hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সংক্ষিপ্ত ইসলাম ও জাহেলিয়াতের দ্বন্দ্ব

লেখকঃ সাইয়্যেদ মাহমূদ শুকরী আলূসী

৪২
৪০। আল্লাহর পরিকল্পনাকে ত্রুটিপূর্ণ মনে করা
জাহেলী যুগের লোকেরা আল্লাহর সৃষ্টি-পরিকল্পনা ও তাঁর আদেশ নিষেধাবলীর মধ্যে কোনো হিকমত বা দূরদর্শিতা নেই বলে মনে করতো। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে তাদের এই অবস্থা বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন-

وَمَا خَلَقْنَا السَّمَاءَ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا بَاطِلًا ذَلِكَ ظَنُّ الَّذِينَ كَفَرُوا فَوَيْلٌ لِلَّذِينَ كَفَرُوا مِنَ النَّارِ ﴿27﴾ ( سورة ص : 27)

‘আসমান-যমীন ও তন্মধ্যস্থিত কোনো কিছুকেই আমি নিষ্ফল সৃষ্টি করি নাই। যদিও অবিশ্বাসীদের ধারণা তাই। যারা কুফরী করে তাদের জন্য ধ্বংস, ওরা জাহান্নামী’। (সূরা ছাদ, ৩৮: আয়াত ২৭)

অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

مَا خَلَقْنَاهُمَا إِلَّا بِالْحَقِّ وَلَكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ ﴿39﴾ إِنَّ يَوْمَ الْفَصْلِ مِيقَاتُهُمْ أَجْمَعِينَ ﴿40﴾ ( سورة الدخان : 39-40)

‘আমি আসমান যমীন ও তন্মধ্যস্থিত কোনো বস্তুকে খেলাচ্ছলে সৃষ্টি করি নাই। আমি যথার্থ কারণেই এগুলিকে সৃষ্টি করেছি। কিন্তু ওদের অধিকাংশই তা জানে না’। (সূরা আদ-দুখান, ৪৪: আয়াত ৩৮-৩৯)

এতদ্ব্যতীত আরও বহু আয়াত রয়েছে যেখানে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ তা‘আলা কোনো বস্তুকেই বিনা হিকমতে ও বিনা কারণে সৃষ্টি করেনি। অথচ জাহেলী যুগের বাতিল পন্থীদের ধারণা ছিল তাই এবং এ যুগে এরূপ ধারণা অনেকেই করে থাকে।

বিষয়টি দীর্ঘ আলোচনাসাপেক্ষ। মুসলিমদের মধ্যে অনেকগুলি ফিরকা এ নিয়ে আপোষে বহু ঝগড়া করেছে। তবে সত্য পথ সেটাই যার উপর উম্মতের প্রথম যুগের মনীষীগণ বা সালাফে ছালেহীনগণ প্রতিষ্ঠিত ছিলেন, যাঁরা আল্লাহর প্রতিটি কার্যে হিকমত ও কারণে বিশ্বাসী ছিলেন। হাফেজ ইবনূল কাইয়্যেম রহ. তাঁর-

شفعاء العليل في مسائل القضاء والقدر والحكمة والتعليل

নামক গ্রন্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেছেন। সেখানে তিনি আল্লাহর প্রতিটি সৃষ্টি ও আদেশ- নিষেধের পিছনে যে হিকমত, কল্যাণ ও ফলাফলসমূহ নিহিত রয়েছে, বিভিন্ন অধ্যায় রচনার মাধ্যমে তা সবিস্তারে আলোচনা করেছেন। [এখানে লেখক আল্লাহর বিভিন্ন গুণাবলীর কিছু নমুনা উল্লেখ করেছেন। কলেবর বৃদ্ধির ভয়ে তা বাদ দেওয়া হলো।]

মুসলিমদের মধ্যে ঐ সমস্ত মাযহাবসমূহের মতে আল্লাহর সৃষ্টি ও হুকুমের মধ্যে বান্দার জন্য কোনরূপ দয়া, কল্যাণ বা হিকমত নেই। তাদের ধারণামতে নিষ্পাপ ব্যক্তিকেও আল্লাহ শাস্তি দিতে পারেন এবং পাপিষ্ঠ ব্যক্তিকে তিনি সওয়াব দান করতে পারেন। আরও বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে, এই সব মাযহাবের নেতাদের অনেকেই আল্লাহকে তাঁর গুণাবলী থেকে পাক মনে করেন।

তাদের ধারণায় আল্লাহর সত্ত্বার সংগে কোনো গুণ সংযোগ করার অর্থ তাঁকে ‘দেহবিশিষ্ট’ (তাজসীম) ও বান্দার সঙ্গে সাদৃশ (তাশবীহ) সাব্যস্ত করা। তারা মনে করেন যে, আল্লাহকে গুণহীন সাব্যস্ত না করা পর্যন্ত তাওহীদে বিশ্বাস পূর্ণতা লাভ করতে পারে না। যেমন- তারা মনে করেন যে, আরশের উপর আল্লাহর আরোহন, আকাশের উপরে আরশের অবস্থান, (তাঁর কথা বলা ও বান্দার) মূসার আলাইহিস সালাম সাথে কথোপকথন এবং অন্যান্য গুণাবলীকে অস্বীকার না করা পর্যন্ত কারো তাওহীদে বিশ্বাস পূর্ণতা লাভ করতে পারে না। ইবনুল কাইয়্যেম রহ. এর আলোচনার সার সংক্ষেপ উপরে কিছুটা বর্ণনা করা হলো। পূর্ণ আলোচনার জন্য উপরোক্ত কিতাব দ্রষ্টব্য।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন