hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি নূরের তৈরি

লেখকঃ শাইখ আব্দুর রাকীব (মাদানী)

১৯
সুষ্ঠু বিবেক হতে কিছু প্রমাণঃ
১- আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে প্রজননের যে পদ্ধতি রেখেছেন তা হল, প্রত্যেক জাতির সাথে তার স্বজাতির মিলন। মানুষের মিলনে মানুষ। গরুর মিলনে গরু। ছাগল ভেড়ার মিলনে ছাগল ভেড়া। এই নিয়ম বিরাজ করছে সারা পৃথিবীতে। আর এটাই হল প্রজননের নিয়ম বা স্বভাব। তাই পৃথিবীতে কোথাও শোনা যায়না যে, অমুক দেশে মানুষের পেট থেকে পশুর জম্ম হয়,বা তমুক দেশে জীব-জন্তুর পেট থেকে মানব সন্তানের জম্ম হয়। এরকমও হয়না যে, বিশেষ কোন দেশের বা স্থানের মহিলারা লোহা, কাঁচ, বা প্লাস্টিক জম্ম দেয়। মানুষের পেট থেকে যেমন মানুষ ছাড়া অন্য কিছু জম্ম নেয়না, তেমন সাধারণ ভাবে আমাদের এটাই বিশ্বাস রাখতে হবে যে, নবী (সাঃ) তাঁর আম্মাজান আমিনার গর্ভ হতে জম্মগ্রহণ করেন। আর তিনি ছিলেন মানুষ তাই তার সন্তানও মানুষ। সাধারণ মানুষের শরীর যেমন রক্ত, মাংস এবং হাড় দ্বারা গঠিত, তেমন নবী (সাঃ) এর শরীরও রক্ত, মাংস এবং হাড়ের ছিল। এমন বলা অযৌক্তিক যে, তাঁর শরীরের রক্ত গোস্ত এবং হাড় ছিল নূর বা জ্যোতির।

২- নূরী ভাইয়েরা মীলাদুন্নবী প্রভৃতি মহফিলে যখন নবী (সাঃ) এর বর্ণনা দেন, তখন প্রায় ভূমিকায় বলতে শুনা যায়, সমস্ত প্রসংসা আল্লা তাআলার, যিনি মানুষকে আঠার হাজার মাখলুকাতের মধ্য থেকে আশরাফুল মাখলুকাত (সৃষ্টি জগতেরশ্রেষ্ঠ) করে সৃষ্টি করেছেন। আসলে সৃষ্টির সংখ্যা আঠার হাজার না তারও বেশি সেটা পরের প্রশ্ন। কথা হল, সৃষ্টি জগতের শ্রেষ্ঠ যদি মানবকুল হয়, যারা সকলে মাটির তৈরী আর তার মধ্যে প্রিয় নবীকে যদি বলি, তিনি মাটির নয় জ্যোতির বা নূরের তৈরী, তাহলে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হলনা কি? একটু ভেবে দেখুন! অতিরঞ্জিত করতে গিয়ে তাঁর মর্যাদা ক্ষুন্ন তো করিনা ?

৩- যারা বলেন, নবীজী নূরের তৈরী,তাদের যদি প্রশ্ন করা হয় যে, নূর হতে কি জম্ম নেয়? তাহলে উত্তর পাওয়া যাবে: নূর থেকে নূরই জম্ম নেয়। যেমন মানুষ হতে মানুষ জম্ম নেয়। তাহলে প্রশ্ন জাগে, নূর নবীর সন্তানগণও কি তাহলে নূরের ছিলেন? কিন্তু না, নূরী ভাইয়েরা আবার নবীর সন্তানগণকে নূরের বলেন না। আব্বা নূরের, সন্তানরা মাটির এটা কি ধরণের যুক্তি।

৪- আদম (আলাইহিস্ সালাম) কে সৃষ্টি করার রহস্যকে আল্লাহ তাআলা কুরআনে স্পষ্ট ভাবে বর্ণনা করেছেন। সৃষ্টির পূর্বে ফেরেশতাদের সাথে পরামর্শ। তাদের মতামত। নিজ হাতে আদমের শারীরিক কাঠামো তৈরী করণ। সৃষ্টির পরে জীবন দান। ফেরেস্তাদের আদমকে সিজদা করার নির্দেশ। সব কিছুই বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। (দেখুন সূরা বাকারার ৩০-৩৭ নং আয়াত) সাথে হাওয়া (আঃ) এর সিৃষ্টির বর্ণনাও দেওয়া হয়েছে। অন্য স্থানে যেই মহান ব্যক্তির সৃষ্টির রহস্যকে বর্ণনা করেন তিনি হলেন ঈসা (আঃ)। কি ভাবে আল্লাহর আদেশে ঈসা (আঃ) এর মা গর্ভবতী হন। পরে লোকেরা কি বলে। আল্লাহ আবার তাঁকে কি পন্থা অবলম্বন করতে বলেন সব কিছুই আল্লাহ তাআলা বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করেছেন। (সূরা মারইয়ামের ১৬-৩৬ নং আয়াত দ্রষ্টব্য। ) এই তিনটি ঘটনা দ্বারা আল্লাহ তাআলা মানুষ সৃষ্টির ব্যাপারে তাঁর অলৌকিক ক্ষমতাকে প্রকাশ করেছেন। প্রথমতঃ তিনি বিনা মাতা পিতায় মানুষ তৈরী করতে পারেন যা, আদম (আঃ) এর ঘটনা দ্বারা প্রমাণিত। দ্বিতীয়তঃ শুধু পুরুষ দ্বারাই মানুষ তৈরী করতে পারেন, তার নমূনা হল হাওয়া (আঃ) তৃতীয়তঃ বিনা পুরুষে মানুষ তৈরী করতে পারেন। তার প্রমাণ হল ঈসা (আঃ) এর জম্ম রহস্য। এই তিনটি ঘটনা ছাড়া পৃথিবীর সকল মানুষ পিতা মাতার মিলনে জম্ম নেয়। অর্থাৎ সবারই আসল হচ্ছে মাটি। এর মধ্যে যদি কেউ পিতা মাতার মিলনে জম্ম নেয়, আর তার আসল মাটি না হয়ে নূর বা জ্যোতি হয়, তাহলে এটিও একটি বড় রহস্য। এই ধরণের বড় ঘটনার উল্লেখ অবশ্যই কুরআন বা সহীহ হাদীসে থাকা দরকার। কিন্তু না আল্লাহ কুরআনে বলেছেন যে, আমি মানুষের পেট হতে নূরকে জম্ম দিলাম। আর সে হল হল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আর না নবী (সাঃ) সহীহ হাদীসে বলেনঃ যে, আল্লাহ তাঁকে নূর দ্বারা সৃষ্টি করেছেন।

৫- এটা সত্য যে, জিন জাতি আগুনের তৈরী। জিন জাতির সাথে মাটির তৈরী মানব জাতির বিবাহ শাদী হয়না। এখন কথা হচ্ছে নবী (সাঃ) যদি নূরের হন, তাহলে তাঁকে বিবাহ করার দরকার ছিল কোন নূরী জাতির সাথে। কিন্তু এরকম হয়নি। তিনি বিবাহ করেছেন মানব সন্তানকে। এটা প্রমাণ করে, যে তিনি আসলে আমাদের মত মানুষ তাই বিবাহ ও করেছিলেন মানুষকে।

৬- প্রিয় নবী (সাঃ) যদি মাটির না হয়ে, নূর দ্বারা সৃষ্ট হতেন, তাহলে মানুষেরা বলতে সুযোগ পেত যে, তাঁর পক্ষে এত বেশি বেশি ইবাদত করা, জিহাদ করা, কঠিন মুহুর্তগুলোতে ধৈর্য ধারণ করা এবং আরো অসংখ্য গুনাবলী যা তাঁর মধ্যে ছিল, এইসব এ কারণেই সম্ভব হয়েছিল যে, তিনি আমাদের মত মাটির তৈরী মানুষ ছিলেন না। যদি আমাদের মত হতেন তাহলে এসব সম্ভব হতনা। ফলে নবী (সাঃ) কে অস্বীকার করার পথ প্রশস্ত হত। মানুষ হয়ে এত সব বৃহৎ গুণের অধিকারী হওয়াতেই তাঁর মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ পায়। কিন্তু নূরের হয়ে এ সমস্ত গুনের অধিকারী হওয়াতে তাঁর মহত্ব প্রকাশ পায়না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন