মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
( يآ أهلَ الكتابِ قد جاءكم رسولُنا يبيِّنُ لكم كثيراً مما كنتم تُخفونَ من الكتاب و يعفُو عن كثير،قد جاءكم من الله نورٌ وَّ كتابٌ مبين ) المائدة / ১৫
অনুবাদঃ (হে আহলে কিতাবগণ! তোমাদের কাছে আমার রাসূল আগমন করেছেন। কিতাবের যে সব বিষয় তোমরা গোপন করতে, তিনি তার মধ্য থেকে অনেক বিষয় প্রকাশ করেন এবং অনেক বিষয় মার্জনা করেন। তোমাদের কাছে একটি উজ্বল জ্যোতি এসেছে এবং একটি সুস্পষ্ট গ্রন্থ।) [ আল্ মায়েদাহ/ ১৫]
তারা বলেনঃ এই আয়াতে উজ্বল জ্যোতি বলতে মুহাম্মদ (সা:) কে বুঝান হয়েছে এবং এটিই প্রমাণ করে যে, তিনি নূরের তৈরী।
পর্যালোচনাঃ দলীলটির ব্যাপারে পর্যালোচনা করার আগে একটি ঘটনা মনে পড়ে গেল।
তখন আমার বয়স ১৬-১৭ হবে। মাদ্রসার ছাত্র। আমার জনৈক বন্ধুর সাথে এক গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সময়টা ছিল সকাল বেলা। সেই বাড়ির মালিক বৃদ্ধ লোক। ভালো লোক। নামায রোযা এবং কুরআন তিলাওয়াত নিয়মিত করতেন। অভ্যাসমত সে দিন সকালেও তিনি কুরআন মজীদ তিলাওয়াত করছিলেন। ঠিক সেই সময় আমাদের এলাকায় একটি মাসআলাকে কেন্দ্র করে যেথা-সেথা ফতুয়া তলব হচ্ছিল। মাসআলাটি ছিল, প্রত্যেক ফরয নামাযের পর ইমাম সাহেবের মুক্তাদীগণকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে দুআ করা শরীয়ত সম্মত না অসম্মত ? যেমনটা আমাদের দেশের বেশীর ভাগ লোকের স্বভাব। এমন অনেক লোক আছে যারা আসলে নামায পড়েনা অথচ চৌরাস্তায়, চায়ের দোকানে জ্বোর গলায় ফতোআবাজী করে। হ্যাঁ! এতদিন ধরে এই রকম করে আসলাম, এখন এই মৌলবী কোথা থেকে আসল? যত সব মৌলবী! তত সব ফতোআ! এই মৌলবীর পিছনে নামায পড়া যাবেনা। কেউ আবার বলে, নামায হচ্ছে ভাতের ন্যায় আর দুআ হচ্ছে পানির ন্যায়। ভাত খাওয়ার পর পানি পান না করলে যেমন অবস্থা হয়, তেমন নামায পড়ার পর দুআ না করলে নামাযির অবস্থা হয়। কেউ আবার বলে, আরে সালাম ফিরালে তো নামায শেষ হয়ে যায়, তাহলে তোমরা আবার এনিয়ে এত কেন বাড়াবাড়ি করছিস? শেষ মেষ একটি বড় সিদ্ধান্ত হচ্ছিল এবং এই দলটিই ছিল বড় দল । বাপ দাদার যুগ থেকে যা করে আসছি তাই করব। মৌলবীরা যাই মন তাই বলুক। তবে একথা কেউই বলছিলনা যে, চলুন অমুক প্রতিষ্ঠানে বা অমুক ভাল আলেমের কাছে যাই এবং এবিষয়ে কুরআন হাদীস কি বলে তা জেনে নিই। কুরআন হাদীস সম্মত হলে আমল চলবে, অন্যথায় বাঞ্চাল হয়ে যাবে। (বর্তমানে হারামাঈন শরীফাঈন তথা মক্কা এবং মদিনার মসজিদে নববীতে এই ধরণের দুআর কোন অস্তিত্ব নেই।)
হ্যাঁ ! তো আমি যা বলছিলাম, সেই বৃদ্ধ লোক যিনি কুরআন পড়ছিলেন। সেই সময় তিনি সূরা বাকারার ২০১ নং আয়াত (রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুন্ ইয়া হাসানাতাওঁ ওয়া ফিল আখিরাতে হাসানা … ) পাঠ করছিলেন। তিনি ছিলেন সেই দলের মধ্যে, যারা দুআ করার পক্ষে ছিল। আর যায় কোথায়, আমাদের দুই তালেবে ইলমকে দেখে সঙ্গে দলীল দিয়ে বসলেন। বললেন: এই দেখ, কুরআনে আল্লাহ দুআ করতে বলেছেন। এই দেখ দলীল। (রাব্বানা আতিনা…। ) এই বৃদ্ধ লোককে এখন কে বুঝাবে যে, (রাব্বানা আতিনা…) একটি কুরআনের আয়াত। দুআও বটে। বরং একটি জামে (অর্থপূর্ণ) দুআ। যার অর্থ হলঃ ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দান করুন ও পরকালে কল্যাণ করুন এবং দোযখের আগুন হতে আমাদের রক্ষা করুন’। কিন্তু এ থেকে কিভাবে প্রমাণিত হল যে, প্রত্যেক ফরয নামায শেষে ইমাম সাহেবকে মুক্তাদীগণকে নিয়ে সমবেত ভাবে দুআ করতে হবে? আসলে সেই লোক নামায শেষে ইমামকে প্রত্যহ দু’আ করার সময় এই দু’আ পড়তে শুনেছে। তাই তা দু’আর দলীল হিসাবে মনে করে বসেছে। অনুরূপ নূরী দলের নিকট এই আয়াতটি, যা দ্বারা তারা নবী (সাঃ) নূরের তৈরী বলে দলীল দিচ্ছে। আল্লাহ বলেন :
( قد جاءكم من الله نُورٌ و كِتَابٌ مُبِيْن ) المائدة /১৫
যেমন কিনা ‘‘নূর’’ শব্দটি তারা কুরআনে পেল, আর তাদেরকে কে পায়। তারা বলে উঠল এই তো নূর। এই তো প্রমাণ, নবী নূরের তৈরী। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন নবী নূরের তৈরী। আর এর ফলশ্র“তিতে সব স্থানে নূরের তাজাল্লী দেখতে পায়। তাদের কথা-বার্তায়, ওয়াজ-নসীহতে, বই-পুস্তকে ‘‘নূর’’ শব্দটির প্রাধান্য ব্যাপক আকারে পরিলক্ষিত হয়। নূর নবী, নূরে মুহাম্মদী, নূরানী চেহারা, নূরানী নামায শিক্ষা, নূরানী কায়েদাহ, নূরানী মাজমুআয়ে ওযায়েফ, নূরানী পাঞ্জে সূরাহ, নূরানী বঙ্গানুবাদ কুরআন শরীফ, নূরানী ট্রেনিং, নূরে ইলাহী, নূরূন্নবী, নূর বখ্শ, নূর বখ্ত, নূর জাহান,আনওয়ারে এলাহী, নূরে রূহ, নূরে মতলূব, নূরূন আলা নূর। ‘‘নূর’’ শোনে শোনে এমন হয়ে গেছে যে, কুরআন শরীফে কথাও নূর শব্দটি এলেই মনে করে বসে, এই তো নবীজী নূরের হওয়ার প্রমাণ, যেমন সেই বৃদ্ধ লোকটি ইমামের পিছনে প্রতিদিন নামায শেষে দুআ করার সময় (রাব্বানা আতিনা…) শোনে শোনে দুআর দলীল মনে করেছিল। আসলে মুফাস্সিরে কিরামগণ এই মর্মে কি ব্যাখ্যা করেছেন তা দেখার প্রয়োজন তারা মনে করেন না।
আয়াতে বর্ণিত ‘‘নূর’’ ও ‘‘কিতাবের’’ অর্থঃ
সূরা মায়েদার যে আয়াত দ্বারা প্রতিপক্ষের ভাইয়েরা নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে, আল্লাহর নূরের তৈরী বলে দলীল পেশ করে থাকেন, তার অনুবাদ হলঃ (তোমাদের কাছে একটি নূর (জ্যোতি) এবং একটি স্পষ্ট কিতাব এসেছে।) এই আয়াতে নূর হতে কি বুঝান হয়েছে বা বর্ণিত নূর শব্দের ব্যাখ্যা মুফাস্সিরগণ কি করেছেন, তা পাঠকদের কাছে তুলে ধরা হলঃ-
প্রথম মতঃ- কুরআন মজীদের বিশ্লেষকদের একটি দল উক্ত আয়াতে ‘‘নূর’’ ও ‘‘কিতাবুম্মুবীন’’’থেকে একটিই অর্থ নিয়েছেন। আর তা হল কুরআন মজীদ। এই অর্থ গ্রহণ করা হলে এখানে নূর থেকে নবী (সাঃ) কে বুঝান হয়নি। আর যদি তিনি (সাঃ) উদ্দেশ্যই না হন , তাহলে এই আয়াত, নূরের তৈরী প্রমাণের দলীল তো আদৌ হতে পারেনা। ( তফসীরে সাদী, পৃঃ নং ১৮৮, কুরআন কারীমের ঊর্দু অনুবাদ, মদীনায় ছাপা, পৃঃ নঃ ২৯১)
তবে প্রশ্ন জাগে, ( نُورٌ وَّ كِتَابٌ مُّبِيْنْ ) ‘‘নূ রূন ওয়া কিতাবুম্মুবীন’’ যদি একই বস্তু হয়, তাহলে আল্লাহ তাআলা নূর বলার পর ( و ) ‘ওয়াও’ অর্থাৎ ‘‘এবং’’ অক্ষরটি কেন ব্যবহার করলেন? ওয়াও হরফে আতফ, যা দ্বারা দুটি ভিন্ন ভিন্ন অর্থের শব্দকে একত্রিত করা হয়। এখানে নূরের পর ‘‘ওয়াও’’ আছে তারপর ‘‘কিতাবুম্মুবীন’’ এসেছে। তাই দুটি শব্দের অর্থ ভিন্ন ভিন্ন হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
উত্তরঃ আরবী ভাষায় যেমন হরফে আতফ ‘‘ওয়াও’’ দ্বারা দুটি ভিন্ন অর্থের শব্দকে একত্রিত করার নিয়ম আছে, তেমন দুটি একই অর্থের শব্দকেও একত্রিত করার নিয়ম আছে। যাকে আরবী পরিভাষায় মুতারাদিফ বলা হয়। একাধিক স্থানে আল্লাহ তাআলা কুরআনে তা বর্ণনা করেছেন। তম্মধ্যে একটির উল্লেখ করা হল। এই ধরণের আত্ফকে আত্ফে তাফসীরী বলা হয়। আল্লাহ বলেনঃ
( قال إنّما أشكُوا بَثِّى وَ حُزْنِى إلى اللهِ و أعلم من الله ما لا تعلمون ) سورة يوسف /৮৬
অনুবাদঃ- (তিনি [ ইয়াকূব আঃ ] বলেনঃ আমি তো আমার বেদনা ও দুঃখ শুধু আল্লাহর নিকট নিবেদন করছি এবং আমি আল্লাহর নিকট হতে এমন কিছু জানি, যা তোমরা জাননা। ) [ইউসুফ/ ৮৬ ]
আয়াতে বর্ণিত ‘‘বাস্সী’’ এবং ‘‘হুয্নী’’ শব্দ দুটি একই অর্থ বোধক। তবুও হরফে আতফ ‘‘ওয়াও’’ ব্যবহার করা হয়েছে।
অনুরূপ প্রচলিত বাংলা ভাষাতেও লক্ষ্য করা যায়। যেমন বলা হয়, ‘‘লোকটি অভিজ্ঞ এবং পন্ডিত’’। আসলে অভিজ্ঞ ও পন্ডিত সমঅর্থের শব্দ কিন্তু আমরা ‘‘এবং’’ অব্যয় দ্বারা পৃথক করে বলে থাকি।
মুফাস্সিরে কিরামগণের এই মতটিকে, ( অর্থাৎ ‘নূর এবং কিতাব’ একই বস্তু ) আরো বলিষ্ঠতা দান করে, এর পরের আয়াতটি। অর্থাৎ ১৬ নং আয়াতটি। আল্লাহ বলেনঃ
অনুবাদঃ ( এর দ্বারা আল্লাহ, যারা তাঁর সন্তুষ্টি কামনা করে, তাদের হিদায়েত দান করেন।) যে ভাইয়েরা আরবী ভাষায় সামান্য জ্ঞান রাখেন তারা অবশ্যই জানেন যে, ( بِهِ ) শব্দে ‘‘হি’’ হচ্ছে যমীর বা সর্বনাম। আর এই সর্বনামটি এক বচনের জন্য ব্যবহার হয়। যদি ‘‘নূর’’ ও ‘‘কিতাব’’ দু’টি ভিন্ন ভিন্ন অর্থের শব্দ হত তাহলে দ্বীবচনের সর্বনাম ব্যবহার করার দরকার ছিল। অর্থাৎ বলতে হত ( بهما ) ‘‘বিহিমা’’। কিন্তু ব্যবহার হয়েছে একবচনের সর্বনাম। যা দ্বারা বুঝা যায় যে নূর এবং কিতাব একই যিনিস আর তা হল আলকুরআন। [ দেখুন,কুরআনের ঊর্দু তরজমা ও তফসীর, মদীনায় ছাপা, পৃঃ ২৯১-২৯২]
মোটকথাঃ- দুটি শব্দের মাঝে ‘‘ও’’ বা ‘‘এবং’’ থাকলে শব্দ দুটির অর্থ সবসময় ভিন্ন ভিন্ন হয়না বরং অনেক সময় একই অর্থ প্রকাশ করে। আর সেটাই আয়াতে বর্ণিত ‘‘নূর’’ ও ‘‘কিাতাব’’ এর ক্ষেত্রে হয়েছে। (আল্লাহই ভাল জানেন।)
দ্বিতীয় মতঃ- মুফাস্সিরে কিরামগণের আর একটি মত হল যে, এখানে ‘‘নূর’’ থেকে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বুঝান হয়েছে এবং ‘‘কিতাবুম্মুবীন’’ থেকে কুরআন মজীদকে বুঝান হয়েছে। [দেখুন, তফসীরে তাবারী, ৬/১৯৪]
এই তফসীরটি পড়ে হয়ত কিছু ভাই আনন্দ বোধ করবেন ও ভাববেন, প্রতিপক্ষেরও দলীল আছে। পাঠক বৃন্দ! প্রকৃতপক্ষে ‘‘নূর’’ শব্দ দ্বারা মুহাম্মদ (সাঃ) কে উদ্দেশ্য করা , আর তিনি নূর দ্বারা সৃষ্টি, এর প্রমাণ হওয়া দুটি বাক্যের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান রয়েছে। মুফাস্সির ইবনে জারীর ত্বাবারী (রহঃ) এর মন্তব্য হচ্ছে, নূর দ্বারা মুহাম্মদ (সাঃ) কে বুঝান হয়েছে এর অর্থ এটা নয় যে, আল্লাহ তাআলা নবী (সাঃ) কে তাঁর নূর দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। ইবনে জারীর বলেনঃ
” يعنى بالنّور محمداً صلى الله عليه و سلم، الذى أنارالله به الحق، و أظهر به الإسلام، و محق به الشرك، فهو نور لمن استنار به ” অর্থাৎ, নূর দ্বারা মুহাম্মদ (সাঃ) কে বুঝান হয়েছে। আল্লাহ তাআলা তাঁর দ্বারা হক্ককে আলোকিত করেছেন এবং শির্ককে নাশ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি আলোর অনুসন্ধানকারী,নবী (সাঃ) তার জন্য আলো স্বরূপ। [তফসীরে ত্বাবারী, ৬/১৯৪]
ফল কথাঃ আল্লাহর বাণী , (আল্লাহর পক্ষ হতে নূর বা জ্যোতি এসেছে।) এখানে নূর থেকে যদি মুহাম্মদ (সাঃ) কেও বুঝান হয়, তবুও এটা প্রমাণ হয়না যে, নবীজীকে আল্লাহ নূর দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। আর সেই কারণে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের প্রসিদ্ধ তফসীরবিদগণের কেহই একথা বলেননি যে, এই আয়াত থেকে প্রমাণ হয় বা বুঝা যায় যে নবী (সাঃ) কে নূর দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে বা তিনি নূরের সৃষ্ট। [ দেখুন, তফসীরে ত্বাবারী, তফসীরে কুরত্বুবী, ইবনে কাসীর, ফতহুল কাদীর]
কুরআন ও তাওরাতকে আল্লাহ নূর বলেছেন
আল্লাহ তাআলা কুরআন সম্পর্কে বলেনঃ
( فالذين آمنوا به و عزَّرُوهُ و نَصَرُوهُ واتبعواالنورَ الذى أنزل معه أولئك هم المفلحون ) الأعراف /১৫৭
অনুবাদঃ (সুতরাং তাঁর (নবীর) প্রতি যারা ঈমান রাখে, তাকে সম্মান করে ও সাহায্য করে, আর এই নূরকে (কুরআনকে) অনুসরণ করে চলে যা তাঁর নিকট অবতীর্ণ করা হয়েছে। তারাই সাফল্য লাভ করবে। ) [আরাফ/ ১৫৭]
তাওরাত সম্বন্ধে বলেনঃ
( قل من أنزلَ الكتاب الذى جاء به موسى نوراً و هدًى للنَّاس ) الأنعام /৯১
অনুবাদঃ ( হে নবী তুমি বলে দাও! ঐ গ্রন্থকে কে নাযিল করেছে, যা মুসা নিয়ে এসেছিল, যা আলোক বর্তিকা এবং মানব মন্ডলীর জন্য হেদায়েত স্বরূপ। ) [ আনআম/৯১]
উক্ত আয়াত দুটিতে আল্লাহ তাআলা কুরআন এবং তাওরাতকে নূর বলেছেন। কিন্তু এর অর্থ কি এটা যে, কুরআন মজীদ এবং তাওরাত নূরের তৈরী ? যেমন কুরআন মজীদ ও তাওরাতকে আল্লাহ নূর বলেছেন অথচ কিতাবদুটি নূরের তৈরী নয়, তেমন প্রিয় নবী (সাঃ) কে নূর বলা হয়েছে বটে কিন্তু তিনি নূর বা জ্যোতির তৈরী নন।
আরবী সাহিত্যের ইলমে বালাগাতে এই পদ্ধতিকে ইস্তেআরাহ বলা হয। যার অর্থ হলঃ ‘কোন শব্দের পরিবর্তে অন্য শব্দ ব্যবহার করা। দুই শব্দের অর্থের মধ্যে মিল থাকার কারণে এবং ব্যবহৃত শব্দের মধ্যে কারীনা বা সম্পর্ক পরিলক্ষিত হওয়ার কারণে’। যেমন মানুষকে ‘আসাদ’ বলা হয়। আসাদ আরবী ভাষায় বাঘকে বলা হয়। কিন্তু কখনো কখনো শক্তিশালী বাহাদুর ব্যক্তিকেও আসাদ বা বাঘ বলা হয়। অর্থাৎ তার শক্তি ও সাহস যেন বাঘের মত। আসলে কিন্তু কোন মানুষ বাঘ হতে পারেনা। ঠিক তেমনিই মহান আল্লাহ নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কে নূর বা আলো বলে আখ্যায়িত করেছেন কারণ যে সময় নবী আরবে প্রেরীত হন সে সময় আরবের লোকেরা কুফরীর অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। নবী (সাঃ) তাদের হিদায়েতের পথ দেখান। ফলে তাঁর আগমন বা তাঁর ব্যক্তিত্ব ছিল নূরের ন্যায়। তার মাধ্যমে সত্যের পথ উদ্ভাসিত হয়। জাহেলিয়াতের অন্ধকার বিদূরিত হয়। সত্য ও ন্যায়ের আলো প্রজ্জ্বলিত হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/383/21
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।