মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
বল, তোমাদের সাক্ষীদেরকে নিয়ে আস, যারা সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ এটি হারাম করেছেন। অতএব যদি তারা সাক্ষ্য দেয়, তবে তুমি তাদের সাথে সাক্ষ্য দিয়ো না। আর তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না, যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে, যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না এবং যারা তাদের রবের সমকক্ষ নির্ধারণ করে। [সূরা আনআম, আয়াত: ১৫০]
আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন স্বীয় নবীকে ঐ সব লোকদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন, যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছেন এবং আখেরাতের দিবস ও হিসাবের দিনকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
আল্লাহ রাব্বূল আলামীন তার স্বীয় নবীকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, আপনি কাফেরদের বলুন-
বল, ‘নিশ্চয় আমাকে নিষেধ করা হয়েছে তাদের উপাসনা করতে, যাদেরকে তোমরা ডাক আল্লাহ ছাড়া। বল, ‘আমি তোমাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করি না, (যদি করি) নিশ্চয় তখন পথভ্রষ্ট হব এবং আমি হিদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হব না। [সূরা আনআম, আয়াত: ৫৬]
আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার নবীকে নির্দেশ দেন যে, হে রাসূল! আপনি তাদের জানিয়ে দেন যে, যারা আল্লাহর সাথে শিরক করে এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদের উপাসনা করে আপনাকে তাদের উপাসনা করতে নিষেধ করেছেন। আর আপনি তাদের আরো বলে দিন, আমি তোমাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবো না, আর আমি যদি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বিধানকে বাদ দিয়ে প্রবৃত্তির অনুসরণ করি তবে আমি ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত হবো। তারপর আল্লাহ রাব্বূল আলামীন তার নবীকে নির্দেশ দিয়ে আরও বলেন,
সুতরাং, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তুমি তার মাধ্যমে ফয়সালা কর এবং তোমার নিকট যে সত্য এসেছে, তা ত্যাগ করে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। [সূরা মায়দো, আয়াত: ৪৮]
অর্থাৎ, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ হতে তোমাকে যে সত্য ও হক বিধান দেয়া হয়েছে, তুমি তাই পালন করবে। আল্লাহর দেয়া বিধান অনুযায়ী তুমি তাদের মাঝে বিচার ফায়সালা করবে। তোমার মনগড়া বা তাদের প্রবৃত্তি ও চাহিদা অনুযায়ী তাদের মাঝে বিচার ফায়সালা করবে না। হক ও সত্য বিধানকে বাদ দিয়ে বিচার ফায়সালা করতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার নবীকে নিষেধ করেন। অন্যত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার নবীকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, এর জন্য তুমি মানুষকে দাওয়াত দিতে থাক, আর আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী তুমি সত্যের উপর অটল ও অবিচল থাক। যেমন-আল্লাহ রাব্বূল আলামীন আরও বলেন,
আর তুমি নিজকে ধৈর্যশীল রাখ তাদের সাথে, যারা সকাল-সন্ধ্যায় তাদের রবকে ডাকে, তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশে এবং দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য কামনা করে। তোমার দু’চোখ যেন তাদের থেকে ঘুরে না যায়। আর ওই ব্যক্তির আনুগত্য করো না, যার অন্তরকে আমি আমার যিকির থেকে গাফেল করে দিয়েছি এবং যে তার প্রবৃত্তির অনুসরণ করেছে এবং যার কর্ম বিনষ্ট হয়েছে। [সূরা কাহাফ, আয়াত: ২৮]
আয়াতগুলোতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার নবীকে ধৈর্য্যের নির্দেশ দেন এবং তাদের সাথে থাকার নির্দেশ দেন যারা সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আল্লাহর যিকির করেন। আর যারা আল্লাহর যিকির হতে গাফেল এবং তারা তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে তাদের অনুসরণ করা হতে নিষেধ করেন। উল্লেখিত আয়াতগুলোতে বিশেষ একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল, আল্লাহ রাব্বূল আলামীন প্রবৃত্তিকে কাফের মুশরিক ও গোমরাহ লোকদের দিকে সম্বোধন করেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হল মানুষ মানেই তাদের মধ্যে প্রবৃত্তি বিদ্যমান আছে, এমন নয় যে যারা ঈমানদার তাদের কোন প্রবৃত্তি বা নফস নাই। কারণ, তাদের প্রবৃত্তি তাদেরকে সত্যের অনুকরণ এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনা থেকে বিরত রাখে। অপরদিকে মুমিনরা সম্পূর্ণ তাদের বিপরীত; তারা তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে না এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি ঈমান আনা হতে বিরত থাকে না। কারণ, কাফেরদের প্রবৃত্তি ও চাহিদা সবই হল বাতিল এবং গোমরাহ। আর মুমিন যাদের ঈমান মজবুত তাদের প্রবৃত্তি সবসময় আল্লাহ রাব্বূল আলামীনের আদেশের এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে বিধান নিয়ে দুনিয়াতে আগমন করেছেন, তার আদর্শ বা সুন্নতের মোতাবেক। তাদের প্রবৃত্তি যখন কোন বস্তুর দিকে ঝুঁকে তখন তা অবশ্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত বা তার নির্দেশের অনুগত হবে। আর যদি তা না হয়, কম পক্ষে তা হবে মুবাহ বা বৈধ। মুমিনদের প্রবৃত্তির চাহিদা শরিয়তের পরিপন্থী হবে না। মুমিনদের উদ্দেশ্যই হল, আল্লাহ ও তার রাসূলের সন্তুষ্টি অর্জন। দুনিয়াতে এটাই হল, তাদের বড় চাওয়া পাওয়া। তারা এর বাহিরে কোন কিছু চিন্তা করে না। তাই তারা সর্বদা সত্যের অনুসন্ধান করতে থাকে এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় স্বচেষ্ট থাকে।
তারপর অপর আয়াতে আল্লাহ রাব্বূল আলামীন বলেন, যারা তাদের রবের পক্ষ থেকে সু-স্পষ্ট দলীলের উপর প্রতিষ্ঠিত তারা কখনোই তাদের মত হতে পারে না যাদের আমল মন্দ ও খারাপ। আর যারা তাদের খেয়াল খুশি মতে চলে এবং যখন যা ইচ্ছা তা করে তারা কখনোই তাদের মত হতে পারবে না যারা তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ না করে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করে এবং আল্লাহর পক্ষ হতে যে সত্য ও সঠিক বিধান দেয়া হয়েছে তার অনুসরণ করে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,
﴿أَفَمَن كَانَ عَلَىٰ بَيِّنَةٖ مِّن رَّبِّهِۦ كَمَن زُيِّنَ لَهُۥ سُوٓءُ عَمَلِهِۦ وَٱتَّبَعُوٓاْ أَهۡوَآءَهُم ١٤﴾ [ سورة محمد : 14 [.
“যে ব্যক্তি তার রবের পক্ষ থেকে আগত সুস্পষ্ট প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত সে কি তার মত, যার মন্দ আমল তার জন্য চাকচিক্যময় করে দেয়া হয়েছে এবং যারা তাদের খেয়াল খুশীর অনুসরণ করে?” [সূরা মুহাম্মদ, আয়াত: ১৪]
আর যে স্বীয় রবের সামনে দাঁড়ানোকে ভয় করে এবং প্রবৃত্তি থেকে নিজকে বিরত রাখে, নিশ্চয় জান্নাত হবে তার আবাসস্থল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/716/6
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।