hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মহা উপদেশ (‘আদী ইবন মুসাফিরের অনুসারীদের এর কাছে লেখা চিঠি)

লেখকঃ শাইখুল ইসলাম আহমাদ ইবন তাইমিয়্যাহ

১১
মুক্তির পথ
আপনারা অবগত আছেন। ‘আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের সংশোধন ও সংস্কার করুন’। নিঃসন্দেহে আক্বীদার যাবতীয় বিষয়সমূহে, ইবাদাতের যাবতীয় বিষয়সমূহে ও সার্বিক জীবন-ব্যবস্থা সম্পর্কে যে সুন্নতের অনুসরণ করা আবশ্যক এবং যে সুন্নতের অনুসারীগণ প্রশংসিত ও যে সুন্নাহর বিরোধীবাদীরা নিন্দিত, তা হলো মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত।

বস্তুতঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসসমূহ জানার মাধ্যমে তা জানা যাবে, যা তার কর্তৃক কোনো কথা ও কর্ম সু-প্রমাণিত হবে বা কোনো কর্ম, কথা ও আমল যা তিনি ছেড়ে দিয়েছেন তা হতে জানা যাবে। অতঃপর পূর্বসূরীগণ যার ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন এবং পরবর্তীগণ যারা একনিষ্ঠতার সাথে তাদের আনুগত্য করেছেন তা থেকে জানা যাবে।

এটা জানার একমাত্র উপায় ইসলামের প্রসিদ্ধ জ্ঞান ভাণ্ডার কিতাবসমূহ হতে। যেমন, দু’টি সহীহ গ্রন্থ বুখারী ও মুসলিম। সুনান গ্রন্থাবলী, যথা- সুনান আবু দাউদ, নাসাঈ, জামিউত তিরমিযী, মুয়াত্তা মালিক; বিখ্যাত মুসনাদ গ্রন্থাবলী যথা, মুসনাদে আহমদ ইত্যাদি। আরো রয়েছে, তাফসীরের কিতাবসমূহে, মাগাযীবিষয়ক কিতাবসমূহে ও অন্যান্য হাদীসের গ্রন্থাবলী যে গুলোতে ইসলামের বিভিন্ন দিকগুলো উম্মতের জন্য লিপিবদ্ধ হয়েছে। আর আসার (তথা পূর্ববর্তীদের বাণী ও কর্ম) সম্বলিত সংক্ষেপে রচিত ও সংক্ষিপ্ত হাদীসের গ্রন্থাবলী যা এক অংশ অপর অংশকে সু-প্রমাণিত করে। এটি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যা আল্লাহ তা‘আলা জ্ঞানবান ব্যক্তিদের দ্বারা সম্পন্ন করেছেন। তারা এ মর্মে যথোচিত শ্রম প্রদান করেছেন। ফলে আল্লাহ তা‘আলা দীনকে তার অনুসারীদের জন্যে তাদের দ্বারা সুরক্ষিত করেছেন।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আক্বীদার বিষয়ে অসংখ্য আলিমগণ হাদীস ও ‘আসার’সমূহ সংকলন করেছেন। যথা- হাম্মাদ ইবন সালামাহ, আব্দুর রহমান ইবন মাহদী, আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুর রহমান দারেমী, উসমান ইবন সা‘ঈদ দারেমীসহ তাদের স্তর বিশিষ্ট অনেকে। তাদের মতোই ইমাম বুখারী এ বিষয়ে বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেন এবং আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ প্রমুখ স্বীয় গ্রন্থাবলীতে অধ্যায় অধ্যায় করে সুবিন্যস্ত করেছেন।

আবু বকর ইবন আছরাম, আব্দুল্লাহ ইবন আহমদ, আবু বকর, খাল্লাল, আবুল কাশিম ত্বব্রানী, আবু শাইখ আছবাহানী, আবু বকর আজুররী, আবুল হাছান দারাকুতনী, আবু আব্দুল্লাহ ইবনে মানদাহ, আবুল কাসিম লালকাঈ, আবু আব্দুল্লাহ ইবন বাত্তাহ, আবু উমার ত্বলমানকী, আবু নঈম আছবাহানী, আবু যর হারওয়ী, আবু বকর বায়হাকীসহ অনেকের স্বতন্ত্র রচিত গ্রন্থাবলী। যদিও এসব অনেক গ্রন্থাবলীতে কোনো কোনো স্থানে দ‘ঈফ হাদীসসমূহ স্থান পেয়েছে যা বিজ্ঞ আলিমগণ সনাক্ত করতে সক্ষম।

আবার দেখা যায় কোনো কোনো মনীষী আল্লাহ তা‘আলার গুণাবলীসহ আক্বীদাগত বিভিন্ন বিষয় ও দীনের অনেক বিষয়ে বহু হাদীস বর্ণনা করেছেন; কিন্তু তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর মিথ্যাচার এবং তা জাল। আর এ ধরনের জাল ও বানোয়াট হাদীস সাধারণত দুই প্রকার:

প্রথম প্রকার হলো, এমন ভিত্তিহীন বাতিল কথা যা উচ্চারণ করাই অবৈধ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সম্পৃক্ত করাতো দূরের কথা।

দ্বিতীয়ত প্রকার হলো, এমন কথা যা কোনো পূর্ববর্তী কোনো ব্যক্তি বা আলেম অথবা কোনো সাধারণ লোক বলেছেন। আর তা কখনও সঠিকও হতে পারে বা ইজতেহাদী ফাতওয়া; যার মধ্যে চিন্তা ও গবেষণা করা যেতে পারে অথবা কোনো প্রবক্তার মাযহাবী দর্শনও হতে পারে। পরবর্তীতে তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামে হাদীস বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যারা হাদীস জানে না তাদের কাছে অনেক। এ ধরনের কতক মাসআলা যেগুলো আবিষ্কার করেছেন শাইখ আবুল ফরজ আব্দুল ওয়াহেদ ইবন মুহাম্মাদ ইবন আলী আল-আনসারী। তিনি তার কিতাবটিকে সুন্নী ও বেদয়ীর মধ্যে পার্থক্যকারী আখ্যায়িত করেন। এগুলো বেশ কিছু প্রসিদ্ধ বিষয়। এ কাজ কতক মিথ্যুক করেছে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সনদ রচনা করে এ গুলোকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যার মধ্যে সামান্যতম জ্ঞানও থাকে সে জানে যে, এটি মিথ্যা ও বানোয়াট।

এ ধরনের মাসায়েল যদিও এর অধিকাংশ সুন্নাতের মূলনীতিসমূহের অনুসারণে হয়, তারপরও যদি কেউ এর বিরোধিতা করে তাকে এ কথা বলা যাবে না লোকটি বিদ‘আতী। যেমন, ‘সর্বপ্রথম নি‘আমত যা দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা তার কোনো বান্দাকে অনুগ্রহ করেন’ এ মাসয়ালাটি বিষয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। তবে মত পার্থক্যটি তাদের মধ্যে শাব্দিক। কারণ, এর ভিত্তি হলো, যে মজার পর কষ্ট আসে তাকে নি‘আমত বলা হবে কি না? এখানেও কিছু গুরুত্বহীন কথা-বার্তা বিদ্যমান।

সুতরাং কর্তব্য হলো সহীহ ও জাল হাদীসের মধ্যে পার্থক্য করা। কারণ, সুন্নাহ হলো শাশ্বত সত্য, মিথ্যা ও বাতিল হক হতে পারে না। আর তা হলো সহীহ হাদীসসমূহ; জাল হাদীস নয়। সাধারণভাবে এটাই মুসলিমের জন্য এবং বিশেষ করে যারা নির্ভেজালভাবে সুন্নতের অনুসরণের দাবীদার তাদের জন্যে যা একটি বড় মূলনীতি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন