hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সংক্ষিপ্ত ইসলাম ও জাহেলিয়াতের দ্বন্দ্ব

লেখকঃ সাইয়্যেদ মাহমূদ শুকরী আলূসী

৮৯
৯০। দরিদ্রদের ঘৃণা করা
ইমাম আহমদ ও তাবরানী প্রমুখ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. হতে বর্ণনা করেন যে, একদল কুরাইশ রাসূলে করীমের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তার নিকটে সুহাইব, আম্মার, খাববাব ও অনুরূপ দুর্বল মুসলিমরা বসেছিলেন। কুরাইশগণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উদ্দেশ্য করে বলল, হে মুহাম্মদ, তুমি এইসব লোক নিয়ে সন্তুষ্ট? আল্লাহ কি আমাদের মধ্যে কেবল এই লোকগুলির উপরে মেহেরবাণী করলেন? আমরা কিভাবে এদেরই নীচে থাকবো? ওদেরকে তোমার ওখান থেকে বের করে দাও। তাহলে হয়তবা আমরা তোমার অনুসরণ করতে পারি।

ইবনে জারীর আবু শায়খ, বায়হাকী, দালায়েল প্রভৃতি গ্রন্থের মধ্যে খাব্বাব রা. হতে বর্ণনা করেন যে, আকরা‘ ইবন হাবিস তামীমী, ‘উয়াইনা ইবন হিসন ফাযারী আল্লাহর নবীর দরবারে বলেন, আমরা চাই, হে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তুমি আমাদের সংগে পৃথক মজলিসে বসো। বিভিন্ন আরব প্রতিনিধি দলের সম্মুখে আমরা আমাদের ঐসব কৃতদাসদের সংগে একত্রে বসতে লজ্জাবোধ করি। এসো, আমরা এই মর্মে একটা লিখিত চুক্তি করি যে, যখন আমরা আসবো, তখন তুমি ওদেরকে উঠিয়ে দেবে। তারপর যখন আমরা চলে যাবো, তখন তুমি চাইলে ওদেরকে নিয়ে বসতে পারো। রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এতে সম্মত হলেন এবং আলীকে চুক্তিনামা লিপিবদ্ধ করার জন্য কাগজ কলম নিয়ে আসতে বলেন। এমতাবস্থায় আমরা সবাই এই কোণে উপবিষ্ট ছিলাম। হঠাৎ নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হলো-

وَلَا تَطْرُدِ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ مَا عَلَيْكَ مِنْ حِسَابِهِمْ مِنْ شَيْءٍ وَمَا مِنْ حِسَابِكَ عَلَيْهِمْ مِنْ شَيْءٍ فَتَطْرُدَهُمْ فَتَكُونَ مِنَ الظَّالِمِينَ . ( سورة الأنعام : 52)

‘যারা সকাল-সন্ধ্যায় তাদের প্রতিপালককে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের জন্য ডাকে, তাদেরকে তুমি বিতাড়িত করবে না। তাদের কর্মের জওয়াবদিহির দায়িত্ব তোমার নয়, বা তোমার কর্মের জওয়াবদিহিতার দায়িত্বও তাদের নয় যে, তুমি তাদেরকে বিতাড়িত করবে। যদি তা করো, তুমি সীমালঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। (সূরা আল-আন‘আম, ৬: আয়াত ৫২)

অতঃপর তিনি আমাদের কাছে ডাকলেন এবং পরবর্তী আয়াতটিও শুনিয়ে দিলেন-

وَإِذَا جَاءَكَ الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِآَيَاتِنَا فَقُلْ سَلَامٌ عَلَيْكُمْ كَتَبَ رَبُّكُمْ عَلَى نَفْسِهِ الرَّحْمَةَ أَنَّهُ مَنْ عَمِلَ مِنْكُمْ سُوءًا بِجَهَالَةٍ ثُمَّ تَابَ مِنْ بَعْدِهِ وَأَصْلَحَ فَأَنَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ . ( سورة الأنعام : 54)

‘যারা আমার নিদর্শনসমূহে বিশ্বাস স্থাপন করে, তারা.তোমার নিকট এলে তাদেরকে বল, তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হউক- তোমাদের প্রতিপালক দয়া করাকে নিজের উপর অবশ্যকরণীয় নির্ধারণ করে নিয়েছেন। তোমদের মধ্যে অজ্ঞতাবশতঃ কেউ কোনো মন্দকার্য করার পর যদি তাওবা ও সংশোধনে ব্রতী হয়, তবে আল্লাহতো মহা ক্ষমাশীল ও পরম কৃপানিধান।’ (সূরা আল-আনআম, ৬: আয়াত ৫৪)।

এরপর থেকে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সংগে নিয়মিত বসতাম এবং তিনি যখন চাইতেন আমাদেরকে ছেড়ে যেতেন। (এতটুকুও আল্লাহ সহ্য করলেন না) ফলে নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হলো-

وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ وَلَا تَعْدُ عَيْنَاكَ عَنْهُمْ تُرِيدُ زِينَةَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَلَا تُطِعْ مَنْ أَغْفَلْنَا قَلْبَهُ عَنْ ذِكْرِنَا وَاتَّبَعَ هَوَاهُ وَكَانَ أَمْرُهُ فُرُطًا ﴿28﴾ وَقُلِ الْحَقُّ مِنْ رَبِّكُمْ فَمَنْ شَاءَ فَلْيُؤْمِنْ وَمَنْ شَاءَ فَلْيَكْفُرْ إِنَّا أَعْتَدْنَا لِلظَّالِمِينَ نَارًا أَحَاطَ بِهِمْ سُرَادِقُهَا وَإِنْ يَسْتَغِيثُوا يُغَاثُوا بِمَاءٍ كَالْمُهْلِ يَشْوِي الْوُجُوهَ بِئْسَ الشَّرَابُ وَسَاءَتْ مُرْتَفَقًا ﴿29﴾ ( سورة الكهف : 28-29)

‘তুমি নিজেকে ঐসব লোকদের সংগে ধরে রাখ, যারা তাদের প্রতিপালকে সন্তুষ্ট করার জন্য সকাল-সন্ধ্যায় ডাকে। তুমি পার্থিব সৌন্দর্য্য উপভোগের জন্য তাদের থেকে নিজের দৃষ্টি ফিরিয়ে নিবে না এবং যার অন্তঃকরণকে আমি আমার স্মরণ থেকে গাফেল করে দিয়েছি, যে, ব্যক্তি নিজের খেয়াল খুশীমত কাজ করে ও যার কার্যকলাপ সীমা অতিক্রম করে- তুমি তার আনুগত্য করবে না। তুমি বলে দাও যে, সত্য তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে প্রেরিত। যে চায় তা বিশ্বাস করুক, যে চায় তা প্রত্যাখ্যান করুক। তবে আমরা সীমা লংঘনকারীদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি জাহান্নাম’। (সূরা আল-কাহাফ, ১৮: আয়াত ২৮-২৯)

এই আয়াত নাযিল হওয়ার পর আমরা মজলিস থেকে উঠে গেলে সবশেষে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠে দঁড়াতেন।’ [মাননীয় গ্রন্থকার একই মর্মে ইবনুল মুনযির হতে আরেকটি দীর্ঘ বর্ণনার অবতারণা করেছেন। যা বাদ দেওয়া হলো। (অনুবাদক)]

সূরা আল-আন‘আমের ৫২ আয়াতের অংশ ‘তাদের কর্মের জওয়াবদিহিতার দায়িত্ব তোমার নয়’- এ কথার তাৎপর্য হলো এই যে, তুমি তাদের গোপন আমলসমূহের সন্ধানে মনোযোগী হবে না। তা রিসালাতের মর্যাদা বিরোধী। তুমি তাদের প্রকাশ্য আমলগুলো দেখে তার উপর ভিত্তি করে নির্দেশ দিবে। গোপন আমলসমূহের বিষয় সম্পূর্ণ আল্লাহর উপর ছেড়ে দাও। এখানে ঐসব দরিদ্র ও দূর্বল মুসলিমদের বাহ্যক আমল এই যে, তারা সকাল-সন্ধ্যায় তাদের প্রতিপালককে ডাকে। ইবনে যায়েদ উক্ত আয়াত অংশের ব্যাখ্যায় বলেন, এর তাৎপর্য হবে এই যে ‘তাদের রুজী-রুটি বা দরিদ্রতার জওয়াবদিহী আপনাকে করতে হবে না।’

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন