hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের সমালোচনা ও তার জবাব

লেখকঃ ড. সাঈদ ইসমাঈল চীনী

৩৫
ইসলাম কেন একাধিক স্ত্রী গ্রহণের অনুমতি দেয়
ইসলাম পুরুষকে চার চারটি বিয়ের অনুমতি দিয়েছে ঠিক; তবে তা তাদের মধ্যে সাম্য ও ইনসাফ রক্ষার শর্তে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿فَٱنكِحُواْ مَا طَابَ لَكُم مِّنَ ٱلنِّسَآءِ مَثۡنَىٰ وَثُلَٰثَ وَرُبَٰعَۖ فَإِنۡ خِفۡتُمۡ أَلَّا تَعۡدِلُواْ فَوَٰحِدَةً﴾ [ النساء : ٣ ]

“তাহলে তোমরা বিয়ে কর নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভালো লাগে; দু’টি, তিনটি অথবা চারটি। আর যদি ভয় কর যে, তোমরা সমান আচরণ করতে পারবে না, তবে একটি...”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৩]

আবার তাদের মধ্যে শতভাগ সমতা রক্ষা যে অসম্ভব সে কথাও বলে দিয়েছেন তিনি। আল্লাহ বলেন,

﴿وَلَن تَسۡتَطِيعُوٓاْ أَن تَعۡدِلُواْ بَيۡنَ ٱلنِّسَآءِ وَلَوۡ حَرَصۡتُمۡۖ فَلَا تَمِيلُواْ ﴾ [ النساء : ١٢٩ ]

“আর তোমরা যতই কামনা কর না কেন তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে সমান আচরণ করতে কখনো পারবে না। সুতরাং তোমরা (একজনের প্রতি) সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকে পড়ো না...”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১২৯]

পুরুষের এ একাধিক বিয়ের অনুমতিকে অনেক নারীই নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেন। অথচ বাস্তবে তা নারীর জন্য আল্লাহ তা‘আলার একটি অনুগ্রহ বিশেষ। কারণ:

এটা জানা কথা যে পৃথিবীতে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। আবার পুরুষদের চেয়ে নারীদের গড় আয়ু্ও বেশি। অতএব যদি একজন পুরুষ শুধু একজন নারীকে বিয়ে করে তাহলে অনেক নারীর ভাগ্যেই স্বামী জুটবে না।

আল্লাহ তা‘আলার এ বিধান নারীর বিয়ের সুযোগ সংকোচনের পরিবর্তে তার বিয়ে-ভাগ্যকে সুপ্রসন্ন করে। যেমন একজন পুরুষ যদি কেবল এক নারীকেই বিয়ে করে, তবে চারগুণে তার সুযোগ বৃদ্ধি পায় যখন আমরা পুরুষকে চারটি বিয়ের অনুমতি দেই। তাছাড়া সাধারণত এটি একটি সুযোগ মাত্র। যখন প্রয়োজন পড়ে তখনই কেবল এর দ্বারস্থ হতে হয়। ইসলাম তো এ সুযোগ গ্রহণে কাউকে বাধ্য করে না।

আজীবন বিয়ে বঞ্চিত থাকার চেয়ে অন্য নারীর সহযাত্রী হয়ে পুরুষের স্ত্রী হওয়ার মাধ্যমে নানা আর্থিক ও নৈতিক অধিকার লাভ করা এবং স্বভাবজাত মাতৃত্বের বাসনা পূর্ণ হওয়া তার জন্য শ্রেয়তর। সন্দেহ নেই অবৈধ উপায়ে নিজের জৈবিক চাহিদা মেটানো, আর্থিক ও নৈতিক বিবিধ অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া এবং স্বভাবজাত মাতৃত্বের সাধ অপূর্ণ থেকে যাওয়ার চেয়ে এটি ঢের ভালো। অনেক নারীই নিজের এ আর্থিক ও নৈতিক দায়িত্বের বোঝা বহন করতে পারেন না। আবার এসব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিতে গিয়ে অনেক নারীর জীবন হয় বিপন্ন। তদুপরি প্রকৃতিবিরুদ্ধ এ অবস্থা পুরুষ কর্তৃক নারী নির্যাতনের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেয়। এ ব্যবস্থা প্রায় ক্ষেত্রেই নারীর জন্য আরও বেশি অপমান ও লাঞ্ছনা বয়ে আনে।

বিবাহিতাদের ক্ষেত্রে এটাই স্বাভাবিক যে তারা একাধিক বিয়েকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবেন। তারা এমন করবেন তাদের সহজাত ইর্ষা ও হিংসা প্রবণতার কারণে। তবে অনেক বিচক্ষণ নারীও রয়েছেন যারা এ সুযোগকে নেকি অর্জন ও আল্লাহ প্রদত্ত মাতৃত্বের স্বাভাবিক বাসনা পূরণে কাজে লাগান। এ কারণে তারা আপন স্বামীর সঙ্গে অন্যের অংশগ্রহণে আপত্তি করেন না।

ব্যাপারটি অবশ্য এত সোজা নয়। বিশেষত যে সমাজে ইসলামী পর্দার প্রয়োগ নেই। কেননা, এমন সমাজে প্রায়শই অবিবাহিত মেয়েরা পুরুষকে সম্মোহিত বা প্রবঞ্চিত করে তার স্ত্রীকে তালাক দিতে বাধ্য করে তার সঙ্গে নিজের বিয়ের রাস্তা পরিষ্কার করে। [স্ত্রীকে শুধু তালাক দেওয়া কেন পরকীয়ার টানে নিজ স্ত্রীকে হত্যা, অন্যের স্বামীকে বাগিয়ে নিতে রাক্ষুসী হয়ে নারী হয়ে নারীর জীবন কেড়ে নেওয়ার ঘটনাও তো সমাজে বিরল নয়। -অনুবাদক।] পক্ষান্তরে একাধিক বিয়ে স্ত্রীকে তার স্বামী ধরে রাখার সুযোগ এনে দেয়।

নারীদের কদাচিৎ প্রশ্ন করতে দেখা যায়, ইসলাম কেন নারীকে একাধিক স্বামী গ্রহণের অনুমতি দেয় না? এটি এমন প্রশ্ন যা হৃদয়ে তখনই প্রথম উদিত হয় যখন একে শ্রেয়তর ভাবা হয়। কিন্তু এতে নারীর কী লাভ? এটা কি তার জন্য সন্তানের প্রতি দায়িত্ববান পিতার গ্যারান্টি দেবে? কিংবা তা কি তার জন্য সেই পুরুষের নিশ্চিয়তা দেবে দুর্যোগ-দুর্বিপাকে যে তার হাত ধরবে কিংবা তার প্রয়োজন ও অসহায় মুহূর্তে তাকে সাহায্য-সহযোগিতা করবে? বিশেষত যখন সে অসুস্থতা বা বার্ধক্য হেতু অক্ষম হয়ে পড়বে?

এসব প্রশ্নের বাস্তবানুগ উত্তর অবশ্যই না হবে। কেননা, এক নারীর জন্য একাধিক পুরুষ গ্রহণের অনুমতি পুরুষের জন্য যৌন সম্পর্কের কারণে যেসব বোঝা সৃষ্টি হয় সেসব থেকে পলায়ন করার দারুণ সুযোগ করে দেবে। আর তা হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংসের কারণ। একাধিক স্বামী গ্রহণ নারীর এমন বহুবিধ ক্ষতি বয়ে আনবে একজন বুদ্ধিমতি নারী যা কিছুতেই মেনে নিতে পারেন না। খানিক বাদেই ব্যভিচারের দণ্ড সংক্রান্ত হাদীসে এদিকে ইঙ্গিত করা হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন