hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মহা উপদেশ (‘আদী ইবন মুসাফিরের অনুসারীদের এর কাছে লেখা চিঠি)

লেখকঃ শাইখুল ইসলাম আহমাদ ইবন তাইমিয়্যাহ

৪০
ভালো কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে বাধা দেওয়া:
আর একতাবদ্ধতা ও ঐক্য সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ হতে বাধা দেওয়ার মাধ্যমেই অর্জিত হয়। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِۦ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسۡلِمُونَ ١٠٢ وَٱعۡتَصِمُواْ بِحَبۡلِ ٱللَّهِ جَمِيعٗا وَلَا تَفَرَّقُواْۚ وَٱذۡكُرُواْ نِعۡمَتَ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡ إِذۡ كُنتُمۡ أَعۡدَآءٗ فَأَلَّفَ بَيۡنَ قُلُوبِكُمۡ فَأَصۡبَحۡتُم بِنِعۡمَتِهِۦٓ إِخۡوَٰنٗا وَكُنتُمۡ عَلَىٰ شَفَا حُفۡرَةٖ مِّنَ ٱلنَّارِ فَأَنقَذَكُم مِّنۡهَاۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمۡ ءَايَٰتِهِۦ لَعَلَّكُمۡ تَهۡتَدُونَ ١٠٣ وَلۡتَكُن مِّنكُمۡ أُمَّةٞ يَدۡعُونَ إِلَى ٱلۡخَيۡرِ وَيَأۡمُرُونَ بِٱلۡمَعۡرُوفِ وَيَنۡهَوۡنَ عَنِ ٱلۡمُنكَرِۚ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ ١٠٤﴾ [ ال عمران : ١٠٢، ١٠٤ ]

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা প্রকৃত ভীতি সহকারে আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় কর এবং মুসলিম হওয়া ব্যতীত মরিও না। আর তোমরা এক যোগে আল্লাহ তা‘আলার রুজ্জু দৃঢ় ভাবে ধারণ কর ও পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যেও না এবং তোমাদের প্রতি আল্লাহ তা‘আলার যে নি‘আমত রয়েছে তা স্মরণ কর, যখন তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে তখন তিনিই তোমাদের অন্তঃকরণে প্রীতি স্থাপন করেছিলেন, তারপর তোমরা তার অনুগ্রহে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হলে এবং তোমরা অগ্নি-গহ্বরের প্রান্তে ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে তা থেকে রক্ষা করলেন; এভাবে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের স্বীয় নিদর্শনা বলী ব্যক্ত করেন যেন তোমরা সুপথ প্রাপ্ত হও এবং তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল হোক, যারা কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে ও ভালো কাজের আদেশ করবে ও মন্দ কাজের নিষেধ করবে তারাই সুফল প্রাপ্ত”। [আল আলে ইমরান, আয়াত: ১০২-১০৪]

সৎ কাজের আদেশ দ্বারা ঐক্য ও একতাবদ্ধ হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আর মতবিরোধ ও দলাদলি বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অসৎ কাজ হতে বিরত থাকার নির্দেশ দ্বারা যারা আল্লাহর দেওয়া শরী‘আতের পাবন্দি থেকে বের হয়ে গেছে তাদের তাদের ওপর শাস্তি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

সুতরাং যে ব্যক্তি কোনো মানুষ সম্পর্কে এ বিশ্বাস করে যে, সে ইলাহ অথবা কোনো মৃত ব্যক্তিকে বিপদ-আপদে ডাকে অথবা তার কাছে রিযিক চায়, সাহায্য চায় এবং হিদায়াত চায় অথবা তার ওপর ভরসা করে, তাকে সাজদাহ করে, তাহলে তাকে তাওবা করতে বলা হবে, যদি তাওবা করে ভালো, না হয় তাকে হত্যা করা হবে।

আর যে ব্যক্তি কোন ওস্তাদ বা পীর-মাশাইখকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর প্রাধান্য দেয় অথবা এ বিশ্বাস করে যে, কোনো পীর মাশাইখের অনুকরণ করার ফলে রাসূলের অনুকরণ করার প্রয়োজন পড়ে না। তাকেও তাওবা করতে বলা হবে। যদি তাওবা করে তাহলে ভালো, না হয় তাকে হত্যা করা হবে।

অনুরূপভাবে কেউ যদি এ কথা বিশ্বাস করে যে, আল্লাহর ওলীগণের কেউ কেউ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে (নবুওয়তের বা বেলায়েতের) অংশীদার। যেমনটি ছিল মূসা আলাইহিস সালামের সাথে খিযির। তার থেকেও তাওবা তলব করা হবে, অন্যথায় তাকে হত্যা করা হবে। কারণ, খিযির মূসা আলাইহিস সালামের উম্মতের কেউ ছিল না। তার ওপর মূসা আলাহিস সালামের অনুকরণ করা ওয়াজিবও ছিল না; বরং সে তাকে বলেছিল, আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে আল্লাহর ইলমের এমন এক ইলমের ওপর আছি যা আমার আল্লাহ আমাকে শিখিয়েছেন তুমি তা জান না। আর তুমি আল্লাহর পক্ষ থেকে আল্লাহর ইলমের এমন এক ইলমের ওপর আছ যা তোমাকে তোমার আল্লাহ শিখিয়েছেন, আমি তা জানি না। আর মূসা আলাইহিস সালাম প্রেরিত ছিল শুধু বনী ইসরাঈলের নিকট। যেমন, মূসা আলাইহিস সালাম প্রসঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«وكان النبي يبعث إلى قومه خاصة وبعثت إلى الناس عامة»

“নবীগণ তাদের জাতির নিকট বিশেষ নবী হিসেবে প্রেরিত হয়, আর আমি সমস্ত মানুষের নিকট প্ররিত হয়েছি”।

পক্ষান্তরে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষ ও জিন্ন উভয় জাতীর জন্যে প্রেরিত হয়েছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি এ কথা বিশ্বাস করে যে, কারো জন্য তার আনীত শরী‘আত থেকে বের হওয়া ও তার অনুকরণ থেকে বের হওয়ার অবকাশ রয়েছে, সে অবশ্যই কাফির; তাকে হত্যা করা ওয়াজিব।

অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব ও তার রাসূলের সুন্নাতে খুঁজে পাওয়া যায় না, এমন কোনো বিদ‘আত আবিষ্কার করে সেটার ভিত্তিতে কোনো মুসলিমকে কাফের বলে আখ্যায়িত করে বা তাদের জানমালকে হালাল মনে করে, তাকে তা হতে বিরত রাখা ওয়াজিব এবং তাকে শাস্তি দিয়ে তা থেকে বাধা দিতে হবে। যদিও তাকে হত্যা করা বা তার সাথে যুদ্ধ করা লাগে। কারণ, যখন সব সীমালঙ্ঘনকারী গোষ্ঠীকে শাস্তির আওতায় আনা হবে এবং সব মুত্তাকী গোষ্ঠীকে সম্মান করা হবে, তখন তা হবে সবচেয়ে মহান কাজ; যাতে আল্লাহ ও তার রাসূল খুশি হয় এবং মুসলিমদের যাবতীয় কর্ম সঠিক হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন