মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
মহা উপদেশ (‘আদী ইবন মুসাফিরের অনুসারীদের এর কাছে লেখা চিঠি)
লেখকঃ শাইখুল ইসলাম আহমাদ ইবন তাইমিয়্যাহ
৪৩
মন্দ কর্মের প্রকারভেদ:
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/54/43
আর তা হলো, আল্লাহ তা‘আলা ও তার রাসূল যে সকল মুনকার তথা অন্যায় কাজের নিষেধ করেছেন। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো আল্লাহ তা‘আলার সাথে শির্ক করা। শির্ক হলো আল্লাহ তা‘আলার সঙ্গে অন্য কাউকে ডাকা যথা সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্রের ইবাদাত করা। অথবা পুণ্যবান কোনো ব্যক্তি, ফিরিশতাদের থেকে কাউকে বা নবীদের থেকে কোন নবীকে, জীন সম্প্রদায়ের কাউকে, উপরোক্ত ব্যক্তি ও বস্তুর মূর্তি, ভাস্কর্য ও তাদের কবরকে আল্লাহর সাথে ডাকা। এ ছাড়াও অন্য কিছু যাদের আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে ডাকা হয়। অথবা তার কাছে সাহায্য চাওয়া, তার জন্যে সাজদাহ দেওয়া হয়। এ সব ও অনুরূপ বস্তুকে ডাকা শিরকের অন্তর্ভুক্ত যে শির্ককে সকল রাসূলের ভাষায় আল্লাহ তা‘আলা হারাম করে দিয়েছেন।
আল্লাহ তা‘আলা অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করাকে হারাম করেছেন। মানুষের সম্পদ অন্যায়ভাবে খাওয়া হারাম করেছেন; চাই তা লুণ্ঠন, সুদের আদান প্রদান ও জুয়া খেলা বা অন্য যে কোনো মাধ্যমে হোক না কেন। যেমন, ঐ ব্যবসা ও লেনদেন যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন। অনুরূপভাবে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা, পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া, ওজনে কম দেওয়া ইত্যাদি, কোনো পাপ-খারাপ কাজ ও না হক সীমালঙ্ঘন করাকেও আল্লাহ তা‘আলা হারাম করেছেন।
অনুরূপভাবে আরো যা আল্লাহ তা‘আলা হারাম করেছেন, না জেনে আল্লাহ তা‘আলার ওপর কোনো কথা আরোপ করা। যেমন আল্লাহ তা‘আলা ও তার রাসূলের নামে এমন অকাট্য হাদীস বর্ণনা করা; যার শুদ্ধতা ও অসুদ্ধতা সম্পর্কে সে জানে না। অথবা আল্লাহ তা‘আলার এমন সব গুণাবলী বর্ণনা করা যার সম্পর্কে আল্লাহ থেকে কোন কিতাব অবতীর্ণ হয় নি এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস থেকেও বিষয়টি জানা যায় নি। চাই তা আল্লাহ তা‘আলার জন্যে অশোভন গুণাবলী বা আল্লাহ তা‘আলাকে গুণহীন প্রমাণ করার জন্যে হোক না কেন। যেমন করে জাহমিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা, তারা বলে থাকে, আল্লাহ তা‘আলা আরশের উপরও নেই, আসমানের উপরও নেই। আর আল্লাহকে আখেরাতেও দেখা যাবে না, তিনি কথা বলবেন না এবং কাউকে ভালোওবাসেন না। এ ধরনের আরো অনেক কথা যা দ্বারা তারা আল্লাহ তা‘আলা ও তার রাসূলকে অস্বীকার করে। অথবা আল্লাহ তা‘আলার গুণাবলী প্রমাণ করতে গিয়ে সাদৃশ্য বর্ণনার জন্যে হাদীস জাল করা। যেমন বর্ণনা করা যে, তিনি যমীনে চলাচল করেন, সৃষ্ট জীবের উঠ-বস করেন, সৃষ্টি জীবেরা তাকে প্রকাশ্য চোখ দিয়ে দেখেন, আসমানসমূহ তাকে বেষ্টন করে ও ঘিরে আছে, তিনি তার সৃষ্টি জীবের মধ্যে বিলিন হয়ে আছেন এরূপ অসংখ্য মিথ্যা রটনা, অপবাদ, মিথ্যাচার আল্লাহ তা‘আলার ওপর আরোপ করা।
অনুরূপভাবে ঐসব ইবাদাত যা নতুন আবিষ্কার করা হয়েছে, আল্লাহ তা‘আলা ও তার রাসূল শরী‘আতে তার অনুমোদন করেন নি। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“তাদের কি কোনো শরীক আছে যারা দীনের বিষয়ে বিধি-বিধান প্রণয়ন করবে যে বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা কোনো অনুমতি প্রদান করেন নি”। [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ২১]
সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা তার মু’মিন বান্দার জন্যে ইবাদাতসমূহ বিধিবদ্ধ করেছেন। সে ইবাদাত অকেজো করে দেওয়ার জন্যে শয়তান নতুন নতুন ইবাদাতসমূহ আবিষ্কার করেছে, শয়তান তাদের জন্যে সে ইবাদাতের মতই আরো কিছু ইবাদাত তৈরি করেছে। যথা- আল্লাহ তা‘আলা তাদের জন্যে শরী‘আতে নির্ধারিত করেছেন যে, এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদাত করবে এবং কাউকে তার সঙ্গে শরীক করবে না। তারপর শয়তান তাদের জন্যে বহু অংশীদার বিধিবদ্ধ করেছে। আর তা হলো আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্যের ইবাদাত করা ও তাঁর সাথে শরীক করা। আল্লাহ তা‘আলা তাদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, তাতে কুরআন পঠন ও শ্রবণ করা প্রবর্তন করেছেন। তাছাড়া তিনি সালাতের বাইরে কুরআন শ্রবণের জন্যে একত্রিত হওয়াও অনুমোদন করেছেন। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি প্রথম যে সূরা অবতীর্ণ করেছেন তাতেও পড়ার কথা বলেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“পড় সেই রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন”। [সূরা আল-আলাক, আয়াত: ১]
এ সূরার শুরুতে কিরাত তথা পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং শেষে সাজদাহ করার নির্দেশ দিয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ وَٱسۡجُدۡۤ وَٱقۡتَرِب۩ ١٩ ﴾ [ العلق : ١٩ ]
“সাজদাহ কর ও তার নিকটবর্তী হও”। [সূরা আল-আলাক, আয়াত: ১৯]
সেই জন্য সালাতের মধ্যে সবচেয়ে বড় যিকির হলো কুরআন তিলাওয়াত করা। আর সবচেয়ে বড় কাজ হলো এক আল্লাহ তা‘আলার জন্যে সাজদাহয় অবনত হওয়া, যার কোনো শরীক নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আর, যখন কুরআন তেলাওয়াত করা হয় তখন গভীর মনোযোগ সহকারে শ্রবণ কর এবং নীরব থাক যাতে তোমাদের ওপর অনুগ্রহ অবতীর্ণ করা হয়”। [সূরা আল-আরাফ, আয়াত: ২০৪]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ যখন একত্রিত হতেন তখন তাদের মধ্যে একজনকে কুরআন তিলাওয়াত করার নির্দেশ দিতেন, বাকীরা শুনতেন। উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু আবু মূসা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বলতেন, হে আবু মূসা! আমাদের ‘রব’-কে আমাদের স্মরণ করিয়ে দাও। তখন তিনি কুরআন পাঠ করতেন। আর তিনি তা গভীর মনোযোগ সহকারে শুনতেন। একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু মূসার পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় তার কুরআন তিলাওয়াত শুনতে পেলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গভীর মনোযোগ সহকারে তার কুরআন তিলাওয়াত শুনলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
«يا أبا موسى مررت بك البارحة وأنت تقرأ فجعلت أستمع لقراءتك»
“হে আবু মূসা, গত রাতে তোমার পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলাম আর তুমি কুরআন তিলাওয়াত করছিলে। আমি গভীর মনোযোগ দিয়ে তোমার কুরআন তিলাওয়াত উপভোগ করেছি”।
আবু মূসা বলেন, আমি যদি জানতাম যে, আপনি আমার কুরআন তিলাওয়াত উপভোগ করছেন; তাহলে আপনাকে আমি আরো আনন্দিত করতাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لله أشد أذنا إلى الرجل يحسن صوته بالقرآن من صاحب القينة إلى قينته»
“গায়ক তার গানের প্রতি যেভাবে মনোযোগী হয় আল্লাহ তা‘আলা একজন কুরআন তিলাওয়াতকারীর প্রতি, যে কুরআন সুন্দর আওয়ায ও সুললিত কণ্ঠে তেলাওয়াত করে, তার থেকে অধিক মনোযোগী হয়”। [সুনান ইবন মাজাহ, হাদীস নং ১৩৪০]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/54/43
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।