মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
কোনটি প্রশংসনীয় প্রবৃত্তি এবং কোনটি নিন্দনীয় প্রবৃত্তি?
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/716/41
প্রবৃত্তিকে ঢালাওভাবে খারাপ বা ভালো কোনটিই বলা চলে না। তবে যারা প্রবৃত্তির অনুসরণ করে বিভিন্ন ধরেনর খারাপ কাজে লিপ্ত হয়, এবং এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করে তাদেরই খারাপ বলা যাবে। প্রক্ষান্তরে যে প্রবৃত্তি মানুষকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি মোতাবেক চলতে সাহায্য করে, তা কোনদিন খারাপ হতে পারে না। তাকে অবশ্যই ভালো প্রবৃত্তি বলতে হবে। আর যে প্রবৃত্তি দ্বারা উপকার লাভ ও ক্ষতি দূর করা সম্ভব নয় তা অবশ্যই খারাপ। এ ছাড়া যে প্রবৃত্তি মানুষকে খারাপের দিকে নিয়ে যায় এবং মানবাত্মার উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, তা অবশ্যই খারাপ ও নিন্দনীয়।
এখানে একটি কথা মনে রাখতে হবে, কোন কোন প্রবৃত্তি বা নফসের চাহিদা আছে, যেগুলোকে আল্লাহ ও তার রাসূল পছন্দ করে। এ ধরনের প্রবৃত্তি বা চাহিদাকে প্রশংসনীয় প্রবৃত্তি বা প্রশংসনীয় চাহিদা বলা হয়ে থাকে। সুতরাং, বলা বাহুল্য যে, প্রশংসনীয় প্রবৃত্তি হল, যে প্রবৃত্তিকে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল পছন্দ করে। এ ধরনের প্রবৃত্তি শরীয়তের বিধানের পরিপন্থী হয় না। বরং, তা মানুষকে আল্লাহর মর্জি মোতাবেক চলতে সাহায্য করে। এ ধরনের প্রবৃত্তির দৃষ্টান্ত হাদিস কুরআন দ্বারাও প্রমাণিত।
আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
كنت أغار على اللاتي وهبن أنفسهن لرسول الله وأقول : أتهب المرأة نفسها؟ فلما أنزل الله تعالى : ﴿ تُرۡجِي مَن تَشَآءُ مِنۡهُنَّ وَتُٔۡوِيٓ إِلَيۡكَ مَن تَشَآء ﴾ [ الأحزاب : ٥١ ] قلت : ما أرى ربك إلا يسارع في هواك
অর্থ, আমি ঈর্ষা করতাম সে রমণীদের উপর যারা তাদের নিজেদেরকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য সোপর্দ করত। আমি বলতাম, নারীরা কি স্বেচ্ছায় তাদের নিজেদের নফসকে সোপর্দ করতে পারে? তারপর যখন আল্লাহ রাব্বূল আলামীন এ আয়াত নাযিল করল,
“স্ত্রীদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা তার পালা তুমি পিছিয়ে দিতে পার, যাকে ইচ্ছা কাছে রাখতে পার; যাকে তুমি সরিয়ে রেখেছ তাকে যদি কামনা কর তাতে তোমার কোন অপরাধ নেই; এটা নিকটতর যে, তাদের চক্ষু শীতল হবে, তারা কষ্ট পাবে না এবং তুমি তাদের যা দিয়েছ তাতে তারা সবাই সন্তুষ্ট হবে। আর তোমাদের অন্তরে যা আছে আল্লাহ তা জানেন এবং আল্লাহ সর্বজ্ঞ, পরম সহনশীল”। [সূরা আহযাব, আয়াত: ৫১]
আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললাম, আমি তোমার রবকে দেখতে পেলাম, সে সবসময় তোমার চাহিদার পিছনে দৌঁড়ে।
কোন কোন বিষয় ছিল, যেগুলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিজের জন্য পছন্দ করত বা তার প্রতি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগ্রহ ছিল, তখন আল্লাহ রাব্বূল আলামীন তার চাহিদা মোতাবেক কোরআন নাযিল করত; ফলে এর দ্বারা প্রমাণিত হত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা কামনা করেছেন বা তার মন যা চেয়েছে তা ছিল প্রশংসনীয় ও ভালো চাহিদা বা ভালো প্রবৃত্তি। এখানে যে কথাটি প্রমাণিত হয়, তা হল প্রবৃত্তি বা চাহিদা মানেই কোন খারাপ বা মন্দ কিছু নয়; তা ভালোও হতে পারে আবার মন্দও হতে পারে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসব বিষয়গুলো কামনা করতেন, তার মধ্যে একটি বিষয় ছিল, তিনি কিবলাকে বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে ফিরিয়ে ক্বাবার দিক করাকে পছন্দ করেন। এর কারণ সম্পর্কে ওলামারা বলেন, তিনি ইবরাহীম আ. এর কিবলার অনুসরণ করাকে পছন্দ করেতেন বলেই, কিবলার পরিবর্তন চাইতেন। এটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মনের চাহিদা ছিল, কিন্তু মনের চাহিদা হওয়ার কারণে একে খারাপ বলা যাবে না। কেননা, এর পিছনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিয়ত সৎ ও ভালো ছিল। তিনি ইব্রাহিম আ. এর নির্মিত কাবার অনুকরণ করাকে পছন্দ করছেন। আর ইব্রাহীম আ. এর নির্মিত কাবাকে পছন্দ করার কামনা করা হল, প্রসংশনীয় কামনা ও প্রসংশনীয় উদ্যোগ।
আবি বারযা রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“আমি তোমাদের উপর যে জিনিষটি অধিক ভয় করি তা হল, তোমাদের পেট, লজ্জাস্থান ও গোমরাহ প্রবৃত্তির চাহিদা।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মতের বিষয়ে সব ধরনের প্রবৃত্তিকে ভয় করেননি। বরং তিনি তার প্রবৃত্তির কু-মন্ত্রণা ও প্রবৃত্তির খারাপ চাহিদাসমূহকে ভয় করেন। প্রবৃত্তির চাহিদা কখনো কখনো গোমরাহ হয়ে থাকে। এ ধরনের প্রবৃত্তি মানুষের দ্বীন ও জ্ঞানকে নষ্ট করে। মানুষকে আল্লাহর স্মরণ আখেরাত হতে ফিরিয়ে রাখে। আর যে সব প্রবৃত্তি গোমরাহ হয় না, তা কখনোই মানুষের দ্বীন ও জ্ঞানকে নষ্ট করে না। এ কারণেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতকে সব ধরনের প্রবৃত্তি হতে সতর্ক করেননি। তিনি শুধু যে সব প্রবৃত্তি মানুষকে খারাপ পরিণতির দিকে নিয়ে যায়, তাকে খারাপ বলেছেন তার থেকে বেঁচে থাকার জন্য মানুষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে একটি কথা মনে রাখতে হবে, প্রবৃত্তি মানুষের জন্য খুবই মারাত্মক; একারণেই আমরা দেখতে পাই কুরআনের আয়াত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদিস, সাহাবায়ে কেরাম, সালফে সালেহীন এবং তাদের পরবর্তী মনিষীরা প্রবৃত্তির অধিক নিন্দা করেন এবং প্রবৃত্তি হতে মানুষকে অধিক সতর্ক করেন। এ সব কুরআন, হাদিস ও সাহাবীদের উক্তি দ্বারা যে প্রবৃত্তির নিন্দা বা সতর্ক করা হয়েছে, তা হল খারাপ প্রবৃত্তি ও কু-প্রবৃত্তি। তবে সব ধরনের প্রবৃত্তিকে নিন্দা করা হয়নি।
আল্লামা ইবনুল কাইয়ুম রহ. বলেন, সাধারণত দেখা যায়, মানুষ তাদের চাহিদার পিছনে দৌড়ে এবং প্রবৃত্তির পূজারিই হয়ে থাকে এবং তাদের জন্য যতটুকু উপকারী সে সীমানা পর্যন্ত অবস্থান করে না এবং সীমা অতিক্রম করা হতে বিরত থাকে না। তাই কুরআন ও হাদিসে ঢালাওভাবে প্রবৃত্তির দুর্নাম ও প্রবৃত্তি বিষয়ে অধিক সতর্ক করা হয়েছে। কারণ, প্রবৃত্তি সাধারণত মানুষের উপকারের চেয়ে ক্ষতির কারণ অধিক হয়ে থাকে। এ ছাড়া যে ব্যক্তি প্রবৃত্তি বিষয়ে ইনসাফ করে এবং সীমা অতিক্রম করে না এ ধরনের লোক খুব কমই পাওয়া যায়। এ কারণেই আল্লাহ রাব্বূল আলামীন তার স্বীয় কিতাবে প্রবৃত্তির নিন্দা করেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাতে দু-একটি জায়গা ছাড়া সব জায়গায় প্রবৃত্তির শুধু নিন্দাই বর্ণিত।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাতে প্রবৃত্তির দুর্নাম বা নিন্দা করা হয়নি এমন একটি হাদিস হল, উপরে উল্লেখিত আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহু এর হাদিস।
অপর একটি হাদিস আব্দুল্লাহ ইব্ন আমর ইবনুল আস রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“তোমাদের কেউ পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না তার প্রবৃত্তি আমি যে বিধান নিয়ে এসেছি তার অনুকরণ না করে”।
এ হাদিস দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণিত হয়, প্রবৃত্তির একটি প্রকার আছে, যেটি প্রশংসনীয় প্রবৃত্তি আর তা হল, যে প্রবৃত্তি ইসলামী শরিয়ত যে বিধান নিয়ে আসছে তার অনুগত ও মোতাবেক হয়। আর যে প্রবৃত্তি ইসলামী শরিয়তের সাথে সংঘর্ষিক হয়, তা হল কু-প্রবৃত্তি বা শয়তানি-প্রবৃত্তি।
ওমর ইব্ন খাত্তাব রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« لما كان يوم بدر، فلما أسروا الأسارى قال رسول الله لأبي بكر وعمر مَا تَرَوْنَ فِي هَؤُلَاءِ الأسَُارَى فقال أبو بكر : يا نبي الله، هم بنو العم والعشيرة؛ أرى أن تأخذ منهم فدية، فتكون لنا قوة على الكفار، فعسى الله أن يهديهم للإسلام . فقال رسول الله مَا تَرَى يَا ابْنَ الخَطَّابِ قلت : لا والله، ما أرى الذي رأى أبو بكر، ولكني أرى أن تمكنا فنضرب أعناقهم، فتمكن عليا من عقيل فيضرب عنقه، وتمكني من فلان – نسيبا لعمر- فأضرب عنقه؛ فإن هؤلاء أئمة الكفر وصناديدها . فهوي رسول الله ما قال أبو بكر، ولم يهو ما قلت »
“বদরের যুদ্ধে যুদ্ধ-বন্দীদের বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরামর্শ চেয়ে আবু বকর রাদিআল্লাহু আনহু ও ওমর রাদিআল্লাহু আনহু উভয়কে জিজ্ঞাসা করে বললেন, তোমরা তাদের ব্যাপারে কি মতামত দাও? উত্তরে আবু বকর রাদিআল্লাহু আনহু বললেন, হে আল্লাহর নবী! তারা আমাদের বাপ-চাচাদের বংশধর এবং আমারা একই বংশের লোক। আপনি তাদের থেকে কিছু ফিদিয়া গ্রহণ করে তাদের ছেড়ে দিন। এতে তারা খুশি হয়ে আমাদের বিরোধিতা করবে না, আমাদের পক্ষের লোক হয়ে যাবে, যা পরবর্তী আমাদের জন্য কাফেরদের বিপক্ষ শক্তি হিসেবে উপকারে আসবে। আশা করি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের ইসলামের প্রতি পথ দেখাবেন। আবু বকর রাদিআল্লাহু আনহু কথা শোনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওমর ইবনুল খাত্তাবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বললেন, হে ওমর! তোমার মতামত কি? ওমর রাদিআল্লাহু আনহু বলল, না আমি আবু বকর যে মতামত দিয়েছে তার সাথে মোটেও একমত নই। তবে আমার কথা হল, আপনি আমাদের সুযোগ দেবেন আমরা তাদের সকলকে হত্যা করে ফেলবো। আলী রাদিআল্লাহু আনহু কে সুযোগ দেয়া হবে, সে চাচাতো ভাই আকীলকে হত্যা করবে। আমাকে আমার বংশের লোক অমুকের বিষয়ে সুযোগ দেবেন আমি তাকে হত্যা করব। কারণ, এরা সবাই হল কুফরের লিডার ও ইমাম। এদের হত্যার কোন বিকল্প হতে পারে না। তাদের উভয়ের মতামত শোনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু বকর রাদিআল্লাহু আনহু এর মতামতকে প্রাধান্য দেন। ওমর রাদিআল্লাহু আনহু এর কথার প্রতি তেমন কোন গুরুত্ব দেননি”।
এ হল, আমাদের নবী যিনি সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ। তিনি প্রথমে আবু বকর সিদ্দিক রাদিআল্লাহু আনহু এর কথার প্রতি আকৃষ্ট হন। কারণ, তিনি বাহ্যিকভাবে দেখতে পেলেন যে এ মতের মধ্যে রয়েছে ইসলামের কল্যাণ এবং এটি হল প্রশংসনীয় প্রবৃত্তি। কারণ, সে যে চিন্তা করেছিল তা ছিল ইলমের উপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত। অথচ কুরআন নাযিল হয়েছে, ওমর রাদিআল্লাহু আনহু এর মতের উপর ভিত্তি করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/716/41
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।