hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের সমালোচনা ও তার জবাব

লেখকঃ ড. সাঈদ ইসমাঈল চীনী

২১
মুসলিমরা ইসলাম প্রচারে আগ্রহী কেন?
মুসলিমরা একান্তভাবেই কামনা করে, মুকাল্লাফ বা আল্লাহর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিটি জীবই (জিন ও ইনসান) ক্ষণস্থায়ী ও চিরস্থায়ী জীবনের অনন্ত সুখের ঠিকানা খুঁজে পাক। শাশ্বত জীবন ও নশ্বর জীবনের মুক্তির বার্তা নিয়ে আগমনকারী হিদায়াতে রব্বানীকে একচেটিয়াভাবে নিজেদের করে নেয়াকে মুসলিমদের জন্য বিশেষভাবে হারাম ঘোষণা করেছে ইসলাম। বরং এ বার্তাকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া অত্যাবশ্যক করেছে। কেউ যাতে ইসলাম থেকে, ইসলামের আলোকিত পথ থেকে বঞ্চিত না হয়।

একইসঙ্গে ইসলাম মনে করে প্রতিটি জ্ঞানসম্পন্ন বা সাবালক নারী-পুরুষই পৃথিবীতে স্বাধীন। সে যা ইচ্ছে তা গ্রহণ করতে পারে। যে চেতনা পছন্দ লালন করতে পারে। কিন্তু আখিরাতে এর ফল তাকেই ভোগ করতে হবে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿لَآ إِكۡرَاهَ فِي ٱلدِّينِۖ قَد تَّبَيَّنَ ٱلرُّشۡدُ مِنَ ٱلۡغَيِّۚ﴾ [ البقرة : ٢٥٦ ]

“দীন গ্রহণের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই। নিশ্চয় হিদায়াত স্পষ্ট হয়েছে ভ্রষ্টতা থেকে।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৫৬]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿كُلُّ نَفۡسِۢ بِمَا كَسَبَتۡ رَهِينَةٌ ٣٨﴾ [ المدثر : ٣٨ ]

“প্রতিটি প্রাণ নিজ অর্জনের কারণে দায়বদ্ধ।” [সূরা আল-মুদ্দাসসির, আয়াত: ৩৮]

তবে কেউ যখন স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করে, তখন তার ওপর সেসব বাধ্যবাধকতা মেনে চলা আবশ্যক হয়ে পড়ে, যা তার ওপর ইসলাম ফরজ করেছে। যাতে সে এসব না মানার শাস্তি থেকে রক্ষা পায়। যোগ্য বিবেচিত হয় আলাদা বৈশিষ্ট্য ও অফুরান প্রতিদানের।

ইসলামকে যিনি দীন হিসেবে গ্রহণ করবেন, তার জন্য জরুরি এর যাবতীয় শিক্ষা ও আদর্শকে বাস্তবে রূপ দান করা। কিছুকে ধারণ করা আর কিছুকে উপেক্ষা করার কোনো অবকাশ নেই ইসলামে। যতক্ষণ তা হয় অকাট্য বা প্রায় অকাট্যভাবে প্রমাণিত এবং তার মর্ম হয় উপলব্ধ। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿أَفَتُؤۡمِنُونَ بِبَعۡضِ ٱلۡكِتَٰبِ وَتَكۡفُرُونَ بِبَعۡضٖۚ فَمَا جَزَآءُ مَن يَفۡعَلُ ذَٰلِكَ مِنكُمۡ إِلَّا خِزۡيٞ فِي ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَاۖ وَيَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ يُرَدُّونَ إِلَىٰٓ أَشَدِّ ٱلۡعَذَابِۗ﴾ [ البقرة : ٨٥ ]

“তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশে ঈমান রাখ আর কিছু অংশ অস্বীকার কর? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা তা করে দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা ছাড়া তাদের কী প্রতিদান হতে পারে? আর কিয়ামতের দিনে তাদেরকে কঠিনতম আযাবে নিক্ষেপ করা হবে।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ৮৫]

বিষয়টি আসলে এমন, যেমন কেউ স্বেচ্ছায় একটি নির্দিষ্ট দেশের নাগরিক হলো। এখন কিন্তু সে ঐ দেশের নাগরিক হবার যাবতীয় শর্ত পূরণে বাধ্য। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে দেশের যাবতীয় অধিকার ও সুবিধাদি ভোগ করার জন্য প্রযোজ্য শর্ত পূরণ করা। সে কিছুতেই এসব দায়দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না। কোনো দেশের নাগরিক হওয়া আর ইসলামের দীক্ষিত হওয়ার মধ্যে একমাত্র পার্থক্য এই যে, নাগরিককে তার সম্পর্কের দেশ কখনো বিতাড়ন করে; কিন্তু মুসলিমকে তার একান্ত ইচ্ছে ছাড়া কেউ কখনো ইসলাম থেকে খারিজ করতে পারে না।

সংশ্লিষ্ট আরেকটি কর্তব্য হলো, মুসলিম নাগরিককে সমাজের কল্যাণে নিজের সম্পদ থেকে যাকাত প্রদান করতে হয়। যে সমাজের সে অংশ এবং তার বিবিধ সেবা সে গ্রহণ করে। তেমনি অমুসলিম নাগরিককে ইসলামী রাষ্ট্রের জন্যও কিছু দিতে হয়। অন্যদের বেলায় আমরা বর্তমানে যাকে কর বা ট্যাক্স বলি এটি তার শামিল। যেমন, অমুসলিম দেশের মুসলিম নাগরিকদের নির্ধারিত ট্যাক্স বা কর পরিশোধ করতে হয়। যেমন, ভূমিকর, আয়কর ও বাণিজ্যিক কর ইত্যাদি। এসবের পাশাপাশি তাদেরকে সকল খরচ বাদ দেওয়ার পর (যার মধ্যে করও রয়েছে) যাকাতও দিতে হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন