hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের সমালোচনা ও তার জবাব

লেখকঃ ড. সাঈদ ইসমাঈল চীনী

১৯
মানবাধিকার সংগঠনগুলো সম্পর্কে ইসলামের অবস্থান
বর্তমানে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও জাতিসংঘের নানা অঙ্গসংস্থা ও সংগঠন আয়োজিত বিচিত্র সম্মেলন অধিকারহারা বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় নানামুখী প্রশংসনীয় তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

তবে এসব কখনো কখনো এমন কিছু আইনী ও রাজনৈতিক ইস্যু উস্কে দেয় যা জাতিসংঘের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যেমন এসব সংগঠন নিজেকে স্থানীয় আইনের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলে যা কেবল সংশ্লিষ্ট দেশের নাগরিকদের ওপর প্রয়োগ করা হয়। অথচ এরা বা এদের অধিকাংশই আইনটি প্রণয়ন করেছে।

এসব সংগঠনে কর্মরত অধিকাংশ ব্যক্তির আন্তরিকতার ব্যাপারে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু দেখা যায় তাদের অনেক উদ্যমীর নিষ্ঠাপূর্ণ আবেগ কখনো এমন নসীহতও পেশ করে যা ঐ জাতির দুনিয়া-আখিরাতের পথচলার সিদ্ধান্তের অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলা যায়। তাতে ঐ জাতির স্বাধীনতার ওপর সুস্পষ্ট হস্তক্ষেপ করা হয় যারা স্বতস্ফূর্তভাবে জাতিসংঘের সদস্যপদ অর্জন করেছে। এর সঙ্গে আরও যোগ করা যায়, কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী তাদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এসব সংগঠনেও অবৈধ অনুপ্রবেশ করে। তাদের চেষ্টা থাকে বিভিন্ন জাতির মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক নষ্ট করা এবং বক্রপথে জাতিসংঘের মূলনীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া। শেষাবধি যাতে এর নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব থাকে তাদের হাতে। বিষয়টি আমাদের সামনে কিছু প্রশ্ন তুলে ধরে:

এসব সংস্থা ও সম্মেলনের শক্তির উৎস কোথায় যারা জাতির ওপর ছুড়ি ঘোরাবার প্রয়াস পায়? জাতি কি তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে নাকি কমপক্ষে অধিকাংশ জনগণ তাদের নির্বাচিত করেছে?

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশের সিদ্ধান্তের বৈধতা কী? তারা যখন নির্দিষ্ট কোনো জাতির বৈধ রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করবেন তখন তাদের সিদ্ধান্ত কি প্রতিনিধি নিযুক্তকারী জাতির অধিকাংশের সিদ্ধান্তের উর্ধ্বে হবে?

যদি তারা নির্বাচন বা ভারার্পণের মাধ্যমে জাতির প্রতিনিধিত্ব না করেন, তাহলে কোনো আইনের ভিত্তিতে তারা জাতির আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলান?

তারা কি জাতিসংঘের নীতির ভিত্তিতে নাক গলান? সদস্য রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাদের নাক গলানো তো জাতিসংঘের প্রধান মূলনীতিরই লঙ্ঘন যা সদস্যদের স্বাধীনতার স্বীকৃতি প্রদান করে। [জাতিসংঘ সনদ, প্রথম অধ্যায়, প্রথম বিষয়, ২য় অনুচ্ছেদ; দ্বিতীয় বিষয়, নং ৭।]

তারা কি গণতন্ত্রের নীতির ভিত্তিতে নাক গলান? তাদের এ কাজ তো গণতন্ত্রের মূলনীতিরও পরিপন্থী। কেননা গণতন্ত্র একটি জাতির সর্বোচ্চ ক্ষমতা সেদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠের হাতে ন্যস্ত করে।

নাকি তারা মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে নাক গলান? তাদের অধিকাংশ সিদ্ধান্তই তো মানবাধিকার ও সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের চেতনার ওপর বড় আঘাত।

এসব সংগঠনের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে নীতিগতভাবে কোনো জাতিই বাধ্য নয়, যাবৎ তার সদস্যবৃন্দ আইনী পন্থায় কোনো জাতির প্রতিনিধিত্ব করে। অন্যথায় এটি শুধু সুপারিশ ও কিছু ব্যক্তির নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি বলেই গণ্য হবে।

ইসলাম সাধারণভাবে ‘কে করলো’ সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে মজলুমদের সমর্থনে ব্যয়িত সকল প্রচেষ্টার প্রতিই শ্রদ্ধা ও সমর্থন ব্যক্ত করে। উপরন্তু এ ধরনের কাজে অংশ নিতে সর্বাত্মক উৎসাহ যোগায়। যদিও সে নিগৃহীত গোষ্ঠীটি হয় অমুসলিম। [চীনী, আলাকাতুল মুসলিম, পৃ. ৬৪-৬৫।] তাই যেসব ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় পদক্ষেপ গৃহীত হয় সেখানে এসব সংগঠনকে খবরদারি করতে ইসলাম নৈতিকভাবে উদ্বুদ্ধ করে। এসব ক্ষেত্র নিম্নরূপ:

যখন কোনো দেশ অন্য দেশের ওপর উৎপীড়ন চালায়। বিশেষত জাতিসংঘের উদ্ভবের পর।

যখন কোনো দেশ অন্য দেশের জাতি-গোষ্ঠী অথবা তার কিছু নাগরিককে স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক আইনের দোহাই দিয়ে নিগৃহীত করে। অন্যকথায়, যখন আইন প্রয়োগে নাগরিক ও অনাগরিকের মধ্যে কিংবা নাগরিকদের মধ্যে বংশ বা পৈতৃক গুণাবলির কারণে বৈষম্য করা হয়। বিশেষতঃ জাতিসংঘের উদ্ভবের পর।

যখন কোনো দখলদার গোষ্ঠী নির্দিষ্ট কোনো ভৌগলিক এলাকার আদিবাসীদের সম্পদ বা ভূমি জবরদখল করতে উদ্যত হয়।

যখন রাষ্ট্র কিছু নাগরিককে তার জন্মগত অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। যেমন, তাদের ভূসম্পত্তির অধিকার, শিক্ষার অধিকার, সামর্থ্যমতো নিজ কর্ম বাছাইয়ের অধিকার, পছন্দমত স্থানে বসবাসের অধিকার ইত্যাদি। হ্যাঁ, তবে তা হতে হবে এসব অধিকার অর্জনের গ্রহণযোগ্য নিয়মানুসারে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন