মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
এটা ঠিক যে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক সংক্রান্ত বিধানসমূহ অনেক সময় জীবন যাপন পদ্ধতি ও এর নিত্য পরিবর্তনশীল উপকরণের দ্বারা প্রভাবিত হয়; কিন্তু ইসলাম যেহেতু আসমানী সব রিসালাতের পরিসমাপ্তকারী এবং এটি সমগ্র বিশ্ব মানবতার জন্য প্রেরিত তাই বিশ্বস্রষ্টা আল্লাহ তা‘আলা এর মধ্যে এমন কিছু বৈশিষ্ট্যের দায়িত্ব নিয়েছেন যা একে সর্বযুগে সর্বস্থানে প্রয়োগ উপযোগী রাখবে। এসব বৈশিষ্ট্যের কিছু নিম্নরূপ: [দেখুন, আল-কাসিম: পৃ. ১৯৭-২০৪।]
প্রথমত: অকাট্যভাবে প্রমাণিত আইন সংক্রান্ত বক্তব্যগুলোকে সাধারণ নীতিমালার ওপর কেন্দ্রীভূত রাখা। বিশেষত শরী‘আতের প্রধান উৎস তথা আল-কুরআনে এবং কিছু কিছু হাদীসে। যেমন, আল্লাহর নির্দেশিত বিষয় পালন ও নিষিদ্ধ বিষয় থেকে বিরত থাকার গুরুত্ব, ন্যায়ানুগতা, যুলুম হারাম হওয়া, ব্যবসা হালাল হওয়া আর সুদ হারাম হওয়া এবং বিবাহকে নারী-পুরুষের পারস্পরিক সহযোগিতার পূর্ণতম উপায় বানানো ইত্যাদি।
দ্বিতীয়ত: এসব আইন সংক্রান্ত পয়েন্ট ও মৌলিক নীতিমালা মুকাল্লাফ মাখলুকের প্রকৃতিজাত মৌলিক উপাদান নির্ভর হওয়া। যেমন, রূহগত, জ্ঞানগত, অন্তরগত ও অঙ্গসংশ্লিষ্ট উপাদান, তার মূল প্রকৃতি ও প্রমাণিত মৌলিক প্রয়োজনাদি।
তৃতীয়ত: ইসলাম কিছু বিষয় বিস্তারিত বলে দিয়েছে, বিশেষত সুন্নতে নববীতে। তদুপরি এসবকে এমন প্রমাণিত বিষয় হিসেবে গণ্য করেছে যা পরিবর্তন হবার নয়। যেমন, মুকাল্লাফ দুই সৃষ্টি তথা জীন ও ইনসান অর্থাৎ মানব ও দানবের দুনিয়া-আখিরাতের সৌভাগ্য বয়ে আনার মৌলিক প্রয়োজনাদি। অথবা এমন যা পরিবর্তন হওয়া উচিৎ নয়। যেমন, অকাট্যভাবে প্রমাণিত ওয়াজিব ও হারামসমূহ। যেগুলোকে পরিবর্তনের আওতায় আনা যায় সেদিকে লক্ষ্য করে আমরা এর নামকরণ করতে পারি ‘ছাওয়াবেত’ বা অপরিবর্তনীয় হিসেবে।
পরিবর্তন যদিও কেবল জীবন প্রণালী ও এর উপকরণকেই স্পর্শ করে কিন্তু তা প্রকৃতির বাইরে না যাওয়া উচিৎ, যা দুনিয়ার কল্যাণ ও আখিরাতের সৌভাগ্যের চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে। আর আল্লাহ প্রদত্ত আইনই নির্ধারণ করবে কোনোটি বৈধ, প্রকৃতি বিরুদ্ধ নয় এবং কোনোটি মানুষের জন্য ক্ষতিকারক এবং তার প্রকৃতি-বিরোধী। কারণ, এ মহাবিশ্বের স্রষ্টাই বিশ্ব চরাচরের সবার প্রকৃতি বান্ধব উপায়-উপকরণ এবং প্রকৃতির সুরক্ষা ও তার সমস্যা দূরিকরণের উপায় সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো জানেন।
পক্ষান্তরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের জ্ঞানগত পার্থক্যের প্রতি দৃষ্টি না দিয়েই বলা যায় যে মানব মনন ও তার অভিরুচিতে সে যোগ্যতাই রাখা হয় নি যদ্বারা সে অজ্ঞাত রহস্য বা কারণ বিচার করতে পারে। সুতরাং মানুষের জ্ঞান, জ্ঞান অর্জনের যোগ্যতা এবং আশপাশের অনুধাবনযোগ্য বিষয় সম্পর্কে তার ধারণা সীমিত। আর অননুধাবনযোগ্য বিষয়ের জ্ঞান তথা যেসব বিষয় পঞ্চেন্দ্রীয়ের মাধ্যমে জানা যায় না, সে ব্যাপারে মানুষ আরও দুর্বল। এ জন্যই সে এর অনেক কিছুই জানে না এমনকি বিস্ময়কর এই বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের যুগেও, অথচ সে তা ব্যবহারে বাধ্য।
চতুর্থত: মহান স্রষ্টা আইনের প্রধান উৎস হিসেবে নিচের উৎসগুলোকেও স্বীকৃতি দিয়েছেন:
আল-কুরআন। এটি তার বক্তব্য ও কাঠামোসহ আল্লাহ তা‘আলার বাণী। একে সুরক্ষিত রাখা হয়েছে বর্ণনাক্রমে অর্থাৎ একজন হাফেয আরেকজন হাফেয থেকে। এভাবে একাধিক সূত্রে ধারাবাহিক বর্ণনাক্রমে তা গিয়ে পৌঁছেছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত। তাছাড়া তা লিখিতভাবেও সংরক্ষিত হয়ে আসছে।
সুন্নাতে নববী। তা হলো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উক্তি, কর্ম ও সমর্থন। অর্থাৎ কুরআনে যা অবতীর্ণ হয়েছে এবং সারা জীবনে তাঁর ওপর পরোক্ষভাবে যা অবতীর্ণ হয়েছে তার বাস্তবায়ন হিসেবে তিনি যা করেছেন এবং যাতে সমর্থন ব্যক্ত করেছেন, তার সমষ্টি। আর সুন্নাতে নববীকে সংরক্ষণ করা হয়েছে মুখস্থকরণ ও সুনির্দিষ্ট নিয়মের আলোকে সংকলনের মাধ্যমে। সংকলক তাঁর নিজস্ব নিয়মের আলোকে তা এমনভাবে সংকলন করেছেন যে তা নির্ভুল ও বিচ্ছিন্ন হাদীছের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশে যথেষ্ট। উল্লেখ্য, অধিকাংশ সুন্নাহই দৃঢ় নিয়মের আলোকে সংকলিত হয়েছে।
ইজতিহাদ। এটি মূলত বাস্তব জীবনে মানুষের নানা সমস্যার সমাধানে কুরআনুল কারীম ও সুন্নতে নববীর যেসব বক্তব্য ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে তার ব্যাখ্যা এবং এতদুভয় থেকে উদ্ভাবনকে অন্তর্ভুক্ত করে। অনুরূপ কুরআন-সুন্নাহর বিধি-বিধান কেন্দ্রীক কিয়াসও এর অন্তর্ভুক্ত। উপরন্তু তা যেসব বিষয়ে কুরআন বা সুন্নাহর কোনো নিকট বা দূরতম ইঙ্গিতও নেই সেসব বিষয়ে জ্ঞান ও বুদ্ধি ব্যবহার করে জীবনের নিত্য পরিবর্তশীল সমস্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় বিধানের প্রতি দিকনির্দেশনা প্রদান করে। তবে তা এসব বিধান কুরআনুল কারীম বা সুন্নাতে নববীর কোনো নির্ভরযোগ্য বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হওয়ার শর্তে।
অন্য কথায়, এই ইজতিহাদে নিচের উৎসগুলোও অন্তর্ভুক্ত [দেখুন, আবূ যুহরা, পৃ. ২১৮-৩০৫; ইয়াকুব, পৃ. ১২৮-২৩৭; রাইসূনী লিল-ইসতিহসান, পৃ. ৮০-৯০।] যাকে আমরা কিয়াস [কিয়াস বলা হয় হুকুমবিহীন একটি ফিকহী মাসআলাকে একই ‘ইল্লত’ বা কারণ বিশিষ্ট কুরআন-সুন্নাহতে হুকুম আছে এমন একটি ফিকহী মাসআলার সঙ্গে তুলনা করা।], ইসতিহসান [ইসতিহসান বলা হয় একটি মাসআলাকে সদুদ্দেশ্যে তার অনুরূপ বিধানের সদৃশ্য বিধান দেওয়া থেকে বেরিয়ে আসাকে, যা কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়।], উরফ [উরফ বলা হয় মানুষ যে লেনদেন করে এবং যাতে তারা অভ্যস্ত।], মাসালেহ মুরসালা [মাসালেহ মুরসালা বলা হয় মানুষের মাঝে প্রচলিত কল্যাণকে, যে ব্যাপারে কুরআন-হাদীস কিছু বলে নি।], সাদ্দে যারায়ে‘ [সাদ্দে যারায়ে বলা হয় ওই উপায়টি হারাম ঘোষণা করা যা সাধারণত হারামে লিপ্ত করে।] ও ইসতিসহাব [ইসতিসহাব বিষয়টি আসলে শরীয়তের নতুন কোনো রীতিতে পৌঁছার জন্য নয়; এর উদ্দেশ্য বরং বাস্তবতাকে নির্ণয় করা। যেমন, যখন আমাদের কাছে এর প্রমাণ থাকে যে অমুক ব্যক্তি অমুক মেয়েকে বিয়ে করেছে, তখন আমরা তাদেরকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই বিবেচনা করে যাবো, যাবৎ না এ কথার প্রমাণ পাওয়া যায় যে এদের মধ্যে তালাকের ঘটনা ঘটেছে।] বলে থাকি। এসব উৎসের মূলে আক্বল বা জ্ঞানই প্রধান ভূমিকা রাখে। তেমনি ইসলামী আইনকে স্থানীয় পরিবেশের সঙ্গে মানানসই করতে ‘উরফ’ ভূমিকা রাখে।
এসব উৎস গ্রহণযোগ্য মতামতসমূহ এবং জীবন প্রণালী ও এর উপকরণসমূহের নিত্যপরিবর্তনের বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গে বক্তব্য কার্যকরণে বিভিন্নতা ও স্থিতিস্থাপকতার ব্যাপক অবকাশ রাখে।
এটি কিন্তু তার সম্পূর্ণ বিপরীত যা সম্পূর্ণরূপে ত্রুটিপূর্ণ মানব জ্ঞান, মানব প্রকৃতির মূল্যবোধের বিকৃতি এবং সংখ্যাগরিষ্ঠের রুচি ও পছন্দমত বিধান রূপদান নির্ভর। যে রুচি ও পছন্দ কখনো আংশিক কখনো পুরোটাই আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে যে প্রকৃতি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। অতএব ইসলামে গ্রহণযোগ্য ও পরিতাজ্য ইজতিহাদের মধ্যে পার্থক্যের মানদণ্ড মানুষের স্বভাব বা অভিরুচি নয়; বরং আসমানী অহী এবং তার আলোকে রচিত ইজতিহাদ।
এখানে আমরা লক্ষ্য করি যে শরী‘আতে ইজতিহাদের জন্য মুজতাহিদকে কিছু মাধ্যমের ওপর পারদর্শী হতে হয়। কিছু মাধ্যম কেন জানা দরকার তা আমরা বুঝতে পারি নিচের দৃষ্টান্ত থেকে:
“তোমাদের কারও পানীয়তে যদি মাছি বসে তবে সে যেন তা ডুবিয়ে নেয়। কারণ তার এক পাখায় রোগ আছে এবং আরেক পাখায় প্রতিষেধক আছে।” [সহীহ বুখারী, সৃষ্টির শুরু অধ্যায়।] এই হাদীসে ‘আমর’ তথা নির্দেশবাচক শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। এ থেকে ইসলামী আইনের মূলনীতি সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় কেউ মনে করেন, এমন করা বোধ হয় জরুরি। কেউ আবার আরও দূরে চলে গেছেন। তার মতে, হাদীসটি আসলে বাজারে উপস্থাপিত খাদ্য সামগ্রীর ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা ছেড়ে দেবার বৈধতার প্রমাণ। এ ব্যক্তি হয়তো এ কথা বলেছেন হাদীসটিকে অপমান করার জন্য, ফলে হাদীস নয় কেবল তিনিই হয়েছেন অপমানিত। নয়তো তিনি হয়তো সদুদ্দেশ্যেই বলেছেন। এ ক্ষেত্রে তাকে ইসলামী বিধান বুঝার জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যা শিখতে হবে। বস্তুত এ হাদীস একটি তাত্ত্বিক রহস্য উন্মোচন করেছে। যদি ঐ পানীয় মানুষ পান করতে চায় তাহলে তা থেকে উপকৃত হবার পন্থা বাতলে দিয়েছে। হাদীসের উদ্দেশ্য বাছবিচারহীন সব খাদ্যেই এমন করা নয়, যা মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়।
অনেক মুসলিমও আছেন যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই হাদীস এবং উটের মূত্র পান করলে কিছু রোগ ভালো হবার হাদীসটিকে অদ্ভুত মনে করেন। অথচ হাদীস দু’টি বিশুদ্ধ। এই এরাই আবার উপকারী মানব আবিষ্কারগুলোয় আস্থাবান হন। যেমন, তারা অজগরের বিষকে প্রতিষেধক ও প্রতিরোধমূলক স্বভাবসম্পন্ন টিকা হিসেবে গণ্য করেন।
এ ধরনের মুসলিমদের দেখা যায়, তারা পশ্চিমা আইন-কানূন সম্পর্কে খুব ভালো জানেন; কিন্তু ইসলামী আইন বিষয়ে তাদের জ্ঞান একেবারে সীমিত। ফলে তারা অপর আইন সম্পর্কে অজ্ঞ, যার জ্ঞান ছাড়া এটিকে বিচার করা সম্ভব নয়। যেমন, «النَّظَافَةُ مِنَ الإِيمان» ‘পবিত্রতা ঈমানের অংশ’ এবং ‘ «لَا ضَرَرَ وَلَا ضِرَارَ» (ইসলামে) ঠকানো বা ঠকা- কোনোটারই অবকাশ নেই’ ইত্যাদি হাদীস। এমন অনভিপ্রেত জটিলতা প্রায়ই তখন সৃষ্টি হয় যখন কোনো মুসলিম ইসলামী বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন সেক্যুলার আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে। ফলে তার কাছে বিষয়টি ঘোলাটে বলে প্রতিপন্ন হয়। অথচ সে যদি বিষয়টি যথাযথভাবে ভেবে দেখে তাহলে খুব কমই ঐ বিষয়টিকে অস্বীকার করতে পারবে।
ইজমা। এটি ইজতিহাদের মতোই। তবে এটি এমন ইজতিহাদ কোনো যুগে যেমন সাহাবী বা তাবেঈদের যুগে যে বিষয়ে আলিমগণ একমত হওয়ার ফলে তা আরও জোরালো ও শক্তিশালী হয়েছে। শক্তির দিক থেকে কুরআনুল কারীম এবং সুন্নতে নববীর পরই এর স্থান। উসূলবিদগণ সাধারণত একে কুরআন-সুন্নাহর পরই স্থান দেন। সুতরাং ধারাবাহিক বিন্যাস নয়; শক্তির স্তরই প্রচলিত ধারাবাহিকতার ভিত্তি।
এ কারণেই ইসলামী আইনে জীবনের নিত্য নতুন সমস্যা মোকাবেলায় যথেষ্ট নম্রতা ও উদারতার অবকাশ থাকায় বিস্ময়ের কিছু নেই। ইসলামী আইন-কানূন যদিও কয়েক শতাব্দী প্রাচীন বিধি-বিধান নির্ভর; কিন্তু তাতে এমন কিছু সুযোগ বা অবকাশ রাখা হয়েছে যা সাম্প্রতিকতম বাস্তবতাতেও প্রয়োগযোগ্য। এই অবকাশ ও প্রশস্ততা বুঝা যায় নিচের ধারাগুলো থেকে:
কিছু বক্তব্য সমর্থন ও প্রত্যাখ্যান কিংবা দুই বক্তব্যের মধ্যে অগ্রাধিকার দানের বেলায় মতের স্বীকৃত বিভিন্নতা। আর বক্তব্য যাচাইয়ের জন্য ত্রুটিপূর্ণ মানবিক জ্ঞানে সীমাবদ্ধ থাকা যথেষ্ট নয়। নতুবা অনেক কিছুকেই অস্বীকার করতে হবে। এমনকি গবেষণামূলক আবিষ্কারগুলোকেও। যেমন, মারণব্যাধি মোকাবেলায় প্রাণবিনাশী অজগরের বিষ ব্যবহার ইত্যাদি। অতএব নির্ভরযোগ্য বর্ণনা বা প্রচলিত কথাতেও আস্থা রাখার বিকল্প নেই।
বক্তব্য ব্যাখ্যা এবং তা থেকে উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে স্বীকৃত বিভিন্নতা। কারণ, পদ্ধতি কখনো বিভিন্ন হয়, যদিও তা অল্পই হয়। তেমনি তথ্য ও মতামতে ব্যক্তিগত প্রেক্ষাপট ও প্রবেশপথ বিভিন্ন হয়। বিভিন্ন হয় বক্তব্যের পূর্বাপর সম্পর্কে অবগতি এবং যে ভাষায় বক্তব্য প্রদত্ত হয়েছে তা অনুধাবনের যোগ্যতা।
প্রকৃত অবস্থা নির্ণয়ে স্বীকৃত বিভিন্নতা। বহু মানুষ পর্যাপ্ত সূক্ষ্ম মাধ্যম ব্যবহার করে এমনকি ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বস্তুতে পর্যন্ত প্রকৃত অবস্থা নির্ণয়ে মত ভিন্নতার জন্ম দেয়।
বক্তব্য ও বাস্তবে প্রয়োগে স্বীকৃত বিভিন্নতা। এর উদাহরণ: ‘কিস্তিতে বিক্রির ক্ষেত্রে কি সুদের হুকুম প্রযোজ্য’? কারণ বস্তুত বিক্রেতা এখানে একটি ব্যাংকের মতো সম্পদ লেনদেন করে। অথচ তা বাইয়ে ‘ঈ‘না’য় সুদ হবে না। তেমনি ‘সব ধরনের প্রতিযোগিতাই কি নিষিদ্ধ জুয়ার অন্তর্ভুক্ত’? ইত্যাদি।
মাধ্যমিক উৎস নির্বাচনে স্বীকৃত বিভিন্নতা। যেমন, ইসতিহসান, মদীনাবাসীদের আমল, সাহাবীদের উক্তি ও পূর্ববর্তীদের শরী‘আত।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/603/9
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।