hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সংক্ষিপ্ত ইসলাম ও জাহেলিয়াতের দ্বন্দ্ব

লেখকঃ সাইয়্যেদ মাহমূদ শুকরী আলূসী

১৯
১৭। না বুঝার অজুহাত
জাহেলী যুগের লোকেরা আল্লাহর অহীর তাৎপর্য বুঝতে না পারার অজুহাত দিয়ে ইসলাম থেকে দূরে থাকতে চাইতো। যেমন আল্লাহ রাববুল ‘আলামীন বলেনঃ

أَفَكُلَّمَا جَاءَكُمْ رَسُولٌ بِمَا لَا تَهْوَى أَنْفُسُكُمُ اسْتَكْبَرْتُمْ فَفَرِيقًا كَذَّبْتُمْ وَفَرِيقًا تَقْتُلُونَ ﴿87﴾ وَقَالُوا قُلُوبُنَا غُلْفٌ بَلْ لَعَنَهُمُ اللَّهُ بِكُفْرِهِمْ فَقَلِيلًا مَا يُؤْمِنُونَ ﴿88﴾ ( سورة البقرة : 87-88)

‘যখন তোমাদের কাছে তোমাদের ইচ্ছার বিরোধী কোনো দাওয়াত নিয়ে রাসূল আগমন করেন, তখন তোমরা অহংকার দেখাও। অতঃপর তোমাদের একদল তাঁকে মিথ্যাবাদী বলে, অন্য দল তাকে হত্য করে। তারা বলে যে, আমাদের অন্তরগুলো আচ্ছাদিত, বরং তাদের এই অবিশ্বাসের জন্য আল্লাহর তাদেরকে লা’নত করেন’। (সূরা বাক্বারা, ২: আয়াত ৮৭-৮৮)

অন্যত্র পবিত্র কুর‘আনের প্রতি মানুষের আচরণ প্রসঙ্গে বলেনঃ

فَأَعْرَضَ أَكْثَرُهُمْ فَهُمْ لَا يَسْمَعُونَ ﴿4﴾ وَقَالُوا قُلُوبُنَا فِي أَكِنَّةٍ مِمَّا تَدْعُونَا إِلَيْهِ وَفِي آَذَانِنَا وَقْرٌ وَمِنْ بَيْنِنَا وَبَيْنِكَ حِجَابٌ فَاعْمَلْ إِنَّنَا عَامِلُونَ ﴿5﴾ قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَاسْتَقِيمُوا إِلَيْهِ وَاسْتَغْفِرُوهُ وَوَيْلٌ لِلْمُشْرِكِينَ ﴿6﴾ ( سورة فصلت / حم السجدة : 4-6)

‘অতঃপর তাদের অধিকাংশ তা হতে মুখ ফিরিয়ে নিল, তারা উহার বাণীর প্রতি কর্ণপাত করলো না। তারা বলত যে, তোমরা আমাদেরকে যেদিকে আহবান করছো ঐ সব বিষয়ের জন্য আমাদের অন্তরগুলি আচ্ছাদিত হয়ে আছে, আমাদের কানগুলি বধির হয়ে গেছে এবং তোমাদের ও আমাদের মাঝে একটি পর্দা পড়ে গেছে। অতএব তোমরা তোমাদের কাজ করো, আমরা আমাদের কাজ করি। হে নবী ! আপনি বলুন যে, আমি তোমাদের মত একজন মানুষ। (পার্থক্য এতটুকুই যে) আমার নিকট ‘অহী’ আসে। নিশ্চয়ই তোমাদের রব মাত্র একজন। অতএব, তাঁর প্রতি সোজা হয়ে চলো এবং ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই মুশরিকদের জন্য ধ্বংস অনিবার্য’। (সূরা হা-মীম সাজদাহ্ / ফুছছিলাত, ৪১: আয়াত ৪-৬)

বিভিন্ন খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে তারা রাসূলকে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিরাশ করতে চাইতো, যাতে তিনি তাদের কাছে দাওয়াত পৌঁছানো হতে বিরত থাকেন এবং তাদের সম্পর্কে তাঁর আগ্রহ একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে যায়।

উপরোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে আব্বাস রা. কাতাদাহ্ রা. ও সুদ্দী রা. বলেন- তাদের অন্তরসমূহ আবৃত অর্থাৎ ইলম ও জ্ঞানে ভরপুর। অবিশ্বাসীরা মনে করতো যে, তাদের কাছে যে জ্ঞান আছে তাই-ই যথেষ্ট। (অতএব নবীর কি দরকার)। কেউ কেউ উক্ত আয়াতের তাফসীর করেছেন যে, কাফিররা মনে করতো যে, তাদের অন্তরগুলি জ্ঞানের ভান্ডার। অতএব, তাদের পক্ষে কোনো মূর্খ নবীর অনুসরণ করা মোটেই ঠিক নয়।

এমনিভাবে মাদায়েনবাসীরা শু‘আইব আলাইহিস সালামকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল-

قَالُوا يَا شُعَيْبُ مَا نَفْقَهُ كَثِيرًا مِمَّا تَقُولُ وَإِنَّا لَنَرَاكَ فِينَا ضَعِيفًا وَلَوْلَا رَهْطُكَ لَرَجَمْنَاكَ وَمَا أَنْتَ عَلَيْنَا بِعَزِيزٍ ﴿سورة هود : 91﴾

‘হে শুআইব! তুমি যে সব কথা বলো ওসবের কিছু আমরা বুঝি না। আমরা তোমাকে আমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা দুর্বল দেখি। যদি তোমার কওম না থাকতো তাহলে আমরা তোমাকে প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা করতাম। আর তুমি আমাদের উপর মোটেই ক্ষমতাবান নও’। (সূরা হুদ, ১১: আয়াত ৯১)

উপরোক্ত সমস্ত আয়াতগুলি প্রায় একই অর্থ বহন করছে যে, অবিশ্বাসীরা নিজেদের হঠকারিতাকে ঢেকে রাখবার জন্য অহী বুঝতে না পারার খোঁড়া অজুহাত পেশ করতো। আল্লাহ তাদের এই মিথ্যা অজুহাতকে বার বার মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছেন বিভিন্ন আয়াতসমূহে এবং বর্ণনা করেছেন যে, এই না বোঝার অর্থ আসলে ‘বুঝতে না চাওয়া’, ‘বুঝতে না পারা’ নয়।

কবি মা‘আরী বলেছেন :

والنجم تستصغر الأبصار صورته ، والذنب للطرف لا للنجم فى الصغر

তারকারাজির সৌন্দর্য অনুধাবন করতে চক্ষু অক্ষম। এই অক্ষমতার জন্য চক্ষু দায়ী, তারকা নয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন