hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ফিতনাতুত-তাকফীর

লেখকঃ শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ), শায়খ আব্দুল্লাহ বিন বায (রহ), শায়খ সফিউর রহমান মুবারকপুরী (রহ), বিভিন্ন মুফাসসির ও মুহাদ্দিসদের (রহ) উদ্ধৃতি

১৮
ইমাম ইবনুল ক্বাইয়েম (রহ) (মৃত : ৭৫১ হি :)
قال فى ’’ مدارج السالكين ‘‘ (١/ ٣٣٦ ) : والصحيح : أن الْحكم بغيْر ما أنزل الله يتناول الكفرين الأصغر والأكبَر بِحسب حال الْحاكم فإنه إن اعتقد وجوب الْحكم بِما أنزل الله في هذه الواقعة وعدل عنه عصيانا لأنه مع اعترافه بأنه مستحق للعقوبة فهذا كفر أصغر وإن اعتقد أنه غير واجب وأنه مُخير فيه مع تيقنه أنه حكم الله تعالى فهذا كفر أكبر وإن جهله وأخطأه : فهذا مُخطىء له حكم الْمخطئين

ইমাম ইবনুল ক্বাইয়েম (রহ) তাঁর ‘‘মাদারেজুস সালেকীন’’ (১/৩৩৬)-এ লিখেছেন : ‘‘সহীহ বক্তব্য হল : আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানের বিরোধী ফায়সালা পরিস্থিতি বিশেষে উভয় কুফর গণ্য হবে, অর্থাৎ ‘কুফরে আসগার’ (ছোট কুফর) ও ‘কুফরে আকবার’ (বড় কুফর)। যদি সে সংশ্লিষ্ট ঘটনাটিতে এই আক্বীদা রাখে যে, আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী হুকুম জারি করা তার ওপর ওয়াজিব, অথচ তা থেকে বিরত থাকে তাহলে সেটা গুনাহ। কেননা সে এর শাস্তি পাওয়ার যোগ্য মনে করে। এক্ষেত্রে পাপটি কুফরে আসগার। আর যদি হুকুমটি আল্লাহ তাআলা’র হওয়া সত্ত্বেও সে আক্বীদা রাখে যে, এটা তার উপর ওয়াজিব নয় বরং সম্পূর্ণ স্বাধীন, তাহলে এটা কুফরে আকবার। যদিও সে এ ব্যাপারে অজ্ঞ ও ভুলকারী, তাহলে সে ভুলকারক। এ পর্যায়ে তার জন্য অন্যান্য ত্রুটিকারীর হুকুম প্রযোজ্য।’’

و قال فى ’’ الصلاة وحكم تاركه ‘‘ ( صـ ٧٢ ) : وها هنا أصل آخر وهو أن الكفر نوعان كفر عمل وكفر جحود وعناد الْجحود أن يكفر بِما علم أن الرسول جاء به من عند الله جحودا وعنادا من اسْماء الرب وصفاته وأفعاله وأحكامه وهذا الكفر يضاد الإيْمان من كل وجه وأما كفر العمل فينقسم إلَى ما يضاد الإيْمان وإلَى ما لا يضاده فالسجود للضم والاستهانة بالْمصحف وقتل النبي وسبه يضاد الإيْمان وأما الْحكم بغيْر ما أنزل الله وترك الصلاة فهو من الكفر العملي قطعا

ইমাম ইবনুল ক্বাইয়েম (রহ) তাঁর ‘‘ الصلاة وحكم تاركه ’’ (পৃ. ৭২)-এ বলেন : ‘‘এ পর্যায়ে অপর একটি উসূল পাওয়া যায়, সেটা হল কুফর দুই ধরনের হয়ে থাকে। আমলী কুফর এবং জুহূদ (অস্বীকৃতির) বা ‘ঈনাদ (বিরোধিতার) কুফর। কুফরে জুহূদ হল, অস্বীকৃতির ভিত্তিতে ঐ কুফর যা সে জানে যে, এটা রসূল (স) আল্লাহর পক্ষ থেকে এনেছেন। যেমন- আল্লাহর নাম ও তাঁর সিফাত, তাঁর বিভিন্ন আমল ও আহকামসমূহ। এ সমস্ত কুফর ঈমানের প্রত্যেক ক্ষেত্রে সাংঘর্ষিক। পক্ষান্তরে কুফরে আমালী দু’ভাগে বিভক্ত- যা ঈমান বিরোধী এবং যা ঈমান বিরোধী নয়। একটি হল, যা ঈমানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যেমন : মূর্তিকে সিজদা করা, কুরআন মাজীদের অসম্মান করা, কোন নবী (স)-কে হত্যা করা বা গালি দেয়া ঈমান বিরোধি। [.আমাদের বিরোধী পক্ষ আমালী কুফরের এই অংশের মধ্যেই ‘হুকুম বি-গয়রি মা আনযালাল্লাহ’-কেও গণ্য করে থাকেন। অথচ সালাফগণ এই আমলটি ই‘তিক্বাদী হলে মুরতাদ কাফির গণ্য করেছেন। পক্ষান্তরে আল্লাহর বিধানকে স্বীকৃতি ও মেনে নেয়া সত্ত্বেও জারি না করাকে কেবল আমলী কুফর গণ্য করেছেন। -অনুবাদক] পক্ষান্তরে আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান জারি না করা, সালাত আদায় না করা নিশ্চিতভাবে কুফরে আমালী।’’ [.সালাত তরক করা কোন ধরনের কুফরী আমালী এ সম্পর্কে মতপার্থক্য আছে। হাফেয ইবনু ক্বাইয়েম (রহ) ও মুহাদ্দিস নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ) সালাতের স্বীকৃতিদাতার সালাত তরককে ঈমানের সাথে সাংঘর্ষিক নয় এমন কুফরে আমালী গণ্য করেছেন। পক্ষান্তরে ইমাম আহমাদ (রহ), শায়েখ ইবনু বায (রহ) ও শায়েখ উসায়মীন (রহ) সালাত তরক করাকেই ঈমানের সাথে সাংঘর্ষিক কুফরী আমলী গণ্য করেছেন। এর বিরোধ নিরসণের জন্য স্বতন্ত্র পুস্তিকা লিখব, ইঁনশাআল্লাহ। -অনুবাদক]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন