hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান

লেখকঃ ডা. জাকির নায়েক

৩৯
ভ্রূণের পর্যায়সমূহ
وَ لَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ مِنۡ سُلٰلَۃٍ مِّنۡ طِیۡنٍ . ثُمَّ جَعَلۡنٰہُ نُطۡفَۃً فِیۡ قَرَارٍ مَّکِیۡنٍ . ثُمَّ خَلَقۡنَا النُّطۡفَۃَ عَلَقَۃً فَخَلَقۡنَا الۡعَلَقَۃَ مُضۡغَۃً فَخَلَقۡنَا الۡمُضۡغَۃَ عِظٰمًا فَکَسَوۡنَا الۡعِظٰمَ لَحۡمًا ٭ ثُمَّ اَنۡشَاۡنٰہُ خَلۡقًا اٰخَرَ ؕ فَتَبٰرَکَ اللّٰہُ اَحۡسَنُ الۡخٰلِقِیۡنَ

অর্থ : আমি মানুষকে মাটির নির্যাস থেকে তৈরি করেছি। অতঃপর আমি তাকে শুক্র বিন্দুরূপে এক সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করেছি। এরপর আমি শুক্রবিন্দুকে জমাট রক্তরূপে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর জমাট রক্তকে মাংসপিণ্ডে পরিণত করেছি, এরপর সেই মাংসপিণ্ড থেকে অস্থি সৃষ্টি করেছি, অতঃপর অস্থিকে মাংস দ্বারা আবৃত করেছি, অবশেষে তাকে নতুনরূপে দাঁড় করিয়েছি। নিপুণতম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কত কল্যাণময়।’ (সূরা মুমিনূন : ১২-১৪)

এ আয়াতে আল্লাহ বলেছেন যে, قرار ملين (ক্বারাবীন কামীন) বা দৃঢ়ভাবে অটল এক বিশ্রামের স্থানে সুরক্ষিত অতি সামান্য পরিমাণ তরল পদার্থ থেকে সৃষ্টি হয়েছে। পিছনের মাংসপেশী যে মেরুদণ্ডটিকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে আছে সেই মেরুদণ্ডের দ্বারা জরায়ুর পশ্চাতে ভাগ হতে উত্তমরূপে সংরক্ষিত। তাছাড়াও গর্ভফুলের রস ধারণকৃত গর্ভস্থলী দ্বারা ভ্রূণ সংরক্ষিত। সুতরাং ভ্রূণের একটি সুরক্ষিত নিরাপদ বাসস্থান রয়েছে।

এ অল্প পরিমাণ তরল علق (আলাক্বে) এ পরিণত হয়। এর অর্থ হল, যা আটকে থাকে। এটার আরেক অর্থ হল, ‘জোঁক’ সদৃশ বস্তু। উভয় বর্ণনাই বৈজ্ঞানিকভাবে গ্রহণীয়। কেননা, প্রাথমিক অবস্থায় ভ্রূণ দেয়ালের সাথে লেগে থাকে এবং এটাকে আবার জোঁকের আকৃতির মত দেখায়। তাছাড়া এটি জোঁকের (রক্তচোষক) মতই আচরণ করে। এটা মায়ের গর্ভফুলের মধ্যদিয়ে রক্ত সরবরাহ করে।

علق (আলাক্ব) শব্দের তৃতীয় অর্থ হচ্ছে, ‘রক্তপিণ্ড।’ গর্ভের তৃতীয় ও চতুর্থ সপ্তাহে রক্তপিণ্ডের স্তরে থাকাবস্থায় রক্তপিণ্ডটি তরল পদার্থ বেষ্টিত বন্ধ থলির মধ্যে অবস্থান করে। সুতরাং একই সময়ে রক্তের আকৃতির পাশাপাশি জোঁকের আকৃতিও ধারণ করে। নির্দ্বিধায় গ্রহণযোগ্য কোরআনের জ্ঞানকে মানুষের বৈজ্ঞানিক তথ্য অর্জনের আপ্রাণ চেষ্টার সাথে তুলনা করুন।

১৬৭৭ সালে সর্বপ্রথম বিজ্ঞানী হাম এবং লিউন হুক অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে মানুষের শুক্রকোষ পর্যবেক্ষণ করেন। তারা ভেবেছিলেন যে, অতি ক্ষুদ্রাকৃতির মানুষ জরায়ু কোষে থাকে যা জরায়ুতে বিকাশ লাভ করে নবজাতকরূপে গড়ে ওঠার জন্য। এটি ‘The perforation Theory’ বা ছিদ্রকরণ তত্ত্ব নামে পরিচিত ছিল। যখন বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন যে, শুক্রাণুর চেয়ে ডিম্বাণু বড়, তখন ডিগ্রাফের মত বিজ্ঞানীসহ অন্যান্য বিজ্ঞানী চিন্তা করলেন ডিম্বাণুর মধ্যে ক্ষুদ্রাকৃতির ভ্রূণ বিকশিত হয়। পরবর্তীতে ১৮ শতাব্দীতে বিজ্ঞানী মাওপারটুইস ‘মাতা-পিতার দ্বৈত’ উত্তরাধিকার তত্ত্ব ব্যাপকভাবে প্রচার করেন।

علقة (আলাক্বা) রূপান্তরিত হয় مضغة (মুদগাহ)-তে, যার অর্থ হচ্ছে, ‘যা চিবানো হয় (দাঁত দিয়ে)’ এবং এমন আঁঠালো এবং ছোট যা গামের মত মুখে দেয়া যেতে পারে। এ উভয় ব্যাখ্যাই বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। অধ্যাপক ডঃ কেইথ মুর একটি প্লাস্টার সিল নিয়ে এটিকে ভ্রূণের প্রাথমিক স্তরের মত তৈরি করে দাঁত দিয়ে চিবিয়ে মুদগায় পরিণত করতে চেষ্টা করেন। তিনি এ প্রক্রিয়াকে ভ্রূণের প্রাথমিক স্তরের চিত্রের সাথে তুলনা করেন। তিনি দেখেন চিবানো প্লাস্টার সিলে দাঁতের দাগ Somites-এর মত সাদৃশ্যপূর্ণ আর এটাই হল মেরুদণ্ডের প্রাথমিক গঠন।

مضغة (মুদগাহ) পরিণত হয় عظام (ইযাম) বা হাড়ে। হাড়গুলোকে এক খণ্ড মাংস বা মাংসপেশি لحم (লাহুম) পরানো হয়। এরপর আল্লাহ একে তৈরি করেন ভিন্ন সৃষ্টিতে।

অধ্যাপক মার্শাল জনসন হলেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম নেতৃত্বস্থানীয় বিজ্ঞানী এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার থমসন জেফারসন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন দানিয়েল ইনস্টিটিউটের সম্মানিত পরিচালক ও জীবদেহের গঠন সংক্রান্ত বিজ্ঞান (Anatomy) বিভাগের প্রধান। তার নিকট ভ্রূণসংক্রান্ত কোরআনের আয়াতের ভ্রূণ তাত্তিক পর্যায়গুলো সম্পর্কে কোরআনের আয়াতগুলো সমকালীন কোন মত হতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, সম্ভবত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একটি শক্তিশালী অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছিল। যখন তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হল যে, কোরআন ১৪০০ বছর আগে অবতীর্ণ হয়েছে, আর অণুবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার হয়েছে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বহু শতাব্দী পর। তখন তিনি হাসেন এবং স্বীকার করেন যে, প্রথম আবিষ্কৃত অণুবীক্ষণ যন্ত্র কোন ক্ষুদ্র জিনিসকে ১০ গুণের বেশি বড় করে দেখাতে পারত না। এবং পরিষ্কার ছবিও দেখাতে পারত না। তারপর তিনি বলেন, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোরআন পাঠ করেন, তখন তাঁর ওপর ঐশী বাণী নাযিল হওয়ার বিষয়ে কোন বিরোধ দেখি না।’

ডঃ কেইথ মূরের মতে, বিশ্বজুড়ে গৃহীত আধুনিক কালের ভ্রূণবিষয়ক উন্নয়ন স্তর সহজে বোধগম্য নয়। কারণ, এতে স্তরগুলোকে সংখ্যাগতভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেমন, ১ম স্তর, ২য় স্তর ইত্যাদি। পক্ষান্তরে যে স্তরগুলো ভ্রূণ অতিক্রম করে তার শ্রেণীবিভাগ কোরআনের বর্ণনানুসারে পার্থক্যসূচক এবং সহজেই এগুলোর আকার-প্রকৃতি চিহ্নিত করা যায়। এগুলো জন্মপূর্ব বিভিন্ন স্তরের ওপর ভিত্তিশীল ও বোধগম্য এবং বাস্তব, বৈজ্ঞানিক ও সাবলীল বর্ণনার ধারণাকারী।

নিচের আয়াতগুলোতেও মানুষের ভ্রূণ বিকাশের স্তরগুলো বর্ণিত হয়েছে–

اَلَمۡ یَکُ نُطۡفَۃً مِّنۡ مَّنِیٍّ یُّمۡنٰی . ثُمَّ کَانَ عَلَقَۃً فَخَلَقَ فَسَوّٰی . فَجَعَلَ مِنۡہُ الزَّوۡجَیۡنِ الذَّکَرَ وَ الۡاُنۡثٰی

অর্থ : সে কি স্খলিত বীর্য ছিল না? এরপর সে ছিল রক্তপিণ্ড, তারপর আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেছেন এবং সুবিন্যস্ত করেছেন। অতঃপর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন যুগল নর ও নারী। (সূরা ক্বিয়ামাহ : ৩৭-৩৯)

الَّذِیۡ خَلَقَکَ فَسَوّٰىکَ فَعَدَلَکَ . فِیۡۤ اَیِّ صُوۡرَۃٍ مَّا شَآءَ رَکَّبَکَ

অর্থ : যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাকে সুবিন্যস্ত করেছেন এবং সুষম করেছেন। তিনি তোমাকে তার ইচ্ছেমত আকৃতিতে গঠন করেছেন। (সূরা ইনফিতার : ৭-৮)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন