hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের সমালোচনা ও তার জবাব

লেখকঃ ড. সাঈদ ইসমাঈল চীনী

৩৩
নারীর বিয়ের ক্ষেত্রে অভিভাবক লাগে কেন, আর তালাক কেন পুরুষের হাতে?
অগ্রাধিকার প্রাপ্ত মতানুসারে নারীর জন্য অভিভাবক ছাড়া বিয়ে করা বৈধ নয়। কেননা বিয়ের আগে নারীর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব বহন করে তার পিতা, ভাই বা পুত্র। যখন তার বিয়ে ব্যর্থ হয়, পুনরায় এ দায়িত্ব নতুনভাবে অভিভাবকদের ওপর এসে বর্তায়। যখন স্বামী অক্ষম হয় অথবা তার সন্তানদের ব্যয় বহন করতে অস্বীকৃতি জানায়, তখনও অভিভাবক বাধ্য হয়েই তার সন্তানদের নিরাপত্তা ও লালন-পালনের দায়িত্ব পালন করে। তাছাড়া কতিপয় ফিকহবিদ কিছু ক্ষেত্রে নারীকে তার অভিভাবক ছাড়া নিজে নিজে বিয়ে করার অনুমতিও দেন।

এদিকে ইসলাম তালাক রেখেছে পুরুষের হাতে। কারণ, নারীকে বিয়ে করার সময় একজন পুরুষকে তার মোহরানা পরিশোধ করতে হয়। পক্ষান্তরে নারীর কিছু প্রদান করতে হয় না পুরুষকে। পুরুষের দায়িত্ব নারীর ঘরকে আসবাব পত্রে সুসজ্জিত করা, নারীর নয়। তারই দায়িত্ব নারীর মৌলিক প্রয়োজন তথা অন্ন-বস্ত্র ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা। আরও দায়িত্ব অসুস্থ হলে স্ত্রীর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা। তারই জিম্মাদারি নারীর সন্তানের খরচ যোগানো। এমনকি দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদ ঘটলেও এ দায়িত্ব পুরুষকেই বহন করতে হয়।

এর সঙ্গে আরও বলা যায়, পরিবারে একজন পুরুষের ভূমিকা একটি রাষ্ট্রের প্রধানের মতো। যাকে কিছু গুণের অধিকারী হতে হয়। সে গুণগুলোর মধ্যে রয়েছে, তার দায়িত্বের অংশ হিসেবে পরিবারের অনিষ্টকামীকে শাস্তি প্রদানের যোগ্যতা রাখা। যেমন, কোনো সভ্য রাষ্ট্রই শাস্তির আইন থেকে খালি নয়, যা উপযুক্ত ব্যক্তির ওপর প্রয়োগ করা হয়। এ জন্যই একটি পরিবারের প্রধান তথা স্বামীর জন্য প্রহারের মতো শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সর্বশেষ স্তর হিসেবে তালাকের চাবুক মারার অনুমতি রাখা হয়েছে। তবে এ শাস্তি হতে হবে এমন যাতে কোনো দাগ সৃষ্টি না হয় এবং পরিবারের সদস্যদের বিশেষত স্ত্রীর ভালোবাসার অন্তরায় না হয়। [চীনী, আল-খিতাবুল ইসলামী।]

পাশাপাশি ইসলাম স্ত্রীকে তার গার্ডিয়ানের কাছে, সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে এবং আদালতে অভিযোগ করার সুযোগ প্রদান করেছে। স্বামী তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে তালাক নেবারও অধিকার দিয়েছে তাকে। অনুরূপ স্বামীর প্রতি কোনো আগ্রহ না থাকলে মোহরানা ফেরত কিংবা স্বামীর খরচাদির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মাধ্যমে তার কাছ থেকে তালাক কিনে নেবারও অবকাশ রেখেছে।

একথা আমরা কিছুতেই অস্বীকার করতে পারি না যে পুরুষ স্বভাবতই নারীর তুলনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে অধিক সিদ্ধহস্ত। তা ছাড়া বিয়ের খরচ ও সন্তানাদির খোরপোশ, এমনকি তালাকের পরও স্ত্রী ও তার সন্তানের খরচাদি পুরুষকেই বহন করতে হয় বলে দাম্পত্য জীবন টিকিয়ে রাখতে তারাই বেশি সচেষ্ট থাকে। সর্বোপরি এ বিষয়টাতো আছেই যে ইসলাম তালাকে উৎসাহিত করে না। বরং তালাককে সর্ব চেয়ে নিকৃষ্ট হালাল কাজ মনে করে। [আবূ দাউদ, তালাক অধ্যায়।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন