hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের সমালোচনা ও তার জবাব

লেখকঃ ড. সাঈদ ইসমাঈল চীনী

১১
ইসলামে ইনসাফ ও সমতার অর্থ
ইসলামে ইনসাফ ও সমতার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ইনসাফ ব্যাপক আর সমতা বা সাম্য আপেক্ষিক। আবার সাম্য তখনই ইনসাফ হবে যখন তা হবে আপেক্ষিক।

আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। তাদের দিয়েছেন জন্মগত দান (যেমন জ্ঞান) ও অর্জনীয় দান (যেমন উত্তরাধিকারযোগ্য সম্পদ) অর্জনের বিশেষ সুযোগ। যাতে একটি আরেকটির সম্পূরক হয়। এটি কিন্তু ইনসাফ পরিপন্থী নয়। সাধারণ সমতা ইনসাফ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি জিনিস, বরং সমতার কিছু প্রকার আছে সম্পূর্ণ ইনসাফ পরিপন্থী। যেমন অলস ও কর্মঠের মধ্যে সমতা, মেধাবী ও মেধাহীনের মধ্যে সমতা, ছাত্র ও শিক্ষকের মধ্যে সমতা, পিতা ও পুত্রের মধ্যে সমতা, পরিবারের সদস্য ও পরিবার বহির্ভুত লোকের মধ্যে সমতা এবং স্বদেশি ও বিদেশির মধ্যে সমতা। এ জন্যই পরীক্ষা আর এ জন্যই পার্থক্য নির্ণায়ক সুস্থ প্রতিযোগিতা সবার দৃষ্টিতে বৈধ। এ জন্যই কারো প্রতি কাউকে আনুগত্য প্রদর্শন করতে হয়। যাতে বজায় থাকে সমাজ, রাষ্ট্র ও পৃথিবীর শৃঙ্খলা। মুসলিম ও অমুসলিম সমাজে এ ব্যাপারে কোনো পার্থক্য নেই।

উত্তম-অনুত্তম নির্ণয়ের বেলায় যদিও অর্জনীয় গুণাবলির ক্ষেত্রে উন্নতির দরজা খোলা আর উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত গুণাবলির ক্ষেত্রে দ্বার বন্ধ তথাপি উভয় গুণের পরিমাণ অনুপাতে তার দায়িত্বও বেশি হয়ে থাকে। যেমন, ধরুন, যার মেধা ও জ্ঞান বেশি নিজ ও সমাজের প্রতি তার দায়িত্বও বেশি। অনুরূপ যার বিত্ত ও সম্পদ অধিক তার দায়িত্বও বড়।

সুতরাং কেবল তুলনামূলক সমতাই পারে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে। অতএব প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার প্রাপ্য বা তার প্রকৃতির যোগ্য বিষয় দেওয়ার নামই ইনসাফ। প্রাকৃতিকভাবে ভিন্ন মানুষগুলোর মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠার নাম ইনসাফ নয়। (যেমন, নারী-পুরুষ, পিতা-পুত্রের মধ্যে কালগত অগ্রাধিকার বা অর্জিত গুণ যথা অলস ও পরিশ্রমী)

অতএব, বিচারে ইনসাফপূর্ণ সমতার ভিত্তি চূড়ান্ত অর্জন নয়; বরং প্রাপ্ত যোগ্যতার সঙ্গে তুলনামূলক লব্ধ চেষ্টা। অন্যভাবে বললে, প্রদত্ত যোগ্যতার চেয়ে ব্যয়িত প্রচেষ্টা নির্ভর বিচারের নামই ইনসাফ। [ইসমাঈল, কাশফুল গুয়ুম: ৬৩-৭১ পৃ.।]

অনুরূপভাবে ইসলামে ইনসাফেরও দাবী সৃষ্টিজীবের অধিকারগুলোর কোনো পূর্ণ প্রতিদান, চূড়ান্ত পরিণাম বা ইনসাফপূর্ণ দায়মুক্তির ব্যবস্থা থাকা। তাইতো ইসলামের ইনসাফ ইহকালীন জীবনকে পূর্ণ গল্প মনে করে না। বরং পরকালীন জীবনকে বিকল্পহীন পরিপূরক অংশ গণ্য করে। দেখবেন ইহকালে ভাগ্যবান ব্যক্তি উল্লেখযোগ্য কোনো কষ্ট-চেষ্টা ছাড়া পার্থিব সব সুখে ডুবে থাকে। অথচ কোনো প্রাণপণ চেষ্টাকারী ব্যক্তি তার চেষ্টার উপযুক্ত প্রতিদান লাভের আগেই মরে যায়। দুনিয়ায় কখনো নিপীড়ক তার নিপীড়নের মাধ্যমে সুখী হয়। বেঁচে যায় তার উচিৎ সাজা থেকে। অথচ নিপীড়িত ব্যক্তি তার পাওনা বুঝে পাবার আগেই বিষণ্ণ বদনে ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে।

এ থেকেই চূড়ান্ত জীবনে ব্যাপক ইনসাফপূর্ণ হিসাবের প্রয়োজন অনুভূত হয়। যেখানে ত্রুটিকারী তার উচিৎ শাস্তি ভোগ করবে। (অবশ্য আল্লাহ যদি ক্ষমা করেন, তবে তা ভিন্ন কথা।) আর পরিশ্রমকারী তার প্রতিদান লাভ করবে হিসাব ছাড়া। অতএব, আখিরাতেই হবে সৃষ্টিজীবের প্রাপ্যের ব্যাপক, পূর্ণাঙ্গ ও চূড়ান্ত বণ্টন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন