hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের সমালোচনা ও তার জবাব

লেখকঃ ড. সাঈদ ইসমাঈল চীনী

১৪
ইসলামে দাসত্ব বলতে কী বুঝায়?
ইসলামের আবির্ভাবকালে বিশ্বসমাজে যুদ্ধবন্দিদের দাস বানিয়ে নেয়ার রেওয়াজ চালু ছিল। [পবিত্র গ্রন্থ, দ্বিতীয় সফর: ২০; দ্বিতীয় সামুয়েল: ১২/১৮-১৯; বাদশাহদের সফর: ৩/১১; আইয়ুব: ১৯/১৪-১৬।] ইসলামের আগমনের পরও কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত এ রেওয়াজ অব্যাহত ছিল। সুতরাং ইসলাম যখন শত্রুদের সঙ্গে তাদেরই অনুরূপ আচরণ করতে গিয়ে যুদ্ধবন্দিকে দাস বানানোর অনুমতি প্রদান করে যাতে মুসলিমরা তাদের শত্রুদের মোকাবেলায় কোনোঠাসা না হয়ে পড়ে, তাতে বিস্ময়ের কিছু নেই। এ দাবির সপক্ষে লক্ষণীয় যে, সে যুগে তৎকালে দাস বানানোর বৈধ নানা উৎস ছিল, সেসবের মধ্য থেকে ইসলাম শুধু যুদ্ধবন্দিকেই গোলাম বানানোর অনুমতি দিয়েছে। [ইবন তাইমিয়া, মাজমূ: ৩২/৮৯।] তবু এ উৎসকে জায়িয বা বৈধ বলেছে; ওয়াজিব বা জরুরী বলেনি। অর্থাৎ যুদ্ধবন্দিকে দাস বানানো আবশ্যক করা হয় নি। বরং মুসলিম বিচারক বা মুসলিম সরকারকে অবকাশ দেওয়া হয়েছে তাদেরকে গোলাম বানিয়ে নেওয়া, মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়া কিংবা মুক্তিপণ ছাড়াই [মুহাম্মদ: ৪; ইবন তাইমিয়া, মাজমূ: ৩১/৩৮০-৩৮২; ইবনুল কাইয়্যেম, যাদুল মা‘আদ: ৫/৬৫-৬৬।] তাদের স্বাধীন করে দেওয়ার মধ্যে যেকোনো সুযোগ গ্রহণের। ফলে যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে আচরণের আন্তর্জাতিক রীতিনীতি পরিবর্তনের সঙ্গে ইসলামের ভ্রাতৃত্বের মূলনীতিতে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ এসেছে।

ইসলামের প্রকৃত মর্ম হলো, দাসত্ব কেবল আল্লাহর জন্য সংরক্ষিত। একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই সবার মালিক। মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক দাসত্বের নয়, ভ্রাতৃত্বের। মানুষের সঙ্গে মানুষের পার্থক্য নিরূপিত তাকওয়ার মানদণ্ডে। আর তাকওয়া একটি ব্যক্তিগত অর্জন। মানুষ বা সৃষ্টিজীবের পক্ষে পার্থিব জীবনের কোনো নিশ্চিত গুণ দেখে তা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। সম্ভব নয় কাউকে তাকওয়া দান করা বা এর উত্তরাধিকার বানানো। [সূরা আল-হুজরাত, আয়াত: ১৩]] এ জন্যই ইসলাম দাস-দাসীর সঙ্গে সুন্দর আচরণ করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। তাদেরকে আখ্যায়িত করেছে আপন মুনিবের ভাই হিসেবে। শুধু তাই নয়। বরং তাদের বংশকে ‘ওয়ালা’ [মুনীব কর্তৃক দাসকে আযাদ করা হল ওয়ালা। এজন্যই আযাদকৃত দাসকে বলা হয় মাওলা।] পদ্ধতির মাধ্যমে মুনিবের বংশের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছে। সম্পর্কের মর্যাদার দিক দিয়ে যা প্রায় স্বংশীয়ের মতো। এমনকি তাদের অনেকে মাত্র কয়েক যুগের ব্যবধানে নিজ মুনিব সম্প্রদায়ের শাসক ও পরিচালকে পরিণত হয়েছে। [মুহাম্মাদ কুতুব, শুবহাত: ৩৩-৩৫।]

তাছাড়া ইসলাম দাসপ্রথাকে প্রাকৃতিক নিয়ম বলে স্বীকার করে না। বরং একে ব্যতিক্রমী অবস্থা বলে গণ্য করে। এ অবস্থা বদলাতে ইসলাম প্রজ্ঞার সঙ্গে কাজ করেছে। যাতে লোকসমাজে সম্পর্কের প্রচলিত নিয়ম ও বিদ্যমান বাস্তবতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে। এ কারণেই ইসলাম স্থায়ীভাবে দাসপ্রথা নির্মূলে প্রয়োজনীয় বিধি ও আইন প্রণয়ন করেছে। দাসত্বের একমাত্র বৈধ উপায় বন্ধ হবার পর ইসলাম নানা উপায়-উপলক্ষে দাসত্বের নিয়ম তুলে দিয়েছে। এসব উপায়ের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পাপের কাফফারা (ক্ষতিপূরণ) স্বরূপ প্রদেয় তিনটি সুযোগের প্রথমটি করা হয়েছে গোলাম আযাদ করা। তেমনি যে দাস তার দাসত্বের মূল্য পরিশোধ করে স্বাধীন হতে চায় তাকে সাহায্য করতে উদ্বুদ্ধ করেছে, এমনকি বাইতুল মাল বা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে তা পরিশোধের অবকাশ পর্যন্ত দিয়েছে। গোলাম আযাদ করাকে বড় নেকির কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম ঘোষণা করেও দাসত্ব নির্মূলের পথ সুগম করেছে। শুধু তাই নয়, যে বাদী তার মুনিবের সন্তান জন্ম দিয়েছে মুনিবের মৃত্যুর পর তার মুক্তিপ্রাপ্তিও নিশ্চিত করেছে। [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩৩; আল-বায়ানুনী ওয়া খাতির: ২/৪৬৮৪৭০, ৪/২৯৫-২৯৬; মুহাম্মাদ কুতুব; শুবহাত: ৩৬-৩৮।]

লক্ষণীয় বিষয় হলো, পাপের দায়মুক্তির ক্ষেত্রে দাস মুক্তিই কিন্তু একমাত্র বিকল্প নয়, বরং এ ক্ষেত্রে গোলাম আযাদ করা, মিসকীনকে আহার করানো অথবা সাওম পালন করার সুযোগও রাখা হয়েছে। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৮৯; সূরা আল-মুজাদালা, আয়াত: ৩-৪।] কারণ, দাস-দাসী কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নয়। কেননা এমন দিন আসবে যখন কাফফারা ওয়াজিব-ব্যক্তি মুক্ত করার মতো কোনো দাসই খুঁজে পাবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন