hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মহা উপদেশ (‘আদী ইবন মুসাফিরের অনুসারীদের এর কাছে লেখা চিঠি)

লেখকঃ শাইখুল ইসলাম আহমাদ ইবন তাইমিয়্যাহ

৩৫
কোনো একটি দলের প্রতি সম্বোধন করে উম্মতের মধ্যে বিভক্তি জায়েয নেই:
মুসলিম সমাজে দলাদলি সৃষ্টি করা এবং মানুষকে সেই বিষয়ে পরীক্ষায় ফেলানো, যে বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো নির্দেশ দেন নি তা জায়েয নেই। যথা- কোনো ব্যক্তিকে বলা তুমি শাকীলী, তুমি কিরফিন্দী (তথা তুমি আমার পন্থী, আমার কর্মী বা আমার দলের, আর অমুক অন্য দলের)। কেননা, এই সব পরিভাষা বাতিল। এ মর্মে আল্লাহ তা‘আলা কোনো প্রমাণ অবতীর্ণ করেন নি। আল্লাহ তা‘আলার কিতাব, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস ও পূর্ববর্তী সাহাবীগণের কোনো গ্রহণযোগ্য আসারেও (সাহাবীগণের কথা, কাজ ও মৌন সমর্থনকে আসার বলে) অমুক শাকীলী, অমুক কিরফিন্দী ইত্যাদি বিদ্যমান নেই; বরং মুসলিমের ওপর ফরয হলো যখন তাকে জিজ্ঞাসা করবে আপনি কে? তখন আপনি বলবেন আমি কোনো সাকীলী বা কিরফিন্দী নই। আমি কেবলমাত্র আল কুরআন ও সহীহ হাদীসের একনিষ্ঠ অনুসারী একজন মুসলিম।

এ ক্ষেত্রে মু‘আবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান-এর বর্ণিত হাদীসটি উজ্জ্বল স্বাক্ষর। তিনি একদা বিশিষ্ট সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বললেন, আপনি উসমান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর দলে নাকি আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর দলে? তিনি দ্বিধাহীন কণ্ঠে জবাব দিলেন আমি আলীর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু- দলেও নই এবং উসমানের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু- দলেও নই; বরং আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দলের অনুসারী।

এভাবে প্রত্যেক পূর্ববর্তী আলেম বা সালাফগণ বলেছেন- এ সব দলাদলির শেষ ঠিকানা জাহান্নাম। তাদের মধ্যে জনৈক আলেম বলেন, দু’টি মহা নি‘আমত অবলম্বনের ব্যাপারে আমি কোনো পরওয়া করি না।

এক- আল্লাহ তা‘আলা ইসলামের দিকে আমাকে পরিচালিত করেছেন।

দুই- এ সব দলাদলি থেকে আমাকে মুক্ত রেখেছেন।

আল্লাহ তা‘আলা আল-কুরআনে আমাদের নামকরণ করেছেন মুসলিম, মুমিন ও ইবাদুল্লাহ বা আল্লাহ তা‘আলার বান্দা। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের যে নাম দিয়েছেন তা আমরা পরিবর্তন করতে পারি না। নব আবিষ্কৃত মানুষের তৈরি দলীয় নাম যা তারা ও তাদের পূর্ব পুরুষগণ রেখেছেন, যে বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা কোনো প্রমাণ অবতীর্ণ করেন নি বরং এসব নামসমূহ দ্বারা নামকরণ করার অবকাশ যে সব ক্ষেত্রে রয়েছে, যেমন মানুষকে ইমামের দিকে সম্বোধন করা। যথা- হানাফী, মালেফী, শাফে‘ঈ, হাম্বলী অথবা কোনো শাইখের দিকে সম্বোধন করে বিভিন্ন তরীকার নাম রাখা। যথা- কাদিরী (নকশবন্দি) ও আদওয়ী শাইখের তরিকাপন্থী অথবা কোনো গোত্রের দিকে সম্বোধন করে বিভিন্ন গোত্রের নামকরণ করা। যথা- কাইসী গোত্র ও ইয়ামানী গোত্র, অনুরূপ বিভিন্ন জাতীয়তার নাম করা। যথা- শামী, ইরাকী, মিশরী ইত্যাদি। এগুলোর দিকে সম্পর্কযুক্ত করে নাম দেওয়া জায়েয হলেও কোনো মুসলিমের জন্যে বৈধ নয় যে, সে উপরোক্ত দলের ভিত্তিতে কোনো মানুষকে পরীক্ষায় ফেলবে, আর এসব নামের ভিত্তিতে তার সাথে বন্ধুত্ব করবে বা মৈত্রী স্থাপন করবে এবং তারই ভিত্তিতে শত্রুতা পোষণ করবে; বরং আল্লাহ তা‘আলার নিকট সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানুষ হলেন, তাদের মধ্যে তাকওয়া অবলম্বনকারী ব্যক্তিবর্গ। তারা যে কোনো দলের হোক না কেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন