hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের সমালোচনা ও তার জবাব

লেখকঃ ড. সাঈদ ইসমাঈল চীনী

৩৪
মুসলিম নারীর জন্য অমুসলিম পুরুষকে বিবাহ করা অবৈধ কেন?
ইসলাম যে নারী-অধিকার রক্ষায় আগ্রহী তার অন্যতম দৃষ্টান্ত এই যে, তা নারীকে এমন স্বামী গ্রহণের অনুমতি দেয় না যার ধর্ম নিজ স্ত্রীর ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে বাধ্য করে না। এ কারণে ইসলাম মুসলিম নারীর জন্য অমুসলিম পুরুষকে বিয়ে করা হারাম ঘোষণা করেছে। তবে মুসলিম পুরুষের জন্য ইয়াহূদী ও খ্রিস্টান নারীকে বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ٱلۡيَوۡمَ أُحِلَّ لَكُمُ ٱلطَّيِّبَٰتُۖ وَطَعَامُ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ حِلّٞ لَّكُمۡ وَطَعَامُكُمۡ حِلّٞ لَّهُمۡۖ وَٱلۡمُحۡصَنَٰتُ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنَٰتِ وَٱلۡمُحۡصَنَٰتُ مِنَ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ مِن قَبۡلِكُمۡ إِذَآ ءَاتَيۡتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ مُحۡصِنِينَ غَيۡرَ مُسَٰفِحِينَ وَلَا مُتَّخِذِيٓ أَخۡدَانٖۗ ﴾ [ المائ‍دة : ٥ ]

“আজ তোমাদের জন্য বৈধ করা হল সব ভালো বস্তু এবং যাদেরকে কিতাব প্রদান করা হয়েছে, তাদের খাবার তোমাদের জন্য বৈধ এবং তোমাদের খাবার তাদের জন্য বৈধ। আর মুমিন সচ্চরিত্রা নারী এবং তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছে, তাদের সচ্চরিত্রা নারীদের সাথে তোমাদের বিবাহ বৈধ। যখন তোমরা তাদেরকে মোহর দেবে, বিবাহকারী হিসেবে, প্রকাশ্য ব্যভিচারকারী বা গোপনপত্নী গ্রহণকারী হিসেবে নয়...”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৫

আর সুস্পষ্ট বক্তব্য থেকে প্রমাণিত যে মুসলিম-অমুসলিমের বিয়ের অনুমতি কেবল আসমানী কিতাবধারী ধর্মানুসারী পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। [চীনী, আল-খিতাবুল ইসলামী।] এর অন্তর্নিহিত প্রধান কারণ দু’টি। যথা:

ইয়াহূদী ও খ্রিস্টধর্মই কেবল ইসলামের মৌলিকতাকে অস্বীকার করে না এবং এ ধর্ম দু’টিই কেবল কুরআনে বর্ণিত বিভিন্ন আয়াতে ব্যাপকার্থে ‘ইসলাম’ শব্দের মধ্যে পড়ে। [যেমন, সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১২৮, ১৩২-১৩৩; সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৬৭; সূরা ইউনুস, আয়াত: ৭, ৯০।] কেননা, মুসলিম স্বামী ইসলামের শিক্ষানুসারে ইয়াহূদী ও খ্রিস্টধর্মের নবীসহ পূর্ববর্তী নবীদের প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে বাধ্য। পক্ষান্তরে অমুসলিম স্বামী তার ধর্মের শিক্ষার দাবি অনুসারে ইসলামের নবীর প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে বাধ্য নয়। বরং তার ধর্মের ওপর পূর্ণ বিশ্বাসের অর্থই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ধর্মকে অস্বীকার করা।

বিষয়টি আরও স্পষ্ট করা যায় এভাবে, ইসলাম তার অনুসারীকে পৌত্তলিক অথবা নাস্তিক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে জড়াবার অনুমতি দেয় না। কেননা তার ধর্ম পৌত্তলিকতা বা নাস্তিক্যবাদকে সমর্থন করে না। এ পটভূমিতে মুসলিম ব্যক্তির স্ত্রী তার অন্যায় আচরণ বা তার অসম্মানের শিকার হতে পারে।

স্ত্রীর কিছু অধিকারের নিশ্চয়তা দেয় ইসলাম। যার মধ্যে রয়েছে স্ত্রীর প্রকৃত মুক্তি ও সমতার অধিকার। স্ত্রীর এ অধিকার প্রদানে একজন মুসলিম স্বামীকে ইসলাম বাধ্য করে। এটি একটি আল্লাহ প্রদত্ত ধর্ম, যাতে কোনো পবির্তন-পরিবর্ধনের অবকাশ নেই। পক্ষান্তরে অমুসলিম স্বামী সে হয়তো নাস্তিক হবে অথবা তা এমন ধর্মাবলম্বী হবে যাতে স্ত্রীর অধিকার প্রদানে বাধ্যকারী বিধি-বিধান নেই। বরং তা নারী অধিকারের ব্যাপারে সেসব আইনের অনুগত যা কেবল অধিকাংশের রায় অনুযায়ী স্বীকৃত। আর অধিকাংশের মতামত যেমন কখনো সঠিক হয় আবার কখনো ভুল। তেমনি তা যুগের পরিবর্তনের সঙ্গেও হয় পরির্বতিত। যে কেউ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলোর প্রতি নজর দেবেন যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটের ভিত্তিতে আইন পাশ হয়, তাতে অনেক স্ববিরোধিতা ও একের পর এক পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

সুতরাং ইসলাম যেহেতু চায় নারীর সম্মান ও অধিকার ভুলুণ্ঠিত নয়; সমুন্নত হোক, আর ইসলাম যেহেতু নারী অধিকার রক্ষায় বদ্ধপরিকর তাই এর নীতি অনুসারে তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে অন্য ধর্মাবলম্বীর সঙ্গে বিবাহ নিষিদ্ধ করেছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন