hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের সমালোচনা ও তার জবাব

লেখকঃ ড. সাঈদ ইসমাঈল চীনী

৩১
কিছু বিচারে নারীর সাক্ষ্য পুরুষের অর্ধেক কেন?
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِذَا تَدَايَنتُم بِدَيۡنٍ إِلَىٰٓ أَجَلٖ مُّسَمّٗى فَٱكۡتُبُوهُۚ ... وَٱسۡتَشۡهِدُواْ شَهِيدَيۡنِ مِن رِّجَالِكُمۡۖ فَإِن لَّمۡ يَكُونَا رَجُلَيۡنِ فَرَجُلٞ وَٱمۡرَأَتَانِ مِمَّن تَرۡضَوۡنَ مِنَ ٱلشُّهَدَآءِ أَن تَضِلَّ إِحۡدَىٰهُمَا فَتُذَكِّرَ إِحۡدَىٰهُمَا ٱلۡأُخۡرَىٰ﴾ [ البقرة : ٢٨٢ ]

“হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পরস্পর ঋণের লেনদেন করবে, তখন তা লিখে রাখবে...... আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ। অতঃপর যদি তারা উভয়ে পুরুষ না হয়, তাহলে একজন পুরুষ ও দু’জন নারী- যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর। যাতে তাদের (নারীদের) একজন ভুল করলে অপরজন স্মরণ করিয়ে দেয়”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮২]

আয়াতটি বাকি লেনদেনকারীদের উদ্দেশে একটি সাধারণ নির্দেশনা। এদিকে যে সাক্ষ্যর ওপর বিচারক নির্ভর করেন আর যে সাক্ষ্যর মাধ্যমে চুক্তি অনুমোদনকালে হকদারের পক্ষে সুপারিশ করা হয়- এতদুভয়ের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান। কেননা, প্রথম অবস্থায় ঘটনা সাক্ষ্যর বিশেষ শর্তাবলিকে বাধ্যতামূলক করে। যেমন, কিছু বিষয়ে আত্মীয় পুরুষের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় না অথচ সেখানে অনাত্মীয় মহিলার সাক্ষ্যও গ্রহণ করা হয়।

এর সাথে যোগ আরও বলা যায়, ইসলাম পরিবারের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব ন্যস্ত করেছে পুরুষের কাঁধে। তাই তাকে পরিবারের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে কেবল ঐ গুণগুলোর প্রতি লক্ষ্য রেখে যা তাকে সরবরাহ করা হয়েছে; নারীকে সরবরাহ করা হয় নি। আর যারা দায়িত্বশীল তাদের কথা ও মতামতের ওজন একটু বেশি থাকে, এটাই স্বাভাবিক। এমনকি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাগুলোতেও তাই দেখা যায়। যেমন গণতান্ত্রিক দেশে যখন একটি বিষয়ে ভোট দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যায়, তখন প্রেসিডেন্টের মতামতকে তার সঙ্গীদের অর্ধেকের মতামতের ওপর প্রাধান্য দেওয়া হয়।

তাছাড়া যে প্রাকৃতিক ভিন্নতার দিকে ওপরে ইঙ্গিত করা হয়েছে তার আলোকেই দেখা যায় পুরুষ ব্যাপকতর পরিবেশের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করতে পারে। অনেক বিষয়েই পুরুষের সাক্ষ্য অধিক যোগ্য বিবেচিত হয়। তার সাক্ষ্যর ওজনও হয় বেশি। পরন্তু যেসব সাক্ষ্যে ঝুঁকি রয়েছে, সেগুলোতে পুরুষরা তুলনামূলক কম আক্রান্ত হয়।

এছাড়া কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে নারীর সাক্ষ্যকে পুরুষের সাক্ষ্যর সমান গণ্য করা হয়। [যেমন, স্বামী তার স্ত্রীকে ব্যভিচারের অপবাদ দিলে তা প্রমাণে চারবার কসম করবে। অনুরূপ স্ত্রীও অপবাদ থেকে আত্মরক্ষায় চারবার কসম করবে। দেখুন সূরা আন-নূর, আয়াত: ৬-৯।] অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও নারীর মতামতকে দেওয়া হয় অত্যধিক গুরুত্ব। যেমন, মুসলিমরা দীনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শিখেছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পুণ্যবতী স্ত্রীদের মাধ্যমে। কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো একান্ত নারীদের ব্যাপার; পুরুষরা সে ব্যাপারে সরাসরি অবগত হতে পারেন না। এসব ক্ষেত্রে সাক্ষ্যদানের অধিকার কেবল নারীদের জন্যই সংরক্ষিত। অনুরূপ পুরুষদের একান্ত ব্যাপারে পুরুষদের সাক্ষ্যই গ্রহণীয়। সুতরাং এ ক্ষেত্রে মর্যাদা কম না বেশি তা বিবেচ্য নয়; বরং নির্দিষ্ট বিষয়ে অধিক যোগ্য কে তা-ই বিবেচ্য।

যেমন, নারীরা বাচ্চার যত্নআত্তিতে অধিক যোগ্যতা রাখেন। তাই ধর্মনিরপেক্ষ দেশগুলোতে পর্যন্ত আদালতগুলোকে দেখা যায় মা-বাবার বিবাহ বিচ্ছেদের পর সন্তানের দেখাশুনার দায়িত্ব মায়ের ওপরই অর্পণ করে (যেমন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)। তাই বলে কি আমরা বলবো নাকি এসব বিচারে পুরুষের অধিকার হরণ করা হয় এবং নারীর সঙ্গে সমতা বিধান থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয়? অবশ্যই আমরা এমন বলবো না, বরং আমরা বলবো, নিশ্চয় একজন মা শিশু প্রতিপালনে একজন পুরুষের চেয়ে অধিক যোগ্য। ঠিক একইভাবে অনেক বিষয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার বেলায় পুরুষই অধিক উপযুক্ত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন