hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি নূরের তৈরি

লেখকঃ শাইখ আব্দুর রাকীব (মাদানী)

৩৬
নবীজী ‘‘আমাদের মত’’ বলা কি অপরাধ ?
প্রতিপক্ষের অনেককেই বলতে শোনা যায়, তারা জনসাধারণকে বলে থাকে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ‘‘আমাদের মত মানুষ’’ বলা, নাজায়েয। ‘‘আমাদের মত’’ বাক্যটি তাঁর শানে বেআদবী। যারা এরকম বলে তারা ওহাবী। নবী ওলীর দুশমন-শত্র“। এমনকি এরকম বললে ঈমান নষ্ট হয়ে যায় বা বেঈমান হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

প্রিয় পাঠকবৃন্দ! আসলে কি এই ধরণের বাক্য ব্যবহারকারী নবীজীর দুশমন? এই পরিপ্রেক্ষিতে কুরআন মজীদের দুটি আয়াত উল্লেখ করা হল। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

( قُل إنّما أنا بشَرٌ مثلُكم يُوحى إلىَّ ) الكهف /১১০

অনুবাদঃ হে নবী! ( তুমি বলে দাও, আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ। আমার নিকট অহী করা হয়। ) [কাহাফ/১১০]

একই শব্দের আরেকটি আয়াতে আল্লাহ বলেনঃ

( قل إنّما أنا بشرمثلكم يوحى إلىَّ ) فصلت /৬

অনুবাদঃ হেনবী! (তুমি বলে দাও, আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ। আমার কাছে অহী আসে। ) [ফুস্সেলাত/৬]

‘মিসলুকুম’ শব্দটির অর্থ হচ্ছে ‘‘তোমাদের মত’’। আল্লাহ এই শব্দটি কুরআনে উল্লেখ করেছেন এবং নবী (সাঃ) কে আদেশ করেছেন যে, তিনি যেন তাঁর উম্মতকে জানিয়ে দেন যে, তিনি (সাঃ) তোমাদের মতই মানুষ। জানিনা তাহলে আল্লাহ তাআলাকেও কি নবীর দুশমন বলা হবে? নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক। অবশ্যই নবীজী সাধারণ মানুষের মত ছিলেন। সাধারণ মানুষের যেমন আকার-আকৃতি, তেমন তাঁরও ছিল। মানুষের যেমন খাওয়া-দাওয়া, বিবাহ-শাদী, ঘুম-নিদ্রা ইত্যাদির প্রয়োজন হয় তেমন তাঁরও প্রয়োজন হত। আর এ ব্যাপারটিই বুঝাতে চান যারা বলেন নবীজী ‘‘আমাদের মত’’। যে বাক্যটি স্বয়ং আল্লাহ তাআলা কুরআনে উল্লেখ করেছেন।

তবে এটাও সত্য যে, তিনি (সাঃ) ‘‘আমাদের মত’’ তাই তাঁর মর্যাদা, সম্মান, মাহাত্ম এবং তাঁর আদেশ-নিষেধও আমাদের মত। এটা কস্মিনকালেও না। এইরকম আক্কীদাহ পোষনকারী মুসলিম হতে পারেনা।

অনুরূপ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছিল বিশেষ কিছু গুণ। যেমন তাঁর দৈহিক অতিরিক্ত শক্তি, নামাযরত অবস্থায় পিছনে দেখার ক্ষমতা, নিদ্রা অবস্থায় আত্মা চেতন থাকা, বিসাল রোযা রাখার ক্ষমতা ইত্যাদি । এসব গুণাবলী নবী (সাঃ) কে মানুষের গন্ডী থেকে বের করেনা বরং তাঁর বিশেষ কিছু গুণকে প্রমাণ করে যা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজিত নয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন