hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সংক্ষিপ্ত ইসলাম ও জাহেলিয়াতের দ্বন্দ্ব

লেখকঃ সাইয়্যেদ মাহমূদ শুকরী আলূসী

৭৮
৭৬। নবীদের স্মৃতিচি‎হ্নসমূহে মসজিদ নির্মাণ করা
এ বিষয়টিও ইয়াহূদী খৃষ্টানদেরদের আবিস্কৃত। যেমন- ওমর রা. হতে বর্ণিত হয়েছে যে, তারা তাদের নবীদের নিদর্শনসমূহকে মসজিদে পরিণত করতো। এদের অনুকরণে বহু জাহেল মুসলিম এ ধরনের কাজ শুরু করেছে। যেমন তারা সৌধ নির্মাণ করেছে সেই স্থানে, যেখানে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আত্মগোপন করেছিলেন। অথবা যেখানে পা রেখেছিলেন, কিংবা যেখানে দাড়িয়ে ইবাদত করেছিলেন। অথচ ইসলামে এইসব অতি ভক্তির কোনো স্থান নেই।

ইরাকে এমন বহু স্থান আছে, যেখানে বড় বড় সৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। যেমন একটি জায়গা আছে, লোকদের ধারণা সেখানে শায়খ আব্দুল কাদের জীলানী রহ. ইবাদত করতেন। আর এক জায়গায় একটি পাথরের উপরে হাতের তালুর চি‎হ্ন আছে। শিয়াদের ধারণায় এটি তাদের ইমাম আলীর রা. হাতের তালূর চি ‎‎ হ্ন। এমনিভাবে আরো কয়েকটি জায়গা আছে, যেসব জায়গা সম্বন্ধে লোকদের ধারণা এই যে, এসব স্থানে খিযির আলাইহিস সালামকে দেখা গিয়েছিল। যদিও তার কোনো ভিত্তি নেই। এমনিভাবে আরো বহু স্থান আছে, যে সবের নাম করতে গেলে স্থান সংকুলান হবে না। অতএব যারা ইসলামের দাবীদার, তাদের উচিত এসব থেকে দূরে থাকা।

বিষয়টির বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিলে আশা করি অন্যায় হবে না। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তায়মিয়াহ রহ. বলেন যে, উপরোক্ত ব্যাপারে খ্যাতনামা ওলামায়ে কেরামের মধ্যে দু’ধরণের মতামত দেখতে পাওয়া যায়। এক - ঐ সমস্ত স্থানে ইবাদত করা নিষিদ্ধ। তবে যেসব স্থান সম্পর্কে শরীয়তের নির্দেশ আছে, সেগুলির হুকুম স্বতন্ত্র। যেমন মাকামে ইবরাহীমে সালাত আদায় করা, কাবা ঘরে খুঁটির নিকটে সালাত পাঠ করা, মসজিদসমূহে এবং পয়লা কাতারে ছালাতের আকাংখা করা ইত্যাদি।

দ্বিতীয় মত হলো- বিশেষ কোনো গুরুত্ব না দিয়ে এসব স্থানে ইবাদত করায় তেমন কোনো দোষ নেই। যেমন আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. আল্লাহর নবীর চলার পথের নিদর্শনসমূহকে অধিক গুরুত্ব দিতেন। যদিও নবী করীম এসব স্থানে হঠাৎ কখনো চলেছেন।

ইমাম আহমদ ইবন হাম্বলকে রহ. উক্ত বিষয়ে কেউ জিজ্ঞেস করলে এর সমর্থনে তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম রা. (অন্ধ ছাহাবী) কি নিজ বাড়ীতে সালাত আদায় করার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট অনুমতি চাননি? আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা.কি রাসূলের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলার পথের নিদর্শনসমূহের অনুগমন করতেন না ? অতএব এসব স্থানে যাতায়াত করায় কারুর জন্য ক্ষতির কারণ নেই। তবে বাড়াবাড়ি করা অন্যায়।

আহমদ ইবনে কাসেম এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হলে তিনিও উপরোক্ত মন্তব্য করেন এবং বলেন যে, এক সময় ইবনে ওমর রা. কে একস্থানে পানি ঢালতে দেখা গেল। জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন যে, আমি এই স্থানে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পানি ঢালতে দেখেছি। আহমদ রহ. বলতেন যে, এতটুকু করায় কোনো দোষ বর্তায় না। কিন্তু আজকাল লোকেরা এ ব্যাপারে খুব বাড়াবাড়ি করছে। যেমন- ইমাম হোসাইয়েন রা. এর কবর প্রভৃতি সম্বন্ধে। উপরের আলোচনা দু’টি কিতাবুল আদবের মধ্যে ‘খেলাল’ বর্ণনা করেছেন।

সহীহ বুখারীতে মুসা ইবন উকবা হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন যে, আমি সালেম ইবন আবদুল্লাহকে রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে দাঁড়াতে ও সালাত আদায় করতে দেখেছি। তিনি বলতেন, আমার পিতা আবদুল্লাহ ইবন ওমর রা. এইসব স্থানে রাসূলকে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ছালাত আদায় করতে দেখার কারণে নিজেও সালাত আদায় করতেন। এসব কারণেই ইমাম আহমদ রহ. এ ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছেন।

পক্ষান্তরে যারা এটাকে অপছন্দ করেন, তাদের যুক্তি নিম্নরূপঃ

সাঈন ইবন মানছুর স্বীয় সুনানে মারুর ইবন সুওয়াইদ হতে বর্ণনা করেন যে, আমরা একদা ওমরের রা. সংগে হজ্জের সফরে বের হলাম। তিনি আমাদের সংগে ফজরের জামা‘আতে প্রথম রাকা‘আতে সুরা ফীল ও দ্বিতীয় রাকা‘আতে সূরা কুরাইশ তিলাওয়াত করলেন। অতঃপর হজ্জ থেকে ফেরার পথে দেখলেন যে, এক জায়গায় সালাত পাঠ করার জন্য লোকেরা খুব তাড়াতাড়ি কছে। তিনি জিজ্ঞেস করে জানতে পারলেন যে, এখানে রাসূলুল্লাহ সালাত আদায় করেছিলেন। একথা শুনে ওমর রা. বলেন, তোমাদের পূর্বে ইয়াহূদী খৃষ্টানরা এভাবেই ধ্বংস হয়েছে। তারা তাদের নবীদের স্মৃতি চি‎হ্নগুলিকে ইবাদতগাহে পরিণত করেছিল। এতএব তোমাদের মধ্যে যাদের (ফরয) সালাত বাকী আছে, তারা আদয় করে নাও। যাদের সালাতের প্রয়োজন নেই, তারা চলে যাও।

অন্য বর্ণনায় মুহাম্মাদ ইবন আযযাহ প্রমুখ বর্ণনা করেন যে, হুদায়বিয়ার সন্ধিকালে যে ঐতিহাসিক গাছ তলায় দাঁড়িয়ে উপস্থিত সকল মুসলিম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র হাতে হাত রেখে মৃত্যুশপথ নিয়েছিলেন, পরবর্তীকালে যখন লোকেরা ঐ গাছের কাছে যাতায়াত শুরু করলো, তখন ওমর রা. ভবিষ্যৎ ফেৎনার আশংকায় গাছটি কেটে ফেলার নির্দেশ দিলেন।

এখানে ওমর রা. যে দুরদর্শী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উহাই গ্রহণযোগ্য। তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র আবদুল্লাহ ইবন ওমর ব্যতীত সকল ছাহাবীর মতামত উহাই। অতএব তার উপরেই আমাদের আমল করা ওয়াজিব এবং সেদিকেই ফিরে যাওয়া উচিত। গ্রন্থকার মুহাম্মাদ ইবন সুলায়মান আল তামিমী যে একজন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কুর‘আন ও সুন্নাহপন্থী চিন্তাবিদ ছিলেন এবং হাম্বলী মাযহাবের মুকাল্লিদ ছিলেন না, উপরোক্ত আলোচনা তাঁর একটি প্রকৃষ্ট প্রমাণ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন