাহ্ সায়ফুদ্দীন আল ইউসুফীর (ওফাত-৭৭৬ হিঃ) আগ্রহ পূরণার্থে ইবন কাসীর (র) এ গ্রন্থটি সংকলন করেছিলেন। এ গ্রন্থে সন্নিবেশিত রয়েছে হিজরী ৮ম শতাব্দীর মুসলিম ও ক্রুসেডারদের যুদ্ধ বিগ্রহের বর্ণনা। সেই যুগের বর্ণনা যে যুগে ইবন কাসীর (র) জীবন যাপন করেছিলেন। ইতিহাস শাস্ত্রে এটি একটি নির্ভরযোগ্য গ্রন্থরূপে বিবেচিত হয়। কারণ, সংশ্লিষ্ট ঘটনাবলী এই গ্রন্থে সত্যতা ও বিশ্বস্ততার সাথে বর্ণিত হয়েছে। তিনি তার এ গ্রন্থটি একটি ভূমিকা দ্বারা শুরু করেন। এতে তিনি জিহাদে উদ্বুদ্ধকারী কুরআনের আয়াতসমূহ এবং এরপর এ বিষয়ক হাদীসসমূহ উল্লেখ করেছেন। মোট ১৩টি হাদীস তিনি এখানে সন্নিবেশিত করেছেন। তারপর ক্রুসেডার ও মুসলমানদের মধ্যকার যুদ্ধ-বিগ্রহের কথা উল্লেখ করেছেন। এরপর আলেকজান্দ্রিয়া সীমান্তে ফিরিঙ্গীদের আগ্রাসী আক্রমণ এবং মুসলমানদের প্রতিরোধের কথা বর্ণনা করেছেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর যুগ থেকে শুরু করে খিলাফতে রাশেদা ও তার পরবর্তী যুগের সিরিয়ায় মুসলমানদের ‘জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ্’-এর জন্যে অবিরাম প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেছেন। ফিরিঙ্গীদের বায়তুল মুকাদ্দাস দখল এবং সালাহউদ্দীন আয়ুবী কর্তৃক তা পুনরুদ্ধারের ইতিহাস এবং গাযা, নাবলুস, আজলূন, কুর্ক, গাওর, শাওবাক ও সাফাদ অঞ্চল পুনরাধিকারের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেছেন।

(৪) ইখতিসার-ই-উলুমিল হাদীস

এটি হাদীসের পরিভাষা বিষয়ক একটি পুস্তিকা। “আল-বাইছুল হাছীছ ইলা মা’রিফাতি উলুমিল হাদীস” শিরোনামে আহমদ মুহাম্মদ শাকির এটির ব্যাখ্যাগ্রন্থ লিখেছেন। এটা হচ্ছে ইবন কাসীর (র) কৃত ইবন সালাহ-এর মুকদ্দিমা’ গ্রন্থটির সংক্ষিপ্ত সার। এ গ্রন্থের কয়েকটি মুদ্রণ হয়।

(ক) ১৩৫৩ হিজরী সনে শায়খ মুহাম্মদ আবদুর রাযযাক হামযার পরিশোধন সহকারে এর মক্কা সংস্করণ প্রকাশিত হয়।

(খ) ১৩৫৫ হিজরী সনে এর মিসরীয় সংস্করণ ছাপা হয়। আহমদ শাকির এটি সংশোধন করেছেন।

(গ) কিছু অতিরিক্ত ব্যাখ্যা ও মন্তব্য সহকারে আহমদ শাকির ১৩৭০ হিজরী সনে এটা কায়রো থেকে পুনঃ প্রকাশ করেন।

(৫) শামাইলুর রাসূল ওয়া দালাইলু নুবুওয়াতিহী ওয়া ফযায়েলিহী ও খাসাইসিহী

এটি ‘আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ গ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে। ১৩৮৬ হিঃ/১৯৬৭ খ্রীঃ কায়রো থেকে প্রকাশিত এ গ্রন্থটি মুস্তাফা আবদুল ওয়াহিদ কর্তৃক পরিশোধিত ও পরিমার্জিত।

পরিশোধনে তিনি নিম্নে উল্লেখিত কপিগুলোর সাহায্য নিয়েছেন।

(ক) ওলীউদ্দীন কৃত ফটোকপি, এটি ইতিহাস গ্রন্থ ক্রমিক নং ১১১০ রূপে 'দারুল কুতুব আল মিসরিয়্যা’ গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত রয়েছে।

(খ) মাকতাবা-ই-তায়মুরিয়্যা সংরক্ষিত ইতিহাস গ্রন্থ নং ২৪৪৩।

(গ) আলেপ্পোর মাকতাবা-ই-আহমদিয়া পান্ডুলিপি থেকে সংরক্ষিত কপি অনুসারে ১৩৫১ হিঃ সনে দারুস সাআদা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত কপি।

(৬) ইখতিসারু আস সীরাতুন নাবাবিয়্যাহ

এটিও ‘আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ থেকে সংকলিত গ্রন্থ। এতে ইবন কাসীর (র)-এর জাহেলী যুগের আরব ইতিহাস এবং সীরাতুন্নবী (সা) বিষয়ক আলোচনা স্থান পেয়েছে। 'আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’-এর ২য় খণ্ডের শেষ থেকে ৫ম, খণ্ডের শেষ পর্যন্ত প্রায় তিন খণ্ডের আলোচনা এই গ্রন্থে সন্নিবেশিত হয়েছে। অর্থাৎ এই অংশটি ৪ ভাগে বিভক্ত। গ্রন্থটি বহুবার প্রকাশিত হয়েছে। যেমনঃ

(ক) মিসরীয় মুদ্রণঃ ১৩৫৮ হিঃ/১৯৫৭ খ্রীঃ আরিফ লাইব্রেরীতে রক্ষিত কপি অনুসারে “আল ফুসূল ফী ইখতিসারে সীরাতে রাসূল (সা)” শিরোনামে প্রকাশিত হয়।

(খ) বৈরুত ও দামেশকের ‘মুআসসাসাতু উলুমিল কুরআন ওয়া দারুল কলম’ প্রকাশনালয়ের প্রকাশনা। ১৩৯৯-১৪০০ হিজরীর মধ্যে ডঃ মুহাম্মদ ঈদ আল-খারাবী ও প্রফেসর মুহিউদ্দীন মস্তূ এই সংস্করণটি সম্পাদনা করেন।

(৭) আহাদীসুত তাওহীদ ওয়ার রাদদু আলাশ শিরক

ব্রুকলম্যান তার আরবী সাহিত্যের ইতিহাস تا ريخ الادب العربي গ্রন্থের (২/৪৮) পরিশিষ্টে এ তথ্য উল্লেখ করেছেন এবং তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ১২৯৭ হিজরী সনে এটি দিল্লীতে মুদ্রিত হয়েছে।

উপরোল্লেখিত গ্রন্থগুলোই হচ্ছে ইবন কাসীর (র) রচিত প্রকাশিত গ্রন্থ। তাঁর অপ্রকাশিত রচনাবলীর সংখ্যা অনেক। সেগুলোর মধ্যে প্রসিদ্ধগুলোর তালিকা নিম্নে দেয়া হচ্ছেঃ

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন