hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মহা উপদেশ (‘আদী ইবন মুসাফিরের অনুসারীদের এর কাছে লেখা চিঠি)

লেখকঃ শাইখুল ইসলাম আহমাদ ইবন তাইমিয়্যাহ

প্রথমটির উদাহরণ
তন্মধ্যে প্রথমটি (তথা আকীদার বিষয়সমূহ এবং শরী‘আতের কিছু স্থায়ী মৌলিক নীতিমালা যা সর্বযুগে সবার জন্য প্রযোজ্য ছিল) এর একটি উদাহরণ হচ্ছে, ‘ঈমানের মূলনীতিসমূহ’ যার সর্বোচ্চ ও সর্বোৎকৃষ্ট পর্যায় হচ্ছে, তাওহীদ। আর সে তাওহীদ হচ্ছে, এ সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া সত্যিকার কোনো ইলাহ নেই। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

﴿وَمَآ أَرۡسَلۡنَا مِن قَبۡلِكَ مِن رَّسُولٍ إِلَّا نُوحِيٓ إِلَيۡهِ أَنَّهُۥ لَآ إِلَٰهَ إِلَّآ أَنَا۠ فَٱعۡبُدُونِ ٢٥﴾ [ الانبياء : ٢٥ ]

“আমি তোমার পূর্বে এমন কোনো রাসূল প্রেরণ করি নি যার প্রতি এ অহী প্রেরণ করা হয় নি যে, আমি ছাড়া অন্য কোনো সত্য ইলাহ নেই। সুতরাং তোমরা আমারই ইবাদাত কর”। [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ২৫]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

﴿وَلَقَدۡ بَعَثۡنَا فِي كُلِّ أُمَّةٖ رَّسُولًا أَنِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَٱجۡتَنِبُواْ ٱلطَّٰغُوتَۖ ٣٦﴾ [ النحل : ٣٦ ]

“প্রত্যেক জাতির কাছে আমরা রাসূল পাঠিয়েছি যে, তোমরা আল্লাহ তা‘আলার ইবাদাত কর, আর তাগুতকে বর্জন কর”। [সূরা আন-নাহল, আয়াত: ৩৬]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

﴿وَسۡ‍َٔلۡ مَنۡ أَرۡسَلۡنَا مِن قَبۡلِكَ مِن رُّسُلِنَآ أَجَعَلۡنَا مِن دُونِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ءَالِهَةٗ يُعۡبَدُونَ ٤٥﴾ [ الزخرف : ٤٥ ]

“তোমার পূর্বে আমি যেসব রাসূল প্রেরণ করেছিলাম তাদেরকে তুমি জিজ্ঞেস কর, আমি কি দয়াময় আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ স্থির করেছিলাম যাদের ইবাদাত করা যায়”। [সূরা আয-যুখরুফ, আয়াত: ৪৫]

মহান আল্লাহ আরো বলেন,

﴿شَرَعَ لَكُم مِّنَ ٱلدِّينِ مَا وَصَّىٰ بِهِۦ نُوحٗا وَٱلَّذِيٓ أَوۡحَيۡنَآ إِلَيۡكَ وَمَا وَصَّيۡنَا بِهِۦٓ إِبۡرَٰهِيمَ وَمُوسَىٰ وَعِيسَىٰٓۖ أَنۡ أَقِيمُواْ ٱلدِّينَ وَلَا تَتَفَرَّقُواْ فِيهِۚ كَبُرَ عَلَى ٱلۡمُشۡرِكِينَ مَا تَدۡعُوهُمۡ إِلَيۡهِۚ ٱللَّهُ يَجۡتَبِيٓ إِلَيۡهِ مَن يَشَآءُ وَيَهۡدِيٓ إِلَيۡهِ مَن يُنِيبُ ١٣﴾ [ الشورى : ١٣ ]

“তিনি তোমাদের জন্যে বিধিবদ্ধ করেছেন দীন, যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি নূহকে। আর যা আমি ওহী করেছিলাম তোমাকে এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইবরাহীম, মূসা ও ঈসাকে -তা এই যে, তোমরা দীন প্রতিষ্ঠিত কর, আর তাতে বিভক্তি সৃষ্টি কর না, তুমি মুশরিকদেরকে যার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছ তা তাদের নিকট কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছে দীনের প্রতি আকৃষ্ট করেন এবং যে তার অভিমুখী হয় তাকে দীনের দিকে পরিচালিত করেন”। [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ১৩]

মহান আল্লাহ আরো বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلرُّسُلُ كُلُواْ مِنَ ٱلطَّيِّبَٰتِ وَٱعۡمَلُواْ صَٰلِحًاۖ إِنِّي بِمَا تَعۡمَلُونَ عَلِيمٞ ٥١ وَإِنَّ هَٰذِهِۦٓ أُمَّتُكُمۡ أُمَّةٗ وَٰحِدَةٗ وَأَنَا۠ رَبُّكُمۡ فَٱتَّقُونِ ٥٢﴾ [ المؤمنون : ٥١، ٥٢ ]

“হে রাসূলগণ! পবিত্র বস্তু আহার কর, আর সৎ কাজ কর, তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আমি পূর্ণরূপে অবগত। আর তোমাদের এই জাতি, এটা তো একই জাতি এবং আমিই তোমাদের ‘রব’। অতএব তোমরা আমারই তাকওয়া অবলম্বন কর”। [সূরা আল-মুমিমূন, আয়াত: ৫১-৫২]

এর আরো একটি উদাহরণ হচ্ছে, আল্লাহর কিতাবসমূহ ও তার নবী-রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনা। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿قُولُوٓاْ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيۡنَا وَمَآ أُنزِلَ إِلَىٰٓ إِبۡرَٰهِ‍ۧمَ وَإِسۡمَٰعِيلَ وَإِسۡحَٰقَ وَيَعۡقُوبَ وَٱلۡأَسۡبَاطِ وَمَآ أُوتِيَ مُوسَىٰ وَعِيسَىٰ وَمَآ أُوتِيَ ٱلنَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمۡ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّنۡهُمۡ وَنَحۡنُ لَهُۥ مُسۡلِمُونَ ١٣٦﴾ [ البقرة : ١٣٦ ]

“তোমরা বল, ‘আমরা আল্লাহ তা‘আলার প্রতি এবং যা আমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, আর যা হযরত ইব্রাহিম, ইসমাইল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তার বংশধরগণের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছিল এবং যা মূসা ও ঈসাকে প্রদান করা হয়েছিল এবং যা অন্যান্য নবীগণ তাদের রব হতে প্রদত্ত হয়েছিলেন, সব কিছুর ওপর ঈমান এনেছি। তাদের মধ্যে (ঈমানের ক্ষেত্রে) কোনো তারতম্য করি না এবং আমরা তারই প্রতি আত্মসমর্পণকারী-মুসলিম”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৩৬]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

﴿وَقُلۡ ءَامَنتُ بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ مِن كِتَٰبٖۖ وَأُمِرۡتُ لِأَعۡدِلَ بَيۡنَكُمُۖ ١٥﴾ [ الشورى : ١٥ ]

“আর বল, আল্লাহ যে কিতাবই অবতীর্ণ করেছেন আমি তার প্রতি ঈমান এনেছি। আর তোমাদের মাঝে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা (ন্যায়বিচার) করার জন্য আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে”। [শূরা আশ-শূরা, আয়াত: ১৫]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

﴿ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيۡكَ ٱلۡمَصِيرُ ٢٨٥ لَا يُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفۡسًا إِلَّا وُسۡعَهَاۚ لَهَا مَا كَسَبَتۡ وَعَلَيۡهَا مَا ٱكۡتَسَبَتۡۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذۡنَآ إِن نَّسِينَآ أَوۡ أَخۡطَأۡنَاۚ رَبَّنَا وَلَا تَحۡمِلۡ عَلَيۡنَآ إِصۡرٗا كَمَا حَمَلۡتَهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِنَاۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلۡنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِۦۖ وَٱعۡفُ عَنَّا وَٱغۡفِرۡ لَنَا وَٱرۡحَمۡنَآۚ أَنتَ مَوۡلَىٰنَا فَٱنصُرۡنَا عَلَى ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡكَٰفِرِينَ ٢٨٦﴾ [ البقرة : ٢٨٥، ٢٨٦ ]

“রাসূলের প্রতি তার রব হতে যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে তিনি ঈমান আনেন এবং মুমিনগণও। তারা সবাই আল্লাহ তা‘আলাকে, তার ফিরিশতাগণকে, তার কিতাবসমূহকে এবং তার রাসূলগণের ওপর ঈমান এনে থাকে এবং (তারা বলে) আমরা তার রাসূলগণের মধ্যে কাউকেও পার্থক্য করি না এবং তারা এ কথাও বলে যে, ‘আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। হে আমাদের ‘রব’ আমাদেরকে ক্ষমা কর আর প্রত্যাবর্তন তোমারই দিকে। কোনো ব্যক্তিকেই আল্লাহ তা‘আলা তার সাধ্যের অতিরিক্ত কর্তব্য পালনে বাধ্য করেন না, কারণ সে যা উপার্জন করেছে তা তারই জন্যে এবং যা সে অর্জন করেছে তা তারই ওপর বর্তাবে। হে আমাদের রব! আমরা যদি ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তাহলে আমাদেরকে পাকড়াও করো না, হে আমাদের রব, আমাদের পূর্ববর্তীগণের ওপর যেরূপ গুরু-দায়িত্ব অর্পণ করেছিলে, আমাদের ওপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করো না। হে আমাদের রব! যে ভার বহনের ক্ষমতা আমাদের নেই, এমন ভার আমাদের ওপর চাপিয়ে দিও না, আমাদের পাপ মোচন কর, আমাদের ক্ষমা কর, আমাদের প্রতি দয়া কর, তুমিই আমাদের অভিভাবক, সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য কর”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৮৫, ২৮৬]

অপর একটি উদাহরণ হলো, শেষ দিবসের প্রতি ঈমান ও তাতে যে সওয়াব ও শাস্তির বিবরণ এসেছে তার ওপর ঈমান। যেমনটি আল্লাহ পূর্ববর্তী জাতিসমূহের মুমিনদের মধ্য থেকে যারা তার ওপর ঈমান এনেছে, তাদের সম্পর্কে জানিয়েছেন। ফলে তিনি বলেন,

﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَٱلَّذِينَ هَادُواْ وَٱلنَّصَٰرَىٰ وَٱلصَّٰبِ‍ِٔينَ مَنۡ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ وَعَمِلَ صَٰلِحٗا فَلَهُمۡ أَجۡرُهُمۡ عِندَ رَبِّهِمۡ وَلَا خَوۡفٌ عَلَيۡهِمۡ وَلَا هُمۡ يَحۡزَنُونَ ٦٢﴾ [ البقرة : ٦٢ ]

“নিশ্চয় যারা মুমিন, আর যারা ইয়াহূদী, খ্রিস্টান এবং সাবেঈন সম্প্রদায়, যারা আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ও কিয়ামতের প্রতি ঈমান আনয়ন করে এবং ভালো কাজ করে, তাদের জন্যে রয়েছে তাদের ‘রব’ এর নিকট পুরস্কার। তাদের কোনো প্রকার ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ৬২]

অনুরূপভাবে এর আরো একটি উদাহরণ হচ্ছে, ইসলামী শরী‘আতের মূলনীতিসমূহ, যার আলোচনা সূরা আল-আন‘আম, সূরা আল-আ‘রাফ, সূরা বনী ইসরাঈল ও অনুরূপ বিভিন্ন মক্কী সূরায় বর্ণনা করা হয়েছে। যাতে নির্দেশনা এসেছে, এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদাত করার; যার কোনো শরীক নেই, পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা, চুক্তি পূর্ণ করা, সত্য কথা বলা, ওজন ও মাপে ঠিক দেওয়া, বঞ্চিত ও প্রার্থীকে সাহায্য করা, অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা না করা, প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য যাবতীয় গর্হিত কাজ ত্যাগ করা [আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿قُلۡ تَعَالَوۡاْ أَتۡلُ مَا حَرَّمَ رَبُّكُمۡ عَلَيۡكُمۡۖ أَلَّا تُشۡرِكُواْ بِهِۦ شَيۡ‍ٔٗاۖ وَبِٱلۡوَٰلِدَيۡنِ إِحۡسَٰنٗاۖ وَلَا تَقۡتُلُوٓاْ أَوۡلَٰدَكُم مِّنۡ إِمۡلَٰقٖ نَّحۡنُ نَرۡزُقُكُمۡ وَإِيَّاهُمۡۖ وَلَا تَقۡرَبُواْ ٱلۡفَوَٰحِشَ مَا ظَهَرَ مِنۡهَا وَمَا بَطَنَۖ وَلَا تَقۡتُلُواْ ٱلنَّفۡسَ ٱلَّتِي حَرَّمَ ٱللَّهُ إِلَّا بِٱلۡحَقِّۚ ذَٰلِكُمۡ وَصَّىٰكُم بِهِۦ لَعَلَّكُمۡ تَعۡقِلُونَ ١٥١ ﴾ [ الانعام : ١٥١ ] “বল, ‘এসো, তোমাদের ওপর তোমাদের রব যা হারাম করেছেন, তা তিলাওয়াত করি যে, তোমরা তার সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না এবং মা-বাবার প্রতি ইহসান করবে আর দারিদ্রের কারণে তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না। আমিই তোমাদেরকে রিযিক দেই এবং তাদেরকেও। আর অশ্লীল কাজের নিকটবর্তী হবে না- তা থেকে যা প্রকাশ পায় এবং যা গোপন থাকে। আর বৈধ কারণ ছাড়া তোমরা সেই প্রাণকে হত্যা করো না, আল্লাহ যা হারাম করেছেন। এগুলো আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তোমরা বুঝতে পার।আর তোমরা ইয়াতীমের সম্পদের নিকটবর্তী হয়ো না, সুন্দর পন্থা ছাড়া। যতক্ষণ না সে পরিণত বয়সে উপনীত হয়, আর পরিমাপ ও ওযন ইনসাফের সাথে পরিপূর্ণ দেবে। আমি কাউকে তার সাধ্য ছাড়া দায়িত্ব অর্পণ করি না। আর যখন তোমরা কথা বলবে, তখন ইনসাফ কর, যদিও সে আত্মীয় হয় এবং আল্লাহর ওয়াদা পূর্ণ কর। এগুলো তিনি তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।আর এটি তো আমার সোজা পথ। সুতরাং তোমরা তার অনুসরণ কর এবং অন্যান্য পথ অনুসরণ করো না, তাহলে তা তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে। এগুলো তিনি তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর”। [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১৫১-১৫৩]], গোনাহ ও অন্যায় কর্মে সীমালঙ্ঘন না করা, দীনী বিষয়ে না জেনে কথা বলা থেকে বিরত থাকা ইত্যাদি। এ ছাড়াও তাওহীদের সাথে আরো অর্ন্তভুক্ত হল, আল্লাহ তা‘আলার দীনকে নির্ভেজালভাবে কেবল আল্লাহর জন্য পালন করা [আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿قُلۡ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ ٱلۡفَوَٰحِشَ مَا ظَهَرَ مِنۡهَا وَمَا بَطَنَ وَٱلۡإِثۡمَ وَٱلۡبَغۡيَ بِغَيۡرِ ٱلۡحَقِّ وَأَن تُشۡرِكُواْ بِٱللَّهِ مَا لَمۡ يُنَزِّلۡ بِهِۦ سُلۡطَٰنٗا وَأَن تَقُولُواْ عَلَى ٱللَّهِ مَا لَا تَعۡلَمُونَ ٣٣﴾ [ الاعراف : ٣٣ ] “বল, ‘আমার রব তো হারাম করেছেন অশ্লীল কাজ- যা প্রকাশ পায় এবং যা গোপন থাকে, আর পাপ ও অন্যায়ভাবে সীমালঙ্ঘন এবং আল্লাহর সাথে তোমাদের শরীক করা, যে ব্যাপারে আল্লাহ কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি এবং আল্লাহর উাপরে এমন কিছু বলা যা তোমরা জান না’। [সূরা আল-আরাফ, আয়াত: ৩৩]], আল্লাহ তা‘আলার ওপর ভরসা করা, [আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿وَعَلَى ٱللَّهِ فَتَوَكَّلُوٓاْ إِن كُنتُم مُّؤۡمِنِينَ ٢٣﴾ [ المائ‍دة : ٢٣ ] “আর আল্লাহর উপরই তাওয়াক্কুল কর, যদি তোমরা মুমিন হও’। [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ২৩]] তার রহমতের আশা করা [আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَٱلَّذِينَ هَاجَرُواْ وَجَٰهَدُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ أُوْلَٰٓئِكَ يَرۡجُونَ رَحۡمَتَ ٱللَّهِۚ وَٱللَّهُ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٢١٨﴾ [ البقرة : ٢١٨ ] “নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে ও যারা হিজরত করেছে এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছে, তারা আল্লাহর রহমতের আশা করে। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২১৮]] ও আল্লাহকে ভয় করা [আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿فَلَا تَخۡشَوۡهُمۡ وَٱخۡشَوۡنِۚ ٣﴾ [ المائ‍دة : ٣ ] “সুতরাং তোমরা তাদেরকে ভয় করো না, বরং আমাকে ভয় কর”। [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৩]], আল্লাহ তা‘আলার বিধান পালনে ধৈর্য ধারণ করা [আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿فَٱصۡبِرۡ لِحُكۡمِ رَبِّكَ وَلَا تُطِعۡ مِنۡهُمۡ ءَاثِمًا أَوۡ كَفُورٗا ٢٤﴾ [ الانسان : ٢٤ ] অতএব তোমার রবের হুকুমের জন্য ধৈর্য ধারণ কর এবং তাদের মধ্য থেকে কোন পাপিষ্ঠ বা অস্বীকারকারীর আনুগত্য করো না”। [সূরা আল-ইনসান, আয়াত: ২৪]], তার বিধানের প্রতি আজ্ঞাবহ হওয়া [আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱسۡتَجِيبُواْ لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمۡ لِمَا يُحۡيِيكُمۡۖ﴾ [ الانفال : ٢٤ ] “হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের ডাকে সাড়া দাও; যখন সে তোমাদেরকে আহ্বান করে তার প্রতি, যা তোমাদেরকে জীবন দান করে”। [সূরা আলা-আনফাল, আয়াত: ২৪]], তোমার নিকট তোমার পরিবার-পরিজন, ধন-সম্পদ ও সমগ্র পৃথিবীর সব মানুষের চেয়ে আল্লাহ তা‘আলা ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিক প্রিয় হওয়া [আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَتَّخِذُ مِن دُونِ ٱللَّهِ أَندَادٗا يُحِبُّونَهُمۡ كَحُبِّ ٱللَّهِۖ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَشَدُّ حُبّٗا لِّلَّهِۗ وَلَوۡ يَرَى ٱلَّذِينَ ظَلَمُوٓاْ إِذۡ يَرَوۡنَ ٱلۡعَذَابَ أَنَّ ٱلۡقُوَّةَ لِلَّهِ جَمِيعٗا وَأَنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلۡعَذَابِ ١٦٥﴾ [ البقرة : ١٦٥ ] “আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে, যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে, তাদেরকে আল্লাহকে ভালবাসার মত ভালবাসে। আর যারা ঈমান এনেছে, তারা আল্লাহর জন্য ভালবাসায় দৃঢ়তর। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৬৫] আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে হাদীস বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «ثَلاَثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ حَلاَوَةَ الإِيمَانِ : مَنْ كَانَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا، وَمَنْ أَحَبَّ عَبْدًا لاَ يُحِبُّهُ إِلَّا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَمَنْ يَكْرَهُ أَنْ يَعُودَ فِي الكُفْرِ، بَعْدَ إِذْ أَنْقَذَهُ اللَّهُ، مِنْهُ كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُلْقَى فِي النَّارِ » “যার মধ্যে তিনটি গুণ থাকবে সে ঈমানের প্রকৃত স্বাদ গ্রহণ করবে। এক- আল্লাহ ও তার রাসূল দুনিয়ার সবকিছু থেকে তার নিকট হওয়া । দুই-কাউকে ভালোবাসলে কেবল আল্লাহর জন্য ভালোবাসা। তিন-কুফর থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাতে পূণরায় ফিরে যেতে এমন অপছন্দ করা যেমন আগুনে নিক্ষেপ করাকে অপন্দ করে। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৩)।] ইত্যাদি। এ সব ঈমানের মূলনীতি বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা আল কুরআনের মক্কী সূরাসমূহে এবং কিছু মাদানী সূরার বিভিন্ন স্থানে বর্ণনা করেছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন